[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]
অনামিকা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
অনামিকা লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২

নিরন্তর নিঃস্বার্থ তোমার জন্য ....



নিরন্তর নিঃস্বার্থ তোমার জন্য
উৎসর্গ আমার বুবু রাতজাগা পাখিকে



নিঃশব্দের ভাষায় তোমায় লেখা চিঠি .............
দেখবেনা জানি,কিছু ভাষা মনের জন্য,
কিছু কথা না শোনার জন্য,আবেগের ভাষা
কে জানে,হৃদয় অনুভবে খুজে নেয়,বুঝে নেয়
দু চোখের দৃষ্টি।
শব্দহীন সন্ধ্যার পথে চোখের জল ফিরে যায়
অনেক চাওয়ার,অনেক পাওয়ার আবেশে।
হৃদয়ে বর্ষা,ব্যথার ব্যকুলতার সুরে,


গহীনে গোপনে মম স্বপনও জুড়ে আজি কত কথা
ফুরানো দিন, মমতাহীন,সাজে যত ব্যথা।
দেখি যদি তোমায় তব চলেছ একেলা,
ভুলি দিবানিশী ভুলিব বেলা অবেলা,
নিরন্তর নিঃস্বার্থ তোমার জন্য আমার এ পথচলা।







অনেক দিনের বৃষ্টির সাধ ছিল,মনের উঠোন শুকিয়ে চৌচির
স্বপ্ন তৃষিত শূন্য দৃষ্টি।
আশার বর্ষন শেষে আজ রোদ উঠেছে সাঝের মায়ায়।
দুঃখ জীর্ন শূন্যতা,অবহেলার অংক উত্তরহীন,
বহুকালের অসহায় সমীকরন অশ্রু ফোটা আড়ালে,
তুমি দেখনি।
কত জীবন ভগ্নাংশের শেষফল রাতজাগা পাখির পালকের
উষ্ঞতায় জমেছিল,আজ ছুয়ে গেল সে ,ভালবাসা আর মমতায়।


বুবু ভাল থেকো অনেক ভাল।
যদি আমার সব সুখ দিয়ে তোমার একটু কষ্ট মুছতে পারি,
তবে অশ্রুটুকু আমায় দিও।
বর্ষা আমার ভাল লাগে সাঝসন্ধ্যা তুমি নিও।



