শ্রীহীন কাফনে জড়িয়ে 'মানবতা'
নির্লজ্জতার মিছিলে্র পদতলে নিষ্পেষিত
হয়ে থেতলে যাওয়া মানবতার লাশ আর
রাজপথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাল রক্তের
কলঙ্ককে আমাদের অভিধানের ভাষায় গণতন্ত্র
বলি; এই গণতন্ত্রের জন্যই দিতে হয়েছিলো
আমাদের ত্রিশ লক্ষ বুকের রক্ত; আর হারাতে
হয়েছিলো অজানা অনেক মা-বোনের সম্ভ্রম।
স্বাধীন দেশ এখন লুটেরাদের লুণ্ঠনের কোষাগার;
যেখানে নেতা হতে পারলে হওয়া যায় রাতারাতি
কোটিপতি, কেড়ে নেয়া যায় অসংখ্য নিরীহ
মানুষের মুখের আহার।
শ্বাপদ বা হিংস্র জন্তু দেখার জন্য
এখন আর অরণ্যে যেতে হয় না;
হীন স্বার্থে তাদেরকে অতি যতনে
লালন করা হয়; আর যারা এদের
লালন করেন, তারাই এখন দেশ
বরেন্য নেতা।
সিংহের আহার কেড়ে নেয়ার জন্যই
ওদের ব্যবহার করা হয়।
ওদের জন্য এখন উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা
করা হয়। তবে তারা শিক্ষিতের নামে
জাতীর কলঙ্কই বয়ে আনে। এজন্য দেশের
নেতাদের কোন লজ্জা অনুভূত হয় না।
কারণ লজ্জা কী জিনিস এটার উপলব্ধি
তাদের নেই। তারা জানে ক্ষমতাকে আক্রে
ধরে রাখতে হলে প্রতিপক্ষের খুনে রাজপথ
লাল করতে হবে; তাতে আবার কিসের লজ্জা!
তাদের অভিধানে মানবতা নামক শব্দটা
এখন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।