ishq ne issko choda dard ne issko maara... - 2
kya kare dil bechara - 2
haal-e-dil jab na jaane jaan-e-man dil bar yaara - 2
kya kare dil bechara - 2
haan ab hai gumshuda raat hai ajnabi
ruthde jazbon ki baat hai ajnabi
khawahishein hai deewani chahatein hai aawara
kya kare din bechara - 2
roke se na ruke kaisa armaan hai
har ghadi aaho main kaisa tufaan hai
pays ki maujo ko jab mile na kinara
kya kare dil bechara - 5
আমার ব্যথাগুলো আরো ব্যথা নিয়ে মেঘ হয়ে চেপে গেছে চোখে আমি ভালো নেই.....
[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]
রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১২
Kya kare Dil Bechara
শনিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১২
এইতো আমি
এইতো আমি
বহু দূর থেকে সমুদ্র জলের প্রবল ঢেউ এসে আছড়ে পড়ছে তীরে । ঢেউ প্রবাহের একটি গর্জন বার বার কানে এসে আঘাত হানছে সমুদ্রের ঐ অস্থির ঢেউগুলোর মত । কী অস্বাভাবিক তার কণ্ঠস্বর!
প্রবল বাতাসে নিজেকে একটি বায়ুশূন্য বেলুন বলে মনে হয় । ভয় হয়, কখন যে আবার এই হিংস্র বায়ু প্রবাহ আমাকেও ভাসিয়ে নিয়ে যায় ।
পশ্চিমে আকাশ আর জলের পার্থক্যটা ঠিক ধরতে পারছি না । কখনো মনে হয়, কই না-তো, এখানে কোনই আকাশ নেই, শুধুই সমুদ্র; পরক্ষনেই মনে হয়, কোথায় জল? কোথায় সমুদ্র? পুরটাইতো বিস্তৃত আকাশের একক সম্রাজ্য!
সে যাই হোক, হয়ত আকাশ, নয়তো সমুদ্র, নয়তো এদের মিলনে এসে অপ্রত্যাশিতভাবে যেন এক আগন্তুক নিজের পাওনাটুকু দাবি করে বসল । এই আগুন্তুকের নাম সূর্য । সূর্য এসেছে গোধূলির দাবি নিয়ে । নিজেকে ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা আকাশ আর সমুদ্রের মাঝে । সমুদ্রইবা কেন মেনে নেবে সূর্যের এই একগুঁয়ে দাবি । সমুদ্র তাকে একটু একটু করে নিজের পেটে পুরে নিচ্ছে আপোষহীন ভঙ্গীতে ।
আমার আশেপাশে আর কেউ নেই । সেন্টমার্টিনে একটি পাথর খণ্ডের উপর দাঁড়িয়ে আছি । হাল্কা জলের মাঝখানে পাথরটি আমাকে বহন করে অনড় হয়ে আছে । হঠাৎ হঠাৎ দূর থেকে প্রচণ্ড বেগে ছুটে আসা ঢেউগুলো পাথর খণ্ডে বাঁধা পেয়ে তীব্র শব্দে কাঁপিয়ে তুলছে আমাকে সহ পুরো পাথরটি । কিছু জল পাথরে ছিটকে এসে প্রতিবারে আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত ভিজিয়ে চলছে ।
আমার নীল রঙের শাড়িটা সমুদ্রের জলে ভিজে জুবুথুবু হয়ে আছে । আমার পায়ের নূপুরগুলো রিং ঝিন শব্দে নেচে উঠছে কখনো কখনো । খুব সেজেছি আজ । ঠিক তুমি যেমনটি চাইতে । এই যে কপালের লাল টিপ!
তুমি বলতে, নীলিমা, নীল শাড়িতে তোমায় অপূর্ব লাগে! মনে হয়, ঐ আকাশ থেকে কিছু নীল এলো বুঝি আমার জন্য!
মনে আছে?
আমি বলতাম, তাহলে আমি কে?
