[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৮ মে, ২০১২

বৃষ্টির প্রার্থনায়...




বৃষ্টির প্রার্থনায়




বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি…
তৃষিত নয়নে চেয়ে ছিলাম
গগন পানে,
এই বুঝি ঝড়বে অঝোর বারি ধারা।

চাতক পাখির মত উন্মুখ হয়ে আছি,
তবুও তোমার দেখা পাই না!

বৃষ্টিস্নাত হবে এই উষ্ণ ধরণী
বৃক্ষরাজি উঠবে হেসে।
ভেজা ভেজা আমেজ নিয়ে হাঁটব
হেঁটে যাব আমি ভেজা ঘাস মাড়িয়ে।

এসো এসো এসো তুমি
বৃষ্টি বৃষ্টি বৃষ্টি…!


Photo Mixt

































































tumay na bola kothaa...








এলো মেলো ভাবনা

এলো মেলো ভাবনা

চলতি পথে কিংবা কখন কোন একা উদাস নির্জনে বসে আমার মত অনেকের মনেই কিছু না কিছু ভাবনা বা সুর গুন গুন করে। তার কিছু ধরে রাখা যায় আবার কিছু কোথায় কোন নীলিমায় মিলিয়ে যায় তা আমরা কেউ জানি না। নিয়ে এত চিন্তাও করি না। কত কিছুই আসে যায় কে তার এমন খোজ রাখে, তাই না? এমনি কিছু টুকরো কথা যা আমাকে মাঝে মাঝে ভীষণ বিব্রত করে তোলে। মন থেকে কিছুতেই দূরে যেতে চায় না। নিজেরই অজান্তে কখন যেন তাই কাগজের কোণে লিখে রেখেছিলাম। ঝারা মুছা করতে গিয়ে দৃষ্টিতে এলে আবার তা কখন যেন  যত্নে তুলেও রেখেছিলাম তারই কয়েকটা আজ আপনাদের সামনে তুলে দিচ্ছি। দেখুন আপনারাও গুন গুন করতে পারেন যদি!
খন্ড কথা-

কি খেলা খেলিছ আজ আমার হৃদয় লয়ে
বারে বারে নত হয়ে রই যেন তব পদ তলে
আমার প্রানের উচ্ছাস যত উছলিয়া উঠে
কহিতে পারে না তাই নিরবে আকুলিয়া ঝরে
আপনার চেয়ে আপন যারে ভেবেছি চির কাল
সে নহে মোর আপন বুঝি নাই কেন এত কাল

খন্ড কথা-

সাঁঝের পাখিরা সবে ফিরে এল কুলায়
তুমি এলে না হায় আজো সন্ধ্যা বেলায়
কত দিন কেটে গেছে প্রহর গুনে গুনে
কত রাত কেটে গেছে নিশীথের গান শুনে
কি যেন বলিতে চেয়েছিলে মোরে
আজো হয় নি সে কথা শোনা
হলো না শেষ মোর কল্পনার জাল বোনা,
বসে রই ঝরা শিউলি তলায়

খন্ড কথা-

ওই রংধনুর রঙ থেকে কুড়িয়ে পেয়েছি অরুন মালা
তুমি ছিলে পাশে হাতে নিয়ে বরণ ডালা

খন্ড কথা-

বরষার মেঘ হয়ে আছ তুমি
হৃদয় যমুনার তীরে
যেন জাগলে ঢেউ কুল ভেসে
হাল ভাঙ্গা তরী এসে ভিরে।

খন্ড কথা-

অনেক দিনের আশা ছিল তোমায় দেখিবার
মনের মুকুরে দ্বিপ জ্বেলে ভালবাসিবার

খন্ড কথা-

কি ব্যাথায় গান গেয়ে পাখি ওই শাখে
মরমে বেধে সুর আমাকে ডাকে।
হৃদয় তিমিরে নিভে গেছে শুকতারা
সুরের মিছিলে আর নাহি জাগে সারা
তবু কেন ওই সুর কেড়ে নেয় আমাকে।

