[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]
ahridwan লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
ahridwan লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমাকে নিয়ে যায় সে



আমাকে নিয়ে যায় সে

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে-
কোনো এক কালের প্রভাত ঘন
বসন্তের কোকিল হয়ে।

মাঝে মধ্যেই আমি প্রকৃতির রুপ মেখে
নয়নে বসন্ত সাজাই-
আমি উন্মক্ত হই, প্রতহ অপরাহে
কিম্বা বাকি সময়ে।

যেখানে কোনো অনুসূচনা থাকেনা,
থাকেনা সূচনাকে পুজি করে
অমাবর্ষার বিষ্ময়কর ডুমুর ফুল
আয়ত্ব করতে।

সেখানে আমি জাগিয়ে উঠি
অতীত কিম্বা ভবিষ্যতের সামনা সামনি।
আমাকে নিয়ে যায় সে-
মহাকালের কোনো এক সৃষ্টির নিগরে।

আমি সেখানেই আয়ত্ব করি
যুগ উপযোগি সভ্যতার বাসনা গুলো।
সেখানেই গচ্ছিত আছে মহাকালের সভ্যতা ।

সেখানে শানবাধা ঘাট আছে।
পাল তোলা নাও আছে।
প্রকৃতি আছে, আছে প্রাকৃতির নির্যাস ।

কোকিল আছে ,ভরা দিঘি আছে
উলঙ্গ মাঠ আছে -
আর একরাশ স্বপ্ন আছে।

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে
আমাকে নিয়ে যায় সে
বসন্তে-র ভরা যৌবনের স্বাদ নিতে।

আমি প্রত্যহে কাটি তার অপেক্ষায়।
######################################################################

মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি





মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি
akashnill
এই কি মেঘের খেলা-
প্রতিদিন সে ঢাকে আকাশ,
ভু-পৃষ্টে থমকে দাড়ায় তপ্ত বাতাস।
প্রতিক্ষায় চেয়ে তনুমন,
ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরো অনুক্ষন।
কদম তলে ‍সিক্ত বসনে
কথা হবে প্রিয়ার সাথে তৃষিত নয়নে,
রোদেলা দুপুরে ঘামসিক্ত মনে
তাই অপেক্ষায় কাটে বেলা।
অপেক্ষার দুপুর বিকেলে যায়
গোধূলীয়ার সঙ্গম হয় সুর্য ডোবায়
তবুও জলহীন মেঘ বৃষ্টি ঝরালো না,
প্রিয়া মোর আসিলনা শুষ্ক সাজ বেলায়,
ছোঁয়া গেল না তাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়,
এ যেন মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলা।

সোমবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১২

Tobe keno ai valobasha ??





Jodi nil akash hoye asho...
Jodi megh hoye chu te chao tmi...
Keno rekhe jao amai aka !!
Tobe keno ai valobasha ??

Nil joshna hoye dekha dao tmi...
Bela seshe himel batash hoye asho tmi...
Keno rekhe jao amai aka !!
Tobe keno ai valobasha ??

Akdin hoi to vorer sisir hoye asbe na tmi...
Akdin ai sundor dhoroni theke chole jabe tmi...
Sudhu e rekhe jabe amai aka !!
Tobe keno ai valobasha ??



বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

একটি সোনালী মুখ

একটি সোনালী মুখ
একটি সোনালী মুখ
পুকুরের বন্ধ্যা জলের মত স্তব্ধ সময়
কৌটায় ভরে ‍রাখা এক ফালি রোদ যেন,
কালের স্মৃতি চারণে; অমাবস্যার রাত অপেক্ষায় থাকে
চন্দ্রমুখী তুমি বিনে! গরল বিজন,
আমলকীর বন আজ সর্বনাশের উল্লাসে মাতে।

টলটলে স্বচ্ছ জলে তোমার জলছবি
এঁকেছিলে কবে?
তির তির করে কাঁপা বাতাসে
স্তব্ধ জলের ঢেউ! স্মৃতির আকর যেন,
বড্ড জালায় এই পড়ন্ত বেলায়।

এই পড়ন্ত বেলায় নেমে ‍এলো
কুয়াশার সাঁঝ, যেন আতুর ঘরে বাতি জ্বলল
ডুব সাঁতারে মত্ত হাসের ছানা! বাড়ী ফেরার তারা ভুলে যায়;
মাছ রাঙার মত জলে খুঁজে ফিরে
একটি সোনালী মুখ।


১৪১৮@১৪ পৌষ,শীতকাল

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

ভালবাসি (খুঁজছি)


ভালবাসি (খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

একটি কবিতা লিখবো বলে !

