[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ১২ মে, ২০১২

সকলেই একা

 

সকলেই একা

 
শহস্র নক্ষত্র উঁকি দিয়ে যায় আকাশের বুকে,
দিন যায় রাত আসে ক্লান্তিহীন পথিকের মত;
বলে যায় কত কথা তার কানে কানে,
দিঘীর কালো জলে শুভ্র হাঁসের মত;
শ্রান্তিহীন সুখে ।
তবুও সবুজ মনে গভীর ক্ষত হয়ে থাকে,
চিরকাল অর্থহীন স্বপ্নের মত;
শৈশবের সুখগুলো নরম চোখের পাতায়--
আলো হয়ে হাথ বাড়ায়,
কৈশোর হারায় নিজে যৌবনের কাছে ।
যদিওবা ভালবাসা বন্ধুত্ব হৃদয় প্রেম;
সাগরের সফেঁন ঢেউয়ের মত আসে যায়--
থাকে পাশে পাশে,
জীবনের শুন্যতাকে ভরে দেয়--
তার স্নিগ্ধ নিঃশ্বাসে,
তবুওতো চিরকাল একা বেঁচে থাকা--
সকলের মাঝে থেকেও সকলেই একা ।

Valobashi Tomake By Sandhi Ft. Various Artist

Valobashi Tomake By Sandhi Ft. Various Artist

বৃহস্পতিবার, ১০ মে, ২০১২

নির্জন বন রাত জাগে পাহারায়।



নির্জন বন রাত জাগে পাহারায়।
অভিমানে বাতি নিভে গেল,আমার ঘরে এখন,
আঁধারের চাওয়ার মত রাত।
তোমার পা টিপে টিপে আসা, আঁধার গা ছুঁয়ে,
দুরু দুরু বুকে,অপেক্ষার প্রহর ভাঙ্গল এবার!
অভিসারের এমন,
জোয়ার বানে ভাঙ্গল বাঁধ,
অনৈতিক বাসনার প্রলুব্ধ চাওয়া।
আমার আঁধার ঘর অরক্ষিত, লুট করেছে চোর সিঁধ কেটে, ছিল খানিক পয়সা আনা থলেতে।
অভিসারের ভক্ষণে সব গেল খোয়া, মহুয়ার নেশার পিছনে, নির্জন বন রাত জাগে পাহারায়।
হৃদপিণ্ডের শব্দে জানান দেয়, আঁধারের শরীরে প্রাণের চঞ্চলতা, অন্ধকারে আঁশটে গন্ধ ভাসে।
ত্রিভূজ খালটায় বানের জল ঢুকেছে, মৌনতার অভিমান পরছে চুঁয়ে, স্বপ্ন খোয়ালো জোনাকির।
১৪১৯@২৬ বৈশাখ,‍ গ্রীষ্মকাল!

ঘুমের রাণী..


ঘুমের রাণী ঘুমাইতেছে
রেশম চাদর গায়ে,
কুসুম কোমল রোদের আদর
চুম দিয়ে যায় পায়ে ।
ঘুমের রাণী মুচকি হাসে
সুখের স্বপন দেখে,
চোখের পাতায় ঘুম জড়ানো
আবেশ আছে মেখে ।
চোখ খুলে চাও ঘুমের রাণী
দেখো তুমি মেয়ে,
তোমার তরে ভোরের পাখি
যায় কতো গান গেয়ে ।।

মন ভালো করে দেয়া একটি গল্প

মে ১০, ২০১২
অনেক কাল আগের কথা। একজন দরিদ্র লোক একটি দুর্গম পাহাড়ী এলাকায় পানি বহনের কাজ করত। তার দুইটি পাত্র ছিল, একটি লাঠির দুই প্রান্তে পাত্র দুটি ঝুলিয়ে কাঁধে নিয়ে সে পানি বহন করত। রোজ অনেকটা পথ তাকে হেঁটে পাড়ি দিতে হত।
দুটি পাত্রের একটি কিছুটা ভাঙ্গা, আরেকটি ত্রুটিহীন। পানি নিয়ে যেতে যেতে ভাঙ্গা পাত্রটি প্রায় অর্ধেক খালি হয়ে যেত। অপরদিকে ত্রুটিহীন পাত্রটি প্রতিদিন সুন্দরভাবে কানায় কানায় ভরে পানি পৌছে দিত। এভাবে দরিদ্র লোকটি রোজ তার মনিবের বাড়িতে এক পাত্র আর অর্ধেক অর্থাৎ দেড় পাত্র পানি পৌছে দিত।স্বাভাবিকভাবেই, ভালো পাত্রটি তার এ কাজের জন্য খুব গর্বিত ও আনন্দিত থাকত। অপরদিকে ভাঙ্গা পাত্রটির মন খুব খারাপ থাকত। সে খুব লজ্জিত আর বিমর্ষ থাকত। কেননা তাকে যে কাজের জন্য বানানো হয়েছিল সে তার সেই কাজ পুরোপুরিভাবে করতে পারছিল না।

