[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১১

বন্ধু তোমার বিষন্নতার আঙ্গিনায় আমি হবো খুশির ঘাসফুল

বন্ধু তোমার বিষন্নতার আঙ্গিনায় আমি হবো খুশির ঘাসফুল


Add caption
প্রেম সে,তো চাইলেই পারি; আছে প্রকৃতির ভূবনে;
আছে চারপাশে হাওয়ার মতো; আছে উত্তাল তরঙ্গ হয়ে।
আমি নিরাশার ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে বসে আছি নিরবে;
আমি নিঃশব্দে আঁকি নিজের জমে থাকা কথা।

আমি বন্ধু হতে চেয়েছি
আমি প্রেমী হতে চাইনি; আমি প্রেম চাইনি; তোর সঙ্গ চেয়েছি।
প্রেম তুলিনি শূন্য মনের ঝুড়িতে;
আমি ভাসতাম না এইভাবে শূন্যের তেপান্তরে।
যখন তোর মনটা থাকতো বিষন্নতার আঙ্গিনা; আমি হতাম তখন খুশির ঘাসফুল;
আমি দেয়াল হতাম নোনা জলের; তোর কষ্ট সেথায় কাটতো সাতার।
প্রেম আসতো পরির মতো,কখনও বা ভোরের আকাশের তারা;
সূর্য উঠলেই যার সারা।

আমি বন্ধু হতে চেয়েছি পেয়েছি তোর প্রেম;
আমি তো প্রেম চাইনি; চাইনি হতে আবেগের রঙ্গিন ফুল।
হেরেছি আমি জীবন খেলায় একটু একটু করে;
হয়ে আছি ভাস্কর্য।

পারিনি অনেক কিছুই, হয়তো পারতামও না, আমার আকুলতা ছিলো সামান্যতায়;
কারো বন্ধু হবো; সকাল আর সন্ধ্যের দুরত্বে নয় পুরো সময় আমার থাকবে তাকে ঘিরে।
কিন্তু হায় আমি নিরালায়; আমি দু’হাত তুলে ডাকি তোকে
বন্ধুত্বের যোগ-বিয়োগের খাতা খুলে তুই প্রেমের অংক কষতে চাস আমার গায়।
তুই বন্ধুর পথে প্রেম নিয়ে আছিস বসে; আমি তাই থমকে যাই
খুজে ফিরি সেই মানুষকে আমি হাতরাই সেই সুর আমার আকুলতা বলে,
দাড়াও পথিক তোমার আঁচলে একটু বন্ধুত্ব হবে কি ?
নাহ ;প্রেম চাইনা।
প্রেমের নীড়ে ডাকে তাদের দু’হাত পাশ কাটে যখন এক পক্ষকাল।
আবার ফিরে এসে দাঁড়াই সেই পথের ধারে;
যে পথে তোর স্পর্শ আছে;

তোর সামনে দাড়াবো হাতে রাখবো হাত।
তোর চোখ চাইনা;
আমি চলবো এক পথে তোর সাথে;
যে পথে থাকবে না বিরহ; থাকবে শুধু তোর আর তোর কথা
প্রেম নেবোনা বন্ধু তোর আকুলতা হোক সন্ধ্যে রাতের অনুভূতি;
থাকবো আমি তাতেই মিশে।

সময় করে কখনোবা মন খারাপ হলে পড়ে নিস রেখে দেয়া সেই চিঠিটা;
আমি প্রেমপত্র লিখতে পারিনি; হয়তো জানিনা ;
তাই সরল করে লেখা বন্ধুত্বের নদীতে ভাসা এক তরীর গল্প।
আমি আবেগের নদীতে সাম্পান ভাসিয়েছি, তবে সে আবেগ হার মানেনি ভালোবাসার স্রোতে।
আমি প্রেমের সাগরে বন্ধুত্বের জাহাজে তোকে নিয়ে ভাসবো।
আমি প্রেম চাইনা; তাই ডাকিস আমায় যখন নোনা জলের ভূবন থাকবে তোর চারপাশে
যখন বিরহী হতে চায় তোর মন বিষন্নতার নীল নদীতে।
না পারার দলে গিয়েছি ভীড়ে তাই থাকবো না তোকে ভূলে;
তুই তো গিয়েছিস প্রেমের সাগরে চলে।