টি কবিতা লিখবো বলে
হাসনাত রিদুয়ান | অগাষ্ট ১০, ২০১১

কত রাত পার হয়েছে বিনিদ্র !
কিছু লিখব বলে, কবিতার খাতায়
বারেবারে কলমের আচড়, কাগজে
অর্থহীন আকিবুকি ; নির্মম উত্তেজনার খেলা,
অতঃপর একরাশ গ্লানি,
ব্যর্থতায় চুল ছেড়ার দশা ;
টেনে হিচড়ে বের করার চেষ্টা
নিজের ঠুনকো আবেগের থলি
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে ।
হয়নি কিছুই পাওয়া । আশা কফিনে
বারেবারে হয়েছে পেরেক ঠোকা ।
জানে শুধু অর্ন্তযামী ; বিফল বিরহে
দু:সহ বেদনা দহনে, পুড়ে পুড়ে খাক
অন্তর আত্মা আমার । তবু কবিতার
পাই নি কো দেখা । কি দেইনি তোমায়
কবিতা ?? বলতে পারো ??
আমার সত্যিকারের প্রেম, নিভৃত
ভালবাসা, উজাড় করে দিয়েছি
শুধু তোমায় দেখবো বলে ।
আমার জীবন যৌবন, সব টুকু
তোমাতে করেছি সমর্পন
তবু নিষ্ঠুর তুমি দাওনি সাড়া !
দিয়েছ শুধু একবুক কষ্ট, নিরাশার
আধার গ্রাস করেছে আমায়
নিস্তব্ধ সন্ধ্যার মত । ভালবাসি তোমায়
এখনো আগেরি মতন, তবে
এখন আমি মৃতদের দলে ।
তোমায় আর চাই না দেখতে তাই,
নিজের মতন করে । কবিতার সুবাস
আর জাগায় না আমার হারানো
কামনা দীপ্তি । গানের সুর
এখন অর্থহীন কথার বন্যা ।
তুমি আর অনন্যা নও হে কবিতা ।

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বন্ধু তোমার বিষন্নতার আঙ্গিনায় আমি হবো খুশির ঘাসফুল

বন্ধু তোমার বিষন্নতার আঙ্গিনায় আমি হবো খুশির ঘাসফুল


Add caption
প্রেম সে,তো চাইলেই পারি; আছে প্রকৃতির ভূবনে;
আছে চারপাশে হাওয়ার মতো; আছে উত্তাল তরঙ্গ হয়ে।
আমি নিরাশার ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে বসে আছি নিরবে;
আমি নিঃশব্দে আঁকি নিজের জমে থাকা কথা।

আমি বন্ধু হতে চেয়েছি
আমি প্রেমী হতে চাইনি; আমি প্রেম চাইনি; তোর সঙ্গ চেয়েছি।
প্রেম তুলিনি শূন্য মনের ঝুড়িতে;
আমি ভাসতাম না এইভাবে শূন্যের তেপান্তরে।
যখন তোর মনটা থাকতো বিষন্নতার আঙ্গিনা; আমি হতাম তখন খুশির ঘাসফুল;
আমি দেয়াল হতাম নোনা জলের; তোর কষ্ট সেথায় কাটতো সাতার।
প্রেম আসতো পরির মতো,কখনও বা ভোরের আকাশের তারা;
সূর্য উঠলেই যার সারা।

আমি বন্ধু হতে চেয়েছি পেয়েছি তোর প্রেম;
আমি তো প্রেম চাইনি; চাইনি হতে আবেগের রঙ্গিন ফুল।
হেরেছি আমি জীবন খেলায় একটু একটু করে;
হয়ে আছি ভাস্কর্য।

পারিনি অনেক কিছুই, হয়তো পারতামও না, আমার আকুলতা ছিলো সামান্যতায়;
কারো বন্ধু হবো; সকাল আর সন্ধ্যের দুরত্বে নয় পুরো সময় আমার থাকবে তাকে ঘিরে।
কিন্তু হায় আমি নিরালায়; আমি দু’হাত তুলে ডাকি তোকে
বন্ধুত্বের যোগ-বিয়োগের খাতা খুলে তুই প্রেমের অংক কষতে চাস আমার গায়।
তুই বন্ধুর পথে প্রেম নিয়ে আছিস বসে; আমি তাই থমকে যাই
খুজে ফিরি সেই মানুষকে আমি হাতরাই সেই সুর আমার আকুলতা বলে,
দাড়াও পথিক তোমার আঁচলে একটু বন্ধুত্ব হবে কি ?
নাহ ;প্রেম চাইনা।
প্রেমের নীড়ে ডাকে তাদের দু’হাত পাশ কাটে যখন এক পক্ষকাল।
আবার ফিরে এসে দাঁড়াই সেই পথের ধারে;
যে পথে তোর স্পর্শ আছে;

তোর সামনে দাড়াবো হাতে রাখবো হাত।
তোর চোখ চাইনা;
আমি চলবো এক পথে তোর সাথে;
যে পথে থাকবে না বিরহ; থাকবে শুধু তোর আর তোর কথা
প্রেম নেবোনা বন্ধু তোর আকুলতা হোক সন্ধ্যে রাতের অনুভূতি;
থাকবো আমি তাতেই মিশে।

সময় করে কখনোবা মন খারাপ হলে পড়ে নিস রেখে দেয়া সেই চিঠিটা;
আমি প্রেমপত্র লিখতে পারিনি; হয়তো জানিনা ;
তাই সরল করে লেখা বন্ধুত্বের নদীতে ভাসা এক তরীর গল্প।
আমি আবেগের নদীতে সাম্পান ভাসিয়েছি, তবে সে আবেগ হার মানেনি ভালোবাসার স্রোতে।
আমি প্রেমের সাগরে বন্ধুত্বের জাহাজে তোকে নিয়ে ভাসবো।
আমি প্রেম চাইনা; তাই ডাকিস আমায় যখন নোনা জলের ভূবন থাকবে তোর চারপাশে
যখন বিরহী হতে চায় তোর মন বিষন্নতার নীল নদীতে।
না পারার দলে গিয়েছি ভীড়ে তাই থাকবো না তোকে ভূলে;
তুই তো গিয়েছিস প্রেমের সাগরে চলে।

