[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০১১

হারিয়ে যাওয়া তুমি
হাওয়ার নির্মলতা; আমার অসহ্য লাগে,
লাগে একগেয়েমিতে দম বদ্ধ হয়ে যাওয়ার যন্ত্রনা।
নতুন করে,
তুমি হারিয়ে যাওয়াটা ভীষণ অনুভব করছি
সেই জন্য বোধ-হয়-
আমার যন্ত্রনাটা ক্ষনে ক্ষনে চক্র বৃদ্ধি হারে বাড়ছে।
আর তা-
ষোল কলা পূর্ণ করে,
আমার মগজের ভিতর ইস্কুলের ঘন্টা বাজাচ্ছে প্রতিনিয়ত।
আজ মৃত্যুকে অনেক বেশি চাই
ঠিক মন থেকে।
যেমনটা চাইতাম তোমাকে।

তুমি আপন হওনি; নিরাশ করেছ
মৃত্যু নিশ্চয় আমাকে নিরাশ করবেনা
আপন করে জড়িয়ে ধরবে পরম মমতায়।

আমি-
চির নিদ্রায় যাব
ঘুমাব পরম শান্তিতে।
মা তোমার কোলে ঘুমাব (প্রথম পর্ব)
মন খারাপ করে তিতাসের পাড়ে বসে আছে ইমতিয়াজ। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেরি না করে বাসায় চলে আসে, তাহলে অন্তত দু’টা দিন বেশি থাকা যাবে মা’র কাছে। ছোট মাত্রায় অনেক বড় আসা। কিন্তু মার কাছে তার শান্তিটা পাওয়া হয়ে উঠেনা। ইমতিয়াজের বাবা ওর কাছে তিন লক্ষ টাকা রেখেছিলেন। ভেবেছিলেন ঢাকাতে যেহেতু ছোট দুই ছেলে পড়ালেখা করে, তাদের সেমিষ্টার ফি ও অন্যান্য কিছু খরচ বাবদ ব্যবহার করবেন। কিন্তু ইমতিয়াজের ভাবনায় ঢুকে পড়ে একটা মস্ত ভূল ভাবনা। কিছু লোকের কথায় সে ঐ টাকা বাবা-মাকে না বলে একটা ব্যবসায় বিনিয়োগ করে বসে। ভাবে ছোটদের সেমিষ্টার ফি দিতে আরো ছয় মাস আছে। এর মধ্যে কোন একটা ব্যবস্থা হয়ে যাবে। নিজেরও প্রতিষ্ঠা পাওয়ার একটা পথও তৈরি হয়ে যাবে। কিন্তু ভূল তো ভূলই। কথায় আছে না- লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। আবার তারাতারির কোন কাজ ভাল নয়। ঠিক এমনটায় হল। তার টাকাগুলু আটকে যায়। প্রতিষ্ঠানটা সরকারি বিভিন্ন ঝামেলায় পড়ে ধ্বংসের পথে। টাকা ফেরত পাওয়ার নম্ভাবনা অনেকটায় মিলিয়ে যায়।
এই সবের জের ধরে ইমতিয়াজের বাবা ওর সাথে প্রায়ই রাগারাগি করেন। এবার ঈদে বাসায় আসার পর একটু বেশিই করে ফেলেছেন। গত রাতে ইমতিয়াজ খেতে পর্যন্ত পারেনি। সকালে ঘুম থেকে উঠতে একটু দেরি হওয়াতে ওর বাবা এসে যাতা গালাগালি করে অফিসে চলে যান। প্রচন্ড মন খারাপ হয় ইমতিয়াজের। নদীর পাড়ে এসে গোপনে নিভৃতে কাঁদতে থাকে।
এখন আর কোন কিছু ভাল লাগে না। প্রতিনিয়তই মনে হয় মরে যায়। কিন্তু পারে না। মাকে এত বেশি ভালবাসে; এটা আসলে ব্যাখ্যা করা যায় না। কোন কিছু করতে গেলেই মার কথা আগে মনে হয়। শুধু ঐ কাজটাই মাকে না বলে করা। আর তাই এখন সম্পূর্ণ পৃথিবীটা অনর্থক মনে হচ্ছে। মনে হচ্ছে জীবনটা হল একটা ভাসমান কচুরি পানা। যার ভাসতে ভাসতে জীবন কাটে, শেষ হয় পচেঁ।
সারা দিন বাসায় যাওয়া হয়নি, খাওয়াও হয়নি। ফলে সন্ধায় বাসায় ফিরার পর ইমতিয়াজ দেখে মা কাদঁছে। ভাত নিয়ে টেবিলে বসা। সেও খায়নি। ঘরে ঢুকতেই মা ওকে টেনে নিয়ে খেতে বসালেন। নিজের হাতে খেতে নিলে মা ওকে না দিয়ে নিজে খাওয়াতে শুরু করলেন। কিন্তু খাওয়াটা আর শেষ করা যায়নি। ঐ দিক থেকে বাবা চেচিয়ে বলতে লাগলেন- ” গাধাটাকে খাইয়ে লাভ কি? এর চেয়ে যদি একটা কুত্তা পালতাম অনেক বেশি ভাল হত। যা বলতাম তাই শুনত। এইডা তো কুত্তা থেকে অধম।” গলা দিয়ে ভাত আর নামে না ইমতিয়াজের। চোখ দিয়ে দর দর করে পানি পরতে থাকে।
সকালে বাবা মাকে বলছে- ” গাধাটাকে বলিও বিদেশে চলে যেতে। সব ঠিক করে দিতেছি। যা টাকা লাগে দিমুনে। দান মনে করেই দমু। ফেরত দেওয়া লাগব না। এর বদলে যদি কিছু কামায় করতে পারে। অর পিছে যা খরচ করছি তার কিছুটা উছুল হইব। যা খরচ করছি তা দিয়া আলিশান দু’টা বাড়ী করতে পারতাম।” এই কথা বলে অফিসে চলে যায়। কষ্টে ইমতিয়াজের বুকটা মোচর দিয়ে উঠে। কারণ মাকে ছেড়ে সে কখনো দূরে থাকে পারে না। ঢাকাতেই থাকতে ওর অনেক কষ্ট হয়। সময় পেলেই চলে আসে। এর আগে অনেক বার বিদেশে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু মাকে ছেড়ে যেতে হবে তাই নাকচ করে দিয়েছে। আর আজ নিজে মাকে গিয়ে বলে-” মা, মাগো আমি বিদেশ যাব।” এই কথা বলতেই চোখে পানি এসে যায়। চোখের পানি মুছতে মুছতে আবার বলে-” বাবাকে বলিও দান হিসাবে যদি দেয় তবে চিলে যাব। যে দেশেই হোক চলে যাব।”

