একটি ছবি, একটি গান ও কিছু সৃতি
উপরের ছবিটা এক দেখলাম আমাদের প্রিয় ব্লগার মুরুব্বীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে। গান খুব ভালোবাসি বিধায় ছবিটা দেখার সাথে সাথেই সে গানের কথা মনে পড়লো, তা হল আকবরের গাওয়া তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে, আরও কিছু সময় তুমি থাকো আমার কাছে।
গানটা মনে হতেই নেটে খুজলাম হাত পাখা নিয়ে কি লেখা আছে? পেয়ে গেলাম বিবেকবার্তা তে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা :
“হাজার হাজার বছর ধরে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে হাত পাখা। কবি-সাহিত্যিক, বাউল শিল্পীরা হাতপাখা নিয়ে বিভিন্ন গান, কবিতা ও গীত রচনা করেছেন এবং তুলে ধরেছেন এর সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহ্য। হাতপাখা নিয়ে মজার মজার রূপকথা, গল্প-কাহিনীও আমাদের সমাজে প্রচলিত।
রোদেলা দুপুরে কিশোরীর দল কারুকার্য মন্ডিত তালপাখা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। মধ্যবয়সী -তরুণী গাছের ডালে বা আড়ালে বসে তালপাখা হাতে দূরের রাখাল ছেলেটির বাঁশির সুর শুনছে। কৃষক মাঠ থেকে ফেরার পর কৃষানী ব্যস্ত হয়ে পড়ছে হাতপাখার শীতল পরশে বা বাতাসে তাকে জুড়িয়ে দিতে। নতুবা মধ্যবর্তী সুন্দরী ললনা প্রিয়জনের জন্য বুনছে নকঁশা ও কারুকার্য মন্ডিত সুন্দর হাতপাখা।
এ হাত পাখার প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে তার আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ সব কাহিনী। এগুলো তো আবহমান গ্রাম বাংলার চিরাচরিত অতি পরিচিত দৃশ্য। প্রযুক্তি ও যান্ত্রিক দাপটে নাগরিক জীবনে হাতপাখার প্রচলন খুব বেশী না হলেও তীব্র গরমে যখন শহরবাসী বিপর্যস্ত তখন ক্ষনিকের জন্য হলেও মনে করিয়ে দেয় হাতপাখার শীতল পরশ বা বাতাসের কথা।
ইচ্ছে করে হাতে একটা তালপাখা নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে হারিয়ে যাই গভীর অরণ্যে। আমাদের গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতিতে হাতপাখার প্রচলন বহুদিনের হলেও শহরজীবনে এর প্রচলন খুব বেশী দিনের নয়। এখন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই হাতপাখার নৃত্য। শহরের সুন্দরী, শিক্ষিতা ফ্যাশন সচেতন তরুণীর হাতে কারুকার্য মন্ডিত বাহারি রঙের হাতপাখা। আজকাল হাত পাখা ফ্যাশনের উপাদানে পরিণত হয়েছে। আসুন জেনে নিই- রকমারি ধরণের হাত পাখার কথা। বানাতে ইচ্ছা করলে কীভাবে বানাবেন, কোথায় পাবেন, দরদামইবা কেমন?