বৃহস্পতিবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১২

সে আমার বন্ধু ছিল



এপ্রিল২৬, ২০১২

মোবাইল ফোনটা বেজেই চলেছে তো বেজেই চলেছে। উফ! অসহ্য! আর কত জ্বালাবে আমাকে ওই ছেলেটা? সহ্যেরও তো একটা সীমা থাকে। বার বার লাইন কেটে দেয়ার পরও সমানে কল দিয়ে যাচ্ছে। এমন নাছোড়বান্দা জীবনে আর দ্বিতীয়টি দেখি নাই।
বাধ্য হয়ে অবশেষে ফোনটা রিসিভ করলাম। ‘হ্যালো’।ও প্রান্ত থেকে ভেসে এল জুয়েলের গলা, ‘হ্যালো শর্মি, আমার মনটা আজ ভাল নেই রে’। তোমার মন ভাল নাই তো আমার কি? যার তার মন ভাল করার চাকরি নিয়েছি নাকি আমি? আজব! কথাগুলো মনে মনে বললেও মুখ ফুটে ওকে বলতে পারলাম না। দাঁতে দাঁত চেপে বললাম, ‘আমি একটু ব্যস্ত আছি ভাইয়া’। ওপাশ থেকে জুয়েলের দী্র্ঘ নিঃশ্বাস পতনের শব্দ শুনলেও পাত্তা দিলাম না। সে বলল, ‘ তুই তো এখন সারাক্ষণই ব্যস্ত থাকিস। আচ্ছা ফ্রি হলে ফোন দিস তাহলে’।
ছেলের কথা শুনে বিরক্তি যেন চরমে উঠল। চেপে চেপে বললাম, ‘আমার ব্যালেন্স শেষ ভাইয়া’। কেটে দিলাম কলটা। আহ, শান্তি! যাক বাবা, অন্তত আধা বেলার জন্যে নিশ্চিন্ত থাকা যাবে এই আপদ থেকে। অবশ্য জুয়েল নামের এ আপদটাকে একসময় আমিই ডেকে এনেছিলাম আমার জীবনে!
কুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর থেকে প্রচন্ড ডিপ্রেশনে ভুগছিলাম আমি। কারণ আমার খুব ইচ্ছা ছিল আমি বুয়েটে পড়ব। এখানে নতুন কোন বন্ধু তো হয়ইনি উলটো স্কুল-কলেজের বন্ধুদের সাথেও এক এক করে দূরত্ব বাড়তে লাগল। আমার প্রেমিক ইমনকে নিয়েও সন্দেহ করা শুরু করলাম! নষ্ট হতে লাগল ওর সাথে আমার সম্পর্ক। গান পাগল আমি গান শোনা বন্ধ করলাম, পড়ার বই এর ফাঁকে ফাঁকে গল্পের বই পড়াও ছেড়ে দিলাম। একসময়কার মেধাবী স্টুডেন্ট আমি পড়াশোনাতেও লাড্ডু পেতে থাকলাম! আসক্তি জন্মাল মিগ৩৩ এর প্রতি। দিন নেই,রাত নেই সারাক্ষণ শুধু মোবাইল টেপাটেপি করতাম। ‘মিগ’ এর মত ভার্চুয়াল জীবন হয়ে গেল আমার কাছে বাস্তব! মিগ এর তথাকথিত বন্ধুদের সাথে আড্ডা মারি,তাদের সুখে হাসি আর তাদের দুঃখে কেঁদে ফিরি! এতদিন জানতাম হতাশ মানুষ drug addicted হয়ে যায়। কিন্তু আমি দিন দিন পরিণত হতে লাগলাম mig addicted এ!!
এমনি এক মুহূর্তে জুয়েলের সাথে আমার মিগ এ পরিচয় হল। ওর কাছে খুলে বললাম আমার অতীতের উজ্জ্বল দিনগুলোর স্মৃতি, বর্তমানের অন্ধকারময় জীবনের কথা। সব শুনে জুয়েল আমাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এল। ওকে আমার ফোন নাম্বার দিলাম। এভাবে গড়ে উঠল আমাদের মাঝে বন্ধুত্ব। ‘তোর আসলে বন্ধুর চেয়ে একজন care taker এর দরকার বেশি,বুঝলি’? জুয়েলের কথা শুনে হাসলাম আমি। ‘তাহলে তুমি আমার care taker হয়ে যাও ভাইয়া’, বায়না ধরলাম ছোট বাচচাদের মত।জুয়েল আমার বন্ধু বা care taker হতে রাজী হল। সেই সাথে জানিয়ে দিল তার জীবনের কিছু সীমাবদ্ধতার কথা— পরবর্তী সপ্তাহ থেকে তার মেডিকেল কলেজে ফাইনাল প্রফেশনাল পরীক্ষা শুরু। তার একজন প্রেমিকা আছে, তাই আমাকে যে সে সবসময় সময় দিতে পারবে , এমন কোন প্রতিশ্রুতি সে দিতে পারছেনা। আমি সানন্দে রাজী হলাম তার শর্তগুলো শুনে। আসলে ঐ সময়টায় খুব ভাল একজন বন্ধু দরকার ছিল আমার, যে কিনা আমাকে প্রতিনিয়ত guide করে আমার বিশৃংখল জীবনটাতে শৃংখলা এনে দিতে পারবে।
‘ ভাইয়া আমি আমার ২ বছর আগের জীবনটা ফিরে পেতে চাই’,আমার এরকম কথা শুনে জুয়েল আমাকে আশ্বস্ত করল, ‘ইনশাল্লাহ ফিরে পাবি আপু। শুধু আমি যেভাবে বলব সেভাবে কাজ করে যা। দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে’। জুয়েল প্রথমেই আমার জন্য যা করল তা হল আমার জীবন থেকে ও মিগ৩৩ কে অনেক দূরে পাঠিয়ে দিল। বলল, ‘একা একা লাগলে আমাকে কল দিবি।কিন্তু মিগ এ ঢুকবিনা খবরদার’। সেদিনই মোবাইল থেকে মিগ ফোল্ডার মুছে দিলাম। সকাল নেই ,বিকেল নেই কলেজে ঘটে যাওয়া সব ঘটনা খুলে বলতে লাগলাম আমার নতুন বন্ধুকে। যে আমি আগে মাসে ৫০ টাকাও রিচার্জ করতাম কিনা সন্দেহ,সেই আমি এখন দিনে ৫০ টাকা শেষ করে ফেলি ভাইয়াকে ফোন করতে যেয়ে!
