[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শনিবার, ২৮ জুলাই, ২০১২

আমি আসব ফিরে কোন এক রাতে






নিজেকে ছেড়ে পালানোর আর কোন পথ খোলা নেই ,
মেঘ ছুয়ে দুরে যেতে ইচ্ছের আশাই এখন সামনে।
তবুও অশ্রু লুকাই মেঘের ছায়ায় সন্ধ্যা খুজি ,
শূন্য দিয়ে সুত্রপাত জীবনের শেষ প্রান্ত শূন্য ,
তথাপী জানালা খুলে নিঃশ্বাস নেই , তারা হীন নির্জন
আধারে। ক্ষু্দ্র স্বপ্নজালে অস্থিরতার বিশাল ফোকর।
পথে পথে হেটে অনেক ক্লান্ত আজ আমি ,
ফিরে যাবার পথটই দীর্ঘ করেছি প্রাপ্তি শুধু
ঘরছাড়া ধূলোমাখা দীর্ঘশ্বাস।একটু জোৎস্না রেখো
আমি আসব ফিরে কোন এক রাতে।

নিরন্তর নিঃস্বার্থ তোমার জন্য ....



নিরন্তর নিঃস্বার্থ তোমার জন্য
উৎসর্গ আমার বুবু রাতজাগা পাখিকে



নিঃশব্দের ভাষায় তোমায় লেখা চিঠি .............
দেখবেনা জানি,কিছু ভাষা মনের জন্য,
কিছু কথা না শোনার জন্য,আবেগের ভাষা
কে জানে,হৃদয় অনুভবে খুজে নেয়,বুঝে নেয়
দু চোখের দৃষ্টি।
শব্দহীন সন্ধ্যার পথে চোখের জল ফিরে যায়
অনেক চাওয়ার,অনেক পাওয়ার আবেশে।
হৃদয়ে বর্ষা,ব্যথার ব্যকুলতার সুরে,


গহীনে গোপনে মম স্বপনও জুড়ে আজি কত কথা
ফুরানো দিন, মমতাহীন,সাজে যত ব্যথা।
দেখি যদি তোমায় তব চলেছ একেলা,
ভুলি দিবানিশী ভুলিব বেলা অবেলা,
নিরন্তর নিঃস্বার্থ তোমার জন্য আমার এ পথচলা।







অনেক দিনের বৃষ্টির সাধ ছিল,মনের উঠোন শুকিয়ে চৌচির
স্বপ্ন তৃষিত শূন্য দৃষ্টি।
আশার বর্ষন শেষে আজ রোদ উঠেছে সাঝের মায়ায়।
দুঃখ জীর্ন শূন্যতা,অবহেলার অংক উত্তরহীন,
বহুকালের অসহায় সমীকরন অশ্রু ফোটা আড়ালে,
তুমি দেখনি।
কত জীবন ভগ্নাংশের শেষফল রাতজাগা পাখির পালকের
উষ্ঞতায় জমেছিল,আজ ছুয়ে গেল সে ,ভালবাসা আর মমতায়।


বুবু ভাল থেকো অনেক ভাল।
যদি আমার সব সুখ দিয়ে তোমার একটু কষ্ট মুছতে পারি,
তবে অশ্রুটুকু আমায় দিও।
বর্ষা আমার ভাল লাগে সাঝসন্ধ্যা তুমি নিও।



হে নগ্নতমা তুমি


হে নগ্নতমা তুমি

২৯ শে জুলাই, ২০১২







হে নগ্নতমা তুমি বিরাজমান কখনো আলো কখনো আধারে।
সুখ ভেবে নীল রং ছোয়াই,
দুঃখ জড়াই কালো মেঘে।
কষ্ট যে কত রঙের...আমি এক সাজে
সে আসে ভিন্ন সাজে।

সব মিলে বেদনার রংধনু আমার আকাশে।
আপন মানুষের জন্য আবেগ
নিঃস্বার্থ গোধূলী লগ্নের মত মায়াবী।

তথাপী বাধন ছিড়ে স্তব্ধতার দৃষ্টি আমি বয়ে চলি,
কেমন করে জানি সব স্মৃতির পাতায় জমতে থাকে।
হারিয়ে গিয়েও হারেনা কোথায় যেন এক টুকরো কষ্ট
পড়ে থাকে কখনো কখনো ডুকরে কাঁদে।

অবর্তমান তুমি অস্ত্বিত্তে আকাশের মত,
সময়ের সকল দুয়ারে দাড়িয়ে, তুমি আজ
আমি হীন স্বপ্ন পূজায়।

গোপন দোসর



২৬ শে জুলাই, ২০১২ রাত ১২:১৬

এরপরেও আমাকে বিশ্বাস করছো?
একের পর এক ভুল করলে আমিই করেছি!
শেষ পর্যন্ত সবকিছু নিজের মতো করে
তুমিই সমাধান করে দিচ্ছো!
আমি কি অপারগ দেখো, দেখো আমি কেমন!!
তোমার জন্য এতোটুকু ত্যাগ
দায়িত্ব বোধ থেকে কিছু যে করবো
সেই সুযোগটাও তুমি করে দিচ্ছ আমাকে!
আমি নিচ্ছি, এটাকে ঋণ না ভালোবাসা বলে?


তুমি আমার পাশে ছিলে বলেই
এতো দ্রুত বহুদিন সময় কেটে গেলো!
আর কাউকে বা কোন প্রয়োজন মনে আসে নি,
কেউ জানবে না, বুঝবে না তোমার মতো!
কি রাত, কি দিন, কি সূর্য ঢাকা ঘোলা মেঘ, ধূসর
জানি, তারপরেও তুমিই পাশে থাকবে!
জানি, অবশেষে তুমিই আমার সমধান
আমার সুখ অথবা কষ্ট অগোচরের গোপন দোসর।

আমাকে আমি



কেউ কারো স্থান থেকে নেমে এসে
আমাকে সান্ত্বনা বা অনুরাগ জানাবে তা চাচ্ছি না,
যে আমাকে ভেঙেছে, যে আমাকে গড়তে চায়
একমাত্র সে-ই জানবে আমার কোথায়
কখন কীভাবে কষ্ট হয়,
এই যে তুমি অথবা তুমি জাতীয় কেউ
আমাকে জেনেছো, ভাবছো আমি এমন তেমন;
এসবই অযথা এবং তুচ্ছ বিবেচিত হবে
কারণ, আমি নিজেই এখন পর্যন্ত আমাকে
আমার কিছুকে বুঝতে পারি নি।

তোমার মুখ..


তোমার মুখ



আমার হাতের ওপর তোমার মুখটি
তুলে ধরলাম-
দেখলাম, আবেগে বোজা তোমার চোখ।
দেখা হ'লো না।

কতবার বললাম তোমার কানে,
কানে কানে ;-
দেখলাম, রক্তলাজে ফিরিয়ে নেওয়া তোমার চোখ!
দেখা হ'লো না।

তোমার খোঁপা দিলাম খুলে,
জড়িয়ে নিলাম আমার মুখে, চোখে, বুকে-
দেখলাম, পরসুখে দু-হাতে ঢাকা তোমার চোখ!
দেখা হ'লো না।

যাবার সময়-
পার হয়ে যাচ্ছিলাম
একটি দুটি ক'রে সব-কটি সিঁড়ি!
হঠাৎ ফিরে তাকালাম...
দেখলাম, চোখের জলে ভেজা তোমার চোখ!
দেখা হ'লো না।