[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১২

কুড়িয়ে পাওয়া হার




কুড়িয়ে পাওয়া হার

মাঝে মাঝে ভাবি এভাবে বেঁচে থাকার
মানে কি? শুধুই কি কষ্টের নিমন্ত্রণ নাকি
নিজেকে সান্ত্বনার চাদরে আচ্ছাদিত করা।

হারিয়ে গেছ অন্ধকারে খুঁজে পাইনি আর
আজ তোমার আমার মাঝে সপ্ত পারাবার।
কিছু শপথ, কিছু কথা আজ মনে হয় তার
পুরোটাই মিথ্যা, স্মৃতিগুলো তবু অমলিন।
বলছে তারা কানে কানে ফিসফিসিয়ে
আর কত কাল রইবি তুই হয়ে বন্ধুহীন।
স্মৃতির অনুরণনে ভিজে যায় এই মন তবু
আঁখি পাতে হয় নাকো সৃষ্টি জল প্রপাতের।

মনকে দেই না সান্ত্বনা, বলি এতো কোন
কষ্ট না, বরং অন্যরকম সুখ। যেখানে
প্রেমিকার প্রতারণার অনলে পুড়ছে ট্রয়
কিন্তু দেবতার বাঁশি বাজানো হচ্ছে না শেষ।
হাতরে ফিরি তোমায়, নিয়ে অকুল অন্ধকার
এইতো সেদিন হারালাম কুড়িয়ে পাওয়া হার।

১৪৪ ধারায় দুঃখ



১৪৪ ধারায় দুঃখ

তোমায় আজ আর কোন
উপমার ফ্রেমে বাঁধব না,
বালু চরে নগ্ন পায়ে হেঁটে
যাওয়া দেখবো না। আর
শিস বাজিয়ে তোমার দৃষ্টি
আকর্ষণে ব্রত হব না,
তোমায় ভেবে প্রেমের কাব্য
রচনা করে কলমের কালির
হত্যা ঘটিয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘিত
করব না। আজ থেকে দুঃখের
সমাবেশে ১৪৪ ধারা বলবত।

দু চোখ থেকে ক্রোধের অনল
সমুদ্র জল হয়ে বয়ে যাবে, তবু
তোমায় নিয়ে আর ভাবব না।
মাঝ রাতে ঘুম ভাঙা মনের
মাঝে, তোমার কামনায় নিজেকে
কষ্টের রঙে রাঙিয়ে হাপিত্যেশ
করে নিজেকে সান্ত্বনা দিব না।
আর নয় দুঃখের সাথে গলাগলি
আর নয় অতীতের খেরো খাতা,
এখন শুধু দু চোখে আমার
বর্তমান কেবল বর্তমানের ছবি।

মধ্য দুপুরে বৃষ্টি



মধ্য দুপুরে বৃষ্টি

মধ্য দুপুরে বৃষ্টি,
বুকফাটা খা খা রৌদ্রে, তৃঞ্চার খানিক বারি যেন।

ইট পাথরের, এই যে ভালোবাসার নগর মোদের,
যখন তাপের দহনে, পুড়ে পুড়ে আবেগ শূন্য নিঃস্ব একা,
সেই মুর্হূতেই ছিন্ন মেঘের অসম বৃষ্টি; নগর ইটের গা ধুয়ে জল পরে চুয়ে চুয়ে
গাছেরা বৃষ্টি পেয়ে ধূসর অঙ্গে সবুজাভ ফিরে পায়,
তালু শুকনো, কাকটার ঠোঁটের শ্রী ফিরে পায়, বৃষ্টির জলে ভিজেছে গলা।

কাঠ বিড়ালটা বকুল গাছ থেকে নামল নীচে, ডাবের ঠোলায় জমানো পানিতে
জিহ্বা ভিজায় এই জ্যৈষ্ঠে, মেঘ শূণ্য আকাশ উড়ে
নীলের বুকটা যেন ছাই রং এর ফেকাসে রং।
বৃষ্টি ঝরে মেঘ ফুরালে, আবার দহন পুড়ছে প্রিয় শহর,
কুঁকড়ে যাওয়া ফুলের দলের গা ধুয়ে বৃষ্টির জল শুকায়।