আমি তবুও বসে আছি নিয়ে অনুভূতির তিক্ত আকাশ,
হয়তো আসবি ফিরে যখন থাকবেনা তোর আবেগের কোন টান।
রাত নামবে সন্ধের আঙ্গিনায়,ব্যাস্ততার শেষ হবে সেই রাতের গায়
যে রাতে আমার অনুভূতি তোকে ভীষন করে ভাবাবে
খুজে ফিরে কাঁদবি; একটা শূণ্যতা তোকে আকুলতা জাগাবে

শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

শিরোনামহীন কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে...

শিরোনামহীন কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে...

একই শহরে আমাদের নিত্যবসবাস
তোমার আমার মাঝে ফারাক শুধু
আলো আর অন্ধকার
মাঝখানে দাগটানা নিয়তি..
আমি, তুমি আর নিরন্তর যাপিত জীবন ।
বহন করি শতাব্দী প্রাচীন অভিশাপ
কোন এক যক্ষের মত..

ক্রমশ অনুভুতি গুলো আলগা হয়ে যায়
ঝাপসা হয়ে যাও তুমিও
হয়তোবা এটাও স্বাভাবিক স্বাভাবিকতা

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছিলাম

আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছিলাম

আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছিলাম, চেয়েছিলাম শ্রাবণ ধারার মতো
চোখের কোনের নির্ঝর হতে,
নোনা শিহরনে তোমাকে জড়াতে
আমি সুখ হতে চেয়েছিলাম; চেয়েছিলাম কুঁড়ে ঘরের পাশে
নিঝুম কোন রাতে একাদশীর চাঁদ হয়ে ঝুলে থাকতে
আনন্দের শিহরণে তোমাকে ভাবাতে।
আমার স্বপ্ন ছিলোনা;
তুমি স্বপ্ন একেঁছিলে; তাই কষ্ট গুলোকে মুঠো ভর্তি করে
ছুড়ে ফেলেছিলাম তমিস্র নগরীতে , ওরা যেন ফিরে না আসে,
যেন আমাকে আর না কাদাঁয়
আমি বিশ্বাস করেছিলাম তোমাকে; তাই ভেসেছিলাম।
আমি তোমার হৃদয়ের ভালবাসা হতে চেয়েছিলাম, “চেয়েছিলাম চাররঙ্গা রঙ্গে রাঙ্গাতে”
অদ্ভুত ভালোলাগার নেশায় তোমায় বুদ করে রাখতে,
আবেগের বন্দরে তোমায় ভাসাতে।
আমি স্পর্শ চেয়েছিলাম; চেয়েছিলাম নিপুন ছোয়ায় বিস্মিত হতে কখোনো কখোনো !!
এই-চোখে ও-চোখের ভাষা পড়তে
তোমাতে আমাতে একাকার হতে।
আমার বিরহ ছিলোনা
তুমি দু-হাত ভরে দিয়েছিলে ভালবাসার অঞ্জলী!
আমি কুবের হতে চাইনি; আকাশ ছুতে চাইনি;
আমার দৈন্যতায় তোমাকে সাজাতে চেয়েছিলাম;তোমার সখ্যতা চেয়েছিলাম
তোমার উচ্ছলতায় আমার হৃদয়ের জট খুলেছিলো।
টুপটাপ বৃষ্টি কিংবা ঝড় তোলা সন্ধ্যাকে তুমি কাছে টেনেছিলে
আমাকে টানো নি !!
আমাকে আহবান করে,
অজানা কি এক অভিমানে;
হাতের মুঠোয় নিয়ে শেষে ছুড়ে ফেলে চলে গিয়েছিলে ?
তারপর আর ফিরে আসো নি।
তবুও আমি এখনো বৃষ্টি হতে চাই তোমার চোখে?
শ্রাবণ ধারার মতো।

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

সাদা শাড়িতে শরতের প্রিয়া


এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
তোমার আঁচল ভরে দোবো সাদা শেফালিতে।
আমি নিয়ে যাবো তোমায় ঐ বাকা নদীর ধারে
যেথায় সাদা সাদা কাশফুল ফোটে
নীল আকাশে ভেসে যায় সাদা মেঘ
সাদা বলাকারা থাকে এক পায়ে দাড়িয়ে।

এই শরতে পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি?
স্নিগ্ধ আলোর জোসনা রাতে
আমি নিয়ে যবো তোমায় ঐ ভরা দিঘীর পাড়ে
সেখানে হিজল বনে জোনাকিরা জ্বলে
তোমার কোমল হাতে এ হাত রেখে
কইবো কথা সারারত্রি ধরে।

পড়বে কি তুমি
আলপনা আঁকা পেড়ের সাদা শাড়ি, এই শরতে ?

তুমি নেই বলে...