যারা বিদেশে যাওয়ার জন্য অনেক চেষ্টা করে, তাদের যাতে অনেক কষ্ট হয়, অনেক সময় লাগে। এমন কি মাসের পর মাস, অনেক সময় বছর ও ফুরিয়ে যায়। আর ইমতিয়াজের মাসো ঘুরেনি। সব ব্যবস্থা হয়ে গেল। রাতে আর ঘুম আসে না। বুক ভেঙ্গে কাঁন্না আসে। মাকে ছেড়ে যেতে চাইছে না মন। বার বার কেন যেন মনে হচ্ছে মৃত্যু বুঝি খুব কাছে চলে এল ইমতিয়াজের।
আগামীকাল ফ্লাইট। সব গুছিয়ে নিচ্ছে ইমতিয়াজ। মা-বোন সবাই কাদঁছে। কিন্তু ইমতিয়াজ নির্বিকার। যেন একটা রোবট। কোন অনুভুতি নাই। চোখে পানিও নাই। কেমন যেন হয়ে গেছে।
রাতের বেলায় সবাই যখন ঘুমানুর চেষ্টা করছে ইমতিয়াজ তখন বারান্দায়। এক দৃষ্টিতে আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু একটা খুঁজছে। আর ভাবছে, ইউরোপের আকাশ কি এই রকই, ও খানে কি মা আছে?? এই সব প্রশ্নের সাথে শুধু মনে হচ্ছে সে বুঝি আর বাচঁবে না। পরের দিন দুপুরে সবার কাছ থেকে অদ্ভুত এক নির্বিকার বিদায় নেয় ইমতিয়াজ। শুধু মার সামনে গিয়ে বলে-” মা, তুমি যদি আমাকে ভালবাস তা হলে নিজের যত্ন নিও। আর আমার জন্য একটা দোয়াই করিও , আমি যেন মরার আগে তোমার কোলে ফিরে আস্তে পারি। আমার শান্তির ঘুমটা যেন তোমার কোলে হয়।” মাকে আর ধরে রাখা যায়নি। হাউ-মাউ করে কাদতে শুরু করে।ছেলেকে জড়িয়ে ধরে বলতে থাকে-” আমার ছেলেকে কোথাও যেতে দিব না। আমার ছেলেকে কোথাও যেতে দিব না।” কিন্তু ইমতিয়াজ মাকে ছাড়িয়ে সামনে যেতে থাকে। পিছনে মার কান্নার আওয়াজ কানে এসে বারি খায়। প্রতি বারই মাথাটা ঝিম ঝিম করে উঠে।
বড় বড় প্লেনগুলু ইমতিয়াজকে নিয়ে আকাসে উড়াল দেয় নতুন এক অজানা ঠিকানায়।
মেঘের পালকি
ঋণী তুমি
ড্রিম বয় আমি
শাড়ী পড়ার বয়সে
অপূর্ণ ইচ্ছা তোমার
পূর্ণ করেছি আমি।