মধ্য দুপুরে বৃষ্টি,
প্রেমিক যুগল রোদে মাখা বৃষ্টির ডানায় ভিজেছে খানিক,
চড়ুই জুটি বৃষ্টির ফোটা গায়ে মাখে, ভিজতে ভিজতে উড়ে যায়;
বারান্দার কার্নিশে বসে।

১৪১৯@১৬ জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল

জ্যৈষ্ঠের ভালবাসা



জ্যৈষ্ঠের ভালবাসা


জ্যৈষ্ঠ খরতাপে বের হওয়া মুস্কিল তবু
আজ আমাকে বেরুতে হবে, যেতে হবে
জিইসি কিংবা লালখান। দুচোখ যেদিকে
যায় সে দিকে নয়, যেতে হবে কেন্দ্রের
দিকে। বৃত্তের মত বিন্দুকে কেন্দ্র করে
ঘুরতে পারব না, পারব না তোমাকে
দূর থেকেই ভালবাসতে। ভালই যখন
বাসি তবে একটু খানি ছুঁয়ে দেখতে
অপরাধ কোথায়? আমার এ কথায়
কামনার দৃষ্টি খুঁজো না। কতখানি নিখাদ
ভালবাসা থাকলে, এমন বাসনা জন্মাতে পারে?


জানি তোমার শাড়ী খুব অপছন্দের, হয়তো
আজকে পরেছ আমাকে সন্তুষ্ট করার মনোবাসনায়,
কিন্তু যাকে ভালোবাসো তাকে সন্তুষ্ট করার
এতো অপচেষ্টা কেন? কখন যে সূর্যটা
অগ্নি আশীর্বাদ দিতে মাথার উপর চলে এলো
একটু টেরও পাই নি। জানি এমন কড়া
রোদে তোমার চোখের চেহারায় পরেছে বোমা।
অযত্নে, অবহেলায় শ্যাওলা ধরেছে তোমার
রূপের বাগানে। চির ধরেছে পলস্তারায়, কিন্তু
তুমি চলে যাও নি। থেকেছ প্রতীক্ষার প্রহর
গুনে। সূর্যের খরতাপকে সহ্য করে যখন
পোঁছালাম, দেখি অপেক্ষাতে কাল গোলাপ।

আমরা তোমার বুকে বাঁচবো, সুখ আর সাচ্ছন্দ্য পানে




আমরা তোমার বুকে বাঁচবো, সুখ আর সাচ্ছন্দ্য পানে

পৃথিবী তুমি নিরব কেন? আজ কিছু বল, তোমার বুকে তোমারই মানুষের সদ্য রক্তঝরে। ঘাস ফুল লতাপাতা, গাছ শুধু চেয়ে দেখবে? কণ্ঠ তুলে বলো কিছু। পৃথিবী তোমার মাটিতে বুনা বীজ, প্রাণ সারা জাগায় হেসে হেসে। লুটেরা ধর্ষকের লেহনে প্রাণ পালিয়ে বাঁচতে পারে না। ঝরা রক্ত চুষে নেয় তোমারই মাটি। অভিশাপ যত ঢেকে রাখে। কালে কালে আর কত ঢাকবে? তোমার বুকে পচন ধরবে জানি একদিন। সেদিন তুমিও বাঁচবে না। অভিমানে হারিয়ে যাবে।
সোঁদা মাটির গন্ধ, চুয়ে চুয়ে যাচ্ছে ক্ষয়ে। বিরান মরু অম্ল-মৃত্তিকায়। হাওয়া যাচ্ছে শুকে। পৃথিবীর গা চুয়ে পরছে নুন। যে গায়ে এক সময় নাভী কস্তুরীর গন্ধ বিলাতো। সে সুবাসে এখন মানুষের রক্তের চিটচিটে গন্ধ। খুঁড়ে খুঁড়ে বেড় করে বন্য শুয়ারের দল। হিংস্র দাঁতাল শুয়ার। কালের জিম্মায় বাঁচে রক্ত চুষে চুষে। আমরা মানুষ তোমার বুকে আজ বড় অসহায়
, আমাদের কলঙ্ক বাঁচাও। সম্ভ্রম আত্মহত্যায় বিবাগী। রক্ত আর রক্তপাত তোমার বুকজুড়ে। আলিঙ্গনে আব্রুহারা তোমার সবুজ বসন।
মৃত্তিকায়, তোমার বুকের পাঁজরের হার ঘেঁসে, বীজ পুঁতেছিনু নতুন চারার সুখ। সেই চারা থেঁতলে গেছে, ছোপ ছোপ তাজা রক্তের পদতলে কলঙ্ক লেপনে। পৃথিবী তুমি মুখ ফেরাও। অন্তত একটা নতুন সবুজ চারা জন্মাও। যে সবুজ বহমান আহ্লাদ, বাতাসে ছড়িয়ে দাও, উল্লাস আর সুখের বাণী। আমরা তোমার বুকে বাঁচবো, সুখ আর সাচ্ছন্দ্য পানে। আর চাই না, রক্তপাত, ধ্বংস আর বিনাশ।
1419@30 জ্যৈষ্ঠ,গ্রীষ্মকাল

সাম্প্রতিক


সাম্প্রতিক

কিছু শব্দের ব্যঞ্জনায় চোখ ফেরাতে পারি না,
কিছু পাওয়া আর না পাওয়ার হতাশাকে
রেখে দেই সব কষ্ট বুকের ভিতরে। বলতে
পারিনা জমানো সব দুঃখ মালা, পারি না
কেঁদে ভুলতে এসব কষ্টের ঘটনা। কিছু
মিথ্যে অভিমান আর বাকিটা ক্ষোভ নিয়ে
বসে থাকি ঘরের এক কোনে। এমন
জীবন কেন হয় মানবের? যেখানে অসহায়
সব কিছু অর্থের নিকটে, মানুষ বন্দী অর্থের
কাছে। পত্রিকা পড়ি না মনের ভুলে, যদিও
পড়ি তবে শুধু খেলা আর বিনোদনের পাতায়
চোখ রাখি সীমাবদ্ধ। কেন আমরা সাধারণ
জনগণ হয়ে গেছি কারো খেলার পুতুল?
রাস্তায় নামতে হয় বড় ভয়। জান না নিয়ে
ফিরতে পারার ভয়, ভয় হাইজ্যাক হবার,
ভয় সড়ক দুর্ঘটনার। এসবের নেই কোন
প্রতিকার। জীবন এখানে বড়ই অনিশ্চিত
আকাঙ্ক্ষাহীন জীবনের নগ্ন প্রতিচ্ছবি।


রাজনৈতিক নেতারা ব্যস্ত ক্ষমতার লোভে,
এই দৌড়ে এখন পাতি দলের নেতারাও
সরাসরি জড়িত। আল্টিমেটামের উপর
আল্টিমেটাম, জনগণের কথা কয় না কেউ।

শেয়ার বাজার আজ বড়ই দুষ্ট, কি করে
বিনিয়োগ করি বল। নৌ মন্ত্রী কেঁদে কয়
ড্রাইভার চিনবে গরু আর ছাগল, মানুষ
চিনার কি দরকার? ১৮ দলে আছে কে কে
কেউ কি বলতে পারবে, ১৪ দলের অবস্থা
আজ বড়ই শোচনীয়। সরকারের বিরুদ্ধে
বললে কথা এখন ফ্রি জেলখানা। ভুলেও
মানুষ করছে না এখন সরকারের সমালোচনা।

আগে হত শুধু খুন সাথে এখন নতুন আইটেম
গুম, আগে লাশ মিলত মর্গে কিংবা রাস্তায়।
এখন আর পাচ্ছে না কেউ লাশের খোঁজ।
সংবাদ পত্র আজ নাকি রাজনৈতিক দলের
মুখপাত্র,এমন জাতীর ভবিষ্যৎ কি তোমরাই
বল? আমি কবি অতি মূর্খ, তাই আছি নিশ্চুপ।