তুমি নেই সবকিছু তাই এক অন্তর্ভেদী শূন্যতার একান্ত প্রতীক।
যেন তুমি নেই বলে ইহ পরকালে কখনো কিছুই থাকবে না -
বর্তমান ভবিষ্যৎ এবং অতীত।
ভরে যাবে যেন এক শব্দহীনতার অসহ্য সংগীত।
তুমি নেই বলে, জ্বলবে না আলো, উড়বে না পাখি…….
দিঘির কালো জলে পুষ্পিত হবে না সেই রক্তমাখা পদ্মের শরীর
বিরহ ভিষন খেলা অন্তর্ভেদী রক্ত মাংস এবং বধির।
যেন এক দীর্ঘ হাহাকার মৃত্যুর অধিক যেন অবিরাম ক্ষুধা সর্বগ্রাসী
নিষ্ঠুর থাবার নিচে যেন এক সম্পন্ন বসুধা -
লন্ডভন্ড পড়ে আছে পত্র পুষ্পহীন।
ধরিত্রীর যত শ্যামলিমা নিমিষে উধাও।
ভষ্মিভূত প্রান্তরের যেন কোন সীমা পরিসীমা নেই।
যেন সব কিছু বিবর্ন বিস্বাদ।
এক যন্ত্রনার ক্রমাগত ছায়া প্রসারিত জীবনে মরনে।
বিরহ নিশ্চল এক অন্তরীক্ষ তার গতিময় কায়া।
তুমি নেই বলে………..
কাল মহাকাল জ্বলে ছারখার প্রতিদিন নিজেরী অনলে।
কন্যা
হাসনাত|অগাষ্ট ২, ২০১০

কন্যা গো কন্যা গো
বাঁকা চুলেতে খোপা
আর বেঁধোনা গো ।

ওই চুলেতে যাদু আছে রে
আমার ঘুম আসে না রাতে
একা ঘরে ।

অন্তর ও কারিলা কন্যা
ঘুম কারিলা ,
মিছে প্রেমের স্বপ্ন দেখাইয়া
আমায় কাঁদায়লা ।

মন দিয়েছি প্রাণও বন্ধু
প্রান দিয়েছি ,
ভেবে দেখালাম সবই আমি
ভুল করেছি ।

কন্যা তোমার এক হৃদয়ে
কত জনের নাম ,
হৃদয় ভাংগাড় খেলায় তুমি
ছূটেছো অবিরাম ।

কন্যা তোমায় বলি আমি
মন দিয়া শুনো ,
ছলাকলা ছেড়ে তুমি
এক হৃদয়ে থেকো ।
অতীত স্মৃতির পাতায় ভর করে আসে "প্রবাসী ঈদ"!
হাসনাত | অগাষ্ট ৩০, ২০১১
ঈদ মানেই অনাবিল আনন্দ, ঈদ মানেই খুশি ।
ঈদ মানেই সকল বেদনা দুঃখ কষ্ট ভুলে এক চিলতে হাসি।
ঈদ মানেই যেন আলোর ঝর্ণাধারা,
ঈদ মানেই সকলকে একসাথে কাছে পাওয়া ।
বাংলাদেশ গ্রাম প্রধান দেশ।তার প্রত্যেকটি গ্রাম যেন প্রকৃতির এক অপূর্ব রঙ্গশালা। যেদিকে চোখ যায়-অবারিত সবুজ মাঠ, ফুলেফলে ভরা গাছপালা, তৃন গুল্মশোভিত বন-বনানী ও শ্যামল শস্যেক্ষত- এই অনুপম রূপসুধা পান করে সকলের হৃদয়ে এক অভিনব আনন্দের শিহরন জাগে। কোথাও প্রকৃতির সবুজ ঘোমটা ভেদ করে পাকা শস্যের সোনালি সুন্দর মুখখানা বের হয়ে আসছে, আবার কোথাও বিশালদেহ বটবৃক্ষ প্রান্তরের এক স্থানে উধ্বর্বাহু হয়ে মৌন তাপসের মত দাঁড়িয়ে সুশীতল ছায়া দিয়ে পথিকের ক্লান্তি দুর করছে । কোথাও তালগাছ এক পায়ে দাড়িঁয়ে আকাশ থেকে নীলিমা ছিনিয়ে আনার জন্যে ওপর দিকে হাত বাড়িয়েই চলছে, আবার কোথাও দীঘির কাকচক্ষু কালো পানিতে লাল সাদা শাপলা ও কুমুদ ফুঁটে অপরূপ সৌন্দর্য বিস্তার করছে। বাংলাদেশের এই সৌন্দর্য বৈচিত্র্য সবার মন যেমন আনন্দে ভরে দেয় তেমনি ঈদের আনন্দও বাংলার মানুষের মন প্রান কানায় কানায় ভরিয়ে দিতে প্রতি বছরই ঈদ আসে তার আনন্দের বার্তা নিয়ে।