তুমি বলতে, তুমি কেউ না । তুমি আমার মনের আকাশ! আমার নীল রঙের আকাশ! আমার মনের পৃথিবীতে একটি নীল আকাশ আর একটি সমুদ্র আছে । নীল আকাশ আমায় বাঁচার প্রেরণা দেয় । আমায় স্বপ্ন দেখায় । আর ঐ যে সমুদ্র! আমাকে অশরীরীর মত রাত জাগায় । স্বপ্ন দেখে ফেলব ভেবে, রাতে ঘুমোতে দেয় না । সমুদ্র বলে, মৃত্যুই নাকি আমার স্বপ্ন! বেচে থাকা আমার দুর্ভাগ্য! নীল আকাশ ও সমুদ্র একই সাথে আমাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে । আমি বড় কষ্টে আছি নীলিমা! আমি কাকে বেছে নেব, আকাশ না সমুদ্র?
আমি বলতাম, চুপ করতো, এসব কী! তোমার শুধু একটি নীল আকাশ আছে ।
যদি শুধু একটি সমুদ্রই হয়!
কথাটি বলেই তুমি অস্বাভাবিক ভঙ্গীতে হাসতে । আমি বোকার মত তোমার দিকে তাকিয়ে থাকতাম । এই হাসির অর্থ কতো খুঁজেছি!
তুমি চাইতে, মৃদু বাতাসে আমার চুলগুলো যেন মুক্ত পাখির মত উড়িয়ে দেই । সেই মৃদু বাতাস তুমি প্রান ভরে টেনে নেবে তোমার ফুসফুসে । দূষিত বায়ু নাকি তোমার ভেতরটা জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে ভস্ম করে চলে দিনরাত ।
আমি বলতাম, কী-যে অদ্ভুত কথা বলনা তুমি!
দেখো, আমি তোমার সমুদ্রে এসে চুলগুলো উড়িয়ে দিয়েছি । যেন এদের উপর এখন আর কোন দাবি নেই আমার । চুলগুলো যখন মুক্তির আনন্দে বাতাসের সাথে ভেসে চলে তখন নিজেকেও একটি উড়ন্ত পাখি মনে হয় অথবা আকাশের একখণ্ড ছন্নছাড়া মেঘ । কিন্তু কোথাও যেন আটকা পড়ে আছে এই উড়ন্ত পাখিটি কিংবা মেঘপুঞ্জ!
আমি নীল আকাশ হয়ে তোমার সমুদ্রকে বড় হিংসে হত । তোমার বনের এক রাজা হতে ছেয়েছিলাম আমার এক আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে; এক বনে দুই রাজা থাকতে নেই ।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুমি সমুদ্রকেই কাছে টেনে নিলে । সমুদ্রের টানে তুমি চলে এলে সুদূর সেন্টমার্টিনে । এক বারও ভাবলে না, তোমার নীল আকাশের কথা । অথচ তোমার নীল আকাশটি, তোমার রঙে নিজেকে রাঙিয়ে আজ সবকিছু ছেড়ে তোমার কাছে ছুটে এলো ।
এবার নীল আকাশটাও যে সমুদ্র হতে চায়! কিন্তু কোথায় তুমি?
নীলিমার শেষ কথাটি বায়ু তরঙ্গে মিশে দূর দূরান্তে ভেসে চলল । কোথায় তুমি???
সমুদ্রের গর্জন, বায়ু প্রবাহ যেন তাদের নিজস্ব কণ্ঠস্বর পরিবর্তন করে একটি অস্পষ্ট কণ্ঠে বলে উঠল, এইতো আমি!!!
(সমাপ্ত)
শুক্রবার, ৩১ আগস্ট, ২০১২
তুমি অমানুষ..
