[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ২০ জুলাই, ২০১২

এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা

এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা 

জুলাই ১৯, ২০১২ |

এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা
শ্রাবণ সকাল। মেঘের পাঁজা আকাশ জুড়ে, আকাশের কিছু অংশজুড়ে ধূসর মেঘের গায়ে ভাসছে জল। আবার কিছু অংশ ঘন কালো মেঘ।একটু দূরে,নীলের গা ছুঁয়ে দাঁড়িয়ে আছে।আর আমি দাঁড়িয়ে, ঘরটার দক্ষিণমুখী খিড়কিটার সম্মুখে।দুপাশে আবাসিক ভবন পেরিয়ে, গলিপথের যতটুকু আলো দক্ষিণে বেড় হয়।এতটুকুতেই প্রতীয়মান।ঝুপ ঝাঁপ বৃষ্টি নামবে,ততক্ষণ মিহি দানার জল কণা রাস্তার একপাত ভিজিয়েছে।তাতেও ধুলো গুলো বেশ মরা মরা নেতিয়ে যায়নি ধুয়ে।অফিসের তারা, সময়ের আস্ফালন।ছাতার প্রয়োজন অনুভূত হয় মাঝ রাস্তায় এসে।মাথা বাঁচাতে ঠাঁই নিলাম, একজনের ছাতার তলে আধা ভিজে হাঁটছি।
এই বার রিমঝিম,শ্রাবণ ধারা। একটু ইলশে গুঁড়ি বৃষ্টি, ছড়াটির কথা মনে পড়ল।যেন কৃষক তার ক্ষেতে শ্রাবণের ছুঁপ ছুঁপ জলে, হাঁটু গেঁড়ে সবুজ ধানক্ষেতে নিড়ানিতে মত্ত।দূর থেকে ভেসে আসে, বেহুলা লখিন্দরের ভেলা ভাসান গীত।শ্রাবণ জলের বিরহী গীত ভারি বর্ষণের মিলন ধারায় মিশে।মেঠোপথ ডুবেছে বানে। সবুজ ঘাস আগাছা জল ডুবা গায় ধরেছে শেওলা।
ক্ষেতের ধান বাড়ন্ত জলের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে।

অফিস দরজায় প্রবেশ পথে, আধো ভেজা গা’ ছেদ পরলো ভাবনার।
স্মৃতির বিষণ্নতা গায়ে মেখে, যাচ্ছে গড়িয়ে শ্রাবণ বেলা।
রিমঝিম রিমঝিম নামের বৃষ্টির টোপর, নগর পরেছে মাথায়।
তাইতো তার গা ভিজেছে, ছিটে ফোটা রয় পরে।

1419@4 শ্রাবণ, বর্ষাকাল

বুধবার, ১৮ জুলাই, ২০১২

দিয়াছ যা তুমি - সেতো ভালবাসা নয় !!!


দিয়াছ যা তুমি - সেতো ভালবাসা নয় !!!

 

 
যদি একটু ভালবাসা পাই,
সেই আশায়
আমি কতবার গিয়াছি
তোমার হৃদয়ের কাছাকাছি !
আমার ভালবাসা - মাথাকুটে মরে
তোমার হৃদয়-দুয়ারে।
তবুও তুমি দিলে না ঠাঁই
কেবল মিথ্যে ভরসাই
করে গেলাম আমি ;
দিয়াছ যা তুমি
সে তো ভালবাসা নয় ! তোমার মনের
ভিতর বাড়িছে ঘৃণা, বানের
জলের মতোই। তবুও কি অব্যক্ত আকুতি
আমার এ হৃদয়ে ! চোখ দুটি
ব্যস্ত সদা প্রহরীর
ন্যায় , যদি কভূ আস সরু গলির
পথ ধরেই ! আহা,কী অতৃপ্ত পিপাসা
আমার বুকের ভিতরে , ভাষা
যে নেই - তা বুঝাই কী করে ?
কত ব্যথা আছে এই বুকের গভীরে !

একদিন চলে যাব হায়
দূর-বহুদূরে ! নিবিড় মগ্নতায়
দিব একা ডুব অচেনা অন্ধকারে ;
পরম শূণ্যতারে
বুকে নিয়ে হয়ে যাব লীন
তোমার কাছে , কোনদিন
মাড়াব না আর চেনা পথগুলি,
ভুলিয়া যাইব সকলি
চিরতরে - কেবল তোমাকে ছাড়া ;
আমি তো বাঁধনহারা -
নেই পিছুটান,
ছিল যা - সবই গেছে ভেসে
উজান স্রোতের গ্রাসে !
তাই বড় বেদনাতে
বের হয়েছি আজ পথে ,
পথেই থাকিব নিশি-দিন ;
চলিব বাকীটা পথ হয়ে উদাসীন।
 

মঙ্গলবার, ১৭ জুলাই, ২০১২

Enter



♥ ভালোবাসি তোমায়
সত্যি কি মিথ্যা
জানি না ;
ভালোবাসি তোমায়
পাব কি পাব না
তা নিয়ে ভাবি না ;
...
ভালোবাসি তোমায়
হৃদয় জানে
তুমি জান না ;
ভালোবাসি তোমায়
নীল আকাশে তুমি
তোমায় ছোঁয়া যায় না ;
ভালোবাসি তোমায়
ছায়া হয়ে থেকো তুমি
কী পারবে না???♥♥


http://ahridwan.blogspot.com


"আমি মন দিলাম তোমাদের
তোমরা দাও না দাও
যদি বলে যাও মনটারে
আমি থাকবো ওমন করে
মাছ রাঙা পাখি যেমন রয় !!"


