[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

স্পর্শ

 

স্পর্শ


রক্তনদী ছলকে উঠে স্পর্শে তোমার
একটু হেলে একটু দোলে শরীর আমার।
স্পর্শতো নয় বৃষ্টি ঝরে গরম দিনে
খরায় পোড়ে শরীর আমার তুমি বিনে!
গরম শরীর শরম ভেঙ্গে স্পর্শ চায়
রক্তনদী উল্টো স্রোতে উজান যায়
স্পর্শে তোমার আমায় তুমি বরফ বানাও
উজান গাঙ্গের স্রোতটা আমার এখন থামাও!

অনান্দনিক জীবন বসবাস

 

অনান্দনিক জীবন বসবাস


তোমাকে দেখিনা কতোদিন ...
আজ আর লিখিনা কোথাও!
তুমি কেমন আছো ...
আজ আর জানতে চাইনা করো কাছে!
তুমি কি এখনও আমাকে ভালোবাসো ...
এ’কথা বলবে কে আমাকে আর!

জীবনটা বোধ করি এমনই ...!
বদলে যায়, বদলে যাবে; বদলে যেতে হয়, হচ্ছে, হবেই...!
বেঁচে থাকে শুধু নিঃশ্বাস, স্বপ্ন আর স্মৃতিদের দল।
আমরা ভালোবাসি আমাদেরই বেশি প্রায়,
আমরা গল্প লিখি আমাদেরই অসমাপ্ততার।
কোথা থেকে কে যেন দড়ি ধরে টানাটানি করে সর্বক্ষণ!
এই টান কখনও তোমার, কখনও আমার...।

এবং টানাটানির শেষ টানে আসে মৃত্যু,
এ সত্যও তোমার, আমার; সবার। নিরন্তন, চিরন্তন ...!
এইসব কবিতায় নান্দনিকতা তাই কম,
কী ক’রে করবো ব’লো নন্দনচর্চা...
যখন অনান্দনিক জীবনের মধ্যেই করি বসবাস...!
-----------------------------------------------------

কিস মি ম্যাম (১)

 

কিস মি ম্যাম (১)


এই শহরে কুনো এক প্রহরে
জমেছিল মেঘের আসর
এসো এসো ফাগুনে ফাগুনে

গাঁয়ের কিশোরী ভাঙা ভাঙা
গলায় কুনো এক বিকেলে
ভিড়েছিল ব্রাহ্মণ পাড়ায়

সান্ধ্য আলোও বুঝি
এই গলিতে বড় বেশি বেমানান
কুকুরের ডাকের সাথে
কি যেনও এক মিতালি

এই গলির মেয়েদের রঙে
ভিন গাঁয়ের তুলোতুলো মেঘ

হাসছে কিবা গাইছে
রবিন্দ্র সঙ্গিত

আমরা যারা মিছিলে যেতাম
মানব কিংবা মানবির দুঃখ প্রেমে
কাঁটা কাঁটা চুরির টানে

আধো আলোয় কি যেনও ফিস ফিস
এ মেয়ে কি হবে
আমাদের

এ মেয়ে গলায় পড়বে কি
মাতাল সমগিত

মিছিলে ছিল বুঝি
শেফালি, কামিনি, রহিমা
কিংবা মরিয়ম, আলভী

আছে পাঁচ নামি প্রসাধনি
আর তাদের নামি নামি
রঙ শিল্পী
কালো কে আলো
আলোকে কালো

করে দিবে একদিন

লজ্জাবতী লাজুক গলে
কিংবা ঢলে যায়
এই পাড়ায়
তার পরের পরের গলি

আয়নায় মুখোশ

 

আয়নায় মুখোশ

আয়নায় মুখোশ
.....................