প্রকৃতিতে এখন শরৎকাল চলছে। তাই গ্রীষ্মের তীব্রতা কিছুটা কমে আসছে। শরতের চাঁদনী রাতে বনের গাছ-পালা, নদী তীরের কাশবন,গৃহস্থের কুটির,গতিশীল নদীস্রোত নতুন নতুন রূপে আমাদের চোখে ধরা দেয়। নানা রকমের ফুল ফোঁটে। শরতের শেষে কিছুটা শীতের আমেজ শুরু হয়।শীতের সোনালী আমেজকে সঙ্গে নিয়ে ঈদ আসছে তার আগমনী বার্তা নিয়ে। ঈদের আগমন শীতের ঝরা পাতার মতো আমাদের জীবনের দুঃখ কষ্টের করুন স্মৃতি গুলোও ঝরে যাবে।অতীতের সমস্ত দুঃখ বেদনার দাগ ভুলে পাওয়া না পাওয়ার হিসেব নিকেশ পিছনে ফেলে আবার নতুন রূপে, নতুন সাজে আমাদের মাঝে ফিরে আসছে পবিত্র ঈদ। ঈদ আরবী শব্দ। এর অর্থ খুশি, আনন্দ-উৎসব। রমজান মাসে দীর্ঘ এক মাস রোজা রাখার পর সকল মুসলিমদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন সরূপ সকলের মাঝে আনন্দ বিলিয়ে দিতে আসে ঈদ। ঈদ মহাখুশি ও চরম আনন্দের একটি মহিমান্বিত দিন।
মূলত, ঈদ মানুষের জীবনে নিয়ে আসে পরম আনন্দ আর পেছনে থাকে এর অন্তর্নিহিত তাৎপর্য। ঈদের সীমাহীন আনন্দ উপভোগের সঙ্গে সঙ্গে পরম করুনাময়ের উদ্দেশে নিজেকে নিবেদিত করতে হবে আর মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে ত্যাগের, ভ্রাতৃত্বের, ঐক্যের, সম্প্রীতির এবং সৌহার্দ্য-সহমর্মিতার মহান আদর্শ অনুধাবন করতে হবে।
জীবনের দীর্ঘযাত্রায় অতীতের ঈদের স্মৃতি বাংলার মাটি ও মানুষের মতো আমার অস্তিত্বে গভীর নোঙর বেঁধে আছে আজও। সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল নাকো চাঁদ! জীবনের প্রথম প্রবাস গমন, সাময়িক কিছু আনন্দ থাকলেও বেদনার যেন কোনও কমতি ছিল না। তখন শীতকাল। প্রচণ্ড শীত কুয়াশার চাদর দিয়ে ডেকে রেখেছিল গোটা পৃথিবীটাকে। আকাশের সূর্যের সঙ্গে সেদিন পৃথিবীর কোনও মিলন ঘটেনি। ঠিক ওদের মানসিক অবস্থা আর আমার মানসিক অবস্থার মধ্যে কোনও দূরত্ব ছিল না। বিদায় যে বড় কঠিন, বড় নির্মম সেদিন তা অনুভব করেছিলাম হাড়ে হাড়ে। দেশপ্রেম কি, বন্ধুত্ব কি, আত্মার সম্পর্ক কি? ভালবাসা কি? ভালবাসার রূপ, রঙ, গন্ধ, বর্ণ সবকিছু সেদিন মন অনুভব করেছিল একান্ত করে। সেদিন অনেকেই বোবা কান্নায় কেঁদেছিল। সবচেয়ে বড় একা হয়ে গিয়েছিল আমার সন্তান আমার দ্বিতীয় আত্মা। সে আমার কোলে আমার গলা ধরে সবার দিকে ফেলফেল করে তাকিয়ে থেকে মাঝে মাঝে আমার গালে চুমু দিচ্ছিল। আর আমি যেন অনেকটা বোবা পাথর হয়ে গিয়েছিলাম। সেদিন বিদায়ের বাঁশির সকরুণ সুর আজও আমাকে নীরবে কাঁদায়। আমি হারিয়ে যেতে থাকি ভাবনার অতল গভীরে। আমার স্মৃতিমাখা সে দিনগুলো যেন আজও স্মৃতি হয়ে ভেসে বেড়ায় মনের জানালায়।আমার ঢাকার কর্মব্যস্ত জীবন কেটেছে বেশিটা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মহসীন হলে। ঈদের ছুটি কাটাতে যখন গ্রামের বাড়ীতে আসতাম তখন গ্রামের পুরনো বন্ধুদের নিয়ে চলে যেতাম পদ্মার তীরে। সেখানে আড্ডা চলত মাঝ রাত পর্যন্ত। জানি না আজ আর সে আড্ডা জমে কিনা, আমার জানা নেই হয়তোবা জমে নয়তোবা নয়। হয়তোবা বন্ধুরা আমার শূন্যতা অনুভব করে, নয়তো নয়! কিন্তু আমি আজও অতীতের সেই সোনাঝরা দিনগুলো হৃদয়ের ক্যানভাস থেকে কিছুতেই মুছতে পারিনি। সবাই হয়তো ভুলে গেছে, কেননা বড় বড় আনন্দ উৎসবের দিনগুলোতে তারা কেউ একটা এসএমএস দিয়েও মনে করে না। প্রথম প্রথম দেশের বন্ধুদের প্রচুর চিঠি লিখতাম। কিন্তু কখনো উত্তর পায়নি। ঈদ আসলে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে ঈদের শুভেচ্ছা পাঠাতাম। এখন তাও অনেকটা কমিয়ে দিয়েছি তাদের কাজ থেকে সাড়া না পেয়ে। তারপরও অতীত স্বপ্নকে লালন করি সযতনে বুকের গভীরে।