খন্ড কথা-

রিনিঝিনি বাজে নুপুর শ্রাবণে
হারালো চাদের আলো
মেঘলা গগনে।
কথা কয় নিশুতি রাত
ব্যাথার রাগিনী তুলে
যেন মধু লগন ভেসে যায়
বিরহ সাগরে।

এই তো এই পর্যন্তই

শনিবার, ২৬ মে, ২০১২

বাবা! কেমন আছ? প্রতি-উত্তর


বাবা! কেমন আছ? প্রতি-উত্তর
এখানে ভাল বা মন্দ থাকার কোন অবকাশ নেই। প্রথাগত জাগতিক বোধ আমার ক্ষেত্রে হয়তো পেন্ডুলামের দোলা দিতে পারে না। উত্তর পুরুষ থেকে নাম পুরুষ পর্যন্ত যে স্মৃতিগাথা রচিত হয়েছে, সেখানে অবস্বাদে রক্তের আত্নজ খেলা করে। রক্ত কথা বলে বলেই আবহমানকাল ধরে চলমান সহজাত প্রবৃত্তি আর স্বভাব মলিন হবে না, হবার না। অন্তর প্রকোষ্ঠে লালিত আবেশ তমসে কখনো ধূসর হবে না। রক্তিম আবেশে ভালবাসার রক্তে রঙ্গিন লেপটে যাওয়া জামার বোতাম খুলে দেখ আমি ছিলাম, আমি আছি, আমিই থাকব।
জীবন কভু ব্যার্থতার সাতকাহন হতে পারে না। অঙ্কের ভুলে জীবনের বাঁধ সৃষ্ট হয় না, হতে পারে না। পতিব্রত পালনে বেহুলার নৌকার চলমান গতি অথবা একেলব্যের ছুড়ে দেওয়া তীর যেমন খুঁজে নিতে পারে গন্তব্যের সন্ধান, ঠিক সেভাবেই সংসারে দোদুল্যমান পেন্ডুলাম খুঁজে নিতে পারে ভালবাসার গোলাপি আবেগ। জীবনের ঝরাপাতায় অনেক অচেনা কথা থাকে, হয়তো সেই বাকে জীবন থমকে দাঁড়ায়। এরপর শীতলতা, তারপর গভীরতা, কিছুটা নির্মমতা, সহজাত বাস্তবতা, তাকে আশ্রয় করে করে একটি অলস কাহন জন্ম নেই, যাকে আমরা আত্নবিস্মৃতি বলে থাকি। যেদিন তুমি প্রথম স্কুলে গিয়েছিলে সেদিন আমার কাছে তোমার দেয়া বইয়ের বোঝা আমার কাছে শিমুল তুলার মত হালকা মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল আমার ছোট্ট সেনাপতি আজ জীবন যুদ্ধে অবর্তীণ হয়েছে। তুমি পারবে। বল বাবার এই বিশ্বাস কি মিথ্যা হতে পারে? হ্যা সত্য আমি তোমার তীব্র এ্যামোনিয়া জলের গন্ধকে অবহেলা করেছিলাম, অবহেলা করেছিলাম তোমার চিৎকার। তখন ধরতে চাইনি তোমার কোমল অঙ্গুলি। কেন বলতে পারো? আমি তো চেয়েছিলাম আমার ছোট্ট সেনাপতির হাতে কড়া পড়ে শক্ত হোক হাত। বইয়ের বোঝা কাঁধে বহে বহমান হও জীবনের রথে। আজ বড় জানতে সাধ হয় আমি কি ভুল ছিলাম? মেধার আকর থেকে তুমি সাধনায় তুলে এনেছিলে সোনাঝরা সাফল্য আর দুরন্ত ঘোড়ার পিঠে সওয়ার হয়ে তুমি প্রমান করেছিলা তুমি জীবন যুদ্ধের কালজয়ী দুরন্ত সেনাপতি। কোনদিন কি লক্ষ্য করেছিলে তুমি বাড়ি ফিরে আসলে আমার বুকে প্রশান্ত গাঢ় সুখের নিঃশ্বাস। হয়তো তুমি অভিমানী মনে সুখ নামের কইতর ধরতে দৌড়ে বেড়েয়েছিলে বাহান্ন হাজার তিপান্ন গলি >>> আমি বাঁধা দিতে চাইনি, কারণ আমি চেয়েছিলাম তুমি নিজে থেকে খুজে নাও আমার বুকের লোমশপৃষ্ঠ যেখানে তোমার আশ্রয় করা সুখ বসত করছে। তুমি বলেছিলে বাহান্ন হাজার তিপান্ন গলি পেরিয়ে আজ তোমার উপলদ্ধি শূণ্য থলি!! থলির মাঝে কি আমার ভালবাসার পূর্ণতা দেখতে পাও না! মনে রেখ শূন্যতা হল পূর্ণতার জন্মদাতা।
কম্পিত অধরে কান্নার রেশ তুলে তুমি বাস্তবতার রূঢ় তর্জনি তুলে আমাকে ইশারা করেছ। তুমি হয়তো জানো না তুমি যখন আমার ছোট্ট শিশু ছিলে তখন তুমি রুগ্ন ছিলে। সারাটি দিন তোমাদের জন্য হাড়ভাঙ্গা খাটুনি খেটে এসে রাতে তোমাকে আমার বুকের উপর করে রাত কাটিয়ে দিতাম। যখন তুমি অসুস্থ থাকতে সারাটি রাত ধরে আমি ঘর থেকে বারান্দায় হেঁটে কাটিয়ে দিতাম, আর তুমি কাঁধে মাথা রেখে ঘুমাতে। হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যদি দাঁড়িয়ে পড়তাম তুমি কেঁদে উঠতে, তাই আমি চলমান হয়ে পথের মত গন্তব্যহীন হাঁটতে থাকতাম। একবার ভেবেছ কি আমি বাবা কোনদিন তোমার কাছে বলেছি ও আমার পরানের ময়না আমাকে একটি রাত ঘুমাতে দাও। সত্য এটা আমি তোমাকে বেদম প্রহার করেছিলাম। যখন তুমি জেদ ধরেছিলে দাদীর সাথে ফুফু বাড়ি যাবে আমি নিষেধ করেছিলাম, মনে হয়েছিল সেখানে তোমার যত্ন হবে না, কেউ তোমার মাথার চুল আঁচড়ে দেবে না, বলবে না হ্যারে তোর কি খিদে পাইছে, রাতে কেউ তোমার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেবে না। এত অনাব্যবহারে তুমি ভাল থাকবে না। আমি নিষেধ তুমি শুনতে চাওনি, তখন মনে হয়েছে আমি জনক, আমার কি কোন মূল্য নেই? কেন তুমি অবাধ্য হলে আমার কথার? আমি মউল ফুলের সুবাস পেয়েছিলাম তখন অসাড় হয়ে বেদম প্রহারে তোমাকে রক্তাক্ত করে তুলেছিলাম। আমি ডাক্তার ডাকতে পারিনি লজ্জায়। তুমি কি জানো সেদিন রাতে দরজা বন্ধ করে আমি জীবনের প্রথম ও শেষবারের মত ডুকরে ডুকরে কেদেছিলাম। তোমাকে আমি ঠিক ততটায় ভালবাসতাম ঠিক যতটা না নিজের জীবনকে ভালবাসতাম।
শেষ বিন্দুতে দাঁড়িয়ে আজ তোমাকে ভালবাসার তত্ত্বের শেষ কথা বলি। আমি জনক রাতে তাহাজ্জতের নামাজ পড়ে প্রার্থনা করতাম, “ হে খোদা তুমি আমার কলিজাকে দীর্ঘায়ু করো, প্রয়োজনে আমার হায়াৎ কমিয়ে তুমি তাকে দান করো। সুখের বাগানের শ্রেষ্ঠ গোলাপ তুমি তাকে দান করো। কাটাগুলো আমাকে বিদ্ধ করো।” আমি জানি মহাপ্রতাপশালী আমার দোয়া কবুল করেছেন, তাই তুমি চাইলেও আমি তোমাকে কাছে ডাকতে পারি না। অবিনাশী দিন আর কালের সাক্ষী রাতের দোহাই তুমি নক্ষত্র হয়ে হারাবে না, চাঁদ হয়ে থাকবে। আজো দোয়া করি তোমার জন্য ছোট্টপাখি সাফল্যের চুম্বন যেন তোমার কপোল, তোমার চিবুক, তোমার অভিমানী ওষ্ঠ ছুঁয়ে যায়। সতত ভালবাসা তুমি বল বাবার দোয়া কি মিথ্যা হতে পারে? আমার দোয়া ধনুকের তীর হয়ে ছুটে গেছে, তাই তুমি তোমার ধনুকভাঙ্গা পণ ফিরিয়ে নাও।
>>>>>
>>>>>>>
>>>>>>>>>