আমি তবুও বসে আছি নিয়ে অনুভূতির তিক্ত আকাশ,
হয়তো আসবি ফিরে যখন থাকবেনা তোর আবেগের কোন টান।
রাত নামবে সন্ধের আঙ্গিনায়,ব্যাস্ততার শেষ হবে সেই রাতের গায়
যে রাতে আমার অনুভূতি তোকে ভীষন করে ভাবাবে
খুজে ফিরে কাঁদবি; একটা শূণ্যতা তোকে আকুলতা জাগাবে

বন্ধু তোমার বিষন্নতার আঙ্গিনায় আমি হবো খুশির ঘাসফুল

বন্ধু তোমার বিষন্নতার আঙ্গিনায় আমি হবো খুশির ঘাসফুল


প্রেম সে,তো চাইলেই পারি; আছে প্রকৃতির ভূবনে;
আছে চারপাশে হাওয়ার মতো; আছে উত্তাল তরঙ্গ হয়ে।
আমি নিরাশার ঘুড়ি আকাশে উড়িয়ে বসে আছি নিরবে;
আমি নিঃশব্দে আঁকি নিজের জমে থাকা কথা।
আমি বন্ধু হতে চেয়েছি
আমি প্রেমী হতে চাইনি; আমি প্রেম চাইনি; তোর সঙ্গ চেয়েছি।
প্রেম তুলিনি শূন্য মনের ঝুড়িতে;
আমি ভাসতাম না এইভাবে শূন্যের তেপান্তরে।
যখন তোর মনটা থাকতো বিষন্নতার আঙ্গিনা; আমি হতাম তখন খুশির ঘাসফুল;
আমি দেয়াল হতাম নোনা জলের; তোর কষ্ট সেথায় কাটতো সাতার।
প্রেম আসতো পরির মতো,কখনও বা ভোরের আকাশের তারা;
সূর্য উঠলেই যার সারা।
আমি বন্ধু হতে চেয়েছি পেয়েছি তোর প্রেম;
আমি তো প্রেম চাইনি; চাইনি হতে আবেগের রঙ্গিন ফুল।
হেরেছি আমি জীবন খেলায় একটু একটু করে;
হয়ে আছি ভাস্কর্য।
পারিনি অনেক কিছুই, হয়তো পারতামও না, আমার আকুলতা ছিলো সামান্যতায়;
কারো বন্ধু হবো; সকাল আর সন্ধ্যের দুরত্বে নয় পুরো সময় আমার থাকবে তাকে ঘিরে।
কিন্তু হায় আমি নিরালায়; আমি দু’হাত তুলে ডাকি তোকে
বন্ধুত্বের যোগ-বিয়োগের খাতা খুলে তুই প্রেমের অংক কষতে চাস আমার গায়।
তুই বন্ধুর পথে প্রেম নিয়ে আছিস বসে; আমি তাই থমকে যাই
খুজে ফিরি সেই মানুষকে আমি হাতরাই সেই সুর আমার আকুলতা বলে,
দাড়াও পথিক তোমার আঁচলে একটু বন্ধুত্ব হবে কি ?
নাহ ;প্রেম চাইনা।
প্রেমের নীড়ে ডাকে তাদের দু’হাত পাশ কাটে যখন এক পক্ষকাল।
আবার ফিরে এসে দাঁড়াই সেই পথের ধারে;
যে পথে তোর স্পর্শ আছে;
তোর সামনে দাড়াবো হাতে রাখবো হাত।
তোর চোখ চাইনা;
আমি চলবো এক পথে তোর সাথে;
যে পথে থাকবে না বিরহ; থাকবে শুধু তোর আর তোর কথা
প্রেম নেবোনা বন্ধু তোর আকুলতা হোক সন্ধ্যে রাতের অনুভূতি;
থাকবো আমি তাতেই মিশে।
সময় করে কখনোবা মন খারাপ হলে পড়ে নিস রেখে দেয়া সেই চিঠিটা;
আমি প্রেমপত্র লিখতে পারিনি; হয়তো জানিনা ;
তাই সরল করে লেখা বন্ধুত্বের নদীতে ভাসা এক তরীর গল্প।
আমি আবেগের নদীতে সাম্পান ভাসিয়েছি, তবে সে আবেগ হার মানেনি ভালোবাসার স্রোতে।
আমি প্রেমের সাগরে বন্ধুত্বের জাহাজে তোকে নিয়ে ভাসবো।
আমি প্রেম চাইনা; তাই ডাকিস আমায় যখন নোনা জলের ভূবন থাকবে তোর চারপাশে
যখন বিরহী হতে চায় তোর মন বিষন্নতার নীল নদীতে।
না পারার দলে গিয়েছি ভীড়ে তাই থাকবো না তোকে ভূলে;
তুই তো গিয়েছিস প্রেমের সাগরে চলে।
আমি তবুও বসে আছি নিয়ে অনুভূতির তিক্ত আকাশ,
হয়তো আসবি ফিরে যখন থাকবেনা তোর আবেগের কোন টান।
রাত নামবে সন্ধের আঙ্গিনায়,ব্যাস্ততার শেষ হবে সেই রাতের গায়
যে রাতে আমার অনুভূতি তোকে ভীষন করে ভাবাবে
খুজে ফিরে কাঁদবি; একটা শূণ্যতা তোকে আকুলতা জাগাবে