কৃষ্ণকলি-
আবার তোমায় বলি
চির নতুন
কিন্তু-
অপূর্ণাঙ্গ জীবন তোমার।

দোষী আমি-
বিশ্বাস আর অবিশ্বাসের সাথে।

তারপরও-
অনিচ্ছুক আমি
আজো তোমায় খুঁজি।
যোগ বিয়োগের ঈদ
মেয়েটি তখনো কেনেনি ঈদের শাড়ী
বাবা বলেছিলো ফিরবে যখন বাড়ি
আনবে সাথে লাল ফিতা লাল চুড়ি
যাবার বেলায় কপালেতে চুমু মেখে
বলেছিলো সে তুই যে আমার জান
মেয়ে বলেছিলো বাবা
তোমার জন্য সদা কাদে মোর প্রান।
বাবা ভাবে
শহরেতে গিয়ে ঈদ তিন দিন রিক্সা চালাবে মেলা
এ সময়ে সব শহরে বাবুদের থাকে বেশ দিল খোলা।
সাথে নিয়ে কিছু চিড়া আর মুড়ি বাবা যায় শহরে,
মেয়ে বসে ভাবে এবারের ঈদ কাটবেই খুশিতে।
দুই দিন যায় তিন দিন যায় বাবাতো আসে না বাড়ি
মেয়ে বসে ভাবে এইবারে ঠিক বাবার সাথে করে দেবে খুব আড়ি।
চার দিন যায় পাচ দিন যায় বাবার খবর নাই
আড়ি ভুলে মেয়ে চিন্তায় পরে কি করি কোথায় যাই।
ছয় দিন পরে খুব সকালে কাঁধে বয়ে এক লাশ
ধীর পায়ে হেটে পুলিশ দারায় তাদের বাড়ির পাশ।
গলা করে ক্ষীন পুলিশ শুধায় এটা কাহার বাড়ি
চঞ্চল চোখে মেয়ে তাকায় আলুথালু তার শাড়ী।
দুই দিন আগে মহা সড়কে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট
এই বডি ছাড়া শাড়ি,চুড়ি ফিতা রয়ে গেছে অবশিষ্ট।
রাখুন এই সব আপনার কাছে শেষ উপার্যনের কেনা
দানবের ঘায়ে মুখমন্ডল তার যায় না মোটেই চেনা।
হাতে নিয়ে চুড়ি শাড়ী নিশ্চুপ মেয়েটি আকাশ পানে চায়
চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পরে মৃত বাবার গায়।
*সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই।

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

তোমার অপেক্ষায়...

অন্যরকম
ভালবাসা প্রিয়র তরে যখন সৎ হয়, হৃদয়ের আরতি যখন সহজ, নিঃষ্পাপ হয়
মিলন হতে তখন প্রিয়র দরবারে যেতে হয় না, তখন ঈশ্বর পর্যন্ত হেটে
বান্দার ঘরে চলে আসেন।
ভালবাসা জানতে হয়,ডাকের ভেতর মিষ্টতা থাকতে হয়
অনেক শব্দই ছাপা হয়, সব কবিতা হয়ে ওঠে না, নারীর রুপে যে পেরেছে অক্ষর
সাজাতে সে-ই কবি, সেই অক্ষরই তখন ধারাপাত ছেড়ে মহাকাব্যর সারি দখল করে।
গতানুগতিক
ঝির ঝির বর্ষণে,ডুকরে গুমরে আর্তনাদি গর্জনে
হৃদয়ের কোনে কোনে কিসের যেন শূন্যতা
মহাকালের দৈন্যতা, বানের জলে ভেসেও পিপার্সাত অপূর্ণতা
কিসের যেন অপূর্ণতা……..
জলে জলে জলাশয়, জলের ভেতর আশ্রয় হৃদয়ের ব্যাথার
রিমঝিম, ঝিরঝির বিলাপি গাঁথার, দিনভর সারারাত
কেন যেন লেখা বাড়ে কারাবালার পাতার, হৃদয়ের ব্যাথার ।
ব্যাথা (দ্বৈত অর্থ)
ছিলে না তুমি অথচ ছিলাম আমি
বোঝ কতটা সহ্য করেছি যাতনা,বোঝ কতটা অপেক্ষায় প্রহর কেটেছে অস্থির
কতটা ক্ষন কেটেছে রক্তাক্ত, কন্টকময়, অনলসম যেভাবে লাভার উপরিভাগ
আমি চেয়েছিলাম, ঘুমে নির্ঘুমে, হৃদয়ের গোপনে কেঁদে কেঁদে লিখেছি কান্না
পথের উপর রেখে পথের আশা, বেসেছি আশা, এই বুঝি তুমি এলে….
একটু কি বলে যেতে পারতে না….?

