একটি অনুগল্প "প্রিয় ও প্রিয়ন্তি"
জানালার কার্নিশে এসে বসল দুটি শালিক । বিকেলের কোমল রোদ শালিকের পালকে লেগে আছে । একটি শালিক তারস্বরে কথা বলে চলছে তার সঙ্গিনীটির সাথে । সঙ্গিনী পদনিত্য তুলছে বারবার । সম্ভবত প্রিয় তার প্রিয়ন্তিকে কিছু একটা বোঝাতে চাইছে । আর প্রিয়ন্তি নব্যপ্রেমে ঘোরলাগা কিশোরীর মত পুরো শরীরে মেখে রেখেছে ভালোবাসার প্রথম শিহরণ । চঞ্চলমনা প্রিয়ন্তি নৃত্যের তালে তালে প্রিয়কে সাড়া দিচ্ছে । প্রিয় প্রিয়ন্তির কাছে আসতে চায় ।
আলতো করে ছুঁয়ে দিতে চায় তার প্রিয়ন্তিকে । প্রিয়ন্তিধরা দিতে চায় না প্রিয়কে । একসময় প্রিয় তার অধরা প্রিয়ন্তিকে ছুঁয়ে দেয় । একে অন্যের খুব কাছে চলে এসে ঠোটে ঠোট রাখে । ভালোবাসার তৃষিত চুম্বন একে দেয় একে অন্যের ঠোটে ।
বারান্দায় দাঁড়িয়ে একজোড়া শালিকের ভালোবাসার খুনসুটি দেখছে রিতু । অনুভূতির খরস্রোতে ভাটাপরা হৃদয়ে যেন একটিবারের জন্য উজানস্রোত বয়ে যায় । রিতুর দিকে চোখ পড়তেই শালিক দুটি যেন লাজুক প্রেমিক প্রেমিকার মত লজ্জায় মাথা নত করে ফেলে । তারপর স্থান নিরাপদ নয় ভেবে উড়াল দেয় আকাশে । রিতু তাকিয়ে থাকে উড়ন্ত শালিকের বাতাসে মেলে ধরা ডানার দিকে ।
‘একজন সীমাবদ্ধ মানুষের চেয়ে একটি শালিকের পৃথিবী কতটা বিস্তৃত! একজন ব্যর্থ মানুষের চেয়ে একটি শালিকের স্বাধীনতা কত! মানুষের ভালোবাসার গল্পের চেয়ে একজোড়া পাখির ভালোবাসা কত পবিত্র!’
সব কিছুই কী ঐ যে বাতাসে মেলে ধরা পাখাটির জন্য!!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন