[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১২

স্মৃতির ছায়া





স্মৃতিতে হারিয়ে যাওয়া সময়ের গায়ে একটি আঁচর
নিয়ে গেলো সুখের স্পন্দন, মধুর ক্ষণ, জীবন কতদূর।
হারানো বেদনায় মনো-কষ্টের আড়ালে এক চিলতে সুখের দোল
স্মৃতির অরণ্যে ফুটে উঠলো হলুদ-শুভ্রতা নিয়ে ডেফডিল ফুল।
বকুল তলায় বসে থাকা প্রতীক্ষিত একটি মায়াবী বাঁধন
আজও মমতার ডুরে বেঁধে রাখতে চায় তব সঙ্গনিবন্ধন।
সাঁঝের শান্ত আভায় খোঁজা হয় তব সন্তর্পণে আসার ছায়া
বকুলের সৌরভে ঘুরে ফিরে আসে তব মোহিনী সাহচর্যের মায়া।
জোনাক জ্বলা মিটি মিটি আলোয় কল্পনার হাতে হাত রাখি
ডানা ঝাপ্টে উড়ে চলি আজও হয়ে সঙ্গীহারা এক পাখি।
জানি, স্মৃতি দেয় না কোন সান্ত্বনা, না দেয় কোন সুখ,
তবু স্মৃতির বেদনারা শিশির হয়ে কভু ভরে দেয় দু’চোখ।

রবিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১২

কালের বিবর্ণ হাসুলীর বাঁকে



‍কালের বিবর্ণ হাসুলীর বাঁকে

IrEeN  KaNTa

নিরব সময় বেদনা বিধুর
কোজাগরী জ্যোস্না ভাবায় না,
স্বপ্ন অবয়ব সব আমার করেছে লুট
রাতভর আঁধার ঘরটায়!
শুধু আমার সাথে এই বিলাসী বৈভব কেন?
ভাবনার ইশারায় বৃষ্টি ঝরে শুধু
সেই শিহরণ পুলকিত বটে,

হূদয় পটে শুধু পুতুল নাচ
শরীর যেন হাওয়ায় ভাসে
বন্ধা ‍মেঘের পাঁজরে নিয়েছি ঠাঁই,

ছুঁয়েছি শরীর স্বপ্ন দেবীর
তন্দ্রায় ভালোবাসার অমোঘ নেশায় নষ্ট হতে থাকি
কালের বিবর্ণ হাসুলীর বাঁকে,
কর্ষনে ভুঁইয়ের ফসিল, বীজ ব‍ুনে যায়;
আর আমি স্বপ্নঘোর তন্দ্রায় জেগে উঠি।

ঐ পথে চেয়ে থাকি আসবে সে


ঐ পথে চেয়ে থাকি আসবে সে


IreeN KanTa

জানি সে ফিরবেই
হাওয়ার চন্দনের টিপ পরে।

আসবে ভেসে মৃত্যু ঘ্রাণ
নদীর জোয়ারে জ্যোত্স্না যবে পরেছে ঢলে
আমার ক‍ঙ্কাল বৈধব্য,
শুভ্র বসন নেই
আগল খোলা খিরকী আমার দেখবার সহবাস।

ঐ পথে চেয়ে থাকি আসবে সে
গড়িয়ে বেলা, সাঁঝে
না হয় রাত গভীর হলে!
যখন খেলবে খেলা আঁধার উদল গায়
হাওয়া জড়িয়ে স্বপ্ন গিলে খায়;
জ্যোত্স্না ভেজা কালের সারথী
কাঁপে থর থর,

বৃষ্টি নুপূর পরে আসবে সে
কঙ্কাল স্নানে সনাতন যাতনা
অসয্য পৈশাচিক যন্ত্রণা ভুগে
আসবে সে, বসবে মুখোমুখি।



আমি মেঘের মত হারানো স্বপ্ন চাই।



‍আমি মেঘের মত হারানো স্বপ্ন চাই।


দিবা ঘুমে স্বপ্ন যাতনা
বৃষ্টির বি‍রহ,
বিচ্ছেদ কথক! ডুবে রয় ডাহুকী স্মৃতির গভীরে
পান‍‍কৌড়ির ডুব সাঁতারে
নেতিয়ে পরে কৃঞ্চপালক,বর্ষার বৃষ্টি খুঁজে ফিরে রৌদ্র
পুঁই মাচায় বৃষ্টি ধোয়া সবুজ পাতা
মেঘের সাথে পেতেছে দোস্তী;
ঢলে পরা বেলায় চিক চিক সাঁঝ আলো
স্বচ্ছ জলের নির্মল ফোটার ছোঁয়া,
ভেজা মাটি সব ভুলে যায় মনুষ্য যাতনা।


আমি শুধু জেগে রই,
রাত্রি পাহারায় ঐ তারাটার স্বাক্ষী হয়ে
মেঘের চোখে জল
আমাকে ভা‍সাবে তন্দ্রায়
কখন যে ঐ তারাটা ডুবে গেছে
জানতে পারি না, কালের তন্দ্রায় ডুবে ছিলাম
অষ্টপ্রহর তাবর নেশা গিলে! মেঘের মত জল ঢালায় ক্ষমা
আমি মেঘের মত হারানো স্বপ্ন চাই।

কি দিয়ে পুঁজিবো তোমায়?


কি দিয়ে পুঁজিবো তোমায়?

কি নিয়ে শুধাবো?
আমরা যৌবনের দূত, আমরা নতুন!
আকাশ ভরা স্বপ্ন চোখে, লক্ষ তারার মেলা,
দিশে হারা বেহুলা ভেলা, স্বপ্ন ডানায় ভাসে।
>>>>>ভেঙে মোর ঘরের চাবি,নিয়ে যাবি কে আমারে


কি হেরিবো চোখে আজি?
খরার তীব্র দাবদাহে, বসন্ত গেল গড়িয়ে!
বিধু মাঝির খেঁয়াঘাটে, নৌকা নাহি চলে,
নদীর বুকে চর জেগেছে ঐ,বালুয়াড়ির ঝড় বহে।
>>>>>ওগো নদী আপন বেগে পাগলপারা,


কি দিয়ে পুঁজিবো তোমায়?
যাপিত জীবন আপনালয়ে, খুঁজে ফিরি আজও বকুল বিছানো উঠান!
নেই কোথাও নেই আজ, ঘোমটা টানা লাজে রাঙা লজ্জাবতি,
শোক তাপ বিরহ, বেদনায়, আশ্রয় খুঁজি তব গীতবীণায়,
>>>>>মেঘের পরে মেঘ জুমেছে, আঁধার করে আসে,


কি রাখিবো চরণে তোমার?
কালের বসন খুলতে পারিনে, তন্দ্রায় ঘুম যায় টুটে!
মাঝরাতে সিধ কেটেছে, কে যে আমার ঘরে?
অভিমানে নিভেছিল আলো, চিরদিনের আগল খোলা দোর’যে আমার।
>>>>>এসো আমার ঘরে এসো,আমার ঘরে !

শনিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

বিবর্ণ


বিবর্ণ
তেলাপোকাগুলো চেয়ে থাকে
হাসে খিক খিক করে ,
ওদের গাঁজা খাওয়া দাঁত গুলো
থেকে ফিক করে বদ গন্ধ আসে,
এই পাড়ার পারুলি রুমালি
ওরা সেই হাসিতে গা ভাসায় চোখ টিপে ।
এবং এক সময় তেলাপোকার সংসারে
ওরা ধুলো হয়ে যায়
ছাই হয়ে যায় ।