[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ২১ আগস্ট, ২০১২

কাগজের ফুল


কাগজের ফুল (ঈদের কবিতা)
flower paper3 

ঈদ এলো ঈদ এলো সুখের ছোঁয়া নিয়ে;
ঈদের ছোঁয়া লাগলো গিয়ে পথ শিশুটির গায়ে।
অভাবের তোড়ে মলিন কাপড়ে তার মুখেও হাসি;
জীবন যুদ্ধে যাচ্ছে সময়, সাথি শূণ্যরাশি।


নতুন কাপড়ে ফুল শিশুরা, প্রাণবন্ত চারি ধারি;
সুখ নামক অচেনা পাখি ছেড়ে গেলো শুধু তারি!

জানা নেই তার ঈদের দিনে এতটুকু খাবার কী জুটবে?
তবু সেদিন তার ছোট্ট বুকে একটি কাগজের ফুল ফুটবে!

এক মুঠো ঈদ শুভেচ্ছা


এক মুঠো ঈদ শুভেচ্ছা

*********************

স্বপ্ন বুনি আমরা সবাই
স্বপ্ন সত্য ওদের;
ক্ষুধার দৈত্য জ্বালিয়ে দেয়
নিত্য স্বপ্ন তাদের।

আছে যাদের নানান খাবার
দামি পোশাক গয়না;
জোটে না যাদের এক মুঠো খাবার
তাদের খবর নেয় না।

নিত্যদিনের জঠর জ্বালা
জীর্ণ বস্ত্রে ধুলো;
পারি না কী সবাই মিলে
জ্বালাতে ওদের চুলো!

রঙ্গিন স্বপ্ন রঙ্গিন আশা
জ্বালিয়ে দিচ্ছে ক্ষুধা;
আভিজাত্যের মোড়কে কেন
ওদের থেকে জুদা!

একটু যদি চেষ্টা করি
মানবতার চাদরে;
ঢাকতে পারি দুঃখ ওদের
ঈদ-খুশির আদরে!

চলো না এবার ঈদটা করি
গরিব-দুখীদের নিয়ে;
বলি ওদের-”ভালো থেকো”
হাতে খাবার দিয়ে।

বলবো ওদের-”ঈদ মোবারক”
ঈদের জামা দিয়ে;
ঢাকবো ওদের জীর্ণ দেহ
বুকে টেনে নিয়ে।

যেখানেই থাকো সুখে থেকো
এই শুভেচ্ছা তোমাদের তরে;
ভালোবাসার বাহনে ঈদের আনন্দ
বয়ে আনুক এক মুঠো সুখ সবার নীড়ে।


————-
আগস্ট-২০, ২০১২
মদিনা, সৌদি আরব

অনন্য রুমা-ANNAONNA RUMA


কত দিন হাঁটা গ্রামের সরু পথ ধরে.......

















PhOtO..............


























রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১২

বন্য ভালোবাসা তোর জন্য


বন্য ভালোবাসা তোর জন্য
বড্ড বেশি অস্থিরতা ভর করে আছে আজ আমার দেহে কিংবা মনে!
হয়তো তোর জন্য, হয়তো তোকে কাছে না পাওয়ার জন্য
একটা বন্য প্রেমের তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়ার জন্য
কিংবা আদিম কামনায় তোকে নিয়ে বন্য হওয়ার জন্য
হয়তো অন্যরকম এক ভালোবাসার জন্য, তোকে নিয়ে;
তোকে অন্য একটা প্রেমের জগতে টেনে নিয়ে ধ্বংস করার জন্য।

আমি চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত
তোর প্রত্যেকটি অংশের ভালোবাসা চাই
শুধুই আমার জন্য, শুধুই আমার করে!
ঈর্ষা-কাতর বন্য ভালোবাসা আমায় অন্ধ করে রাখে
তোকে অন্য কারো সাথে কথা বলতে দেখলে।
তোর চোখ আমি গেলে দেব অন্য কারো দিকে চাইলে
তোর হৃদয় উপড়ে নিয়ে সিথানে রেখে দেব অন্য কাওকে ভালবাসলে
ঈর্ষা কাতর এক প্রেমিক আমি
তোর কোন কিছুর সাথেই কাওকে আমি কোন ভাগ করতে দেব না
দহনের জ্বালায় জ্বলতে চাই না আমি তোকে অন্য কারো সাথে দেখে।

আমি তোকে চাই আমার মতন করে
তোর ঠোঁটের ওম চাই আগুনের মত
বৃষ্টির রাতের হালকা শীত শীত অনুভূতির মাঝে!
তোর ওম চাই দিনে আর রাতে
শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠা চুম্বনের বর্ষণে।
তুই যে আমার ড্রাগের নেশা নিত্যদিনের সর্বক্ষণে
তোকে আমি ভাগ করি কেমন করে কারো সাথে
বল তুই আমারে।

