সে দৃশ্য দহনে জানিনে ছিল কতখানি প্রকাশ, নীরব কান্নায় ভুলে তবু দেখেছি আমায় নিয়ে উপহাস ।
কখনো ভিড়ে প্রশ্নখানি ছুঁড়ে,আজও ঘাসের উপর দুই হাঁটুতে চিবুকের আদর ---উত্তর অপেক্ষার ডাক ।
ঠিকানার ভুল বা তোমার তদন্তের ভিড়ে জেরবার, মন বলে ডেকেছিলাম কি যায় বা আসে তাতে, কোনও দিন তারই পরা ধোঁয়া আমায় কালি মাখাতে, ছুটবে আমার নিশান ধাওয়ায়, সমাজের ক্রোশ উপেক্ষায়; অন্ধ করে দৃষ্টি তোমার শরীর নামক বস্তু ---হাতড়াতে আবার ।
থামতে গেলে লাগে অনুমতি নিয়ম ভাঙার ভয়, কেউ ছন্দের অভাব বলে পুড়িয়ে দেবে এ কবিতার আর ক্ষয় ।
কেন শুধু ছায়া হয়ে পিছু আমার কেন তবে তাঁর বক্ষ নিরাকার ? কেন শূন্য গুপ্তধনের দ্বার, গর্ভের একি বিভীষিকা ---কেন এ আর্ত অঙ্গীকার ? কলমে কেন চলে শব্দ সে আমার জেদে, নিয়মে কেন বলবত তুমি বিস্মৃত অঙ্গ বিচ্ছেদে ।
ক্ষেদ শুধু দেওয়াল ঘড়ির মিছে কথা বলেছিল কেউ সে তো জানতনা আবর্তের মাঝে নেই ---তাঁর এগিয়ে চলার কেউ ।
প্রহেলিকা--যত্ন করে ভালোবাসো -----শব্দ করে নয়, তাকে দুমড়ে মুচড়ে ফেলোনা,-----দাবীর বিছানায়। যদি রোদ ভালোলাগে -----তাকে দাও আলো, যদি চাঁদের রঙে আচ্ছন্ন হও -----পড়াও তাকে কালো। তাকে বুঝতে দাও, কেমন -----ভাঙবে সে শিকল, তাকে জানতে দাও, কেমন -----নেবে তোমার আগল। সে মায়া, সে কায়া, মিথ্যে -----এসব দিওনা নাম তার, সে যে ভীষণ অভিমানী, -----মান ভাঙানো দায়সার। সুখের অবয়ব সাজাও যত্নে -----সুখ তবে ধরবে কি, সে যে বড়ই বাঁধন ছাড়া -----ধরলেই দুখ বাদবাকি। তুমি আলিঙ্গন হও, -----হও চুম্বন, তুমি ভাবনা হয়ে ঘেরা আমায় -----হও হৃদস্পন্দন...।।
আমার অনুরাগে দহন হয়ে কখনো থমকে দাঁড়াতে পারো; তাতে পরে থাকা ব্যথার কুড়িয়ে চলতে থাকা ব্যায়াম, পরের পৃষ্ঠায় স্বাগমন ধারণ করতে পারে । সেখানে কোথাও বহুযুগের তোমার উপোষ ভাঙ্গতে পারে, আমার -- নিরামিষ দাঁতে । রং দিলেই যদি নাম বদলায় তাহলে আমার অঙ্গে আগুন জালিয়ে পথ দেখার ব্যবস্থাপনায় বিরত থাকতাম, বরং, আবেগের ভড়ং দেখার জন্য, কাল-কুঠুরির রাজা সেজে গোটা ছাদ টা জয় করতে নামতাম না । আমার পায়ে রোদ সইল না, রাজত্ব গেল তাই, আমার আগুন জলে মন সাদা হল না, রাজকন্যাও রঙিন জলছবি তাই । আমি শুধু প্রান্তদেশের পটুয়া, লিখছি হলুদ রঙের গান, খাতা কলমের ভিড় করা আবদারে খিড়কির বাইরে, ঝুলন্ত অর্ধেক ছাদে, আমার জলসা নামে পায়রা নাচে, আজ ---- আমি রাজা পূর্ণ পোষাকে ...।।