কিন্তু একদিন কল করার পর পরই জুয়েল ভাইয়া বলল, ‘ঐ পাগলী, ফোনটা রাখতো। রিয়া waiting এ আছে,এখন কল রিসিভ না করলে আমাকে আবার বকবে,’ ফোনটা কেটে দিতেই চোখ ভরে গেল জলে! আমার চেয়ে ঐ প্রেমিকা রিয়াই তাহলে তোমার কাছে অনেক বড় তাইনা? কেন জানি খুব হিংসা হচ্ছিল রিয়া নামের অচেনা মেয়েটিকে। এক বিকেলে জুয়েল বলল, ‘ শোন,এখন থেকে প্রতিদিন এক ঘন্টা করে তোর প্রিয় গানগুলো আবার আগের মত করে শুনবি,বুঝলি?’ ওর কথামত আমি আবারও গান পাগল হয়ে উঠলাম! একদিন ভোরবেলা কল দিয়ে বলল, ‘ কিরে,ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে সকালটা মাটি করছিস কেন? নামাজ পড়ে পড়াশোনা করতে বস,যা’।সেই থেকে খুব ভোর থাকতেই ঘুম ভেঙ্গে যেত আমার! ‘ভাইয়া আমার না ভার্সিটিতে কোন ঘনিষ্ঠ বন্ধু নাই জান?’ কথাটা বলতেই জুয়েল বলে উঠল, ‘বন্ধু পাওয়ার জন্য আগে নিজেকে sacrifice করতে শেখা লাগে। দেখবি তখন তোর বন্ধুর অভাব হবে না’। ভাইয়ার কথা শুনে চলতেই ঠিকই কয়েকদিন পর আমার খুব ভাল একটা friend circle গড়ে উঠল!
একদিন সন্ধ্যেবেলায় জুয়েলকে কল দিচ্ছি কিন্তু ও বারবার লাইন কেটে দিতে লাগল। আধা ঘন্টা পর ফোন ধরতেই এক রাশ অভিমান ঝরে পড়ল আমার কন্ঠ বেয়ে, ‘কি ব্যাপার ফোন কেটে দিচ্ছো কেন?’ জুয়েল কৈফিয়ত দিল, ‘sorry আপু,রুমমেটের কাছ থেকে পড়া বুঝে নিচ্ছিলাম রে’। সে আমাকে কখনই বুঝতে দেয়নি যে সে কতটা টেনশন এ আছে তার পরীক্ষা নিয়ে। ওর পরীক্ষার পুরা ২ টা মাস সে আমার সাথে কথা বলেছে কোন বিরক্তি প্রকাশ করা ছাড়াই,আমাকে guide করেছে। ইমনের সাথে আমার দূরত্বের কথা শুনে ভাইয়া বলল, ‘ইমন তোর জন্য কি করেনি সেগুলো না ভেবে,কি করেছে সেগুলা আগে চিন্তা করে দ্যাখ’। বললাম, ‘ইমন তেমন কিছুই করেনি।তবে পরীক্ষার সময় ও নিজের পরা বাদ দিয়ে আমাকে পড়িয়ে পরীক্ষার হলে পাঠাতেই বেশি ব্যস্ত থাকত’। এভাবে ভেবে ভেবে অনেক কিছুই বের করলাম,যা ইমন আমাকে ভালবাসে বলেই করে। ধীরে ধীরে ইমনের উপর থেকে আমার করা অভিযোগগুলো কমতে লাগল। আমি যেন আবারও নতুন করে ইমনের প্রেমে পড়লাম!
ছোটবেলায় টুকটাক লেখালেখি করতাম। জুয়েলের উৎসাহে লেখালেখি আবারও শুরু করে দিলাম। পাঠাতে লাগলাম পত্র-পত্রিকাগুলোতে।আর কি আশ্চর্য সেগুলা এক এক করে ছাপাও হতে থাকল! আস্তে আস্তে মাস দুয়েক পর বুঝতে পারলাম আমি আমার হারানো জীবনটা ফিরে পেয়েছি।চারপাশে বন্ধুর সমারোহ, প্রেমিকের ভালবাসা,পড়াশোনায় ভাল ফলাফল,লেখালেখি,গান আর গল্পের বই নিয়ে সাজানো সেই হাসি-খুশি প্রাণ-চঞ্চল শর্মিকে নিজের মাঝে খুঁজে পাচ্ছি আমি!
বন্ধু, প্রেম আর পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে যাওয়ায় জুয়েলকে খুব একটা ফোন দেয়া হতনা। আগে যেখানে দিনে ৬-৭ বার ফোন দিতাম,এখন ওর সাথে আমার কথাই হয় ৫-৬ দিন পর পর! দিন দশেক আগে সে জানাল, রিয়ার সাথে ইদানিং নাকি ওর সম্পর্কটা ভাল যাচ্ছেনা। ভাল না গেলে আমার কি করার আছে,আজব তো, আমাকে কেন ফোন করে এসব বলা হচ্ছে? খেয়ে দেয়ে আর কোন কাজ নাই নাকি ওর? গত সপ্তাহে জানাল,তার রেজাল্ট বেরিয়েছে এবং ১ টা বিষয়ে নাকি খারাপও করেছে, ২ মাস পর আবার সেই পরীক্ষাটা দিয়ে তবেই জুয়েল MBBS পাশ করতে পারবে। কিন্তু এসব কথা আমাকে বলে কি লাভ বুঝলাম না। আমি কি ওর হয়ে পরীক্ষার খাতায় লিখে দিয়ে আসব নাকি?সামনে আমারো পরীক্ষা, লেখালেখি নিয়েও ভীষণ ব্যস্ততা। এর মাঝে এই ছেলের যন্ত্রণা সহ্য করতে কষ্ট হচ্ছে আমার খুব। এখন আমার মনের কথা শোনার জন্য ইমন আছে,উৎসাহিত করার জন্য আছে প্রিয়াংকা,তুলি,মানস,রবি,তারিন এর মত বন্ধুরা। কোথাকার কোন এক জুয়েল,যাকে কোনদিন দেখিনি,যার সম্পর্কে কিছু জানিনা,তার জন্য ফালতু কাজে সময় নষ্ট করার মত সময় আমার হাতে নেই এখন!
আবারও মোবাইলটা বাজছে! নাহ।এবার দেখি সিম কার্ডটা বদল করতেই হবে। প্রচন্ড রাগে মোবাইল থেকে খুলে ফেললাম সিমটা। আঙ্গুলের সর্বশক্তি প্রয়োগে ভেঙ্গে ২ টুকরো করে ফেললাম জুয়েলের সাথে আমার সম্পর্ক,আমাদের ৩ মাসের বন্ধুত্ব!!

শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১২

aandharer aalo

 

 

aandharer aalo


AANDHARER AALO....

Pothe aanche kanta- kanta aar sudhu kanta.
Pother du dhare aanche prokritir meela rongin swapno.
Gach- pala, nodi nala,nil aakashe megh bhasa ,
Dana mele pal tule pakhi hoye urre jaoa .


Dakhi cheye chinno dai oi tribhujer chura,Chinno theke aabar chinno shuru hoye sai tribhujer.
Kintu sai chinner aar sesh hoyena keno……?
Bar-bar mone hoye ei bujhi ei sesh chinno ,
Ebar aami pouchiyei jabo.
Aar aandher nai aar bujhi kanta nai ,
Aar bujhi pahar moru sagar nai,
Dur aar kato dur ,sai pother sesh kothay …..?
Dhurr!!! …er to aar sesh ei nei….

Aami jato bar bati jalai tato bar nibhe jaye sei bati,
Dekhi sudhu dhu-dhu maath kalo aandhar rati.
Mone pore jaye sudhu sei purano diner smriti.
Purano diner smritite keno sudhu bedona pai.
Tai to aami purano diner smritike
bhule jete chai , muche dite chai.


Pother kantaey-kantaey chobi aanki,sudhu phul
Aar phul dekhite pai.
Batase- batase mridu hasi hase snigdho gandho pai.
Ek songe thaki aar aaladai jai, mone hoy jeno
Aamari chobi jaey.
Sobai jeno bole oi je tinkhana karbon kora
chobi dhekho bhai.
Tai to sakol dukho-kosto bhule dhairjo dharai ,
Sashos aani anubhav kori ,shotti eraito aamar
Aasol kobi o chobi.
Je chobi aami eke dilam chobi,se chobite rangta tumi
bhore diyo aamar chobi ,….tumi.
Nirjon gabhire ekaki bose bhabi…..aandher phurabe ekdin,
sat range ramdhunu aakase, bahar charabe jagate tumi,
Aandher phurabe robir kirone chutbe –phutbe aalor rashi.
Runu-jhunu nupur baje oi aakashe
subasito gondho bhase batase- batase.
tai to mon aamar urre choleche alok gondhe mondo batase,
nishar aakase oi cader aaloye aami bhese jate cai.
Aandharer aalo – aandhare aalo – aandharer aalo
Tai to lage aamar ….darun –darun – darun bhalo……!


Dujanar duti poth ek holo aandhare,
Sai pothe aajo aami hete cholichi je nirobe.
Biram bihin ei cholar sesh janina kothey…
Tabuo cholechi rater aandhere kantar pothe,
Tai to buker sahosh o swapno niye cholchi.

DHAN TU HI DHANNA HAI

 

 

DHAN TU HI DHANNA HAI

 
Aapke pass dhan hai to kya gam hai ,
Dhan hai to sach aap dhanya hai.
Acche ko bure our bure ko accha bana sakte ho.
Din ko raat our raat ko din, sada ko kala our kale ko sada.
Suno, suno –suno mera bahena aur sab dada.

Aap ho katil phir bhi hoga aapka bara hi khatir.
Aap mango chanda ya karo koi galat dhanda,
Chal raha hai paise walo ki bajar bhao monda,
Tandur me bhun dalo ya phir nithari me
Paakeo butterr chicken,kya fark parta hai.
Bare hi swad hai sab kuch chalta hai.

Paise ki bori sab kuch nigal kar thanda kor deta hai.
Income tax ho ,sex-tax, ya rail-tax sab kuch manda chalta hai.
Bichar ho raha bimarsh ho raha hai ,
Kanoon to bas tarik badalta hai sabut mangta hai .

Kaun hai sadhu aur kaun hai chor,
Khicho agur dorr , to sab-ke sab nikelte hai chor.
vartaman samay me sabhi to hai nanga ,
Koun karega aaj samaj me bichar bhai changa.

Kathgare me khare hoker kasam khai jati kebal jhut ki,
Safed suit aur kale coat ki jeb me
bhare jate hai kebal note-hi note se.
Dhan ki is maya- jaal me kale samaj ne
Safed chadar odh liya hai, jise dekhna muskil
bhi our naa mumkin bhi .

Kanoon ki devi banakar pujte ho ,
Aankho me kali patti bhandh kar kalikh hi kalikh poth dete ho.
Dhan ki agar maya nagri na hoti to
Har roj hazaro dhananjay suli par charta,
Our fansi par latkaya jata.

Dhan tu hi dhanna hai, dhan ki is maya nagari dannya hai.
Dhan tune hi bachaya hai hazaro khuni,katil aur balatkari ka
Dam our gam. Es liya dhan tu hi dhannya hay,
Dhan tujhe hazaro salam our namaskar.
 
___________________________________hasanat ______

বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১২

projapoti .......

 

 

projapoti







 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Emon sunder rongin pakha…
O bhai .....!!
projapati tumi, pele kotha…..?
Tomay dekhe
baro sadh hoy je mone,
Urbo aami tomari sone.
Rong-birongi tomar jama pore,
Phule-phule aar bone-bone dule.
Ekbar balo…
Eto sunder jhalo-malo, aaka-baka,
Lal-nil,holde tomar oi pakha...
Balo tumi balo …ke tomare dilo….?
O bhai projapati!,
Tumi aamar bandhu hao,
Aamar jama pore tumi
Boi-khata niye schoole jao.
Aar aami tomar
oi sonali parag makha,
lal nil holde jama pore ,
Bone-bone dule –dule
phule-phule madhu khai ghure-ghure.

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমাকে নিয়ে যায় সে



আমাকে নিয়ে যায় সে

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে-
কোনো এক কালের প্রভাত ঘন
বসন্তের কোকিল হয়ে।

মাঝে মধ্যেই আমি প্রকৃতির রুপ মেখে
নয়নে বসন্ত সাজাই-
আমি উন্মক্ত হই, প্রতহ অপরাহে
কিম্বা বাকি সময়ে।

যেখানে কোনো অনুসূচনা থাকেনা,
থাকেনা সূচনাকে পুজি করে
অমাবর্ষার বিষ্ময়কর ডুমুর ফুল
আয়ত্ব করতে।

সেখানে আমি জাগিয়ে উঠি
অতীত কিম্বা ভবিষ্যতের সামনা সামনি।
আমাকে নিয়ে যায় সে-
মহাকালের কোনো এক সৃষ্টির নিগরে।

আমি সেখানেই আয়ত্ব করি
যুগ উপযোগি সভ্যতার বাসনা গুলো।
সেখানেই গচ্ছিত আছে মহাকালের সভ্যতা ।

সেখানে শানবাধা ঘাট আছে।
পাল তোলা নাও আছে।
প্রকৃতি আছে, আছে প্রাকৃতির নির্যাস ।

কোকিল আছে ,ভরা দিঘি আছে
উলঙ্গ মাঠ আছে -
আর একরাশ স্বপ্ন আছে।

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে
আমাকে নিয়ে যায় সে
বসন্তে-র ভরা যৌবনের স্বাদ নিতে।

আমি প্রত্যহে কাটি তার অপেক্ষায়।
######################################################################

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১২

খেয়া....

খেয়া

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 

ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।
 

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

একটি সোনালী মুখ

একটি সোনালী মুখ
একটি সোনালী মুখ
পুকুরের বন্ধ্যা জলের মত স্তব্ধ সময়
কৌটায় ভরে ‍রাখা এক ফালি রোদ যেন,
কালের স্মৃতি চারণে; অমাবস্যার রাত অপেক্ষায় থাকে
চন্দ্রমুখী তুমি বিনে! গরল বিজন,
আমলকীর বন আজ সর্বনাশের উল্লাসে মাতে।

টলটলে স্বচ্ছ জলে তোমার জলছবি
এঁকেছিলে কবে?
তির তির করে কাঁপা বাতাসে
স্তব্ধ জলের ঢেউ! স্মৃতির আকর যেন,
বড্ড জালায় এই পড়ন্ত বেলায়।

এই পড়ন্ত বেলায় নেমে ‍এলো
কুয়াশার সাঁঝ, যেন আতুর ঘরে বাতি জ্বলল
ডুব সাঁতারে মত্ত হাসের ছানা! বাড়ী ফেরার তারা ভুলে যায়;
মাছ রাঙার মত জলে খুঁজে ফিরে
একটি সোনালী মুখ।


১৪১৮@১৪ পৌষ,শীতকাল

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১১

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে
ডিসেম্বর ০১, ২০১১ 


একটি রক্তজবা হাতে নিয়ে মা বললেন, আজ বৃষ্টি হবে। ভিজে যাবে
সবটুকু সবুজ জমিন। ঘেরুয়া নদীর জল থেকে রক্তবাষ্প উড়ে দেবে
জানান, এই মাটিতে আততায়ী রাত নেমেছিল। হায়েনা পিশাচদের
উল্লাস কাঁপিয়েছিল এই আকাশ। সূর্যের পরিণত ঘর। মানুষের বিত্ত
বিবর। আর লুকিয়ে থাকার সাঁকো খুঁজে শরণার্থী তরুণ-তরুণী
গিয়েছিল উত্তরের বাঁকে। অগ্রজ পূর্বসূরীর হাতের লাঠি গর্জে উঠেছিল
‘থামো ঝড়, থামো বজ্র’ এমন আওয়াজে।

সেই প্রভাতে আমি ছিলাম মায়ের বাম হাত ধরা অবুঝ বালক। বালিকা
বোনটি কেঁদেছিল,’বাবা ,বাবা ‘-বলে।

বাবা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। একটি গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল
তার ডান হাত। তাই নিজ ডানহাতটিকে ভয়ে লুকিয়ে রাখতেন
আমার মা। আর বলতেন, দেখিস- আমার হাতটা যেন কেউ না দেখে।

তার ভয় ছিল খুব। বাবার হারানো ডানহাতটিকে তিনি মনে করতেন
নিজের হাত। বাবার চোখগুলোকে মনে করতেন নিজের চোখ।

সেই প্রভাতে আমার মায়ের নিজস্ব কোনো দৃষ্টি ছিল না। বৃষ্টি আসবে বলে
সকল মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে তিনি তাকিয়েছিলেন আকাশের দিকে।

আর বলেছিলেন, বৃষ্টি আসুক। তবু মুছে যাবে না এই বাংলা থেকে
থোকা থোকা রক্তগোলাপের দাগ।

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

অস্পষ্ট আবেগ

অস্পষ্ট আবেগ

 নভেম্বর ২৪, ২০১১

মনের আবেগ গুলো
কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে সব,
ঠিক যেন শীতের সকালে
ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ভেজা স্মৃতির মতো ।
আগের মতো লিখতে পারিনা কবিতা,
না লিখতে পারি গান,
খাতাটি নিয়া বসলেই
এক দুর্বোধ্য চাপা যন্ত্রণায় হারিয়ে যাই।
অনুভূতিগুলো অবাধ্য হয়ে ছুটাছুটি করে চারিপাশ।
সংমিশ্রণের ব্যর্থতা আর এগিয়ে যাওয়ার জড়তা
এ দুটো মিলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
বুঝিনা কেন এমন হয়।
বিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখি, উত্তর মেলে না।
মেলে চাপা গোঙানি,
গুমরে গুমরে কান্নার প্রচণ্ড শব্দ।
ও ফ !! এ যন্ত্রণার অবসান হবে কবে??
অতিষ্ঠ মন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দিতে চায়,
ধ্বংসের এক প্রবল নেশা চেপে বসে মাথার ভেতর
যেন ক্ষুধার্ত হাঙ্গর পেয়েছে রক্তের গন্ধ ।
কি লিখতে বসলাম আর কি লিখলাম
ঠিক যেন বৃষ্টি হব হব করে
বৃষ্টি না হওয়া এক রোদ্রউজ্জল আকাশ ।।
************************************
এই কবিতাটি সৃজন নামক ই-বুক এ দেয়া হয়েছিল।

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

ভালবাসি (খুঁজছি)


ভালবাসি (খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১১

মনের আয়নায় দেখা



মনের আয়নায় দেখা
হাসনাত রিদুয়ান |নভেম্বর ১৪, ২০১১

মনের মাঝে সদায় যে বসত করে
আমি মনে রাখিব কেমনে তারে ?
আশার বাণী যে শোনায় নিরাশার মাঝে
বাঁধিব অন্তর মম তার তরে-চিরতরে !

দু’চোখের অলখে যাক সে সুদূরে একা
চোখ বুজে মনের আয়নায় করব দেখা !
নীরবে দ্বৈত সত্ত্বার সনে হবো মুখোমুখি
বিরহী অন্তরে জ্বালিব বেদনার দীপ-শিখা।

মনের মাঝে সদায় যে বসত করে
আমি মনে রাখিব কেমনে তারে?
চোখের কোণেও না পারি রাখিতে
অশ্রু হয়ে সে যায় যে নীরবে ঝরে !

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

বলে যাও-ভালবাসি...

লে যাও-ভালবাসি

 এসো,এসো আমার কাছে-একটু সময় নাও,
শান্ত হয়ে বোস , দম ফেলবার সময়টুকু নাও
এবার ভাল করে বলে যাও – ভালবাসি।
আদর করে বলে যাও – ভালবাসি।
বারবার ভাল করে বলে যাও – ভালবাসি।
দিন পুরোবার আগ পর্যন্ত বলে যাও – ভালবাসি।
বলতে থাক অজস্রবার -
যতক্ষণ না আমার,
এ দেহে কামনার আঘাত পড়ে-
বাসনার পাত্রগুলো যায় দুমড়ে মুচড়ে,
তোমার স্বপ্ন সপ্তমে চড়ে !
আমার আবেগ,সুখগুলো ওঠে আলোড়ন করে
ততক্ষণ বলতে থাক-ভালবাসি,ভালবাসি-ভালবাসি !!

বলে যাও – ভালবাসি,
যতক্ষণ না বলতে হয় – আজ আসি।
বল উদার মনে, তোমার বিহনে-
আমি নেই আমাতে। বল এই ক্ষণে
ঝড়-বন্যায়, কী তপ্ত খরায় -
সোনালী দিনে আর রাত্রির ছায়ায়,
সব কাজের ভীড়ে – একান্ত অবসরে
জ্ঞানে – অজ্ঞানে অনিদ্রার ঘোরে
বল বল চিৎকার করে, ভালবাসি-
তোমায় খু-উ-ব ভালবাসি।
সবাইকে বলে যাও,“ভালবাসি”-
এ শব্দটা আজ ও আগামীর।
যত বাঁশী বাজে-সব যে একই সুর সাঁধে।
বল – আমি চাই শুধু তোমাকে ,
সব কিছু বাদে। আর সবকিছু চরম ম্লান
মূঢ় অর্বাচীন একেবারেই মূল্যহীন।
সেই শব্দ বারবার উচ্চারণ করো।
আমার কানে মধু ঢালো,বেদনা দূর করো ;
আর শুধু বলে যাও- ভালবাসি।
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন রাশি রাশি!
আমায় মুগ্ধ করো আর বলে যাও- ভালবাসি!
আমায় ভরিয়ে দাও,কৃপা করো, বলে যাও- ভালবাসি!!

একটি কবিতা লিখবো বলে !

টি কবিতা লিখবো বলে
হাসনাত রিদুয়ান | অগাষ্ট ১০, ২০১১

কত রাত পার হয়েছে বিনিদ্র !
কিছু লিখব বলে, কবিতার খাতায়
বারেবারে কলমের আচড়, কাগজে
অর্থহীন আকিবুকি ; নির্মম উত্তেজনার খেলা,
অতঃপর একরাশ গ্লানি,
ব্যর্থতায় চুল ছেড়ার দশা ;
টেনে হিচড়ে বের করার চেষ্টা
নিজের ঠুনকো আবেগের থলি
শুধু একটি কবিতা লিখবো বলে ।
হয়নি কিছুই পাওয়া । আশা কফিনে
বারেবারে হয়েছে পেরেক ঠোকা ।
জানে শুধু অর্ন্তযামী ; বিফল বিরহে
দু:সহ বেদনা দহনে, পুড়ে পুড়ে খাক
অন্তর আত্মা আমার । তবু কবিতার
পাই নি কো দেখা । কি দেইনি তোমায়
কবিতা ?? বলতে পারো ??
আমার সত্যিকারের প্রেম, নিভৃত
ভালবাসা, উজাড় করে দিয়েছি
শুধু তোমায় দেখবো বলে ।
আমার জীবন যৌবন, সব টুকু
তোমাতে করেছি সমর্পন
তবু নিষ্ঠুর তুমি দাওনি সাড়া !
দিয়েছ শুধু একবুক কষ্ট, নিরাশার
আধার গ্রাস করেছে আমায়
নিস্তব্ধ সন্ধ্যার মত । ভালবাসি তোমায়
এখনো আগেরি মতন, তবে
এখন আমি মৃতদের দলে ।
তোমায় আর চাই না দেখতে তাই,
নিজের মতন করে । কবিতার সুবাস
আর জাগায় না আমার হারানো
কামনা দীপ্তি । গানের সুর
এখন অর্থহীন কথার বন্যা ।
তুমি আর অনন্যা নও হে কবিতা ।

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১১

শিশির ভেজা বসন্ত

শিশির ভেজা বসন্ত
Photobucket
[ছবিঃ আপেল ফুল। সাধারণের চেয়ে একটু বেশী শীত না পরলে যে ফুল ফোটে না। এই ছবিটি নেয়ার জন্য আমাকে লন্ডনে তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল]
তোমাকে জানতে চেয়েছি
পৌষের হিমেল বাতাসে
চৈতী খর দহনে
বৈশাখী ঝড় জলে
আর শরতের সুনীল আকাশে।
Photobucket
ছবিঃ আপেল ফুলের কলি।
তোমাকে দেখতে চেয়েছি
জ্যোৎস্না রাতে ধবল চাঁদের পাশে
কাজল মেঘের গহনে
অবাক বিস্ময় বিহ্বলে
পাপড়ি ছড়ানো পথের দেশে।

Photobucket
ছবিঃ কাচা আপেল গাছে ঝুলছে।
স্বপনের সুদূরে সোনালী নদী
ওপাড়ে বয়ে চলে ঝিলিমিলি শান্তি
মরু প্রান্তরে, কাটে অমানিশা!
পথ ভোলা পথিকের পথের দিশা
প্রতীক্ষার জ্বলন্ত অগ্নিগিরি নিয়ে বুকে
বসে আছি, দেখব শিশির স্নাত তোমাকে।

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১১

মেঘের পালকি
ঋণী তুমি
ড্রিম বয় আমি
শাড়ী পড়ার বয়সে
অপূর্ণ ইচ্ছা তোমার
পূর্ণ করেছি আমি।

কৃষ্ণকলি-
আবার তোমায় বলি
চির নতুন
কিন্তু-
অপূর্ণাঙ্গ জীবন তোমার।

দোষী আমি-
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের সাথে।

তারপরও-
অনিচ্ছুক আমি
আজো তোমায় খুঁজি।

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

এই শোন........শোন না একটু.........

এই শোন........শোন না একটু.........

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

রাত তিনটা বাজে তখন বেলার টেবিলের থাকা ঘড়িটাতে। আর উপারে থাকা রাজ এর ঘড়িতে রাত দশটা। বেলা অনেক চেষ্টা করছে ঘুময়ে পরতে কিন্তু পারছে না। কিন্তু রাজ এর সাথে কথা না বলে তো কোন দিনও ঘুমাতে পারেনি বেলা। তবে আজ কিভাবে ঘুমাবে? অনেক রাগ লাগছে অভিমানে মন ভরে যাচ্ছে। কি করছে ও? বাসায় ফিরেসে, নাকি কাজে আছে। নাকি রাতের খাবার রান্না করছে? না আবার শয়তান টা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে? সত্যি যদি রাজ আমাকে ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পরে....... তবে ওর সাথে আমি তিন দিন কথা বলবো না। না সেটা আমি পারবো না......... ওকে অনেক বকে দেব..... সেটাও পারি না........ এতো সুন্দর করে কথা বলে........ এতো দুরে থেকেও আমাকে ভালাবাসায় ভরে রাখে......।

এই গতকাল রাতে গাড়ী নিয়ে শহরে গেছে। আমার সাথে একটু কথা বলে কার নিয়ে বের হয়ে গেছে। আমি অনেক রাগ করি। কিন্তু অনেক জরুরী কি কাজ যেন তাই ও চলে যায়। আমার অনেক খাহারপ লাগছিল। সেটা একমাত্র রাজ ই ভালো জানে। আর তাই হাইওয়ে তে উঠে আমাকে ঠিক কল দিয়েছিল। আমি বলছিলাম ড্রাইভ করার সময়ে তুমি কথা বলতে পারো না তবে কেন কল দিয়েছ। আমাকে অনেক আদর দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে বলল একটু কথা বলি। আর আমাকে আগেই বলে দিল আন্ডার পাস এ ঢুকলে নাকি নেট থাকে না। আর কল কেটে গেলে আর কল দেবে না। ২০ মিনিট কথা বলার পর লাইন টা কেটে গেল। শয়তান টা সত্যি র কল দিলো না। সারা দিনেও একটা এস এম এস ও করলো না।