নীলার ভালবাসা

নীলা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রুদ্রের জন্য। রুদ্রের ফোন বন্ধ আসছে।
নীলা রুদ্রকে প্রচন্ড ভালবাসে। এত পরিমাণে ভালবাসে যে, সবার সামনে চিৎকার করে বলতে দ্বিধা বোধ করে না, “রুদ্রকে আমি অনেক ভালবাসি।” নীলা অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। রুদ্র তার সহপাঠী। নীলা জানে না যে, সে রুদ্রকে পাবে কি পাবে না। তবে তার বিশ্বাস সে যেভাবেই হোক রুদ্রকে পেয়েই থাকবে।
২ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। নীলার চিন্তা বেড়েই চলেছে। কারণ ২ ঘন্টা আগেও রুদ্র তাকে বলেছে, “আমি আসছি, তুমি একটু অপেক্ষা কর।” নীলার খুব দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে।
নীলা(মনে মনে): আমার রুদ্রের কিছু হল না তো। রুদ্র, তুমি একটু তোমার রাগকে সামাল দিতে পারো না।
রুদ্রের রাগের কারণে নীলার দুঃশ্চিন্তা বেশী ছিল। নীলার ফোনের রিং বেজে উঠল। নীলা না দেখেয় ফোন তুলে বলল,
নীলাঃ রুদ্র, তুমি ঠিক আছ তো?
রুদ্রঃ আমি ঠিক আছি। তুমি চিন্তা কর না। তুমি এখন কোথায়?
নীলাঃ যেখানে থাকার কথা।
রুদ্রঃ তুমি থাক। আমি আধা ঘন্টার মধ্যে আসছি।
নীলাঃ তুমি কোথায়?
এটা বলার আগেই রুদ্র ফোন কেটে দিল। সমস্যা ভেবে নীলা আবার ফোন দিল না।
আধা ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। অস্থির নীলা বার বার ফোন দেখছে, আর তখনই তার ফোন বেজে উঠল।
রুদ্রঃ আমি চলে এসেছি।
নীলা এটা শুনেই ফোন হাতেই রেষ্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসল। দ্রুত পদে রুদ্রের আসার পথে এগিয়ে চলছে। রুদ্রকে দেখা মাত্র রাস্তাতেই এমনভাবে তাকে জড়িয়ে ধরল যেন, নীলা তার জীবন ফিরে পেয়েছে। রুদ্র হতভম্ব হয়ে গেছে। নীলা বিড় বিড় করে বলতে লাগল, “তোমার কিছু হয়নি তো। তুমি জানো, আমি কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।” বলে কাঁদতে লাগল।
রুদ্রঃ এই আমার পাগলি, আমার কিছু হয়নি তো। এই দেখো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন ছাড়ো,
সবাই দেখছে তো। সবাই কি বলবে বল তো?
নীলাঃ যা ইচ্ছে বলুক, তাতে আমার কি? আমি আমার রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে আছি।
রুদ্রঃ ঠিক আছে, আমার পাখিটা। এখন চল কোথাও বসি। পুরো কাহিনী শুনবে না? চেহারা ঠিক কর।
এত কাদেঁ কেউ। আমার পাগলটা।
নীলাঃ ফোন বন্ধ ছিল কেন?
রুদ্রঃ ব্যাটারী শেষের দিকে ছিল, তাই। এত ভয় পাও কেন? আমাকে মেরে ফেলা পরিকল্পনা করছ বুঝি
(ঠাট্টা করতে করতে)।
নীলাঃ আমি কি তা বলছি নাকি। শুধু ইয়ার্কি, ফাজলামি ছাড়া কিছু বুঝে না (মুখের কোণে সামান্য হাসি।)
রুদ্রঃ যাক,এতক্ষণে আমার নীলার মুখে হাসি ফুটেছে। এই হাসিটাই তো আমি দেখতে চাচ্ছিলাম।
এভাবে রুদ্র নীলা মন ভাল করার চেষ্টা করতে থাকল। তাদের মাঝে এমন খুনসুটি লেগেই থাকে। এভাবেই তাদের ভালবাসা এগিয়ে যাচ্ছিল। তাদের ভালবাসা দেখে আশেপাশের মানুষের হিংসা হত।
এক বছর পর
নীলা আর হাসে না। চিৎকার করে কাউকে বলেও না, “আমি তোমাকে ভালবাসি।” সে এখন কাউকে ভালবাসতে পারে না।