[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

একটি স্বপ্ন দেখতে চাই...

 

একটি স্বপ্ন দেখতে চাই.....


আকাশ মেঘলা,
যেন নীলিমার গায়ে ধুলো ময়লা জমে আছে ।
থমথমে চারপাশ,
যেন কথাও একটি খুনের দায়ে,
অবনত হয়ে আছে প্রকৃতি ।
বেলা শুরু,
অথচ, কেমন যেন পাল্টে গেছে সময়টা,
ঘড়ির কাঁটা তার দিকরেখা ভুলে গেছে ।

আমি একটি সময় চাই,
একটি সুন্দর সকাল চাই,
প্রকৃতির কোলাহল চাই,
আকাশের নীল চাই ।

এবার, আমি একটি স্বপ্ন দেখতে চাই ।
 
*********************** হাসনাত***************

জোনাকির চোখ


জোনাকির চোখ
হেলে পড়ে চাঁদ, বাবুদের অট্টালিকার মাথায়
আধো ঘুম-জাগরণে, রক্ত মাংসগুলো কাতরায় ।
হিম শীতল কুয়াশার কনিকা,
অক্টোপাসের মত ঘিরে ধরে ।
ব্যর্থ স্লোগান তোলে, শরীরের প্রতিবাদী লোমগুলো
নিভৃতের পরজীবীগুলো আড়মোড়া ভেঙে উঠে ।

তখন রাত্রির শেষ
আশায় ঘুণপোকা।
মরা চাঁদ পৃথিবীতে হলদে ছবি আঁকে ।
পরজীবীগুলো তাকিয়ে থাকে, বাবুদের অট্টালিকার দিকে ।
স্থির চোখ, তবু স্বপ্ন জ্বলে নিভে জোনাকির মত ।
অথচ, কী উত্তপ্ত হয়ে শিকারির মত অগ্নিদৃষ্টিতে
এদিকেই তাকিয়ে আছে ঐ অট্টালিকাগুলো ।

এরা কী চায়! আর কী চায়!

আজকের মত নির্ঘুম রাত্রি, আগামী রাত্রির অপেক্ষা ।
সব শেষে আরও একটি দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে
ক্ষতবিক্ষত ফুসফুস থেকে ।

আজ শ্রাবনাকাশে এই মেঘ তো এই রোদ্দুর অতঃপর নাবলো ঝুম বৃষ্টি

শ্রাবনদিনের জানালা দিয়ে দেখেছি বাংলার বৃষ্টিদিন

শ্রাবন বেশ করেই জানান দিলো আজ। ভোরের দিকে কেবল এই মেঘ তো এই রোদ্দুর। আর দুপুর শেষে আকাশভাঙা বৃষ্টি নাবলো। জানালার কাচ-নেট ভিজিয়ে বারান্দায় জলের ঢল দেখতে বেশ লাগলো। তারও অনেক বেশি ভালো লাগলো সবুজ পাতার ভিজে যাওয়া। অপরূপ বাংলার বৃষ্টিদিন। কতকাল যে বৃষ্টিতে ভিজিনা জ্বরে পড়ার ভয়ে .. অথচ একদা বৃষ্টিতে ভেজার আনন্দ ছিলো অঢেল .. জ্বরে পড়ার কথা ভুলেও আসতোনা মনে .. ইস্কুলদিনে বন্ধুরা অমল আনন্দনে ভিজেছি বৃষ্টিদিনে। আজ বন্ধুরা সব যোজন দূরে। জানিনা কে কোথায় কিভাবে আছে এমন দিনে।

আমরা যারা ঢাকায় থাকি ইস্কুল-কলেজের বন্ধুরা, আমরা অবশ্য চেষ্টা করি হাজার কাজবাজের মধ্যেও মাঝেমাঝে কারও বাসায় বা রেঁস্তোরায় একটু-আধটু আড্ডাবাজির আয়োজন করতে। সেইসব দিনের আনন্দনের সময় দ্রুত ফুরিয়ে যায়। ক্যামেরাবন্দী ছবিগুলো আবার অনেকেই ফেসবুক-এ পাঠায়, দূরের বন্ধুদেরও ফেসবুক-এর কল্যাণে এভাবেই একটু কাছে পাওয়া আজকাল সহজ হয়েছে, সেইকালে যা কল্পনাও করা যায়নি, ফেসবুক-কে ধন্যবাদ। এইতো খানিক আগেই লগ-ইন করেই পাই অজস্র ছবি ও কথায় ভর্তি হরেক অনুভব। কি নেই সেইখানে ! সাহিত্য থেকে শুরু করে লেটেস্ট ফ্যাশন ও প্রেম ! আবার রাজনৈতিক খবর নিয়ে তুলকালাম !

যাইহোক, বলছিলাম আজকের শ্রাবনদিনের বৃষ্টির কথা, আমার আজও বিষম মনে আছে ইস্কুলে একবার শ্রাবনদিনে এমনই ঝুম বৃষ্টিতে আমরা ক’জন বন্ধু আরবী ক্লাশ ফাঁকি দিয়ে পালিয়েছিলাম বৃষ্টিতে ভিজবো বলেই। আরবী ক্লাশ ফাঁকি দেয়াটা খুব সহজ ছিলো। হুজুর ক্লাশে এসেই সুরার অর্থ ও শানে-নযুল ব্যাখ্যা করার কাজ দিতেন। খাতার পাতায় ঝুঁকে লিখতে-লিখতেই আমরা যেই দেখতাম হুজুর ঝিমুচ্ছেন, অমনি সন্তর্পনে বেঞ্চের তলা দিয়ে দরোজা পর্যন্ত গিয়েই ভোঁ-দৌড় দিতাম। হুজুরের ঝিমুনি ততক্ষণে গভীর ঘুমের রাজ্যে।

ক্লাশ শেষের ঘন্টা পড়লে তবেই হুজুর জাগতেন। তখন আর তাঁর মনেই নেই কি কাজ দিয়েছিলেন! হুজুর এমনই ছিলেন। আজ তাঁকেও মনে পড়ায় হুজুর যে আদতে বড়ো ভালো মানুষ ছিলেন তা উপলব্ধি করছি। অই বয়সে হুজুরকে ফাঁকি দেয়াতে খানিকটা অপরাধবোধও ঘিরলো আমায়। হুজুরতো আজ আর বেঁচেও নেই। মনেমনেই হুজুরের আত্মার চিরশান্তি চাইছি আজ। আল্লাহ তাঁকে জান্নাত নসিব করুন।

আরও মনে পড়ছে একবার এমন ঝুম বৃষ্টিদিনেই ইস্কুল ছুটির পরে কিছুতে রিক্সা না পেয়ে ভিজতে-ভিজতে বাড়ি ফিরেছি হেঁটেই। এবঙ সেইদিন সন্ধের সঙ্গেসঙ্গেই ধুম জ্বরের ঘোরেও বৃষ্টির কথাই বকেছি

“আয় বৃষ্টি ঝেঁপে ..” ! আমার কান্ড দেখে বাড়ির সবাই হেসেছে। সেইদিনগুলি আজ আর ফিরেও পাবোনা বলেই শুধু মনে করাই সার। আর ব্লগে শেয়ার। কবিগুরু তাইতো অনন্য সুরে ও বাণীতে ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন সেই কথাটি
“দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায় রইলোনা, রইলোনা
সেই যে আমার নানা রঙের দিনগুলি ..”।


দিন কি আর সোনার খাঁচায় বেঁধেও রাখা যায় ! যায়না। কিন্তু যায়দিনের কথাগুলো লেখাই যায় .. আমার আজকের শ্রাবনদিন-এর লেখাটি ছায়া ফেলুক অপর রোদ্দুরে .. এই কথাটি লিখতে তো পারি-ই .. লিখলাম তা-ই।

প্রভাত প্রত্যয়ী


প্রভাত প্রত্যয়ী



পুরনো রাস্তায় , খুব পুরাতন আমি
হেঁটে যেতে যেতে দেখলাম শহরটা ,
বাড়িগুলো ; বেড়ে ওঠা অসংযমী ঊধ্বগামী
অনেকটা স্পেসশাটল সদৃশ একেকটা
এখুনি শুরু করবে কাউন্টডাউন ,
কিংবা কাঁধে কাঁধে বাঁধে বৈষম্যের ব্যারিকেড
আর হবে না পাচার সাম্যবাদীর উনুন ।
বলতে বলতে সন্ধে নামে অচিরে এই শহরে
বিকেল গড়িয়ে চলে ক্ষিপ্র খড়িস শরীর ধরে ,
বেসুরে এক এলার্ম বাজে সমস্ত শহর ঘিরে
টাওয়ারের মাস্তুলে কালোপাল উড়ে হুহুংকারে ,
ছিটে রোদগুলো ছুটে ; কারফিউ কারফিউ চিত্‍কারে ।
উনপাঁজুরে ; যে যেমন পারছে ছুটছে শুধু ছুটছে
কেউ এম্বুল্যান্সে ,কেউবা গোধূলি ট্টেনে চড়ে
কেউ একলাফে হুডতুলা প্রেমে অভিসারে
কেউ শুধু ক্রাচে ভর করে পালাচ্ছে শহর ছেড়ে ,
তেড়ে আসছে সাঁজোয়া যানগুলো ইঞ্জিনের শব্দ করে ।
এক বৃদ্ধা হেঁকে বলে এইযে ছেলে তোমার কাছে
এখানকার আইড্যান্টিটি কার্ড আছে ?
- না তো! আজি আমার জন্ম , নিবন্ধন হয়নি এখনো
- বোকা ছেলে , তাড়াতাড়ি পালাও দাঁড়িয়ে আছ কেন !


আমি ছুটতে শুরু করলাম যতদ্রুত পারি তত
যতদ্রুত জাতিস্মর ফিরে আসে তারচেয়ে দ্রুত
যত দ্রুত খাটিয়া গোরস্থানে হেঁটে যায় তারও দ্রুত
যত দ্রুত প্রিয়মুখ ভুলে যাই তারচেয়ে দ্রুত
যত দ্রুত দ্রোহের দমন হয় তারচেয়ে দ্রুত
পেশাদার খুনীর চকচকে ছুরির চেয়ে দ্রুত ।
অন্ধকার থেকে পালাতে পালাতে ছুটতে ছুটতে …
হঠাত্‍ একটা বাড়িতে ঢুকে পড়লাম অজান্তে
পুরাতন দোতলা একটা বাড়ি ;খুব সেঁতসেঁতে
উঠনে একটা শিউলি ফুল গাছ দাঁড়িয়ে একঠাঁই ,
সহসা পেছন থেকে ;একটা নারী কন্ঠে প্রশ্ন -কি চাই ?
ফিরে দেখি ; আপাদমস্তক ভোরটা এসে দাঁড়িয়ে -
ছলছলে সূর্যচোখে জ্বলছে অখিল
বিপ্লবী গোলাপ ঠোঁটে উছল উষের তিল ,
কিছু শিউলি কুঁড়িয়ে দেই সেই হাতে
- বলি ;আমি চাই একটা আইড্যান্টাটিকার্ড
একটা শিউলি ফুলের মালা , দিবেতো গেঁথে …

PHOTO U R MY JAAN

































Chinta Ta Ta Chita Chita (Rowdy Rathore) HD