মঙ্গলবার, ৬ সেপ্টেম্বর, ২০১১

চাঁদের খুকী

চাঁদের খুকী [হিমুর জন্য]

-চাঁদের খুকী-
ওগো ফুলের মেয়ে !
ছোট্ট তোমার তনুখানি কি দিয়ে গো গড়া !
ভোরের নরম রৌদ্র দিয়ে ?
মেঘের ভেঁজা বাষ্প দিয়ে ?
কাঁশের পেলব পুষ্প দিয়ে ?
রামধনুকের বাহার দিয়ে ?
শরৎ-প্রাতের শিউলী দিয়ে ?
কার গুণে গো তুমি হলে এমন আদর-ভরা !

ওগো লক্ষ্মীসোনা !
মানিক-ঝরা এমন হাসি কোথায় পেলে তুমি !
পারিজাতের রূপ নিয়ে কি ?
ডালিম ফলের বীজ থেকে কি ?
রাতের বেলার ওই জোনাকী ?
ঝলকে ওঠা হিম কণা কি ?
অযুত তারার দীপ্তি নাকি ?
কিসে গড়া ওই হাসিটুক্ ভেবেই না পাই আমি !

ওগো ছোট্ট পরী !
কিসে এত স্নিগ্ধ হলো তোমার চোখের তারা !
স্বর্গ থেকে রশ্মি নিলো ?
শুভ্র চাঁদের জোসনা নিলো ?
পরীর দেশের স্বপ্ন নিলো ?
সোনা-বালির ঝিলিক নিলো ?
কোন জাদুকর মন্ত্র দিলো ?
কোথায় পেলে এমন মায়া ভেবেই হলাম সারা !

প্রজাপতি মেয়ে !
এমন কোমল ! কি আছে গো তোমার রেশম চুলে !
শ্বেত-কপোতীর পালক আছে ?
সাগর জলের শ্যাওলা আছে ?
শিশির ভেঁজা দুর্বা আছে ?
জারুল ফুলের কেশর আছে ?
শিমুল তুলোর সোহাগ আছে ?
কোন সে কারণ লুকিয়ে এই কোমলতার মূলে !

এতো কথার পরে ...
এতক্ষণে চাঁদের খুকী মুখটি তুলে বলে .....
মায়ের হাসি-মুখ দেখেছো ?
তার আঁচলে মুখ ঢেকেছো ?
মায়ের গায়ের ঘ্রাণ শুকেছো ?
মায়ের মুখের চুম খেয়েছো ?
মায়ের বুকে ঘুম গিয়েছো ?
তুমিও ঠিক এমনি হবে মায়ের আদর পেলে !!


[উৎসর্গঃ হিমু কে ]

তুহিন(সায়েমা আক্তার তুহিন) আপুর মেয়ে হিমু। ওকে স্বচক্ষে দেখি নি কোনদিন।
তবুও না দেখেই তো অনেক ভালোবেসে ফেলেছি! গতকাল এক নারীর কোলে
এক ছোট্ট শিশুকে দেখলাম ছবিতে। তাও সেই নারীর পিঠের দিক আর শিশু-র
শুধুই মুখটুকু। কি এক মায়ার বাঁধনে বাঁধা পড়ে গেছি, সেই কঁচি মুখের মায়া !

ছবিটা ছিলো আপু আর তার মেয়ে হিমুর।

হিমুর জন্য অনেক অনেক আদর, স্নেহ আর ভালোবাসা।

বৃষ্টি ভেঁজা দিনে

২৯ শে এপ্রিল, ২০১১ দুপুর ২:৪৯

Add caption

আজ বৃষ্টি ভেঁজা দিনে তার কথা মনে পড়ে
যার সাথে আর ভেঁজা হয় না
হবেনা হয়তো আর কোন দিন!

