[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

শ্রীহীন কাফনে জড়িয়ে 'মানবতা'


শ্রীহীন কাফনে জড়িয়ে 'মানবতা'


নির্লজ্জতার মিছিলে্র পদতলে নিষ্পেষিত
হয়ে থেতলে যাওয়া মানবতার লাশ আর
রাজপথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাল রক্তের
কলঙ্ককে আমাদের অভিধানের ভাষায় গণতন্ত্র
বলি; এই গণতন্ত্রের জন্যই দিতে হয়েছিলো
আমাদের ত্রিশ লক্ষ বুকের রক্ত; আর হারাতে
হয়েছিলো অজানা অনেক মা-বোনের সম্ভ্রম।


স্বাধীন দেশ এখন লুটেরাদের লুণ্ঠনের কোষাগার;
যেখানে নেতা হতে পারলে হওয়া যায় রাতারাতি
কোটিপতি, কেড়ে নেয়া যায় অসংখ্য নিরীহ
মানুষের মুখের আহার।


শ্বাপদ বা হিংস্র জন্তু দেখার জন্য
এখন আর অরণ্যে যেতে হয় না;
হীন স্বার্থে তাদেরকে অতি যতনে
লালন করা হয়; আর যারা এদের
লালন করেন, তারাই এখন দেশ
বরেন্য নেতা।


সিংহের আহার কেড়ে নেয়ার জন্যই
ওদের ব্যবহার করা হয়।
ওদের জন্য এখন উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা
করা হয়। তবে তারা শিক্ষিতের নামে
জাতীর কলঙ্কই বয়ে আনে। এজন্য দেশের
নেতাদের কোন লজ্জা অনুভূত হয় না।


কারণ লজ্জা কী জিনিস এটার উপলব্ধি
তাদের নেই। তারা জানে ক্ষমতাকে আক্রে
ধরে রাখতে হলে প্রতিপক্ষের খুনে রাজপথ
লাল করতে হবে; তাতে আবার কিসের লজ্জা!
তাদের অভিধানে মানবতা নামক শব্দটা
এখন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।

জীবন

 

জীবন




জীবন মানে যুদ্ধ
গোলা বারুদ আর মিসাইলের শব্দ
ধোঁয়াটে আকাশ তামাটে নক্ষত্র
জীবন মানে
শিশির ভেজা স্নিগ্ধ ভালবাসা
সুখের হাত চানি
নতুন সূর্য উদয়
জীবন মানে
হাতে হাত রেখে দূর বহু দূর
ভালো লাগা মন্দ লাগা
জীবন মানে
জীবনের পাওয়া না পাওয়া
হিসাবের খাতা
জীবন মানে
সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা ঢেউ
ফিরে না পাওয়ার বেদনা
জীবন মানে স্মৃতি
ফেলে আসা শৈশব
নাটাইয়ের সুতায় আকাশে উড়া
জীবন মানে
ডাষ্ঠবিনের এক টুকর রুটি
ক্ষুধাতুর মানুষের যন্ত্রণা
জীনব মানে
বসন্তের পড়ন্ত বিকালে
কিশোর কিশোরীর উচ্ছাস
জীবন মানে
শিল্পির ক্যানভাসে রংয়ের ছড়াছড়ি
জীবনের বহির প্রকাশ।

সোনালী দিনের একটু পরশ

 

সোনালী দিনের একটু পরশ

 
বহু দনি বহু সময় পর
রঙধনুর আলোয়
দগিন্ত প্রসারতি মাঠরে সবুজ গালচিায়
যখন শষে বকিলেরে আলোক ধারা নভিু নভিু
তখন তোমাকে পলোম

জীবনরে চারপিাশে যখন বক্ষিপ্তি ছড়ানো
মাকড়সার জাল
আঁধারে ঢাকা শয়ন কক্ষে
আবারো আয়োজন ফুল শয্যার
চাঁদরে মষ্টিি আলোর বছিানায়
পরশিষেে তোমাকইে পলোম

ফসলহীন মাঠে যখন কৃষকরে হাহাকার
ঘাসহীন প্রান্তরে
রাখালরে শরীর বয়েে যখন ঘাম শুকয়িে লবণ ঝরে
আকাশে এক টুকরো মঘে ও এক পশলা বৃষ্টি নয়িে
তখন তুমইি এলে আমার পাশে

র্সূয ডোবার গোধুলি আলোয়, শরীররে ভাঁজে ভঁজে
রঙধনুর সাতরং ভারী বোঝা মনে হয়

সন্ধ্যা তারার ঝলকানি শষেে
মষ্টিঘিন সুখকর মূর্হুতে
হাহাকার প্রান্তরে
তুমইি এলে
সোনালী দনিরে একটু পরশ নয়িে

কাদা!

কাদা!

মশাই, মুখে যতই বলুন না কেন কাদা এড়িয়ে চলি, কিন্তু মাটির মানুষ আমরা, আর তাই বলেই বুঝি মাটির প্রতি, কাদার প্রতি আমাদের সহজাত, দূর্বার আকর্ষণ। কাদা নিয়ে খেলি, কাদা গায়ে মাখি, কাদা ছুঁড়ি- মাটির মানুষ মাটির সাথে মাখামাখি, মাটিতেই ফিরে আসি। আরে, আগে এভাবে ভেবে দেখেননি কখনও? কি বলছেন গুরু !!!! জলকেলি নয়, নয় মাছাক্কেলিও ….এখনই বরং হয়ে যাক একটা কাদা-কেলি; আসুন তবে দেখে নিই কিছু কর্দমাক্ত আবাল-বৃদ্ধ-বণিতাদের।

সেই নার্সারি থেকে শুরু!