সকাল থেকেই আম্মু বাসায় ছিলো না। সারাও দেখলাম কেমন মন ভার ভার করে আছে। জানতে চাইলাম কিছু বলে না। আপুর বাসায় গেলাম কেউ বাসায় নাই সবাই নাকি রাজ দের বাসায় গেসে। আপুর ননদের সাথে অনেক সময় গল্প করে বাসায় চলে আসি। হাতের কাজ শেষ করে হুমায়ন পড়েছি অনেক সময়।

এতো রাতে বসার ঘরে আস্তে আস্তে কথা বলে কে? বেলা যথেষ্ট বিরক্ত হলো। কাথা দিয়ে মুখ ঢেকে ঘুমানোর বৃধা চেষ্টা করতে লাগলো। """ কি ব্যাপার আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি ঘুমিয়ে পড়লে?""" রাজ এর কন্ঠ!!!!!!!!!!! নিশ্চিত ঘুমিয়ে পড়েছি আমি আর স্বপ্ন দেখছি শয়তান টাকে , মুখে বলে বেলা। "" বেলা বউ চোখ মেলে দেখো শয়তান তোমার সামনে দাড়িয়ে""

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০

ফুল ঝরা কবিতা

ফুল ঝরা কবিতা
আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম,
যেখানে শুরু করে বসিয়েছিলা কলমের আঁচর
শৈল্পের নৈপনিতে এঁকেছিলাম এক একটি কবিতা
সাজানো এক ফুল বাগানের মতো।
সেখানেই গিয়ে দেখি আজ ঝরা ফুলের নি:শব্দ কান্না
নৈ:শব্দ অনুভবে আমিও চোখের জলে ভিজিয়েছি ললাট
তীব্র অস্থিরতায় ঘেমেও ছিলাম তিক্ত অনুভবে,
যা বলার ভাষা প্রকাশ করার মত আমার উপায় ছিল না।

আমি ঝরা ফুলের মতো কবিতার কান্নাও শুনেছি
হার মেনেছি তার সীমাহীন ভালবাসায়,
অশরীরী আত্নায় তাকে দেখেছি কত অগনিত বার
নির্জন তিমিরে তার ছায়া রুপী আত্নাকে মানবীতে দেখেছি।
সে আর এখন আমার কাছে আসে না;
অথচ নির্জন জোস্না রাত আসলেই তার অপেক্ষার প্রহর কাটি
তেপথের পাড়ে যে ছায়াকৃত খুদে বৃক্ষ
সেখানে মাঝে মাঝে ছুটে যাই তাকে কামনা করে,
এখন আর সে আসে না;তার অশরীরী আত্নাও আমাকে ভর করে না;
তার কি কিছু হয়েছে? না আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম?

বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১০

চলছে জীবন একা একা

চলছে জীবন একা একা


জমাট ব্যথা কষ্ট কথা
কাব্য খাতায় আঁকছি যথা
শিকড় ছাড়ার রূদ্ধ প্রথা
বুকের খাঁজে জমছে তথা।

শূন্য এপ্রাণ বদ্ধ জীবন
চমকে উঠে যখন তখন
কাঁটা তারের বেঁড়া কখন
গঁজিয়ে উঠে ইচ্ছে মতন।

ইচ্ছে নিয়ে অনিচ্ছেতে
বেঁচে আছি কোনোমতে
রূষ্ট জীবন দুষ্ট স্রোতে
ছুটছে কেবল বক্র পথে।

কালো আকাশ মেঘে ঢাকা
থেমে আছে জীবন চাকা
ভ্রষ্ট পথে ঘুরছি ফাঁকা
চলছে জীবন একা একা।
______________________
জীবন একা, একলা তেপান্তর।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

আমিও তাদেরই একজন

 

আমিও তাদেরই একজন

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫০




বহুদিন ধরে বৃষ্টি ঝরেনা
এই ক্যাম্পাসে। তবে রক্ত ঝরে অহরহ।
ভেবেছিলাম বৃষ্টির ফোটাগুলো শান্তি নামাবে,
ঊর্বর করে দেবে এই শিক্ষাঙ্গন
কৃষাণ-কৃষাণি ফসল ফলাবে এখানে
বহুদিনের প্রতিক্ষীত অমূল্য ফসল।

হাকিম চত্তরে দাঁড়িয়ে ছিলাম একা
দূর থেকে মিছিলের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল
ছোট্ট একটা মিছিল, দাবিটা অনেক বড়।
মিছিলে মাত্র ডজন খানেক মানুষ ছিল সেদিন
তবে চিৎকার পৌছে গেছে বহুদূর।

আমি সেদিন দেখেছি চে কে
মিছিলের প্রতিটি মানুষের প্রতিচ্ছবিতে।
ফিরে এসেছিলেন তিনি বিপ্লবী চেতনায়
আমি আহাজারি দেখি নাই,
ভাই হারা ভগিনীদের চিৎকার শুনেছি
বিপ্লবী জাগরণের আভাস পেয়েছি সেইদিন।

মিছিলটা ছিল গুটিকয়েক ছাত্রের
যাদের চেতনায় লালিত হয় চে-গুয়েভারা
বঞ্চনা যাদের প্রেরণা, সাম্যতা যাদের লক্ষ্য।
মরলে শুধু আবু বকর কেন?
প্রতিটি মানুষ মরবে একসাথে।
প্রতিটি মায়ের চোখ ভাসবে অশ্রুতে।
আর যদি তা না হয়, তাহলে একজনও নয়।