তুমি অমানুষ
আবার এসো,
আমাকে জ্বালাতে
আবার এসো,
আমাকে কাঁদাতে
আবার এসো,
আমাকে কষ্ট দিতে
আবার এসো,
আমাকে একা রেখে যেতে
আবার এসো,
মন ভেঙ্গে দিতে
আবার এসো,
স্বপ্ন গুলো মুছে দিতে
কারন যে তোমাকে ভালবাসে
সেই সব অসহায় - বঞ্ছিত মানুষের জীবন আর
হৃদয় নিয়ে খেলাতেই তোমার আনন্দ।
তুমি নিষ্ঠুর, তুমি প্রতারক, তুমি অমানুষ।
তুমি মা-বাবার যত্নে - আদরে গড়া কু -সন্তান।
তুমি সুস্থ সমাজ আর সুস্থ জীবন নিয়ে চলার অযোগ্য।
তোমাকে নিয়ে গর্ব করার এ জগত সংসারে কেউ নেই।
ধিক তোমায় ধিক। তোমার জন্ম বৃথা - কর্ম বৃথা।
বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট, ২০১২
আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম
আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম
জানালার পর্দাতে অন্ধকার দুলে ওঠে
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জোনাকীর আনাগোনা;
বিছানারা ডাক দেয় আয় আয়
তারপর; শুধু লেনাদেনা।
রাত্রির গায়ে আরেকটু গাঢ়তা আঁকে মেঘ
আমার আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম
তোমার লুলিত নদী দিলে ইশারা
ধ্যান ভাঙ্গে তার জলের রসম।
তুমিই প্রাণের কুটুম ভাঁজের কসম!
ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জোনাকীর আনাগোনা;
বিছানারা ডাক দেয় আয় আয়
তারপর; শুধু লেনাদেনা।
রাত্রির গায়ে আরেকটু গাঢ়তা আঁকে মেঘ
আমার আঙ্গুল জানে ভাঁজের নিয়ম
তোমার লুলিত নদী দিলে ইশারা
ধ্যান ভাঙ্গে তার জলের রসম।
তুমিই প্রাণের কুটুম ভাঁজের কসম!
তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা
তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা
অগাষ্ট ৩০, ২০১২ |
কখনো আমি কখনো বা তুমি
এক হয়ে মিশে যাই অলৌকিক সহবাসে।
তোমার সর্বাঙ্গে বহমান হয়ে,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে এঁকে দেই কালের চিহ্ন
সূর্যাস্তের বিনীত প্রস্থানে।
তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা,
তোমার লোহিত কণায় আমার লোহিত কণা
মিশে একাকার হলে, তোমাকে ভেঙ্গে গড়ি
আগামি সুখদ।
তুমি সলজ্জ্ব চোখে আরো বেশি ছুঁয়ে দিলে
দেখি ভোরের শিশির চেয়ে অপলক
বিনম্র লাজে করে মাখামাখি সবুজ পত্রে;
পল্লবে এভাবে প্রেমের প্রতিমা গড়ি
কি দ্বিধায় লাজে; আমাদের অলৌকিক সহবাসে।
এক হয়ে মিশে যাই অলৌকিক সহবাসে।
তোমার সর্বাঙ্গে বহমান হয়ে,
প্রতিটি নিঃশ্বাসে এঁকে দেই কালের চিহ্ন
সূর্যাস্তের বিনীত প্রস্থানে।
তোমার অণুচক্রিকায় আমার অণুচক্রিকা,
তোমার লোহিত কণায় আমার লোহিত কণা
মিশে একাকার হলে, তোমাকে ভেঙ্গে গড়ি
আগামি সুখদ।
তুমি সলজ্জ্ব চোখে আরো বেশি ছুঁয়ে দিলে
দেখি ভোরের শিশির চেয়ে অপলক
বিনম্র লাজে করে মাখামাখি সবুজ পত্রে;
পল্লবে এভাবে প্রেমের প্রতিমা গড়ি
কি দ্বিধায় লাজে; আমাদের অলৌকিক সহবাসে।
এতে সদস্যতা:
পোস্টগুলি (Atom)