আহা! কি আনন্দ কাদাতে-কাদাতে !

রেডি-সেডি….গোওওওওও!

খেলা শুরু !

ইয়েসসসস!

গাধা নাকি জল ঘোলা করে পানি খায়! আর মানুষ ….?

মৃৎশিল্প…!

ইয়ে! মানে… !!! এটা আসলে একটি নেপালি উৎসব । প্রতি বছর জাতীয়ভাবেই পালন করা হয় ফসল বোনার সময়কালে।

ওরে কাদাই কাদা ! ….ওরে মজ্জাই মজাআআআ !
ব্লগার স্পেশাল: ব্লগিয় কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি নিয়ে একটি কাদা-কাদা প্রতিবেদন

কাদা সম্পূর্ণরূপে তৈরী…কোন এক ব্লগারের কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির প্রস্তুতি …

এই ব্লগার কাদার সাগরে এতোটাই মাখামাখি যে তাকে চেনাই যাচ্ছেনা ঠিকমত ! তবুও আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চোরা-কাদা থেকে বার হয়ে আসতে ..কিন্তু সফল হবেন কি???

একজন উল্লসিত ব্লগার…বোঝাই যায় কাদা ছোঁড়াছুঁড়িতে ইনি বিজয়ী হয়েছেন …!

এরা হলো সাধারণ ব্লগার ! যারা কখনো কিছু বলতে চায় কিন্তু বলেনা, কখনো এড়িয়ে যেতে চায় আবার তাও পারেনা! কেউ উঠে দাঁড়াতে চায়, কেউ শুধু তাকিয়েই খেলা দেখে…………….. অবস্থানগত দূরত্ব এবং নৈকট্য যতই হোক না কেন কাদার ছিটে এদের গায়েও খানিকটা লেগেই যায়!



হোলি কাদা

রবিবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কান্না আসেনা আর

 

কান্না আসেনা আর....

 
অনেক কেঁদেছি তাই, আর কাঁদতে চাইনা;
সত্যি বলতে কি কান্না আসে না আর......
বুকের উপর পাথর চাপা,
চোখের কোনে জল জমা.....
প্রিয়জনকেও হারিয়ে আমি কাঁদনি একবার.....
কি আর বলি, সত্যি কান্না আসে না আর........
 
অনেক কষ্ট পেয়েছি,অনেক দুঃখ বুয়েছি;

তবুও দোষদেইনি অদৃষ্টকে একবার.......
সত্যি বলতে কি কান্না আসে না আর......

ভালবাসার জ্বালায় জ্বলে,
মৃত্যু শোকের ব্যাথায় ভুলে;

জলে ভরে এসেছিল দু আখি আমার.........
বিশ্বাস করুন আমি কাঁদনি একটি বার.....................

একটি অনুগল্প "প্রিয় ও প্রিয়ন্তি"

 

একটি অনুগল্প "প্রিয় ও প্রিয়ন্তি"

 
জানালার কার্নিশে এসে বসল দুটি শালিক । বিকেলের কোমল রোদ শালিকের পালকে লেগে আছে । একটি শালিক তারস্বরে কথা বলে চলছে তার সঙ্গিনীটির সাথে । সঙ্গিনী পদনিত্য তুলছে বারবার । সম্ভবত প্রিয় তার প্রিয়ন্তিকে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে । আর প্রিয়ন্তি নব্যপ্রেমে ঘোরলাগা কিশোরীর মত পুরো শরীরে মেখে রেখেছে ভালোবাসার প্রথম শিহরণ । চঞ্চলমনা প্রিয়ন্তি নৃত্যের তালে তালে প্রিয়কে সাড়া দিচ্ছে । প্রিয় প্রিয়ন্তির কাছে আসতে চায় ।
 
আলতো করে ছুঁয়ে দিতে চায় তার প্রিয়ন্তিকে । প্রিয়ন্তিধরা দিতে চায় না প্রিয়কে । একসময় প্রিয় তার অধরা প্রিয়ন্তিকে ছুঁয়ে দেয় । একে অন্যের খুব কাছে চলে এসে ঠোটে ঠোট রাখে । ভালোবাসার তৃষিত চুম্বন একে দেয় একে অন্যের ঠোটে ।

বারান্দায় দাঁড়িয়ে একজোড়া শালিকের ভালোবাসার খুনসুটি দেখছে রিতু । অনুভূতির খরস্রোতে ভাটাপরা হৃদয়ে যেন একটিবারের জন্য উজানস্রোত বয়ে যায় । রিতুর দিকে চোখ পড়তেই শালিক দুটি যেন লাজুক প্রেমিক প্রেমিকার মত লজ্জায় মাথা নত করে ফেলে । তারপর স্থান নিরাপদ নয় ভেবে উড়াল দেয় আকাশে । রিতু তাকিয়ে থাকে উড়ন্ত শালিকের বাতাসে মেলে ধরা ডানার দিকে ।
‘একজন সীমাবদ্ধ মানুষের চেয়ে একটি শালিকের পৃথিবী কতটা বিস্তৃত! একজন ব্যর্থ মানুষের চেয়ে একটি শালিকের স্বাধীনতা কত! মানুষের ভালোবাসার গল্পের চেয়ে একজোড়া পাখির ভালোবাসা কত পবিত্র!’
সব কিছুই কী ঐ যে বাতাসে মেলে ধরা পাখাটির জন্য!!