খুব বেশি কিছু না

বৃষ্টি হতেই তুমি চলে আসতে ঐ ছাঁদে
আর আমি এই ছাঁদে
মাঝ খানে হয়তো অবুঝ একটু হাসি
ঠিক হাসি নয় কি যেন
এত টুকুই
তবু কেন যেন মনে হত
আছি আমরা ঐক্যতানে
হাতে হাত রেখে তুমি আকন্ঠ ভিজছ বৃষ্টিতে
আর আমি তোমাতে।

বেশি দূর আর যাওয়া হল না আমাদের

তুমি ছিলে অন্নন্যা রায়
আর আমি রুদ্র হাসান
সংকীর্ণতার কাঁটা বিধল আমার পায়
আমি কিছুতেই আর এগুতে পারলাম না
তুমি বলতে চল পালাই
এই সমাজ সংসার ছেড়ে
দূরে কোথাও
যেখানে সাদা কাল আর নীল মেঘ
ভেসে চলে চুম্বনে
আমি বলতাম পাপ হবে

অচিরেই তোমার সিঁথিতে উঠল সিঁদুর

আর আমার পায়ের কাঁটাটা ফুটল এবার বুকে
বৃষ্টি হলেই তা টের পাই।

মেঘের ডাকে আজ বৃষ্টি কেঁদেছে

মেঘের ডাকে আজ বৃষ্টি কেঁদেছে

কাল রাত থেকে শুরু হওয়া
মেঘের কান্না, থামেনি আজও।
এই ক্ষণেও তা চলছে অবিরাম-
কখনও ঝড়ো,
আবার মৃদু কখনও।
বারান্দার কোণে বসা দাঁড়কাকটা
ভেঁজা শরীর ঝাপটা দিয়ে জানান দিচ্ছে
বর্ষার, বারবার।
মেঘের ডাকে আজ বৃষ্টি কেঁদেছে।
রাস্তার পাশে কাঁদা-জলে মাখামাখি
এক দঙ্গল বালক-
এলোমেলো পায়ে খেলছে ফুটবল,
দারুণ চিৎকারে তারাও জানান দেয়
অবিরাম বর্ষার।
কিংবা দূরের রাস্তার রিক্সাওয়ালা,
যখন অর্ধ-ভেঁজা তরুণীর সাথে করছে দরদাম
কাকরাইল থেকে পল্টন -
তাদের অবয়বেও বর্ষা পরিষ্কার।
মেঘের ডাকে আজ আবারও বৃষ্টি কেঁদেছে;
তাতে সব কিছু ভেঁজা,
ঈষৎ আর্দ্র সবার উপস্থিতি।
শুধু মনটা ভিঁজতে বাকি,
বর্ষা আসবে সেখানেও।
কেননা এমনি এক অফুরান বর্ষায়, তুমি
বন্ধু বলেছিলে আমায়!
এখনও কি বন্ধু ভাবো, যতটুকু
আমি তোমার হতে চাই।
মেঘের ডাকে আজ তাই আবারও বৃষ্টি কেঁদেছে।



শব্দের নিঃশ্বাসে রক্তের দাগ...........

শব্দের নিঃশ্বাসে রক্তের দাগ...........

১৩ ই জুন, ২০১০ রাত ৯:২২


হয়তো তুমি সুখে আছো
সুখী আলোর নিচে,
সুখের আকাশ পাইনি আজও
সে আশাও মিছে।

নতুন ভ্রমর হয়তো তোমায়
গান শুনিয়ে যায়,
ইচ্ছে আমার দূর নীলিমায়
পালাতে আজ চায়।

প্রেমের ফাগুন হয়তো তোমায়
তেমনি করে হাসায়,
নানা বর্ণের কান্নারও ঝড়
আমায় শুধু ভাসায়।

হয়তো তোমার বাগানে সেই
হাসনাহেনা ফোঁটে ?
এখনতো সেই ফুলের তোড়া
অন্য কারও জোটে।

তোমার মুখের হাসি হয়তো
এখনও তেমনি ঝরে,
হাসতে আমি ভুলে গেছি
নিজের ভেতরে মরে।

বুকটা আমার শুধু কাঁদে
কষ্ট ভেঁজা জলে,
দুঃখের সব সুখেরা এখন
কান্নায় টলমলে।

রাতের নিয়ন বাতিগুলো
তেমনি করে জ্বলে,
আঁধার শুধু আমায় খোঁজে
স্মৃতি ছায়ার তলে....