[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

নব আনন্দে জাগো

নব আনন্দে জাগো...

নতুন বছর সুখে সমৃদ্ধিতে পূর্ন হয়ে উঠুক সকলের। সকল দীনতা, মলিনতা ঘুঁচিয়ে আমরা যেন আলোর পথযাত্রী হতে পারি।
পয়লা বৈশাখের প্রাসঙ্গিকতা অর্থনৈতিক দিক থেকে আর নেই সেই স্থান দখল করেছে ৩১ মার্চ, আচার অনুষ্ঠান ছাড়া বাংলা তারিখের হিসেবও আমাদের মনে থাকেনা। তবুও বাঙ্গালীরা আবেগে, সাস্কৃতিক কর্মকান্ডে পয়লা বৈশাখের উৎসব পালন করে চলেছি চলবোও। সকালের প্রভাতফেরীতে, বিকেলের গানমেলায় আমাদের পয়লা বৈশাখ। আমরা শুভেচ্ছা জানাই পরস্পরকে ভাল থাকার, আমরা শপথ নিই ভাল হওয়ার। আচ্ছা শপথটা যদি এরকম হয়-


‘মানুষের প্রিয়তম সম্পদ তার জীবন,
এটা সে একবারই পায় এবং
এই জীবন তাকে এমনভাবে কাটাতে হবে
যাতে কেটে বছরগুলি সম্পর্কে
যন্ত্রণাদায়ক দুঃখের অনুভুতি
না জাগে,
অতীতের হীনতা ও তুচ্ছতার লজ্জা
যেন তুষের আগুনের মত না পোড়ায়,
এমনভাবে বাঁচতে হবে
যাতে মরার সময় সে বলতে পারেঃ
আমার গোটা জীবন,
আমার সমস্ত শক্তি আমি উৎসর্গ করেছি
জগতের মহত্তম লক্ষ্যে– মানব জাতির
মুক্তির জন্যে– সংগ্রামের লক্ষ্যে’।




মাধুকরী-৩

মাধুকরী-৩


আকাশে সাদা মেঘের ভেলা, রোদ্দুরে সোনার রঙ লেগেছে, প্রকৃতিও উৎসবের জন্য সেজেগুজে তৈরী। খুশির ঈদ গেল, দুর্গাপূজোও এলো বলে। দোকানে দোকানে ঝলমলে রঙিন পোষাকের প্রদর্শনী, ভিড় রাস্তা জ্যাম। আমি কেন জানি না এই ভিড়ে কিছুতেই নিজেকে মেলাতে পারি না। আমার অনেক খারাপের এটাও অবশ্যই একটা। ধর্মীয় ব্যাপারে আমার বরাবরই আগ্রহ কম। যদিও দূর্গাপূজো এখন একটা সাস্কৃতিক ইভেন্ট। কত পুজো সংখা বেরবে। কত গানের তৈরী হবে। প্যান্ডেল্গুলোও এক একটা শিল্প।কিন্তু চার পাশটা যেন কেমন যেন বিষিয়ে যাচ্ছে। রুগির আত্মীয়-স্বজন ডাক্তার পেটাচ্ছে, আবার ডাক্তাররা রুগি পেটাচ্ছে। এক ভয়াবহ অরাজক অবস্থা। বাজার অগ্নিমূল্য, সাধারণ মানুষ কি ভাবে দিন গুজরান করে সেটাই ভেবে পাই না। এথচ এটা কিন্তু কোন ইস্যু হচ্ছে না। কেজো লোকের এ নিয়ে বোধহয় বিশেষ ভাবনা নেই। আমার মতো অকেজো লোক গালে হাত দিয়ে বসে ভাবি, কিন্তু তাতেতো কোন সুরাহা হবে না। কারন সামর্থের অভাব। যদি সামর্থ থাকত অযোধ্যার ওই জায়গাটা বড় একতা বোমা মেরে বড় দিঘী বানিয়ে দিতাম। কাশ্মীর থেকে সৈন্য ফেরত নিয়ে এসে কাশ্মীরিদের বলতাম, “তোদের যা খুশী কর, আমরা চললাম।”। বিমল গুরুঙ্গএর কান ধরে বলতাম, “যা বাবা নেপালে যা, ওখানে অনেক পাহার ঠার আছে, সেখনে গিয়ে ৭৭ দিন বনধ ডাক”। এগুলো করলে তার প্রতিক্রিয়ায় কি হতো জানি না, সেটা ভাবার দরকারও নেই। কারন এগূলোতো আর আমি করতে যাচ্ছি না সত্যি সত্যি, কারন আমারতো ক্ষমতাই নেই। তবে একজনের একটা ডায়লগ ধার করে বলি, “ক্ষমতা পেলে সব দু’মিনিটে সমাধান করে দেব”।

