[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

অসীম শূন্যতা..


অসীম শূন্যতা

নিস্তব্ধ তমসার নির্ঘুম নিঃসঙ্গ রাত
দখিনা সমীরণে হাস্নেহেনার স্বতস্ফুর্ত বিস্তরণ
প্রকৃতির বিনয়তায় চারিদিক নীরব-নিথর,
তন্দ্রাহীন এই নিঝুম রাতের নিস্তব্ধতায়-
দু’চোখের স্বচ্ছ অঞ্জলিতে আজ
নিরর্থক বিভ্রান্তির নির্মম প্রলেপ।



সীমাহীন আকাশের অস্তিত্ব জুড়ে
অগণিত নক্ষত্রের অপরূপ সমারোহ
লাইট পোষ্টের প্রজ্জ্বলিত মৃদু আলোয়,
আনমনে জোনাকির মত জ্বলছে আর
নিভছে ভুলের সমন্বয়ে দীর্ণ-বিদীর্ন গড়া-
অহেতুক-অনর্থক এই জীবন প্রদীপ।



অস্থিরতার অপরিকল্পিত নিঃস্বার্থ মন-
এবরো-থেবরো মেঠোপথ, সুপ্রিয় সময়
বিদায়ের সুকরুন ছুরিকাঘাতে পলাতক,
প্রলম্বিত সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে, স্নেহ-ভালবাসার-
প্রত্যাশায় আলিঙ্গন লাশ হয়ে আছে
ঠুনকো নিয়তির নিস্পৃহ শূন্য কবরে।



নিঃশ্বাসে তবুও অবিকল জড়িয়ে আছ আজো
কালের বিবরে জমেছে অসংখ্য স্মৃতি কথা,
বাস্তবতার অচেনা পদক্ষেপে তোমার আনাগোনা-
তাই শিল্পের আকাশে বাস্তবিক অসীম শূন্যতা,
ক্রন্দন বিদ্ধ কবিতা, উপমা ও রূপকের অসহায়
আর্তনাদে নিজেকে মনে হয় কেবলই
অসীম শূন্যতায় কোন এক মৃতাত্না।

চাওয়ার যন্ত্রণা ছিল বলে



চাওয়ার যন্ত্রণা ছিল বলে


চাওয়ার যন্ত্রণা ছিল বলে,
বাড়ছে জীবন, বানের পানির সাথে সাথে,নাক ডুবা জলে
বার বার নিঃশ্বাসের জন্য জেগে উঠা;

মৃত্যুর মুখোমুখি বার বার জীবনের যুদ্ধ।


সেই থেকে বেঁচে থাকা!
ক্ষুধার জন্য, রিপুর জন্য,

 প্রতিক্ষণের জন্য,ভাল লাগা মন্দ লাগার জন্য,
ঝড় বৃষ্টির জন্য,রাত দিনের জন্য,

আঁধার স্বপ্নের জন্য,অপেক্ষার জন্যও।


ঋতুর পালাবদল, চুপি চুপি নৈঃশব্দে কালের বংশ বৃদ্ধি
সরীসৃপের মত গায়ের খলস ছাড়া নো মাত্র!

 কিন্তু জন্মের পর পরেছি শিকল
আহ্লাদের জীবন, জীবনভর বাঁধে পাঁজায় পাঁজায় স্মৃতি।



পাপ পণ্যের জটিল ম্যাথ,
আকণ্ঠ জীবনবোধ শরীর গাত্রে আঁকড়ে থাকে
শত ধ্বংস কালেও হয় না নষ্ট তার বিবেক সর্বস্ব বীজ।



এমন সৃষ্টিরহস্য ঘেরা জীবনে নিরর্থক অসহায়, অবাঞ্চিত,
অপরিপক্ক গৌণ বীজ বোধ হয়;
ফোটে না বীজে সারল্য শিশু স্বপ্ন,
মাটি ছেনায় আবিষ্ট কুমার পাড়ায় কুমারীর স্বপ্নবোনা শরীর।

রবিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

প্রিয়জন আজ কথা বলেছে


প্রিয়জন আজ কথা বলেছে...



শরতের আকাশে আজ সাদা মেঘ হয়ে ভাসবো
গাছের ডালে গাইব গান দোয়েল পাখি হয়ে
শরতের পবিত্র কাশ হয়ে দুলব সুখের বাতাসে
কেউ ঠেকাতে পারবে না
কারণ-
প্রিয়জন আজ নিজে আমার সাথে কথা বলেছে

সবুজ ঘাসের উপর উড়ব বাংলার ঘাস ফড়িং হয়ে
বাহারী প্রজাপতি হয়ে বসব প্রিয়ার চুলের খোঁপায়
আজ সারা দিন পৃথিবীর সব ফুলের সাথে গল্প করব
মনের সব আবেগের রং মেখে
কারণ-
প্রিয়জন আজ নিজে আমার সাথে কথা বলেছে

ভরা জোয়ারে সাগরের বুকে আজ টগর হব
ঢেউয়ের দোলায় দোলায় চলে যাব বন্দরে
শিউলি হয়ে ফুটব একান্ত নিরিবিলি নিশিথে
নির্জনে তার পরনের শাড়ি হব
কারণ-
প্রিয়জন আজ নিজে আমার সাথে কথা বলেছে
তাই শুধু টের পাই সে হৃৎপিণ্ডের বাতাস হয়ে
বুকের মাঝে দোলে........