আমার সনেট কবিতা সমগ্র


মে ২৬, ২০১২

কিছু খন্ডিত চিত্র নিয়ে সনেট বিন্যাসে আমার আয়োজন।। আলোচনা-সমালোচনায় আমার কোন ভুল থাকলে ধরিয়ে দেবেন।

১।।

হৃদয়ের স্বপ্নকথা স্বপ্ন ঝরা রাতে
চাঁদমুখ ফিকে হয় গভীর নিশিতে
আলো,ছায়া,মায়া, কায়া হয়েছে বিলীন
তবু থাকে স্বপ্নকথা ধূসর রঙ্গিন
জীবন বাস্তবতায় গভীর বেদনা
তারপর স্বপ্নকথা থাকে শুধু দেনা
ভালবাসা ভাললাগা হৃদয়ের কথা
ভালবাসা অবশেষে একবুক ব্যাথা।।
এরপর ফিরে আসি তোমার অধরে
সব যেন খুজে পায় যুগল নয়নে
ডুবে থাকি দিশেহারা চুলের আধারে
তুমি আমি ভালবাসা হৃদয়ের বন্ধনে
গেঁথেছি যে ফুল মালা পরেছ কি গলে
আনি হাসি আনি কান্না তব ধরাতলে।

বিন্যাস-ককখখগগঘঘ ঙচঙচছছ।

২।।

ভালোবাসার কাঙ্গাল আমি হয়ে আছি
ভালোবাসা শব্দটিতে অনেক কুয়াশা
তপ্ত বালুকাবেলায় আমি বসে আছি
ভালোবাসা শব্দটিতে থাকে শুধু আশা
উড়ঁতে চাই তোমার আকাশের পানে
সৃজিত হয়ে প্রণয় থাকে বাহুডোরে
যেতে যেতে বহুদূর জীবন সোপানে
হয়েছি পাগলপারা ভালোবাসা তরে।
রক্তিম বিস্বাদ লাগে নীল সন্ধ্যারাগে
বসে আছি বসে রবো আঁধার আমার
ভালোবাসা সিক্ত হবে তব অনুরাগে
থেকে বহুদূর তবু ছায়ার ভিতর
রোমান্সের ছোঁয়া পাই তার ছোঁয়া নিয়ে
দুখগুলো হেরে যায় ব্যার্থ চাঁদ ছুঁয়ে।

বিন্যাস-কখকখগঘগঘ ঙচঙচছছ।

৩।।

বৃষ্টিস্নাত বৃক্ষতলে একাকি দাঁড়িয়ে
অসহায় আনমনে তোমাকে হারিয়ে
অতীত অবগাহনে অসীম সান্তনা
একমুঠো অবস্বাদে পেয়েছি বেদনা
অপরাধ অনুযোগে দোষী তুমি আমি
কোন দোষে দোষী আমি জানে অন্তর্যামী
বেদনার বালুচরে আমি অসহায়
খুজে ফিরি সান্তনায় তোমায় আমায়।।
বারে বারে স্মৃতি তুমি এসেছ ফিরিয়া
বৃষ্টিস্নাত বৃক্ষতলে ছিলেম দাড়িয়া
চলে গেলে একা করে বাধিঁনি পিঞ্জরে
বুঝিনি তো কখনও চলে যাবে দূরে
জীবনের বারতায় ফোটেনি কো ফুল
ভালবাসা ছিল বুঝি হৃদয়ের ভুল।।

বিন্যাস- ককখখগগঘঘ ঙঙচচছছ।