যাই হোক সম্প্রতি আবহমান ছবিটা দেখলাম। ভালো লাগল ছবিটা। ছোট ছোট পরিমিত সংলাপ আর টুকরো টুকরো দৃশ্য সাজিয়ে গল্প দাড়িয়েছে। গল্পতো গৌণ, প্রতি পরতে একটা জীবনের যে ছবি, যে বিতর্ক, সেটা আমাদের ভাবায়, ভাবতে বাধ্য করে। ছবির শুরুতেই একটা অসাধারন ফ্রেমে অনিকেত আর তার ছেলে, “কেন এই তো ভালো (ভিডিও মাধ্যম) পছন্দ না হলে মুছে ফেলো আবার শ্যুট করো আবার মুছে ফেলো”। আমি এটা প্রায়ই বন্ধু মহলে বলতাম, জীবনটা যদি টেপ রেকর্ডারের মত হত, মুছে ফেলে আবার রি-রেকর্ড করে নিতাম”। আমার কথাটা কে যেন ঋতুপর্ন ঘোষকে বলে দিয়েছে। আর টেপ রেকর্ডারটা পালটে ভিডিও করে চালিয়ে দিলো? সে যাই হোক সত্যিই যদি জীবনটা এরকম হত, অপছন্দের পর্যায়টা মুছে ফেলে আবার নতুন করে শ্যুট করা যেত, বেশ হত তাই না। আবার ভাবি যে কি হত? মানুষ কি এর মধ্যে দিয়ে নিখুঁত মানুষ হত বা হওয়ার চেষ্টা করত? না আরো আরো সম্পদ সৃষ্টির পথের ভুলগুলোকে সংশোধন করত? আমরা প্রাচীন কাল থেকেই দেখেছি মানুষ অত্যন্ত possessive, এটা মানুষের একটা অন্যতম রোগ, যার থেকে বিভিন্ন উপসর্গের উৎপত্তি। আমাদের আর একটা মূল সমস্যা হলো আমাদের চেনা ছকের বাইরে কাউকে থাকতে দেখলে আমাদের অস্বস্তি হয়, প্রানপণে আমরা তাকে আমাদের পরিচিত ছাঁচে এনে ফেলার চেষ্টা করি। আর নিখুঁত মানুষ বলছি সেটাই বা কি জিনিষ, তার সঙ্ঘা কি? মানুষের সমাজ-অনুমোদিত যে আদর্শ আচরন বিধি সেটাতো স্থানু নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেটা অনেক বদলেছে-বদলাতে থাকবেও। সাধু-সন্ত, সমাজপতি কারোরই ক্ষমতা নেই তাকে আটকে রাখার। অনেক কিছু বলে ফেললাম বিচ্ছিন্নভাবে। জানি তাতে কোন নিরবিচ্ছিন্ন ছবি ফুটে উঠলো না। কি আর করা- মন বিক্ষিপ্ত থাকলে (মন কি শুধু ফয়সালেরই খারাপ হয়, আমার হতে নেই?) লেখাও সেরকমই হবে। আজ এটুকুই থাক।

“বিরহের গান”

“বিরহের গান”


বহু দূরের অসীম আকাশ আজ বনরাজিনীলা পৃথিবীর শিয়রের কাছে নত হয়ে পড়ল। কানে কানে বললে, “আমি তোমারই।”

পৃথিবী বললে, “সে কেমন করে হবে। তুমি যে অসীম, আমি যে ছোট।”

আকাশ বললে, “আমি তো চার দিকে আমার মেঘের সীমা টেনে দিয়েছি।”