সারাটা দিন আজ ভালো যাবে


সারাটা দিন আজ ভালো যাবে



সারাটা দিন, সারাটা দিন আজ ভালো যাবে
ভালো যাবে এ আমার হিমালয় সমান বিশ্বাস
পৃথিবীর হাওয়া বদলে গেছে তাই
উত্তর হতে দক্ষিণে বইয়ে যাওয়া হাওয়ায়
ভুলে না যাওয়া, আমায় জাগিয়ে তোলা গন্ধ পেয়েছি
পেয়েছি কোকিলের কণ্ঠে বকুলের তরতাজা গন্ধ

ব্রেইনের প্রতিটি কোষ তারে নিয়ে গবেষণা করে
দিন রাত, রাত দিন অনেক গবেষণা করে
তারে নিয়ে কীভাবে গড়া যায় স্বপ্নের নীড়
আজ যদি হাজারটা ঝড় বইয়ে যায়
আকাশে বাতাসে নয়, আমার মাথার উপর দিয়ে
যদি সিডর, সাইক্লোন বইয়ে যায় জীবনের উপকূলে
ভেঙ্গে পড়ে নিত্য কাজের কঠিন দেয়াল
তবুও বলছি-
সারাটা দিন আজ ভালো যাবে, ভালো যাবে
কারণ-হৃৎপিণ্ডের বাতাস আমার প্রেয়সী
মধুর কণ্ঠে আজ আমারই সাথে কথা বলেছে

প্রিয়ার মুখের মিষ্টি কথা!


প্রিয়ার মুখের মিষ্টি কথা!




প্রিয়ার মুখের মিষ্টি কথা,
এখনো হৃদয়ে আছে গাঁথা।
সে সব ছিল কথার কথা,
বুঝলাম এখন পেয়ে ব্যথা!

সাগর সেচে দিবে মুক্তা এনে,
আত্বহারা হয়েছি এমন কথা শুনে।
মরুভূমির আছে যত বালু কনা,
তার চেয়েও বেশী প্রতিশ্রুতি শুনা!
জোৎস্না স্নাত মাঘি পূর্নিমার রাতে,
বিনীদ্র রজনী কাটাবে আমার সাথে।
ভালবাসার কঠিন উঞ্চতার বলে,
হিমালয়ের হিমবাহু যাবে গলে!
আকাশের মত বিশাল উদারতা,
আমার প্রিয়ার মৌন নিরবতা।
আমাজানের মত দীর্ঘ খরশ্রোতা,
আমার প্রিয়ার খোপায় বাঁধা ফিতা!
সহ্য করবে আঘাত করি যত,
দৃঢ় মনোবল চিনের প্রাচিরের মত!

পিছনের সব প্রতিবন্ধকতা ভুলে,
প্রিয়া আসবে আমার সঙ্গে চলে।
আমি মানসিক ভাবে প্রস্তুত হলে,
আমাকে একটু দেরি করতে বলে।

আমি যাচ্ছি অপেক্ষার প্রহর গুনে,
আকাশ ভেঙ্গে সংবাদ এল কানে!
আমার প্রিয়া এখন অন্য খানে,
তাঁকে নিয়ে সংসার করছে অন্যজনে!

অর্থ সম্পদ ছিল যা কিছু,
ঢেলেছি আমি সব তাঁর পিছু।
আমি আজ পথের ভিখারি,
ছলনাময়ী এক প্রেমের শিকারি!

প্রীতি বিলাস


প্রীতি বিলাস
যদি জানালার ফাঁক গলে কুয়াশা ঢুকে পড়ে ভেতরে,
যদি সকালের সোনা রোদে হীরক জ্বলে ঘাসের ওপরে,
অকারণে আমায় মনে করে,
যদি গন্ধ বিলানো হাসনা-হেনা ঝরে পড়ে প্রভাতে,
যদি নিঃসঙ্গতায় উঠানের কোণে সজনে গাছের ডালে কাক ডাকে,
আছি তোমারই এই ধরণী তরে।



যদি মাটির পিদিম জ্বলে সন্ধ্যা রাগে ঘরের কোণে,
যদি দূর হতে ভেসে আসে রাখালীর বাঁশীর সুমধুর সুর,
যদি ঝিঁ-ঝিঁ পোকার ডাক ভেসে আসে কুঞ্জবনে,
যদি পূর্ণিমার চাঁদ সন্ধ্যাকাশে ডুবে যায় মেঘের আড়ালে,
প্রীতি, তুমি স্মরণীয় এই অন্তরে।