[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

আয়নায় মুখোশ

 

আয়নায় মুখোশ

আয়নায় মুখোশ
.....................

দেয়ালে টাঙ্গানো মুখোশ
আয়নায় জমে থাকা ধুলো

সবাই যদি ফিরেই আসবে
বন থেকে হরিণ শিকারের গল্প নিয়ে
আমরা কেনইবা ছিপ ফেলে
গল্প করেছি রুই কিংবা কাতলের

আমরা যারা জাল ফেলে
করসরত করে
হাডু ডু ডু খেলেছি
মাটিভাঙা মাঠে
বাঁদর কিংবা হরিদাসের সাইকেলের
টিং টিং বেলে

বিকেলে নীল আকাশে
কুনো এক দালান পরীর
ছায়া নিয়ে

সন্ধ্যায় বুঝি ঘুমিয়ে গেছে
গাঁয়ের কিশোরেরা আগামি
দিনের মিছিলে

কাঁঠাল পাতায় উড়ো টাকায়
বাড়িতে বাড়িতে
হাঁড়ির টুং টাং বৈরাতী
চলে নৃত্য মন ভূমে

একদিন সবাই খবর শুনে

আয়নায় জমে থাকা ধুলো
আরও বেশি প্রকট হয়

দেয়ালে টাঙ্গানো মুখোশ
ফিরে ফিরে আসে

সোনালি আঁশের সবুজ গন্ধে
এই বাঙলায়

পাঁচ মউসুম পর পর
কাঁঠাল পাতা জড়ো হয়

কাঁঠাল ভেঙে হুইসেল নিয়ে
প্রতীক্ষায় থাকা কিশোর যুবক
বুড়ো হয়

মুখোশ পড়ে থাকে আয়নায়

সুন্দর পাত্রী আমি বরযাত্রী

 

সুন্দর পাত্রী আমি বরযাত্রী



আজ গিয়েছিলাম বরযাত্রী,
ফিরতে হয়ে গেল রাত্রী।
অপরুপ সুন্দরী দেখতে পাত্রী,
বর্তমানে সে কলেজের নেত্রী।

এখন মনিটরের সামনে বসে,
ভাবছি কি লিখবো অংক কষে।
কোনটা লিখবো আগের অংশে,
কোনটা লিখবো সবার শেষে।

তাহলে শুরু করি এভাবে,
যাত্রা শুরু করলাম কি ভাবে।
অনেক বরযাত্রী গাড়ির অভাবে,
কষ্ট করে পৌঁছালো কোনভাবে!

শুরু হলো আপ্যায়নের পর্ব,
বরযাত্রী হিসেবে করছি গর্ব।
কোনটা খাবো কি করবো,
সব গুলো এক সঙ্গে ধরবো?

বিয়ে পড়াতে আসলো কাজী,
কনে হলো সহজেই রাজি।
উকিল হলো রহিম বাবাজি,
সংসার শুরু হলো আজি।

বাড়িতে ফিরে আসলো বর,
ফুলে সাজানো বাসর ঘর।
আপন হয়েও এখন পর,
সুখে থাকো জীবনভর।

আমি স্বপ্ন বিলাসী

 

আমি স্বপ্ন বিলাসী


 
আমি স্বপ্ন বিলাসী,
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।
স্বর্গ থেকে ঘুরে আসি,
বিহঙ্গের মত আকাশে ভাসি।

এসো স্বপ্ন দেখার দলে,
পরির মত ডানা মেলে।
আকাশে বেড়াবো খেলে,
মৎস কন্যার মত ভাসবো জলে।

স্বপ্ন দেখি কখনো রাজা,
প্রনাম করছে সকল প্রজা।
স্বপ্ন দেখার আলাদা মজা,
স্বপ্ন ভাঙ্গার কঠিন সাজা!

মানছে কথা দানব দত্য,
স্বপ্ন এখন সবই সত্য।
মনের ভিতর রঙ্গিন চিত্ত,
ইচ্ছে মত খাচ্ছি নিত্য।

স্বপ্ন যেন না যায় ভেগে,
ঘুম থেকে না উঠি জেগে।
ঘুমের বড়ি খাই আগে,
স্বপ্নই আমার সবার আগে।

ভেঙ্গে কোমল নিরবতা,
চাইনা কঠিন বাস্তবতা।
কোথায় মানুষের মানবতা?
ঘুমিয়ে থাকায় স্বাধীনতা।

স্বপ্ন বিলাসী হতে হলে,
চলুন ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে।
দুনিয়ার সব ঝামেলা ফেলে,
কেহ কিন্তু জাগবেন না ভুলে!

তিক্ত আলো


 

তিক্ত আলো...


চার দেয়ালের দিনটা আমার আধো আলো আধো ছায়া
ঠেকে গেছে দিনের আলো বন্দি যেন এক বেহায়া।
তফাৎ বুঝার তড়িৎ গতি ততক্ষনে বিনাশ হল
আমার আমি আমার মতই হাতরিয়ে যাই দিনের আলো।

মাথার উপর তারার মেলা জোনাক জুড়ে শুধুই বাযে
কি এমন এক অচিন আশায় কাটাচ্ছি দিন দেয়াল মাঝে।
হা-এর পরে হুতাশ আমায় হতাশ করে দিন অবধি
মুক্ত হবার ইচ্ছা আমার মুক্তি দিবে কোন দরদি।

কালের ঘাটে অকাল বাধা সু-কাল আমার অনেক দুরে
আমিও তাই অবলীলায় দ্বন্দ্বে বিভোর চতুর ধাবে।
এই রোযাতে যদি আমায় মুক্ত করে প্রাণ বিধাতা
আমি তারে করবো খুশি যদিও চায় আমার মাথা।

অতৃপ্ত শরীর

 

অতৃপ্ত শরীর


যত চাও নিয়ে যাও দিয়ে যাও ভরা প্রান
কোলাহলে অনায়াসে ফিরে এসো অবিরাম্।

ছায়া পথে মায়া করে হায়াটাকে মারে ঢুঁ
টুপটাপ ঝরা জলে মিশে আছে কি মধু?
ফিরে ফিরে আসে তরী নড়ে চড়ে ডান বাম
তবু তরী ছাড়ে নাকো মায়া মাখা ধরাধাম।
উবু হয়ে মনে মনে তৃষা খুঁজে যে আদম
সে কি আজ ফিরে যাবে খালি হাতে নরাধম।
যে দেহের ঝলকানি উঁচু নিচু বন্ধুর
সে কি করে সমতায় পাবে তৃষা সুমধুর।
আধারী বা আলো মাঝে যে নারীর দেহ ভাজে
অবিচল খেলা চলে অনুরাগ, অনুভবে
তবু যারে ছুঁয়ে যায় না পাওয়ার বেদনা
সে আমার দুখী বোন লালায়িত ললনা।
 

My LiTtEl PaPa....অর্পা ও অরন্য


অর্পা ও অরন্য