আমি একরোখা উন্মাদ পাগলের মত তোকে ভালোবাসে যাই
তাই হয়তো অস্থির চুম্বনের পাগলা নেশার মত করে
শুধুই তোর ভালোবাসা চাই আমার প্রতিটি লোমকূপের গোঁড়ায় গোঁড়ায়
হোক না সে তিতা চিরতার রস কিংবা অহল্যার বিষ
প্রতিবার না হয় ঝাঁকি দিয়ে যাক আমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে
তবুও তা আমি পান করে যাব মুখ বুজে মিষ্টির রস ভেবে।


dohoner jala

জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে তোমার কথা মনে পড়ে


জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে তোমার কথা মনে পড়ে
আজ চাঁদ উঠেছে আকাশে, হেলে পড়েছে শেষ রাতে পূবাকাশে
আমি চাঁদের দেখা পাচ্ছি এখানে বসে
জ্যোৎস্না ছায়া খুব তির্যক হয়ে পড়ছে আমার গায়ে
কিন্তু আমি তো খুঁজে বেড়াচ্ছি আমার চাঁদনি,
জ্যোৎস্নার চেয়ে তীব্র আলো বিলিয়ে গেছে যে আমার জীবনে
আমি আমার চাঁদনি খুঁজেছি আকাশে তবু আকাশে চাঁদ দূর থেকে
হেসে কেন বলে খুঁজে যা আমায়, মেখে নে আমার জ্যোৎস্না গায়ে
হয়তো কখনো তোর চাঁদনিকে পেয়ে যেতে পারিস
কোন এক অমাবস্যার রাতে।


আজ চাঁদ এসেছে আকাশে আমার চাঁদনি আসেনি
তবু তার ভালোবাসাটুকু ভেসে বেড়ায় বাতাসে আমি বুঝতে পারি
আমি মেখে নেই গায়ে তার ভালোবাসার ছোঁয়া
অনেক দূর কোন দেশ থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে যা আমাকে
বাতাস ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে
আমি কান পেতে থাকি বাতাসে
দূর থেকে তার চুড়ির নিক্বণ ধ্বনি শুনব বলে।


এখন আমার আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
তোমার অবগাহন এখন কাঠফাটা রৌদ্রে
তুমি বসে আছ সৌরজগতের সেই অপর পাশের দেশে
আমার মধ্য দুপুরে সন্ধ্যে ঘনাবে তোমার আকাশে
আমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখো তো একবার
এখনো কি তোমার ইচ্ছে করে, আমার হতে?

নাকি হতে চাও জল জ্যোৎস্নার রাতের বন হরিণী
সেই আগেকার দিনের মতন করে?
তোমার বন হরিণী রূপ দেখি না কতকাল হয়ে গেল
মন কাঁদে আজ তোমায় বন জ্যোৎস্নায় দেখব বলে
জ্যোৎস্নার নগ্নতায় খুলে খুলে দেখব বলে
তোমাকে তোমা রূপে।


তুমি যেন সৌর জগতের কোন ওপার হতে
শত কোটি বছরের পথ পারি দিয়ে
নেমে এসেছিল মর্তের মাটিতে
নীল জ্যোৎস্নার ছায়া ছায়া দেশে
কোন একদিন আমায় ভালোবেসে।


তুমি ছিলে আমার বন হংসী মনোহারিণী
আজ আমায় ফেলে হয়েছ কার ঘরণী?
আজ তোমার আঙ্গিনার ময়ূর খেলা করে আনমনে
ছাতিম গাছে ধান শালিকেরা বাসা বাধে নির্ভয়ে
তোমার আকাশে জ্যোৎস্না নেমে আসে আলো হয়ে
তোমারই ছাদে বৃষ্টি ঝরে পরে সুর হয়ে;
আমি অন্ধকারে পড়ে রই
কালো জ্যোৎস্নার তিমির আঁধারে।


আজ আমি যেন এক বৃত্তের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি
কুল খুঁজে বেড়াই পরিধির দিকে, যতদূর চোখ যায়
পুরো ব্যাসার্ধ জুড়ে আছ শুধু তুমি
সেই অসীম পর্যন্ত, যতটুকু দেখা যায়।


আমার হ্রদয়ে আঁকা ছিল যে চাঁদ
রাতের আধারেতে তোমারি বেদনায় ম্লান হয়ে যায় ডুবে
হ্রদয়ে ক্ষরণ রক্ত ঝরায়
ভোরের আকাশে লাল সূর্য হয়ে ভেসে ওঠে ওই পূবে।


josnar chaya