বেদনার গাঙচিল !!!



বেদনার গাঙচিল !!!

 
জানি , তোমাকে পাব না কোনদিন ,
বেদনার দুরন্ত গাঙচিল নিশিদিন
করে উড়াউড়ি আমার হৃদয়-গাঙের 'পর ;
হয়তো তোমার কাছে হয়েছে ধূসর
প্রথম দেখার সেই মধুময় স্মৃতি !
হৃদয় আমার যেন আজ বিবর্ণ প্রজাপতি,
মুছে গেছে স্বপ্নের রঙ - ছিল যত ;
জানি, তুমিও নেই আর আমার মতো-
সুখের মশালে আজ করিছে ঝলমল - তোমার হৃদয়মহল,
স্বপ্নেরা সেথায় করে পায়চারি - করে না তো ছল !
প্রাণপুট ভরে লয়েছ কুড়ায়ে জীবনের যত আস্বাদ ;
জানি আমি জানি , মরণেই শুধু পাবে অবসাদ -
শ্রান্ত এ প্রাণ আমার !
জীবনের সব রঙ নিয়াছে শুষে যাতনার কালো-অন্ধকার ।

ব্যথিত প্রাণে আজ হেঁটে হেঁটে যাই
চেনাপথ ধরে - চলে যাই নদীর কিনারায়
রাত্রির অন্ধকারে, যেখানে নুয়েছে ঘাস রাতের শিশিরে ।
বসে আছি একা - এই মরা-নদীর তীরে -
ঢেউয়ের উন্মাদনা নেই , উচ্ছ্বাস নেই যেন কোন ;
নদী যেন আজ বড় অসহায় আমারি মতন-
হারায়ে ফেলেছে গতিপথ, ভুলিছে ঠিকানা ;
কোনখানে রয়েছ আজ তুমি সেও জানি না -
শুধু বুকে লয়ে টানি
তোমার-আমার স্মৃতি যতখানি !

সারারাত ! সারারাত নদীর সাথে বসে কথা কই,
জীবনের মাঝে কেন এত বিস্ময় ?
কেন এত ভরাডুবি হয় বারে বার ?
মরা নদী জানে ; আমার মৌনতার
সব ভাষা পাই পাই করে
বলে দিতে পারে ;
নদী আর আমার মাঝে নেই তো অমিল !
কী জানি , হয়তো কোন একদিন দু:খের মিছিল
আর যন্ত্রণার সব কোলাহল ছেড়ে
মিশে যাবো একাকী নদীর গভীরে ।
আমারে তুমি আর পাবে না সেদিন ,
খুঁজিবে না জানি ! তবুও যদি কোনদিন
একান্ত অবসরে ,
ছুটে যাও ঐ মরা নদীর তীরে
আমি জাগিব আবার, তোমাকে ছুঁয়ে দেবার উন্মাদনায়
জোয়ার বইয়ে দেব মরা নদীর গায়
হাঁটিবে যখন তুমি তীর ঘেষেঁ ঘেষেঁ,
আমিও তখন ঢেউ হয়ে এসে
ছুঁয়ে দেব তোমায় - শিশিরের মগ্নতায়
সন্ধ্যা হয়ে এলে তুমিও জানি যাবে চলে ,
চলে যাও ; হয়তো আর আসিবে না এইখানে
আমার ভালবাসা কবেই হয়েছে দাহ তোমার হৃদয়-শ্মশানে !
ভস্মটুকুও নেই আর বাকী , একে একে সবি হলো শেষ ;
তবুও তোমারেই বাসিয়াছি ভাল , মনেতে পুষি নি কোন বিদ্বেষ !

রাত্রি


রাত্রি

সূর্যটা তলিয়ে গেছে! ডুবে গেছে ওই অস্তাচলে। এক রক্তিম আভাতে ভেসে হারিয়ে গেছে ঠিক পৃথিবীর সীমানা ঘেঁষে। তারপর রাত্রি এসেছে! সব কোলাহল সাঙ্গ করে। এক নিরবতায় ভাসাতে পৃথিবীকে নিস্তব্ধতার পুরু চাঁদরে ঢেকে দিতে।
এই নিস্তব্ধতার পরতে পরতে যেন
জীবনের সব রঙ থাকে। জীবনের সব গল্প থাকে। না দেখা কত ছবি থাকে! কত দুঃখ এখানে নিরবে কাঁদে! কত সুখ তার ছন্দ হারে। এই নিস্তব্ধতার ভাষা ক'জন বল বুঝতে পারে? কত জনের অন্তর্দৃষ্টি একে দেখে! 'জন এর গভীরতা অনুভব করে!
যদি কখনো অনুভব কর তবে বুঝতে!
কি করে কষ্ট রক্ত বিন্দুর মত এক এক করে জমাট বাঁধে! শ্বাসরোধী হয়ে বুকে দুখগুলো জমে থাকে। হৃদপিণ্ড কখন পাথরের মত বুকে চেপে বসে! তিব্র যন্ত্রণায় দু'চোখ দিয়ে রক্ত ঝরে! অসহ্য কষ্টের আর্তনাদগুলো শুধু নীরবে শিরা উপশিরায় বয়ে চলে!
এই সব কষ্ট গুলোকে কুড়িয়ে নেয় রাত্রি!
তার বিশাল কালো চাদরে ঢেকে রাখে! রাখে লোক চক্ষুর অন্তরালে! কখনো কখনো চাঁদ আসে তার মায়াবি সুধা নিয়ে। বিষণ্ণ প্রান গুলোতে কিছু আলোক ছটা জ্বালে। তারপর আবার আসে আমাবস্যা!! গহীন কালো রাত্রি!!!!