[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বৃষ্টি ঝড়ে বৃষ্টি পরে

বৃষ্টি ঝড়ে বৃষ্টি পরে
বৃষ্টি পরে বুকের কাছে
বৃষ্টি পরে স্মৃতির ঘরে
বৃষ্টি পরে কদম ফুলে
ছোট্টবেলার বৃষ্টি গুলো
কেমন করে যাই যে ভুলে।
বৃষ্টি পাড়ায় থাকতে বলে
মেঘ ঢেকে যায় তোমার চুলে
ঘন মেঘ নেই যে চোখে
তবু দিলে অশ্রু তুলে
কেমন করে যাই যে ভুলে।

এক দিন এক আষাঢ় মাসে
সাবাই যখন বৃষ্টি ধুয়ে শু্দ্ধ হলো
তোমায় তখন ভিজতে দেখি
খুব একাকী গভীর রাতে
কদম গুলো লুটায় পাশে
তখন তুমি একলা খাটে
নয়ন থেকে বৃষ্টি ঝড়ে
বুকের মাঝে।
বৃষ্টি পরে বৃষ্টি ঝড়ে
আমার ঘরে তোমার ঘরে
বৃষ্টি ঝড়ে বৃষ্টি পরে
এখন সকল বৃষ্টি গুলো
শীতল ভীষন, কাপন ধরায়;
ভীজতে গেলে জ্বর এসে যায়
জ্বরের ঘোরে বৃষ্টি দেখি
ছেলেবেলায়।
১১/০৭/২০১১

সুরঞ্জনার জন্য

সুরঞ্জনার জন্য
সুরঞ্জনা কোন সে সূতার টানে
বারে বারে আসো ফিরে
জীবনের ঐ খনে
কোন মোহ আজ তোমায় টানে
যায় কি তাকে কেনা
কেনার জন্য জীবনে আজ
বারুক কিছু দেনা
কোন কথাতে ভুলে থাকো
সময় কিংবা লাজ
সমীকরণ মেঘের মাঝেও
থাকে কিন্তু বাজ
উল্টো ধারার জীবন যখন
খুব জমে যায় মৌ
পুতুল খেলার পুতুল গুলো
হয়না কিন্তু বউ
ফিরে আসার পথটাতে আজ
শ্যাওলা যদি জমে
খুব উচাটন মন কি বলো
মিষ্টি কথায় দমে।

নগ্না পৌর্ণমাসী

নগ্না পৌর্ণমাসী 
জুলা ০৯, ২০১০ | ০৩:৪৯বিকাল
মেঠো পথে চলার কথা ভেবে
হাড্ডিসার মন গুন টেনে চলে
কর্দমাক্ত জীবনে
লোভের শ্বাপদ জীভ লকলক করে
কোন ঘাটে কোন তরী করে বসবাস!
তবুও লোহার বাসর ঘরে নাগ করে নীল দংশন
সাধের লক্ষ্মীনদরকে,
সব্বাই বেহুলা নয়, বনেদি দেয়ালে কেউ কেউ
খুঁজেফেরে ব্যাংকের ডিপোজিট।
আমিও কি ক্ষুধার আগুনে, অজানা অংশ পূরনে
পরকাল ভুলে ইহকালে মত্ত হয়ে
বাঁকে বাঁকে খুঁজি না জীবনের সাতকাহন!
সহসা জ্বালা করা চোখে
পর্যবসিত হতে হতে আজ
ধারানিবদ্ধ ধিঙ্গীপনার ধার্মিকচূড়ামনি।
বনের সাপে নয় মনের শাপের দংশনে
দুই ভাগ হতে হতে ভাবি ভালো ছিলো শ্মশান জীবন,
কেন এ সময়ের হাতে হাত রেখে নির্মল রোদে
জীবন ধুয়ে পক্ষ-বিপক্ষ লাক্ষরাজ
দুই মুখো সাপ হয়ে হাটা ।

তোমার অভিমান গুলো

তোমার অভিমান গুলো
তোমার অভিমান গুলো বড় বেশী ভালোলাগে।
মাঝে মাঝে তাকে গির্জার কোরাস ভেবে
ভুল মনযোগে কাটে সময়;
ঝরে যাওয়া ফুলের পাপড়ি ভেবে
সযতনে তুলে রাখি বইয়ের পাতার ভাজে।
কখনো বা নতুন টাকার মত
আমার ব্যাংকে জমা করে রাখি;
ভবিষ্যতে খরচ করবো ভেবে।
তোমার অভিমান গুলোকে তুমি
আমারই মত তুলে রেখো আমার জন্য,
শুধু মাঝে মধ্যে একটু ঝিলমিল রোদে
তাকে শুকাতে দিও আমাদের জন্য।
এখন আর এর বেশী প্রয়োজন নেই
এখন তুমি বড় বেশী আদ্র
এখন আমি ভিজতে চাই না তোমার অভিমানে
কারন আমি অনৈতিকতাকে বড় বেশী ভয় পাই
সীমা রেখার বাইরে যেতে পারিনা বলেই ।

আমাদের সব কিছু

আমাদের সব কিছু
আমাদের সব সম্ববনায় অসম্ভবের ভার
চেনা জানা সরল পথে জমে আছে ক্ষার।
আমাদের সব নগ্ন ছবি চার দেয়ালের কাছে
আটকে থাকে কাঠের ফ্রেমে যুক্তি বিহীন ছাঁচে।
আমাদের সব দুঃখ গুলো তাঁতীর তাতে বোনা
দিন রাত্রি ঘটাং ঘটাং শব্দ যাবে শোনা।
আমাদের সব ভাবনা গুলো আকাশ কুসুম ভয়ে
জ্বলে থাকে আকাশেতে দূরের তারা হয়ে।
আমাদের সব ভালোবাসা ব্যাংকে ডিপোজিট
কথার ফাঁকে আটকে থাকে শক্ত কোন গিট।
আমাদের সব সুখ গুলো আজ উড়াল পাখির ডানায়
ঘুরতে বের হয় আকাশ নীলে দূরের অজানায়।
আমাদের সব উচ্ছলতা তপ্ত বালুর বুকে
পায়না ভাষা নীরবতায় দু’জনারই মুখে।
আমাদের সব অবহেলা বারো বছর পরে
একই সাথে বসত করে তোমার আমার ঘরে।

জীবনে সফলতা লাভে দরকার

জীবনে সফলতা লাভে দরকার
জীবনে থাকলে প্রত্যয়
আসবে নিশ্চিত বিজয়।
আশ্রয় হোক না যেথায়
যদি পথেও পড়ে রয় ।
চলার পথে হবে লড়তে
চাইলে শিখতে হবে পড়তে।
স্বপ্ন হৃদয়ে যাই এগিয়ে
অন্তরে বাধা রবেনা জিয়ে।
থাকলে দক্ষতা মিলবে সফলতা
দরকার সততা দরকার নৈতিকতা।