[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কি দিয়ে পুঁজিবো তোমায়?


কি দিয়ে পুঁজিবো তোমায়?

কি নিয়ে শুধাবো?
আমরা যৌবনের দূত, আমরা নতুন!
আকাশ ভরা স্বপ্ন চোখে, লক্ষ তারার মেলা,
দিশে হারা বেহুলা ভেলা, স্বপ্ন ডানায় ভাসে।
>>>>>ভেঙে মোর ঘরের চাবি,নিয়ে যাবি কে আমারে


কি হেরিবো চোখে আজি?
খরার তীব্র দাবদাহে, বসন্ত গেল গড়িয়ে!
বিধু মাঝির খেঁয়াঘাটে, নৌকা নাহি চলে,
নদীর বুকে চর জেগেছে ঐ,বালুয়াড়ির ঝড় বহে।
>>>>>ওগো নদী আপন বেগে পাগলপারা,


কি দিয়ে পুঁজিবো তোমায়?
যাপিত জীবন আপনালয়ে, খুঁজে ফিরি আজও বকুল বিছানো উঠান!
নেই কোথাও নেই আজ, ঘোমটা টানা লাজে রাঙা লজ্জাবতি,
শোক তাপ বিরহ, বেদনায়, আশ্রয় খুঁজি তব গীতবীণায়,
>>>>>মেঘের পরে মেঘ জুমেছে, আঁধার করে আসে,


কি রাখিবো চরণে তোমার?
কালের বসন খুলতে পারিনে, তন্দ্রায় ঘুম যায় টুটে!
মাঝরাতে সিধ কেটেছে, কে যে আমার ঘরে?
অভিমানে নিভেছিল আলো, চিরদিনের আগল খোলা দোর’যে আমার।
>>>>>এসো আমার ঘরে এসো,আমার ঘরে !

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিবর্ণ


বিবর্ণ
তেলাপোকাগুলো চেয়ে থাকে
হাসে খিক খিক করে ,
ওদের গাঁজা খাওয়া দাঁত গুলো
থেকে ফিক করে বদ গন্ধ আসে,
এই পাড়ার পারুলি রুমালি
ওরা সেই হাসিতে গা ভাসায় চোখ টিপে ।
এবং এক সময় তেলাপোকার সংসারে
ওরা ধুলো হয়ে যায়
ছাই হয়ে যায় ।

ইচ্ছপাখী


ইচ্ছপাখী
ইচ্ছে গুলো উড়িয়ে দিলেম
লাগিয়ে দিয়ে ডানা
যাক না তারা ইচ্ছে যেথা
করবোনা আর মানা।

কেউ বা গোল নীলআকাশে
মেঘের সাথে ভেসে
কেউ বা গেল অনেকদূরে
কোন অচীন দেশে।

ইচ্ছে হলে আমায় ছেড়ে
থাকুক তারা দূরে
ইচ্ছে হলে আমার কাছে
আবার আসুক ফিরে।

ইচ্ছে গুলো দুষ্টু ভারি
গিয়েছি আমি জেনে
ইচ্ছেমত ইচ্ছেপূরণ
তাই,হয়না জীবনে।

না-কবিতা


না-কবিতা

এই দেখ এসে গেছি
লিখেছি যে সদ্য
অন্তে তে মিল আছে
নয় এটা গদ্য।

খুঁজে পেতে এনেছি যে
সুকমারী ছন্দ
পদ্যে তে তাই পাবে
টক টক গন্ধ।

কেউ বলে বড় বাজে
লেখা কর বন্ধ
নাক তুলে কেউ বলে
পড়ে নেই আনন্দ।

আরো বলে শোন মেয়ে
বলছি যে স্পষ্ট
সব মানে বোঝা গেলে
কবিতাটা নষ্ট।

আমি বলি দুর ছাই
এর বেশি জানি না
ভাবি যাহা লিখি তাহা
কবিতা তো বলিনা।

শুক্রবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

"তুই" দিয়ে আজ ভরিয়ে দে না, আমার যত শূন্যতা সব


"তুই" দিয়ে আজ ভরিয়ে দে না, আমার যত শূন্যতা সব

বন্ধু, আমার কথাবিহীন মৌন প্রহর বদলে দিবি মুখরতায়?
চোখের কোণের লাল গোধূলি রাঙিয়ে দিবি সাতটি রঙে?
আমার উদাস বিকেলবেলা, সাজিয়ে দিবি গল্প-কথায়?

আমার যে এক নিটোল জলের শান্ত পুকুর, বিষাদ-ঘুমে ঘুমিয়ে আছে,
তার বুকে তুই ঢিল ছুঁড়ে দে, ঘুম ভেঙে যাক।
জলের কাঁপন আর আমার এ বুকের কাঁপন হোক একাকার,
সেই আবেশে আমার চোখের নীল-দীঘিতে পদ্ম ফুটুক,
দু’চোখ আমার পদ্ম-পুকুর হয়ে উঠুক।

বসন্ত আর শরৎ দেখি, এরা আমার কেউ ছিলো কি, কোন কালে !
হেমন্তেও আমার উঠোন রিক্ত কেমন!
হাতের মুঠোয়, সোয়েটারের উলের ভেতর,
আমার ঘরে কোথাও কোন উষ্ণতা নেই, হিম অনুভব।
আমার আষাঢ়, আমার শ্রাবণ, বছর জুড়েই;
তবুও আমার সবুজ পাতায় পুকুর জলে ঝরে পড়া বৃষ্টি-ধারায় নেই কলরব।
বন্ধুরে আয়, “তুই” দিয়ে আজ ভরিয়ে দে না, আমার যত শূন্যতা সব।

তুমি নীল প্রজাপতি হও, আমি রক্তজবা হয়ে যাই


তুমি নীল প্রজাপতি হও, আমি রক্তজবা হয়ে যাই

শরতের নাম যদি দেই বৈশাখ,
দখিনের জানালাটা অবিরাম যদি রাখি খুলে,
মৃদু হাওয়া ঘরে ঢুকে ঝড় হলে
বেণীর বাঁধন যদি খুলে যায়, আর আমি রক্তজবা হয়ে যাই,
কেমন হবে বল তো?

দুপুরে স্নানের পর আরশিতে ভেসে ওঠা প্রিয় ভ্রু-জোড়া
মেঠোপথ-জোছনার, মোম-মেয়ে আর আগুনের কথা বলে।


চিবুকের তিল আর খালি পায়ে পাশাপাশি হেঁটে যাওয়া,
রূপকথা হয়ে ওঠে, রাতে ও দুপুরে, রাত্রি দুপুরে।
তপ্ত ঠোঁটের ‘পরে নেমে আসে এক জোড়া ঠোঁট,
উদাসী ডাহুক এক ডেকে নিয়ে যায় বহুদূরে …

নীলাচল পাহাড়ের ছেলে! এই নাও রক্তজবার লাল ;
এসো, তুমি নীল প্রজাপতি হও,
তোমার পাখার নীলে শুদ্ধ হোক আকাশ আমার,
আবারও দু’জনে চলো খালি পায়ে হেঁটে যাই পাহাড়ের পথে,
পেছনের মেঠোপথ হয় হোক পুড়ে ছারখার।