ঘেঁটু কাহিনি
..............
এই ঘেঁটুর ভিতরে আমি ঢুকে যেতে চাই!
হয়ে উঠতে চাই এর অংশ
কি করে যে মৃদুমন্দ সফিশটিকেশন ভিতর এটা নিজেদের রা করে
শুনলেই আমোদ লাগে, কাদাজলে ছোটাছুটি করা
শাদা শুকরছানার মতো লাগে
হা হা হি হি করে করে কেটে যাবে কত যে সময়
সময়ের পাঙ্খা আর নাই সময়ের ভিতর!
অনেকদিন আগে, কতদিন যে আগে
বসেছিলাম সেই বারান্দায়
টুং টাং গ্লাসের শব্দে উঠেছিল আমার ঢেঁকুর
পড়িমড়ি করে করে ছুটে ছুটে
আমি আবার চলে যেতে চাই যে সেই ঘেঁটুর ভিতর
পুরাতন সমাজ থেকে
ব্য-সম্প্রদায় ডাকে
ওরাও তো হতে চায় ঘেঁটুর বাছুর!
মাদী-ঘোড়া আসে
আরও আসে যার নাই কোন পাছা
আসে আর যায় যারা
তাদের গমনাগমণে
উৎসুক হয় মন আরো, নানান জিজ্ঞাসা...
ওই যে বক্তব্য-প্রধান
ছিঁড়ে যাচ্ছে নিজের চুল, ক্রমাগত
ওই যে ভন ভন মাছি
ওই লাজুক মোরগ, প্যাঁকপ্যাঁক হাঁস, বিগলিত হাসি
এঁরাও তো বিনীত অংশীদার
ঘেঁটু শিষ্টাচার গড়ে তুলছে
ছোট ছোট বাঁশের বেড়ায়
গরুর উলান থেকে জাগিয়ে তুলছে ক্ষিরি কাবাবের অগ্রিম গন্ধ
সেই গন্ধেই মন উচাটন,
অমরত্ব-লোভী পোকা-মাকড়গুলি
দিয়ে যাচ্ছে জৈবিক সারের যোগান
ঘেঁটু’র মহত্বে আমিও অভিভূত
রাত বারোটায় লাইনে দাঁড়ানো বাংলাদেশীর মতো
হীনমন্ম্য, অস্বস্তিকর (দুই সপ্তাহের জন্যে হলেও) একটা এন্ট্রি চাই, ইন্ডিয়ার
দেখে আসতে চাই
কেমন যে ওই শাদা, বরফ-পাহাড়!
যারা নাই তারা আসলে কেমন?
কেমন এই ঘেঁটুর আদল?