[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ১৪ আগস্ট, ২০১২

উনিশ নম্বর বেড



উনিশ নম্বর বেড
 
মিষ্টি ঠোঁটের কোনে এখনও ঝুলে আছে
এক অসহায় প্রশ্ন
আমি কি করেছিলাম?
বোকা মেয়ে,
তুই যে না বলেছিলি
বুঝিস নি গর্বিত পুরুষ কখনও না
সহ্য করে না।


তাই তার উন্মত্ত ক্রোধ
বৃষ্টির মত নেমে এসেছিল
ছুরির আঘাত হয়ে
তোর বুকে।


আর একটু পরেই কেউ এসে
খুলে ফেলবে সব নল
ঢেকে দেবে ময়লা কাপড় দিয়ে।
কাপাড়ের আড়ালেও কি ভাববি?
কি ছিল তোর অপরাধ?
বোকা মেয়ে,
তুই যে না বলেছিলি।

রবিবার, ১২ আগস্ট, ২০১২

ভাবের বিজ্ঞাপন

 

ভাবের বিজ্ঞাপন

 

কেমন আছিস? নিশ্চিত ভাল তুই!
শহরের কতশত ঝুট-ঝামেলার পর আমরা ক'জন আজও দাঁড়িয়ে থাকি। এখনও সেই আগেরই মত স্বপ্ন আঁকি তোর বাতায়নে। রুদ্ধশ্বাস চোখের পলক, মন ছুটে যায় অসীম দূরত্বে শুধু তোর দিকে তাকিয়ে। কারো টিউশনির তাড়া কারো বা ক্লাস যায় যায় আর কারো হয়তো মেসের বাজার করার সময়। ঠিক তখনই উলট-পালট হয় সকাল-দুপুর-বিকেল। সময়ের সঙ্গে মনের দর কষাকষি চলে। এক পলকে মিনিট-সেকেণ্ড চলে কিন্তু আমাদের স্বপ্ন গড়ায় দুরন্ত দ্রুততায়। ইচ্ছায় আর অনিচ্ছায় আমাদের চোখ হাঁটে। একটি বৃদ্ধ অশ্বত্থ গাছের পাশের ব্যালকনিতে। লক্ষ্যহীন চোখের বিচরণ তোর বেশ ভাল লাগতো জনতাম। কিন্তু সেই তোর ভান করার ছলে আকাশ ছিল ভাবের ঠিকানা । সেই তুই ছিলে আমাদের ভাবের বিজ্ঞাপন। কর্পোরেট তুই! দিনান্তে তোর মুখশ্রী হয় আমাদের পাড়ার বিলাসী রঙ্গ। পুড়ে পুড়ে ছাই হয় স্বপ্ন। পুড়ে যাওয়া স্বপ্নের মরুভূমিতে উজ্জ্বলতর কিছু সময় কিছু মনের লেনদেন। এটাই বা নেহাত কম নয়?

শনিবার, ১১ আগস্ট, ২০১২

ফেসবুক কাব্য

 

ফেসবুক কাব্য

১.
আমার হিংসুটে ভালোবাসা। ভালো থাকিস।
অকারণে জল ফেলিস। পারলে মুছে নিস আঁচল দিয়ে। বন্ধি করিস আমার আবেগ। বশ করে নিস অনুভূতি। বিচরণ করিস মনেরও বাতায়নে……তুমুল চেষ্টায় সারাতে না পারলে উঁকি দেবো হৃদয়ের টানে।

২.
মিনতি করি সব ভুল আমারই ছিল। সব বিনয় সব আবেগ সব জয় আমারই ছিল। ভুল ছিল সব আমার স্বীকার করে নিচ্ছি। এসবের শুধু অর্থবোধক মান আছে কিন্তু সম্মান নেই এই পৃথিবীতে। নিজেকেই নিজে ধিক্কার দেই। মাথা তুলে দাঁড়াবার প্রাণপণ চেষ্টা করি।

৩.
এখনও অস্থির না কেন?
শ্রাবণ এসে দু’দিন অতিক্রম করেছে। আষাঢ় অতিবাহিত হল। টেরই পেলাম না। বর্ষায় যদি আবেগ জমাট না বাঁধে মনে। তাহলে কিসের বৃষ্টি আর মেঘ। বর্ষায় যদি নীল আঁচল সুভাস না ছড়ায় । বিচ্ছিরি মেঘের দল আর বিরক্তিকর বৃষ্টির জল। আবেগে সবুজ পাতার এক ফুটো জলও হয়ে যায় রঙ্গিন প্রজাপতি। আর জলে সিক্ত তুমি হও জীবনের ক্যানভাস।