হাতপাখার ধরণঃ বিভিন্ন ধরণের হাত পাখার মধ্যে তালপাতার হাতপাখার প্রচলনই বেশি। এছাড়াও বাহারী রঙ ও ডিজাইনের হাত পাখা দেখতে পাই। প্লাষ্টিক বেত, মোতাইক, কাগজ দিয়ে বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের হাতপাখা তৈরী করা হয়। এছাড়া অধিকাংশ হাত পাখার হাতল হিসেবে জুড়ে দেয়া হয় বাঁশের চিকন পাখা, বেত, লাঠি ইত্যাদি। তবে আজকাল কাপড় ও সুতার কারুকার্যমন্ডিত বাহারি ধরণের হাত পাখা পাওয়া যায়। যদি বানাতে চান- নিজের পছন্দ ও ইচ্ছামতো হাত পাখা বানাতে চাইলে আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে আপনি কী উপকরণ দিয়ে এবং কী ধরণের পাখা বানাবেন। যদি তালপাতার পাখা বানাতে চান তাহলে বাজার থেকে যেনতেন তাল পাতার পাখা এনে এর রূপ ও সৌন্দর্য পাল্টে দিতে পারেন আপনার নিজস্ব মেধা ও মননের মাধ্যমে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে হরেক রকমের রঙ ও সুতা, ফলস, শাড়ির পাড় ও লেস।
এখন আপনার নিজের পছন্দমতো বানিয়ে নিন একটি হাতপাখা। যা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীতল বাতাসে প্রশান্তি জোগাবে। এছাড়া আপনি বানাতে পারেন বাঁশ, বেত ও মোতাইকের সাহায্যে চারকোনা অথবা গোলাকার লম্বা হাতলযুক্ত হাত পাখা। তাছাড়া সুন্দর ও নকঁশা কারুকার্যমন্ডিত হাত পাখা বানিয়ে প্রিয় জনকে উপহারও দিতে পারেন। কোথায় পাবেন- শহরের বিভিন্ন মোড়ে বাহারি ধরনের হাতপাখা বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে চকবাজার, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, কুমিল্লা রেল ষ্টেশন, টমছমব্রীজ অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন বিপনি বিতানেও হাতপাখার সন্ধান মেলে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসব, মেলায় এবং ফ্যাশন হাউসে নকশা ও কারুকার্যমন্ডিত সুন্দর হাতপাখা পাওয়া যায়। দরদামঃ হাত পাখার দর-দাম স্থান ও মান ভেদে হয়ে থাকে। তবে শহরের বিভিন্ন ফুটপাত থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে হাতপাখা কিনতে পারবেন। মেলা, উৎসব এবং বিপনি বিতান থেকে হাতপাখা কিনতে গেলে দাম একটু বেশিই পড়বে।
সেই সাথে পেয়ে গেলাম তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে, আরও কিছু সময় তুমি থাকো আমার কাছে।গানটির মিউজিক ভিডিও, যত দূর মনে পড়ে দেশের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি তে দেখানো হয়েছিলো।
মজার ব্যপার হল এই গানটির মিউজিক ভিডিও দেখতে গিয়েই চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু মজার সৃতি। এই মিউজিক ভিডিও টি যেখানে চ্রিত্রায়িত হয়েছে, সেখানেই ব্লগারস ফোরাম এর বার্ষিক বনভোজন ২০১১ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
পুরো বাড়ীটার ছবি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন : যেখানে ব্লগারস ফোরাম এর বার্ষিক বনভোজন ২০১১ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
উপরের ছবিটা এক দেখলাম আমাদের প্রিয় ব্লগার মুরুব্বীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে। গান খুব ভালোবাসি বিধায় ছবিটা দেখার সাথে সাথেই সে গানের কথা মনে পড়লো, তা হল আকবরের গাওয়া তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে, আরও কিছু সময় তুমি থাকো আমার কাছে।
গানটা মনে হতেই নেটে খুজলাম হাত পাখা নিয়ে কি লেখা আছে? পেয়ে গেলাম বিবেকবার্তা তে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা :
“হাজার হাজার বছর ধরে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে হাত পাখা। কবি-সাহিত্যিক, বাউল শিল্পীরা হাতপাখা নিয়ে বিভিন্ন গান, কবিতা ও গীত রচনা করেছেন এবং তুলে ধরেছেন এর সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহ্য। হাতপাখা নিয়ে মজার মজার রূপকথা, গল্প-কাহিনীও আমাদের সমাজে প্রচলিত।
রোদেলা দুপুরে কিশোরীর দল কারুকার্য মন্ডিত তালপাখা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। মধ্যবয়সী -তরুণী গাছের ডালে বা আড়ালে বসে তালপাখা হাতে দূরের রাখাল ছেলেটির বাঁশির সুর শুনছে। কৃষক মাঠ থেকে ফেরার পর কৃষানী ব্যস্ত হয়ে পড়ছে হাতপাখার শীতল পরশে বা বাতাসে তাকে জুড়িয়ে দিতে। নতুবা মধ্যবর্তী সুন্দরী ললনা প্রিয়জনের জন্য বুনছে নকঁশা ও কারুকার্য মন্ডিত সুন্দর হাতপাখা।
এ হাত পাখার প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে তার আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ সব কাহিনী। এগুলো তো আবহমান গ্রাম বাংলার চিরাচরিত অতি পরিচিত দৃশ্য। প্রযুক্তি ও যান্ত্রিক দাপটে নাগরিক জীবনে হাতপাখার প্রচলন খুব বেশী না হলেও তীব্র গরমে যখন শহরবাসী বিপর্যস্ত তখন ক্ষনিকের জন্য হলেও মনে করিয়ে দেয় হাতপাখার শীতল পরশ বা বাতাসের কথা।
ইচ্ছে করে হাতে একটা তালপাখা নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে হারিয়ে যাই গভীর অরণ্যে। আমাদের গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতিতে হাতপাখার প্রচলন বহুদিনের হলেও শহরজীবনে এর প্রচলন খুব বেশী দিনের নয়। এখন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই হাতপাখার নৃত্য। শহরের সুন্দরী, শিক্ষিতা ফ্যাশন সচেতন তরুণীর হাতে কারুকার্য মন্ডিত বাহারি রঙের হাতপাখা। আজকাল হাত পাখা ফ্যাশনের উপাদানে পরিণত হয়েছে। আসুন জেনে নিই- রকমারি ধরণের হাত পাখার কথা। বানাতে ইচ্ছা করলে কীভাবে বানাবেন, কোথায় পাবেন, দরদামইবা কেমন?
হাতপাখার ধরণঃ বিভিন্ন ধরণের হাত পাখার মধ্যে তালপাতার হাতপাখার প্রচলনই বেশি। এছাড়াও বাহারী রঙ ও ডিজাইনের হাত পাখা দেখতে পাই। প্লাষ্টিক বেত, মোতাইক, কাগজ দিয়ে বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের হাতপাখা তৈরী করা হয়। এছাড়া অধিকাংশ হাত পাখার হাতল হিসেবে জুড়ে দেয়া হয় বাঁশের চিকন পাখা, বেত, লাঠি ইত্যাদি। তবে আজকাল কাপড় ও সুতার কারুকার্যমন্ডিত বাহারি ধরণের হাত পাখা পাওয়া যায়। যদি বানাতে চান- নিজের পছন্দ ও ইচ্ছামতো হাত পাখা বানাতে চাইলে আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে আপনি কী উপকরণ দিয়ে এবং কী ধরণের পাখা বানাবেন। যদি তালপাতার পাখা বানাতে চান তাহলে বাজার থেকে যেনতেন তাল পাতার পাখা এনে এর রূপ ও সৌন্দর্য পাল্টে দিতে পারেন আপনার নিজস্ব মেধা ও মননের মাধ্যমে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে হরেক রকমের রঙ ও সুতা, ফলস, শাড়ির পাড় ও লেস।
এখন আপনার নিজের পছন্দমতো বানিয়ে নিন একটি হাতপাখা। যা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীতল বাতাসে প্রশান্তি জোগাবে। এছাড়া আপনি বানাতে পারেন বাঁশ, বেত ও মোতাইকের সাহায্যে চারকোনা অথবা গোলাকার লম্বা হাতলযুক্ত হাত পাখা। তাছাড়া সুন্দর ও নকঁশা কারুকার্যমন্ডিত হাত পাখা বানিয়ে প্রিয় জনকে উপহারও দিতে পারেন। কোথায় পাবেন- শহরের বিভিন্ন মোড়ে বাহারি ধরনের হাতপাখা বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে চকবাজার, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, কুমিল্লা রেল ষ্টেশন, টমছমব্রীজ অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন বিপনি বিতানেও হাতপাখার সন্ধান মেলে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসব, মেলায় এবং ফ্যাশন হাউসে নকশা ও কারুকার্যমন্ডিত সুন্দর হাতপাখা পাওয়া যায়। দরদামঃ হাত পাখার দর-দাম স্থান ও মান ভেদে হয়ে থাকে। তবে শহরের বিভিন্ন ফুটপাত থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে হাতপাখা কিনতে পারবেন। মেলা, উৎসব এবং বিপনি বিতান থেকে হাতপাখা কিনতে গেলে দাম একটু বেশিই পড়বে।
সেই সাথে পেয়ে গেলাম তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে, আরও কিছু সময় তুমি থাকো আমার কাছে।গানটির মিউজিক ভিডিও, যত দূর মনে পড়ে দেশের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি তে দেখানো হয়েছিলো।
মজার ব্যপার হল এই গানটির মিউজিক ভিডিও দেখতে গিয়েই চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু মজার সৃতি। এই মিউজিক ভিডিও টি যেখানে চ্রিত্রায়িত হয়েছে, সেখানেই ব্লগারস ফোরাম এর বার্ষিক বনভোজন ২০১১ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
পুরো বাড়ীটার ছবি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন : যেখানে ব্লগারস ফোরাম এর বার্ষিক বনভোজন ২০১১ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন