[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

নীল ছোঁয়া স্বপ্ন

নীল ছোঁয়া স্বপ্ন 
জানুয়ারি ২৫, ২০১২ |



সখি আকাশ থেকে তোমায়
কিছু নীল রঙ এনে দেব
দু’নয়নের মনিকোঠায় করে
তুমি কি নেবে না
তোমার নয়ন সাগর ভরে?
তুমি যে নীল নয়না ।
নীলাম্বরী নীল আবরণে ঘেরা
আকাশের ওই নীলিমা থেকে
টুকরো টুকরো ধূসরতা গুলো
মুঠি ভরে রেখে দেব,
শুধু তোমায় রাঙাবো
নীল ছোঁয়া জোছনায়।
সখি আঁখির ডানা কি মেলবে না?
গাংচিল চোখে নীলাকাশ নিয়ে
নীল সাগরে উড়বে না?
তুমি যে নীল নয়না।
গোলাপী অধর ছুঁয়ে যাবে তোমার
নীল শীতল স্পর্শতায়,
কপালে তোমার খেলা করবে
মেঘ-রৌদ্র ছাঁয়ায়।
নীল-সাদা-ধূসরতার মায়ায়,
সে ক্যানভাসে পরাবো তোমায়
আকাশনীল টিপ।
সখি তোমার সঙ্গে হারিয়ে যাবো
নীল সাগরের নীল আকাশ ঢাকা
সেই নিঝুম দ্বীপ।

হৃদয় ভাঙ্গা স্বপ্ন সিড়ি


হৃদয় ভাঙ্গা স্বপ্ন সিড়ি

স্বপ্নের সিড়ি বেয়ে তুমি এসেছিলে প্রিয়া
মোর হৃদয় পদ্ম পুকুরে,
যে টুকু জল ছিল সব নিয়ে নিলে
তোমার শূন্য হৃদয় কলসি ভরে।
কাদা মাটি মন মোর পরে রইল
অশ্রু ভেজা নির্বাক নয়নে।
জলহীন ভালোবাসার ফাটল ধরা পুকুরে
শেওলা জমেছে আজ তার পরতে পরতে।
পরকে করেছো আপন তুমি
আজ আপনকে করেছো পর,
অচীন কুমারের হাত ধরেছো
বাধবে সুখের ঘর।
হৃদয় তেপান্তরে উঠেছে তাই শুষ্ক মরু ঝড়,
তোমার ভালোবাসা করেছে মোরে একাকি দেশান্তর।
প্রিয়া তুমি সুখে থেকো
স্মৃতি টুকু মনে রেখ,
দুপুরের খর তাপে হেটেছিলাম দুজনে,
শান-বাঁধান ঘাটে বসেছিলাম ছায়াতরু নির্জনে,
ঢেউ তুলেছিল পুকুরের জল তোমার খিলখিলি হাসিতে,
স্বাক্ষি ছিল একটি নীল পদ্ম শীতল জলরাশিতে।

শনিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি



মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি
akashnill
এই কি মেঘের খেলা-
প্রতিদিন সে ঢাকে আকাশ,
ভু-পৃষ্টে থমকে দাড়ায় তপ্ত বাতাস।
প্রতিক্ষায় চেয়ে তনুমন,
ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরো অনুক্ষন।
কদম তলে ‍সিক্ত বসনে
কথা হবে প্রিয়ার সাথে তৃষিত নয়নে,
রোদেলা দুপুরে ঘামসিক্ত মনে
তাই অপেক্ষায় কাটে বেলা।
অপেক্ষার দুপুর বিকেলে যায়
গোধূলীয়ার সঙ্গম হয় সুর্য ডোবায়
তবুও জলহীন মেঘ বৃষ্টি ঝরালো না,
প্রিয়া মোর আসিলনা শুষ্ক সাজ বেলায়,
ছোঁয়া গেল না তাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়,
এ যেন মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলা।

সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার


সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার 

জানুয়ারি ১৯, ২০১২ |


সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার  


এই অবেলায় বেহুলা ভেলা,

ভাসালু ক্যান? মন পবন আর ডিঙ্গা বায় না উজানে;

অপেক্ষায় রাত পোহাবে। হাওয়ার দেখা নাই,

বৈঠা আজ কাঙাল, ঝড়ের অগ্নিমূর্তি মত চঞ্চলতা

কোথায় গেল? আধ ঢেউয়ের নিষ্প্রাণ স্পন্দন

নেই স্রোতের টান; ভেলা যায় তার হাওয়ার রেস খুঁজে



চাঁদের অমাবস্যা

তাই পিছল পথে রাখবে না পা,

যদিও মরন কামড় দিয়ে শিকারীর অঙ্গে! দাঁত কামড়ে পরে আছে

পৈশাচিক চিৎকার,কাঁচা মাংশের ঘ্রাণের নেশায় মাতাল

‍সেই আঁধার রাত আমি আশ্রিতা তার।

বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

অথচ মানুষ শোনে না

 