পৃথিবী বললে, “তোমার যে কত জোতিষ্কের সম্পদ, আমার তো আলোর সম্পদ নেই।”

আকাশ বললে, “আজ আমি আমার চন্দ্র সূর্য তারা সব হারিয়ে ফেলে এসেছি, আজ আমার একমাত্র তুমি আছ।”

পৃথিবী বললে, আমার অশ্রুও আজ চঞ্চল হয়েছে, দেখতে কি পাও নি। আমার বক্ষ আজ শ্যামল হল তোমার ঐ শ্যামল হৃদয়টির মতো।”

সে এই বলে আকাশ-পৃথিবীর মাঝখানকার চিরবিরহটাকে চোখের জলের গান দিয়ে ভরিয়ে দিলে।
কবিগুরু এভাবে বর্ষাকে দেখেছেন। আর এখন আমার দেখা–

পৃথিবী বললে, “আকাশ তোমার আলোর ঐশ্বর্য্যে আমার চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে। তোমার সূর্যের আলোয় ঝলসে যাচ্ছি আমি। তোমার কি আমার ওপর একটুও করুনা হয় না।”

আকাশ বললে, “তোমার কষ্ট কেন, আমিও কি কম কষ্ট পাচ্ছি। তোমার সংগে মিলনের আঙ্খাকায় এই ঋতুর প্রতিক্ষায় আমিও বসে বসে দিন গুনি, বুঝতে কি পার না?”

পৃথিবী বললে, “আষাঢ় – শ্রাবণ গেল প্রতিক্ষায়, আমাদের মিলন বুঝি আর হলো না। আর সেই আক্রোশে আমাকে পুড়িয়ে মারার ছল করেছ বুঝি।”

আকাশ বললে, “একথা বলে আমাকে কষ্ট দাও কেন? তোমার দুঃখে আমিও নিদ্রাহীন। একটু ধৈয্য ধর প্রিয়া, মিলন আমাদের হবেই।”

পৃথিবী বললে, “তোমার আলোর উত্তাপে আমার কন্ঠ শুষ্ক, বুক শুকিয়ে ফেঁটে চৌচির হয়ে যাচ্ছে, তবু তুমি নিশ্চেষ্ট বসে মিলনের আশ্বাস দিচ্ছ। তোমরা এরকমই নিষ্ঠুর, আমার সন্তানেরা তৃষ্ণায় হাহাকার করছে। আমি কি করে স্থির থাকি। তোমাদেরতো আর সন্তান লালন করতে হয় না।

আকাশ বললে, “আমি আজ যে অনাবৃত হয়ে গেছি। মেঘের ঢাকনা আর নেই, দেখছ না। মেঘ কে পাঠিয়েছিলাম আষাঢ়ের প্রথম দিবসে পত্র দিয়ে তোমার কাছে। কিন্তু সে তো আর ফিরে এলো না। সেই পাহাড়ের চুড়ায় বসে বৃষ্টি ঢেলে চলেছে। এই শুকনো ভাদ্রে এসো আমরা মিলনের বদলে বিরহের গান গাই। সেই গানের সুরের ধারায় যদি বরষার ধারা নামে।”

শনিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১২

a h ridwan



ভোরের কাক গুলি ব্যাস্ত আজ
 ঘুম ভাঙা ভরে ওঠা মানুষ
 ছেঁড়া তারের বেড়া পেরিয়ে
 স্বপ্নহীন মহা কর্মযোগে
 রক্ত জলের শ্রম দেহ হতে অন্ন হয়ে ঝরে
 এরা সুখে আছে, ভালো আছে
 বাস্ততার নিরিখে মোড়া সম্পর্ক গুলি বর্তমান
 পক্ষান্তর যুক্ত মানুষের দল
 রক্ত ভাঙ্গার স্বপ্ন
 ভোরসপ্নের সত্যি হওয়া জেনো
 যদি বলি ভোরভাঙ্গা সত্যি স্বপ্ন
 সুরা পানের উল্লাস,
 কাক গুলির নিরব কান্না হয়ে ঝরে
 করে করুণচোখ সমাজযুদ্ধে দিবা রাত্রি যাপন ।