স্বপ্নই সবাইকে বাঁচিয়ে রাখে প্রবাসের আত্মীয় পরিজনহীন একাকী পরিবেশে। স্বপ্ন! স্বপ্ন সবাই দেখে,কেউ জেগে কেউবা ঘুমিয়ে। ঘুমের মাঝে স্বপ্ন সবার কাছেই আসে। আমার কাছে প্রতি রাতেই আসে। বিচ্ছিন্ন খন্ড খন্ড স্বপ্ন। স্বপ্নতো আর সাজিয়ে গুছিয়ে ধারাবাহিক ভাবে আসে না। যে রাতে আমি স্বপ্ন দেখিনা, সে রাতটা আমি ধরে নেই আমার বিনিদ্র রজনী কেটেছে । ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখিনি সে আমার জীবনে কখনো ঘটেনি। ঘুম বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বপ্নের একটা সময় সীমা আছে সেটা কখনো দীর্ঘ সময় ধরে চলতে পারে না। কিন্তু আমার স্বপ্ন গুলি অনেক দীর্ঘ হয়, অন্তত আমার কাছে সেটা মনে হয়।আমার স্বপ্ন আমার বাস্তব চিত্রের সাথে মিলে মিশে আমাকে কঠিন ভাবে ফিরিয়ে নিয়ে যায় ফেলে আসা অতীতে।

কর্মব্যস্ততার এই প্রবাসে মানুষের জীবনে অবসরের বড় অভাব। তবুও প্রতিদিন জীবনের এই পথ চলতে গিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে কোনো না কোনো সময় মন ছুটে যায় কোনো স্মৃতির পাতায়_ যা সীমাবদ্ধ থাকে না কোনো একটি মধুর বা বেদনাবিধুর স্মৃতিতে। ঈদ এলে সেটা আরো ভারাক্রান্ত করে এ হৃদয়কে। আসলে আমাদের জীবনে এমন পূর্ণ অবসর নেই তাই চিন্তাধারাগুলো এখন আর একটি জায়গায় সীমাবদ্ধ থাকে না। এক বর্ষণমুখর দিনে সোনার হরিনের আশায় দেশ ত্যাগ করি। এই প্রবাসে ঈদে যখন অবসরের স্বাদ নিতে চাই তখনই ফেলে আসা অতীতের কিছু মুখ ভেসে ওঠে স্মৃতির আয়নায়। একদিন যার কথা শুনতে চাইনি, আজ ঈদ অবসরে তার মধুর স্মৃতি বেশী মনে পড়ে। এখন ইদের অবসরে পড়ন্ত বিকেলে যখন আরব সাগরের তীরে গিয়ে দাঁড়াই, রাতের আঁধারে যখন ছোটখাটো অবসরগুলো কাটে তখন সেই সুখস্মৃতিগুলোই যেন স্থান করে নেয় সমস্ত মনজুড়ে। মনেপড়ে, সেই অগোছালো জীবনে ছিলো না কোন স্থিরতা। পরিচিত হলো দুটো মন সময়ের পথ ধরে এগিয়ে চললো তারই ধারাবাহিকতা। ওই মধুর স্মৃতি, সে আসবে বলে কত স্বপ্ন এঁকেছি জীবনের বাঁকে বাঁকে। এখনও যেন সেই স্বপ্নের রাজ্যে আছি।

মাঝে মাঝে ভিড় করে স্কুল কলেজের ফেলে আসা সেই দিনগুলো এবং আরও কতস্মৃতি। কিন্তু সব স্মৃতিকে ভাসিয়ে সামনে চলে আসে স্বদেশে ঈদ আনন্দের স্মৃতি, মায়ের সেমাই, বাড়ীর পাশের ঈদগাহে নামাজ শেষে দীর্ঘক্ষন হাততুলে মোনাজাতের স্মৃতি। প্রবাস জীবনের কর্মব্যস্তার মাঝে শুরু হল নতুন এক পথচলা। এখনও যেন স্বাপ্নিক চোখে ভেসে আসে নানা রঙের রাঙ্গায়িত স্বপ্নের সেই দিনগুলো_যা ঈদ আসলে দিয়ে যায় মৃদু আনন্দের ছোঁয়া। অবসরের মুহূর্তে ভেসে চলি ফেলে আসা সেই দিনগুলোতে।

যতবার ভেবেছি, অতীতকে আর মনে রাখব না, মুছে যাক মনের পাতা থেকে অতীতের সব বস্তা পঁচা স্মৃতিগুলো। চোখের পানি দিয়ে মুছে পরিস্কার করে ফেলব। কিন্তু অতীতকে ফেলে নিজকে আরো বিভ্রান্ত করে হারিয়ে ফেলেছি।
জানি, মানুষের জীবনের সকল আশা-আকাঙ্খা, সাধ-স্বপ্নের যখন মৃত্যু ঘটে তখন শুধু বিগত দিনের স্মৃতিগুলোকে আকড়ে ধরে বেঁচে থাকা যায় না।স্মৃতির মধ্যে সুখ নাই, শান্তনা নেই। আছে শুধু ব্যথা, বেদনা আর দীর্ঘশ্বাস। স্মৃতি, সেতো অতীত। সুখের হোক আর দুঃখের হোক, বর্তমানে তার উপস্থিতি দুঃখজনক। শুধু আমি কেন, পৃথিবীর যে কোন মানুষ যে কোন মুহুর্তে একবার যদি অতীতের সকল সাগর মন্থর করে তাহলে তার ভেতরে একটু না একটু বেদনার উদ্রেক হবেই।

