[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

আমি স্বপ্ন বিলাসী

 

আমি স্বপ্ন বিলাসী


 
আমি স্বপ্ন বিলাসী,
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।
স্বর্গ থেকে ঘুরে আসি,
বিহঙ্গের মত আকাশে ভাসি।

এসো স্বপ্ন দেখার দলে,
পরির মত ডানা মেলে।
আকাশে বেড়াবো খেলে,
মৎস কন্যার মত ভাসবো জলে।

স্বপ্ন দেখি কখনো রাজা,
প্রনাম করছে সকল প্রজা।
স্বপ্ন দেখার আলাদা মজা,
স্বপ্ন ভাঙ্গার কঠিন সাজা!

মানছে কথা দানব দত্য,
স্বপ্ন এখন সবই সত্য।
মনের ভিতর রঙ্গিন চিত্ত,
ইচ্ছে মত খাচ্ছি নিত্য।

স্বপ্ন যেন না যায় ভেগে,
ঘুম থেকে না উঠি জেগে।
ঘুমের বড়ি খাই আগে,
স্বপ্নই আমার সবার আগে।

ভেঙ্গে কোমল নিরবতা,
চাইনা কঠিন বাস্তবতা।
কোথায় মানুষের মানবতা?
ঘুমিয়ে থাকায় স্বাধীনতা।

স্বপ্ন বিলাসী হতে হলে,
চলুন ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে।
দুনিয়ার সব ঝামেলা ফেলে,
কেহ কিন্তু জাগবেন না ভুলে!

তিক্ত আলো


 

তিক্ত আলো...


চার দেয়ালের দিনটা আমার আধো আলো আধো ছায়া
ঠেকে গেছে দিনের আলো বন্দি যেন এক বেহায়া।
তফাৎ বুঝার তড়িৎ গতি ততক্ষনে বিনাশ হল
আমার আমি আমার মতই হাতরিয়ে যাই দিনের আলো।

মাথার উপর তারার মেলা জোনাক জুড়ে শুধুই বাযে
কি এমন এক অচিন আশায় কাটাচ্ছি দিন দেয়াল মাঝে।
হা-এর পরে হুতাশ আমায় হতাশ করে দিন অবধি
মুক্ত হবার ইচ্ছা আমার মুক্তি দিবে কোন দরদি।

কালের ঘাটে অকাল বাধা সু-কাল আমার অনেক দুরে
আমিও তাই অবলীলায় দ্বন্দ্বে বিভোর চতুর ধাবে।
এই রোযাতে যদি আমায় মুক্ত করে প্রাণ বিধাতা
আমি তারে করবো খুশি যদিও চায় আমার মাথা।

অতৃপ্ত শরীর

 

অতৃপ্ত শরীর


যত চাও নিয়ে যাও দিয়ে যাও ভরা প্রান
কোলাহলে অনায়াসে ফিরে এসো অবিরাম্।

ছায়া পথে মায়া করে হায়াটাকে মারে ঢুঁ
টুপটাপ ঝরা জলে মিশে আছে কি মধু?
ফিরে ফিরে আসে তরী নড়ে চড়ে ডান বাম
তবু তরী ছাড়ে নাকো মায়া মাখা ধরাধাম।
উবু হয়ে মনে মনে তৃষা খুঁজে যে আদম
সে কি আজ ফিরে যাবে খালি হাতে নরাধম।
যে দেহের ঝলকানি উঁচু নিচু বন্ধুর
সে কি করে সমতায় পাবে তৃষা সুমধুর।
আধারী বা আলো মাঝে যে নারীর দেহ ভাজে
অবিচল খেলা চলে অনুরাগ, অনুভবে
তবু যারে ছুঁয়ে যায় না পাওয়ার বেদনা
সে আমার দুখী বোন লালায়িত ললনা।
 

My LiTtEl PaPa....অর্পা ও অরন্য


অর্পা ও অরন্য










ফুলের কথন

ফুলের কথন


ফুল বলে- প্রিয়া, তুমি এসো প্রজাপতির
ডানা মেলে, আমার কাঁধে এই খানে
বসো; তোমায় আপ্যায়ন করবো সুমিষ্ট
সৌরভে, তোমার পাখার রূপালী রঙ্গে
রাঙ্গাবো আমার পাপড়ির কপোল।

হাওয়ায় মিশে তোমায় আমি নিয়ে যাবো
ঐ দিগন্তে; তুমি আর আমি উড়ে উড়ে
আকাশের নীলে ভালোবাসার রঙ ছড়াবো।

বিষন্ন নীলের মৌনতার গলায় কথার
মালা পড়াবো। বলবো, আর মন খারাপ
নয়, এই দেখ! আমি আছি না তোমার
পাশে! তোমার নীল শাড়ীতে জ্যোস্নার
রূপালী জরি দিয়ে সাজাবো। তোমায়
আমি গোধূলির সোনালী আভায় স্নান
করাবো, রাতের আকশের তারকা খচিত
উত্তরীয়ে ঘোমটা পড়াবো।

রবিবার, ২৬ আগস্ট, ২০১২

মরুর বুকে সবুজ অরণ্য


মরুর বুকে সবুজ অরণ্য
desert garden.1

কালো দু’টি চোখে সাগরের গভীরতা,
এক রাশ বিষন্ন কালো মেঘ উড়ছে তাতে;
দুখের মেঘেরা বারবার হানা দেয় মানস
আঙ্গিনায়। বুকের ক্ষতে দুখের এক নদী
বয়ে দিতে চায়; যার স্রোত মনের দু’কূল
ভেঙ্গে তলিয়ে দিয়ে যায়; কষ্টগুলো জলের
সাথে মিশিয়ে নিয়ে যেতে চায় মহাসমুদ্রে।

সে চোখ দু’টো কারও করুনা পেতে চায় না;
কখনও দ্রোহের অনলে সূর্যের খরতাপকেও
জ্ব্বালিয়ে দিতে চায়।
চৈত্রের ঝরা পাতার মতো একেকটা স্বপ্ন
দুঃস্বপ্নের হাত ধরে ঝড়ে যেতে চায়।


সেদিন যখন তুষার শুভ্র সাদা মেঘ হয়ে
নূপুরের ঝংকার বাজিয়ে আমার আঙ্গিনায়
এসে জড়ো হতে লাগলে, আর মনের গভীরে
আরবীয় অশ্ব চালিয়ে আমায় খুঁজে নিতে
ছুটলে, আমি নিজেকে আবিষ্কার করলাম,

আজ আর নিঃসঙ্গ নই। তুমি আমার হাত
ধরে আলো ঝলমলে একরাশ ভালোবাসার
মঞ্ছে নিয়ে আসলে। বুকের মরুতে এক রাশ
ভালোবাসার সবুজ অরণ্যে আমি হারিয়ে
যেতে থাকলাম। নিয়ে গেলে আমায় মধুময়
এক মহাসমুদ্রে; সুখের অবগাহনে আপ্লুত
করলে; সেই থেকে তোমার হাত ধরে অনন্ত
এক অমিয় সুখের স্রোতে ভাসতে থাকলাম।

– — –
অগাস্ট-২৪,২০১২