দেয়ালে টাঙ্গানো মুখোশ
আয়নায় জমে থাকা ধুলো

সবাই যদি ফিরেই আসবে
বন থেকে হরিণ শিকারের গল্প নিয়ে
আমরা কেনইবা ছিপ ফেলে
গল্প করেছি রুই কিংবা কাতলের

আমরা যারা জাল ফেলে
করসরত করে
হাডু ডু ডু খেলেছি
মাটিভাঙা মাঠে
বাঁদর কিংবা হরিদাসের সাইকেলের
টিং টিং বেলে

বিকেলে নীল আকাশে
কুনো এক দালান পরীর
ছায়া নিয়ে

সন্ধ্যায় বুঝি ঘুমিয়ে গেছে
গাঁয়ের কিশোরেরা আগামি
দিনের মিছিলে

কাঁঠাল পাতায় উড়ো টাকায়
বাড়িতে বাড়িতে
হাঁড়ির টুং টাং বৈরাতী
চলে নৃত্য মন ভূমে

একদিন সবাই খবর শুনে

আয়নায় জমে থাকা ধুলো
আরও বেশি প্রকট হয়

দেয়ালে টাঙ্গানো মুখোশ
ফিরে ফিরে আসে

সোনালি আঁশের সবুজ গন্ধে
এই বাঙলায়

পাঁচ মউসুম পর পর
কাঁঠাল পাতা জড়ো হয়

কাঁঠাল ভেঙে হুইসেল নিয়ে
প্রতীক্ষায় থাকা কিশোর যুবক
বুড়ো হয়

মুখোশ পড়ে থাকে আয়নায়

সুন্দর পাত্রী আমি বরযাত্রী

 

সুন্দর পাত্রী আমি বরযাত্রী



আজ গিয়েছিলাম বরযাত্রী,
ফিরতে হয়ে গেল রাত্রী।
অপরুপ সুন্দরী দেখতে পাত্রী,
বর্তমানে সে কলেজের নেত্রী।

এখন মনিটরের সামনে বসে,
ভাবছি কি লিখবো অংক কষে।
কোনটা লিখবো আগের অংশে,
কোনটা লিখবো সবার শেষে।

তাহলে শুরু করি এভাবে,
যাত্রা শুরু করলাম কি ভাবে।
অনেক বরযাত্রী গাড়ির অভাবে,
কষ্ট করে পৌঁছালো কোনভাবে!

শুরু হলো আপ্যায়নের পর্ব,
বরযাত্রী হিসেবে করছি গর্ব।
কোনটা খাবো কি করবো,
সব গুলো এক সঙ্গে ধরবো?

বিয়ে পড়াতে আসলো কাজী,
কনে হলো সহজেই রাজি।
উকিল হলো রহিম বাবাজি,
সংসার শুরু হলো আজি।

বাড়িতে ফিরে আসলো বর,
ফুলে সাজানো বাসর ঘর।
আপন হয়েও এখন পর,
সুখে থাকো জীবনভর।

আমি স্বপ্ন বিলাসী

 

আমি স্বপ্ন বিলাসী


 
আমি স্বপ্ন বিলাসী,
স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি।
স্বর্গ থেকে ঘুরে আসি,
বিহঙ্গের মত আকাশে ভাসি।

এসো স্বপ্ন দেখার দলে,
পরির মত ডানা মেলে।
আকাশে বেড়াবো খেলে,
মৎস কন্যার মত ভাসবো জলে।

স্বপ্ন দেখি কখনো রাজা,
প্রনাম করছে সকল প্রজা।
স্বপ্ন দেখার আলাদা মজা,
স্বপ্ন ভাঙ্গার কঠিন সাজা!

মানছে কথা দানব দত্য,
স্বপ্ন এখন সবই সত্য।
মনের ভিতর রঙ্গিন চিত্ত,
ইচ্ছে মত খাচ্ছি নিত্য।

স্বপ্ন যেন না যায় ভেগে,
ঘুম থেকে না উঠি জেগে।
ঘুমের বড়ি খাই আগে,
স্বপ্নই আমার সবার আগে।

ভেঙ্গে কোমল নিরবতা,
চাইনা কঠিন বাস্তবতা।
কোথায় মানুষের মানবতা?
ঘুমিয়ে থাকায় স্বাধীনতা।

স্বপ্ন বিলাসী হতে হলে,
চলুন ঘুমিয়ে পড়ি তাহলে।
দুনিয়ার সব ঝামেলা ফেলে,
কেহ কিন্তু জাগবেন না ভুলে!