প্রবাস জীবনের অনেকগুলো বছর পেরিয়ে যখন দেখি পেছনের দিনগুলো ধূসর ধূসর, আর সেই ধূসরতার শরীর থেকে হঠাৎ হঠাৎ কোনও ভুলে যাওয়া অতীত স্বপ্ন আচমকা সামনে এসে দাঁড়ায় বা কোনও স্মৃতি টুপ করে ঢুকে পড়ে আমার প্রবাসী একাকী নির্জন ঘরে, আমাকে কাঁপায়, আমাকে কাঁদায়। যে স্বপ্নগুলো অনেককাল মৃত, যে স্বপ্নগুলোকে এখন আর স্বপ্ন বলে চেনা যায় না, মাকড়শার জাল সরিয়ে ধুলোর আস্তর ভেঙ্গে কি লাভ সেগুলোকে নরম আঙুলে তুলে এনে। জানি সব, তবুও আমার প্রবাসের জীবন আমাকে বারবার পেছনে ফিরিয়ে নিয়ে যায়, আমি আমার অতীত জুড়ে মোহগ্রস্থের মতো এখনো হাঁটি। দুঃস্বপ্নের রাতের মতো এক একটি রাত আমাকে ঘোর বিষাদে আচ্ছন্ন করে রাখে এখনও। সন্ধ্যা রাতের তারা হয়তো আর আলো জ্বালবে না হৃদয় নিকুঞ্জে। পাল তোলা নৌকা আর বয়ে চলবে না জীবন গঙ্গায়।
তারপরও দিগন্ত জুড়ে এক ফালি সরু চাঁদের অপেক্ষায় দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদের আনন্দ-বারতা। রমজানের একটি মাসের সিয়াম সাধনায় পরে এলো খুশির ঈদ। বাঁধ ভাঙা আনন্দ উৎসবে মেতে উঠবে বিশ্বের মুসলমান সম্প্রদায়। আর আবেগ প্রবন বাংগালী মুসলমানের ঈদ মানে এক মহা উৎসব। চাদরাত থেকেই শুরু হয়ে যাবে এই বর্নিল আয়োজনের। টিভির পর্দায় গেয়ে উঠবে……
‘ও মন রমজানের ঐ রোজার শেষে এলো খুশীর ঈদ
আপনারে আজ বিলিয়ে দে শোন আসমানি তাগিদ’…।
ঘুমকাতুরে চোখ উৎসবের আমেজে প্রতিক্ষার প্রহর গুনবে ঈদের সোনালী সকালের। গৃহিনীরা সদা ব্যস্ত থাকবে সুস্বাদু সেমাই, ফিরনি, পায়েস, পোলাও, কোরমা সহ মুখরোচক খাবারের আয়োজনে। বাড়ীর তরুনীরা ঘরটাকে সাজিয়ে নিবে নিপুন কারুকাজে। সময় করে মেহেদিতে হাত রাঙাবে তরুনী, কিশোরী এমনি কি প্রান পুরুষের দল। ঈদের সকালে গোসল করে নতুন কাপড় পড়ে পৌছে যাবে ঈদগাহে। নামাজের পরে ঈদ মোবারক আর কোলাকুলির সৌহার্দ্যে, সম্প্রিতি আর ভালোবাসার এক বন্ধনে নতুন করে আবদ্ধ হবে সবাই। এরপর গভীর রাত অবধি উৎসবের জোয়ারে ভেসে যাবে সব। আজ কোন দুঃখ নেই। ছোট বড়, ধনী গরীব যার যার পরিসরে সবাই ঈদের আনন্দে রঙ্গীন হবে মহা উৎসব। বাংলাদেশের এই ঈদের আমেজ অনেকটাই অনুপস্থিত আমাদের প্রবাসী জীবনে। তাই তো ঈদের দিনে নষ্টালজী পেয়ে বসে অনেকের মাঝে। ফেলা আসা হারানো দিনের ঈদের আনন্দ এখন কেবলই স্মৃতি।ঈদের সকালে ঘর থেকে বের হলে মনের ভিতরের ঈদের আনন্দ আর থাকে না। সবাই ব্যস্ত যার যার মত। প্রবাসে আমরা সংখ্যালঘু , তাই ঈদের আনন্দ অনুভুতিগুলি মনের গহীনেই আটকে থাকে ।এর বাহ্যিক আবরণটা খোলসা হয় না কখনও।
তারপরও এত যান্ত্রিকতার মাঝেও ঈদ প্রবাসীদের জীবনে আনন্দের বার্তা নিয়ে আসে।প্রবাসে ঈদের আমেজ খুজে পাওয়া যায় ঈদের নামাজের আসরে গিয়ে। সকালে ঈদের নামাজ, তারপর নতুন বাহারী পোষাক আর ঘরোয়া পরিবেশে রকমারী সুস্বাদু খাবার খেয়েই ঈদের আনন্দ শুরু হয়। প্রবাসের ভিন্ন পরিবেশে তাই ঈদের বাহ্যিক আবরণটি ঘরের বাহিরে তেমন ভাবে দেখা যায় না।তাই প্রবাসের মুলধারার জীবন দর্পনে ঈদ তেমন প্রভাব ফেলে না। তবুও বাংগালী মুসলমানদের অন্তরে ঈদ লালিত হয় আবেগ অনুভূতি আর ভালবাসার অফুরন্ত উচ্ছাস নিয়ে। তারপরও ঈদের ছুটির অবসরে প্রীতিময় সামাজিকতার আঙ্গিকে ভরে উঠে প্রবাসীদের মন।

সকলকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদের আগমন সকলের জীবনে বয়ে আনুক অনাবিল আনন্দ। জীবনের দুঃখবোধের সমস্ত গ্লানি মুছে যাক, জীবন গাঙ্গে বয়ে চলুক পূর্ন আনন্দের অমীয় ধারা।

ঈদ মোবারক………

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১১

নিঃসঙ্গ প্রহর


নিঃসঙ্গ প্রহর

নিঃসঙ্গ প্রহর
বিষণ্নতার সুর বাজে বেহালার তারে,
শীতার্ত সারসী কাঁদে নিঃশব্দ প্রহরে।
জোনাকীর মৃদু আলো হিজলের বনে,
মেঘের আঁচলে লুকায় চাঁদ ঐ গগনে।
মায়াবী হরিণী চোখ আমরণ তৃষ্ণায়,
মরীচিকা বিভ্রমে মরে কস্তুরী আশায়।
নিবিড় স্পর্শে কাতর লজ্জাবতী লতা,
ভ্রমরের গুঞ্জরণে জাগে প্রণয়ের ক্ষুধা।
প্রেমিক মীনের সন্তরণ সবুজ শৈবালে,
বিরহের পদাবলী রচে প্রাচীন ফসিলে।
নৈঃশব্দের প্রহর ভাঙ্গে নূপুরের ঝংকার,
ঝারবাতির জলসাঘরে মদ্যপ জমিদার।
নিস্তব্ধতার খোলসে ঢাকা পেঁচার উচ্ছাস,
শুকনো পাতার ভাঁজে বাদুরের দীর্ঘশ্বাস।
রাতের শিশিরে সতেজ ঘাসের আকুতি,
সোনারোদে ছড়ায় যত আবেগের দ্যুতি।
নিঃসঙ্গতার প্রহর শেষে বিষণ্ন এই মন,
একাকিত্ব ভুলে নেয় রোদের আলিঙ্গন।

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০

ফুল ঝরা কবিতা

ফুল ঝরা কবিতা
আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম,
যেখানে শুরু করে বসিয়েছিলা কলমের আঁচর
শৈল্পের নৈপনিতে এঁকেছিলাম এক একটি কবিতা
সাজানো এক ফুল বাগানের মতো।
সেখানেই গিয়ে দেখি আজ ঝরা ফুলের নি:শব্দ কান্না
নৈ:শব্দ অনুভবে আমিও চোখের জলে ভিজিয়েছি ললাট
তীব্র অস্থিরতায় ঘেমেও ছিলাম তিক্ত অনুভবে,
যা বলার ভাষা প্রকাশ করার মত আমার উপায় ছিল না।

আমি ঝরা ফুলের মতো কবিতার কান্নাও শুনেছি
হার মেনেছি তার সীমাহীন ভালবাসায়,
অশরীরী আত্নায় তাকে দেখেছি কত অগনিত বার
নির্জন তিমিরে তার ছায়া রুপী আত্নাকে মানবীতে দেখেছি।
সে আর এখন আমার কাছে আসে না;
অথচ নির্জন জোস্না রাত আসলেই তার অপেক্ষার প্রহর কাটি
তেপথের পাড়ে যে ছায়াকৃত খুদে বৃক্ষ
সেখানে মাঝে মাঝে ছুটে যাই তাকে কামনা করে,
এখন আর সে আসে না;তার অশরীরী আত্নাও আমাকে ভর করে না;
তার কি কিছু হয়েছে? না আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম?

বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১০

চলছে জীবন একা একা

চলছে জীবন একা একা


জমাট ব্যথা কষ্ট কথা
কাব্য খাতায় আঁকছি যথা
শিকড় ছাড়ার রূদ্ধ প্রথা
বুকের খাঁজে জমছে তথা।

শূন্য এপ্রাণ বদ্ধ জীবন
চমকে উঠে যখন তখন
কাঁটা তারের বেঁড়া কখন
গঁজিয়ে উঠে ইচ্ছে মতন।

ইচ্ছে নিয়ে অনিচ্ছেতে
বেঁচে আছি কোনোমতে
রূষ্ট জীবন দুষ্ট স্রোতে
ছুটছে কেবল বক্র পথে।

কালো আকাশ মেঘে ঢাকা
থেমে আছে জীবন চাকা
ভ্রষ্ট পথে ঘুরছি ফাঁকা
চলছে জীবন একা একা।
______________________
জীবন একা, একলা তেপান্তর।