ত্রুটিপুর্ণ পাত্রটি এভাবে অনেকদিন পানি বহনের কাজ করার পর একদিন আর সইতে না পেরে লোকটির কাছে তার ব্যর্থতার জন্য ক্ষমা চাইলো। সে বলে উঠলো, “আমি আমাকে নিয়ে লজ্জিত ও হতাশ, আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাই”। দরিদ্র লোকটি জানতে চাইলো “কেন তুমি লজ্জা পাচ্ছো” ?
“তুমি কত কষ্ট করে রোজ আমাকে বয়ে নিয়ে যাও, নদী থেকে আমাকে পানি দিয়ে পূর্ণ করে নাও, অথচ আমি তোমার মনিবের কাছে যেতে যেতে অর্ধেক পানি ফেলে দিই, আমার এক পাশে ফাটল, ঐ ফাটল দিয়ে অর্ধেক পানি ঝরে পরে যায়”।
লোকটি তার পাত্রটির প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করলো, বলল, “মন খারাপ করো না। হয়তো এর মাঝেও ভাল কিছু আছে যা তুমি এখন বুঝতে পারছো না”।
ভাঙ্গা পাত্রটি তবু তার অপরাধবোধ আর লজ্জা থেকে মুক্তি পেল না যদিও স্বান্তনার বাণী শুনে কিছুটা শান্তি পেল। মন খারাপ করে সে প্রতিদিনের মতো আজকেও লোকটির কাঁধে চড়ে পানি বয়ে নিয়ে যেতে লাগলো, আর পথ চলতে চলতে ফাটল দিয়ে চুইয়ে চুইয়ে পানি পরতে লাগলো, কান্নার সাথে মিলে মিশে এক হয়ে ঝরতে লাগলো। পাত্রটি পথে যেতে যেতে আশেপাশে দেখতে লাগলো, সবাই কত ভালো আছে সুখে আছে, কি চমৎকার রৌদ্রজ্জ্বল সকাল, পাহাড়ি পথের পাশে নাম না জানা কত শত ফুল ফুটে রয়েছে। সকালের রোদে, মন ভোলানো কোমল হাওয়ায় তারা হেলছে, দুলছে, খেলছে। “অথচ আমার মাঝে এত কষ্ট কেন” । পাত্রটি ভাবতে ভাবতে রোজকার মত আজও ধনী লোকটির বাড়িতে অর্ধেক পানি পৌছে দিল।
ফিরতি পথে আবারও তার ব্যর্থতার জন্য দরিদ্র লোকটির কাছে সে ক্ষমা চাইলো। তার মন খারাপ দেখে লোকটি একটু থেমে পথের পাশে ফুটে থাকা কিছু পাহাড়ি ফুল ছিঁড়ে এনে দিল তাকে। “দুঃখ করো না। আমি আগে থেকেই তোমার এ ত্রুটির কথা জানতাম, তাই যাবার বেলা প্রতিদিন তোমাকে আমার কাঁধের একই দিকে বয়ে নিয়ে যেতাম। আর যেতে যেতে তুমি তোমার ফাটল দিয়ে পানি ঝরিয়ে ঝরিয়ে যেতে, কখনো কাঁদতেও। এভাবে পথের এক পাশে তুমি প্রতিদিন পানি দিতে, দেখো পথের ঐ দিকে চেয়ে ! কত শত সুন্দর ফুল ফুটে রয়েছে ! তুমিই তো তাদেরকে পানি দিয়েছো,
অথচ পথের অপর পাশে চেয়ে দেখো! ধূলো পাথর ছাড়া কিচ্ছু নেই, কোনো ফুলও ফোটেনি”।

মঙ্গলবার, ১ মে, ২০১২

বৈচিত্র্য আশা


বৈচিত্র্য আশা

কত না বৈচিত্র্য মনের আশা আকাঙ্খা
যদি আপন আশা পূর্ণ হয়ে যায় সুখ আসে এ অন্তরে,
তাই এক ছত্র তপস্যা করি কবিতার মাধ্যমে
স্তব্ধতা ব্যাকুলতার সব অভিব্যক্তি যেন দূরে যায় ঝরে।
দিনে সূর্যের আলো আলোকিত হোক হৃদয়
বাতাস এসে দূর করুক মনের যত সংশয়,
আনমনে প্রকৃতি প্রতি মায়া জন্মাক মনে
আকুতি মিনতি সব ছুটিতে যাক নির্জনে।
ভোরের রোদ আর দুপুরের রোদের মাঝে
প্রখরতায় কোন রকম পার্থক্য থাকে নাযে,
সন্ধায় যখন সূর্য ডুবে পশ্চিমে ধীরে ধীরে
বারবার আমার পানে যেন চায় ফিরে ফিরে।
নিশি তে মন আমার কাব্য রুপ করুক ধারণ
দুঃস্বপ্নরা কোন ভাবে যেন ঘুম না করে হরণ,
তারারা আকাশ আলোকিত করুক মিছিলে
চাঁদ আমায় ইশারা দেক এক স্বপ্ন মই ফেলে।
পূর্নিমা আর অমাবস্যা সব এক হয়ে গিয়ে
রাতের নতুন রুপ নেমে আসুক ধরা বেয়ে,
জোনাকি খুঁজুক আমায় নীলাভ বাতি জ্বেলে
রাতের পাখি ডাকুক আমায় গানের তালে।
হৃদয় চাইলে কি সবাই আমার কথা শুনবে
রূপসী প্রকৃতির এ আদি রূপকে কখনো কি বদলাবে ভুবন,
তবু মন আশা করে যায় ছোট বড় অনেক
আশা অপূর্ণ থেকে যায় তবু থেমে থাকে না চলছে এই জীবন ।