নিরব দহন


নিরব দহন


প্রতিটি বিকেল বেলা-
পশ্চিমে যখন দিনের সূর্য ঢলে
তুমি এসে বসে থাক রূপালী নদীর তীরে
ঐ শ্যামল বটের তলে।
সূর্যের লালী মেশা জলে হয়তো
এঁকে যাও কোন কল্পনার প্রতিচ্ছবি।
বাতাসে উড়ে তোমার চুল
নদীর তরঙ্গ উছলে উঠে
তোমার বুকে হয়তো জাগে অজানা প্লাবন।
আমি তখন এই পারে বসে-
তমাল তরুর তলে
ছড়িয়ে দুখানা পা,
বাঁশিতে তুলি সুরের গীতাঞ্জলি
আনমনে গেয়ে যাই অজান্তে
অচেনা তোমারই নাম।
তুমি চেয়ে থাক অপলক
সুরের তরঙ্গে কেঁপে উঠো
শিহরন জাগে তোমার রক্ত স্রোতে।


সাঁঝের মায়ায় মায়া বনে একাকী তুমি
ঝড়াও মায়ার জালে।
তারপর সাঁঝের ছায়ায় যখন আঁধার নেমে আসে
অস্পষ্ট হয়ে যায় আমার প্রতিচ্ছবি
থেমে যায় আমার সুর-
তুমি ফিরে চল ধীর পায়ে।
চাওয়া পাওয়ার দ্বন্ধে অশ্রু ঝরাও
বিরলে বসে কাটাও নিঝুম রাত
কখনও নিদ্রার কোলে।
দিন কেটে যায়
কেটে যায় প্রতিটি বিকেল
আমি তবু দেখিনি তোমার বিরহ যাতনা
দেখেছিল শুধু আমার অন্তরাত্মা।
 


তুমি যখন আজ উঠে দাঁড়ালে
উড়লো আঁচল, উড়লো তোমার চুল
ধ্যান ভাঙ্গলো আমার বাতাসের ঝাপটা লেগে;
মন হল- কে জানি আপন
ছুঁয়ে গেল তনুমন।
তুমি চেয়ে রইলে অপলক আমার পানে
তারপর পা বাড়ালে
দু’হাতে অশ্রু মুছে
আঁধারে মিশে গেলে।
আমি চেয়ে রইলাম তোমার পথের পানে
অজান্তে উঠলো কেঁদে আত্মা আমার
বাতাসেও হু হু শব্দ জাগে
হয়তো তোমার আত্মার ক্রন্দন
শুনা হয়নি এতদিন
হয়তো ছিলাম অচেতন।


রাত নেমে এলো
নেমে এলো আমার বুকে
তোমার সহস্র দিনের নিরব যাতনা
প্রতীক্ষার প্রহর গুণা।
শেষ হয়না তবু নিরাশার এ রাত-
আশঙ্কা বুকের মাঝে উঁকি মারে
আবার কি আসবে তুমি এই পথ ধরে
বসবে কি আবার শ্যামল বটের তলে।
যদি আর না আস ফিরে
কি করে কাটাব এ জীবন
প্রতিটি বিকেল তবু বসে রইব প্রতীক্ষায়।
না- এ হবার নয়
জানি তুমি আসবে আবার ফিরে
গোধূলি রঙ্গ মেখে,
আমি তখন কাণ্ডারি সেজে
ভিড়াবো আমার তরী
ঐ শ্যামল বটের তলে,
হবো তোমার পাণিপ্রার্থী।
তুমি কি দেবে তখন দুহাত বাড়িয়ে?

শুক্রবার, ১০ আগস্ট, ২০১২

শে


শে
...



বসে বসে সময় গুনি
কখন যে বেরিয়ে গেছো তুমি

কখন যে চাপা পায়ে
শব্দ না করে, না-তাকিয়ে
অথবা না-তাকানোর চে’ আরো বেশি উপেক্ষা
আরো বেশি অভিমান ...

কখন যে চাপা পড়ে, গেছে হারিয়ে
যে সর্বনাম-প্রিয়
শে

পরিস্থিতি


পরিস্থিতি
..........




তোমার শরীর নরোম, এত্তোটুকু
নুয়ে আসে;
আগুনে ঘি ঢেলে বাড়তে দিই তাকে
আগুন পোহাই

আমি দূরত্বে নতজানু
অলস, বিভ্রান্ত।