[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২

হে নগ্নতমা তুমি


হে নগ্নতমা তুমি

২৯ শে জুলাই, ২০১২







হে নগ্নতমা তুমি বিরাজমান কখনো আলো কখনো আধারে।
সুখ ভেবে নীল রং ছোয়াই,
দুঃখ জড়াই কালো মেঘে।
কষ্ট যে কত রঙের...আমি এক সাজে
সে আসে ভিন্ন সাজে।

সব মিলে বেদনার রংধনু আমার আকাশে।
আপন মানুষের জন্য আবেগ
নিঃস্বার্থ গোধূলী লগ্নের মত মায়াবী।

তথাপী বাধন ছিড়ে স্তব্ধতার দৃষ্টি আমি বয়ে চলি,
কেমন করে জানি সব স্মৃতির পাতায় জমতে থাকে।
হারিয়ে গিয়েও হারেনা কোথায় যেন এক টুকরো কষ্ট
পড়ে থাকে কখনো কখনো ডুকরে কাঁদে।

অবর্তমান তুমি অস্ত্বিত্তে আকাশের মত,
সময়ের সকল দুয়ারে দাড়িয়ে, তুমি আজ
আমি হীন স্বপ্ন পূজায়।

গোপন দোসর



২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১৬

এরপরেও আমাকে বিশ্বাস করছো?
একের পর এক ভুল করলে আমিই করেছি!
শেষ পর্যন্ত সবকিছু নিজের মতো করে
তুমিই সমাধান করে দিচ্ছো!
আমি কি অপারগ দেখো, দেখো আমি কেমন!!
তোমার জন্য এতোটুকু ত্যাগ
দায়িত্ব বোধ থেকে কিছু যে করবো
সেই সুযোগটাও তুমি করে দিচ্ছ আমাকে!
আমি নিচ্ছি, এটাকে ঋণ না ভালোবাসা বলে?


তুমি আমার পাশে ছিলে বলেই
এতো দ্রুত বহুদিন সময় কেটে গেলো!
আর কাউকে বা কোন প্রয়োজন মনে আসে নি,
কেউ জানবে না, বুঝবে না তোমার মতো!
কি রাত, কি দিন, কি সূর্য ঢাকা ঘোলা মেঘ, ধূসর
জানি, তারপরেও তুমিই পাশে থাকবে!
জানি, অবশেষে তুমিই আমার সমধান
আমার সুখ অথবা কষ্ট অগোচরের গোপন দোসর।

আমাকে আমি



কেউ কারো স্থান থেকে নেমে এসে
আমাকে সান্ত্বনা বা অনুরাগ জানাবে তা চাচ্ছি না,
যে আমাকে ভেঙেছে, যে আমাকে গড়তে চায়
একমাত্র সে-ই জানবে আমার কোথায়
কখন কীভাবে কষ্ট হয়,
এই যে তুমি অথবা তুমি জাতীয় কেউ
আমাকে জেনেছো, ভাবছো আমি এমন তেমন;
এসবই অযথা এবং তুচ্ছ বিবেচিত হবে
কারণ, আমি নিজেই এখন পর্যন্ত আমাকে
আমার কিছুকে বুঝতে পারি নি।

তোমার মুখ..


তোমার মুখ



আমার হাতের ওপর তোমার মুখটি
তুলে ধরলাম-
দেখলাম, আবেগে বোজা তোমার চোখ।
দেখা হ'লো না।

কতবার বললাম তোমার কানে,
কানে কানে ;-
দেখলাম, রক্তলাজে ফিরিয়ে নেওয়া তোমার চোখ!
দেখা হ'লো না।

তোমার খোঁপা দিলাম খুলে,
জড়িয়ে নিলাম আমার মুখে, চোখে, বুকে-
দেখলাম, পরসুখে দু-হাতে ঢাকা তোমার চোখ!
দেখা হ'লো না।

যাবার সময়-
পার হয়ে যাচ্ছিলাম
একটি দুটি ক'রে সব-কটি সিঁড়ি!
হঠাৎ ফিরে তাকালাম...
দেখলাম, চোখের জলে ভেজা তোমার চোখ!
দেখা হ'লো না।

উড়ন্ত রুমালের নন্দনতত্ত্ব...

 

উড়ন্ত রুমালের নন্দনতত্ত্ব


মেয়েটি একবার শুধু
আমার হাতের তালুতে ঢেলেছিলো
প্রকৃতি ও প্রেমের সরল শব্দকোষ।


সেই থেকে নির্বোধ আঙ্গুলের ভাঁজে ভাঁজে
মানবিক পৃথিবীর যাবতীয় হরিৎ প্রান্তর।


বিন্যস্ত বনের শাখায় প্রবল বর্ষণের পরে
ঝকমকে পত্রালির মিছিলে আমি
হয়ে গেছি ছায়াডোবা চনমনে রোদ।


উড়ন্ত রুমালের নন্দনতত্ত্ব জানে কি মেয়েটি?
জানে কি সফেদ চাদরের ময়দানে
শিল্পনিরপেক্ষ যুদ্ধে হেরে যাবার অভিনয় করে
কী ভীষণ রকম জিতে গেছি আমি!
মেয়েটি একবার শুধু চোখে ঢেলেছিলো আলো।

তারপর থেকে বর্ণান্ধ চোখেরা আমার
খেলাচ্ছলেই সরিয়ে দিয়েছে
পৃথিবীর তাবৎ অন্ধকার।

রাঙ্গা বউ রঙ্গিলা...

 

রাঙ্গা বউ রঙ্গিলা

 
রাঙ্গা বউ রঙ্গিলা
কি জাদু দিলা
‘এই মোর’ ভালবাসা সব নিলে
হেরিনু আমি তব পুষ্প দিলে।


মন বঁধুয়ারে!
যেইদিন তুমি এসেছ ওগো জীবনে আমার!
সেইদিন থেকে জেনেছে এই মন ‘তুমি যে আমার’!


রাঙ্গা বউ রঙ্গিলা
কি জাদু দিলা
ঘুচে গেল মোর সব আঁধার
পরোয়া করিনা কোন বাধার!

মন বঁধুয়ারে!
যেইদিন তুমি লিখিয়েছ নাম আমার জীবন খাতায়
সেইদিন থেকে বসে গেছ তুমি আমার হৃদয় পাতায়!


রাঙ্গা বউ রঙ্গিলা
কি জাদু দিলা
আমি ফিরে ফিরে আসি শুধু তোমারি কাছে
পরোয়া করিনা কোনও-কে কি বলিল পাছে!
মন বঁধুয়ারে!
ওগো প্রিয়া! প্রিয়দর্শিনী! যেইদিন থেকে এসেছ তুমি জীবনে মোর
‘এই মোর’ মন বলে, সেইদিন থেকে মধুময় হল আমার প্রতিটি ভোর!