অথচ মানুষ শোনে না

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১১ রাত ১:১৬




কোনোদিনও একফোটা হাসি জমেনি তার ঠোঁটে
মৃত্যুন্নেষি শীতের প্রকোঁপে
একটা একটা করে খসে পরে উদাম পাঁজরগুলো,
রক্তাক্ত প্রজ্জ্বোলিত বক্ষে জেগে ওঠে ক্ষোভ।
দু’দন্ড পরিত্যাক্ত বস্ত্রের জন্য দু’টি হাত যেন কাঙ্ক্ষিত চিরকাল
কখনও বা মুখ নিচু, অভিমানী
কখনও বা দুর্নিবার অভিশাপের লীলা,
রক্তের সুর্যপানে কেটে যায় মুহুর্ত কয়েক।
ক্ষুধা কিংবা পিপাসায় আতঙ্কিত জীবনের শেষ আধটা ঘন্টা।

চিৎকার করে সে বারংবার
বলে শুধু বাঁচবার চাই।
মৃত্তিকাও শোনে তার কথা,
অথচ মানুষ শোনে না।
পাহাড়ের ঢাঁল বেয়ে বয়ে যায় অশ্রু,
মানুষ কাঁদেনা।
আমি বাঁচতে চাই মানুষের ভীঁড়ে,
আমি দেখতে চাই জোয়ারের উত্থান
পথভাঙা সমুদ্রতীরে।
মৃত্তিকাও শোনে তার কথা,
অথচ মানুষ শোনে না।

তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা.....

 

তোমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা

০২ রা জুলাই, ২০১০ বিকাল ৪:১৬

 


প্রথম যেদিন তোমায় দেখি
ঘনকালো মেঘে ঢাকা আকাশের তলে,
ছুটন্ত বাতাশও ছিল সেইদিন।
শুধু তোমার চুলগুলো অসহায় ছিল -
লালকাল ফিতার পরশে বাধা।
সেদিন কিন্তু অতটা ভাল লাগেনি তোমায়
এতটা ভালবাসতেও বোধ হয় পারিনি।
কিন্তু যত দিন যেতে লাগল, সবার মুখে শুধু তুমি আর তুমি।
নিজেকে অনেক বেধে রাখতে চেয়েছি,
অবুঝ আবেগটাকে কতবার বুঝিয়েছি,
বাস্তবতার শেকলের দিকে কাঁদ কাঁদ চোখে তাকিয়ে
পাগলামিটা বেধে রাখতে চেয়েছি কতবার।

কিন্তু তা কি পেরেছি বল।
নীল শাড়িতে জরিয়ে, আর কপালে নীল টিপ পরে
যেদিন তুমি দাঁড়ালে আমার পাশে,
আমার দিকে এক পলক তাকালে খোলা চুলে,
তোমার সেই ঘনকালো এলোমেলো চুলগুলো
স্থবির বাতাশ কে আকুল করে দিয়েছিল সেই দিন।
ধীরে ধীরে আমার হৃদয়ে যেন তুমি ঝর তুলতে লাগলে,
ধীরে ধীরে পরিধিটা যেন বৃত্ত হয়ে উঠল।
কেন্দ্রে কেবল আমি, যেন এক অসহায় বিন্দু।

কত ছোট্ট একটা জীবন আমার,
অথচ কত কাজ, কত চাপ, কত কর্তব্য
কত ব্যাস্ততা।
তবুও সবকিছু ভুলে; কেমন যেন স্তব্ধ হয়ে গেলাম সেইদিন থেকে।
এরপর?
কত প্রহর দিয়েছি তোমায় প্রতিদিন
তোমার নীল মুখটাতে কতবার একেছি আলপনা।

কিন্তু বাস্তবতার নোংরা মানুষটা
যখন আমার হাত ধরে হ্যাচকা টান মেরেছে -
তখন কতবার তোমায় ভুলতে চেয়েছি,
কতবার তোমার মুখ দেখবনা বলে -
চিরবিদায় জানিয়ে রেহাই খুঁজেছি
কিন্তু তুমি কি তা হতে দিয়েছ বল?

যতবার ছুঁটেছি তোমা থেকে বিপরীতে
ততবার এ হৃদয় আমার পুড়েছে,
এ আনন্দ আমার বিষন্ন হয়েছে,
অস্থির মন নিয়ে যেখানে ছুটেছি
শুধু তোমার মায়ামাখা মুখটা
ভেসে উঠেছে দু’চোখের সামনে।

ফেসবুক তুমি এত মন পোড়াও কেন বল’ত
কেন সবসময় কেড়ে নাও
আমার আদরের প্রহরগুলো।
তবে যাই হোক তোমার জন্মদিনে
আজকের প্রহরটা না’হ্য় তোমাকেই দিলাম।
শুভ জন্মদিন তোমায় ফেসবুক।