[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

নীলার ভালবাসা

নীলা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে রুদ্রের জন্য। রুদ্রের ফোন বন্ধ আসছে।
নীলা রুদ্রকে প্রচন্ড ভালবাসে। এত পরিমাণে ভালবাসে যে, সবার সামনে চিৎকার করে বলতে দ্বিধা বোধ করে না, “রুদ্রকে আমি অনেক ভালবাসি।” নীলা অনার্স ১ম বর্ষের ছাত্রী। রুদ্র তার সহপাঠী। নীলা জানে না যে, সে রুদ্রকে পাবে কি পাবে না। তবে তার বিশ্বাস সে যেভাবেই হোক রুদ্রকে পেয়েই থাকবে।
২ ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। নীলার চিন্তা বেড়েই চলেছে। কারণ ২ ঘন্টা আগেও রুদ্র তাকে বলেছে, “আমি আসছি, তুমি একটু অপেক্ষা কর।” নীলার খুব দুঃশ্চিন্তা হচ্ছে।
নীলা(মনে মনে): আমার রুদ্রের কিছু হল না তো। রুদ্র, তুমি একটু তোমার রাগকে সামাল দিতে পারো না।
রুদ্রের রাগের কারণে নীলার দুঃশ্চিন্তা বেশী ছিল। নীলার ফোনের রিং বেজে উঠল। নীলা না দেখেয় ফোন তুলে বলল,
নীলাঃ রুদ্র, তুমি ঠিক আছ তো?
রুদ্রঃ আমি ঠিক আছি। তুমি চিন্তা কর না। তুমি এখন কোথায়?
নীলাঃ যেখানে থাকার কথা।
রুদ্রঃ তুমি থাক। আমি আধা ঘন্টার মধ্যে আসছি।
নীলাঃ তুমি কোথায়?
এটা বলার আগেই রুদ্র ফোন কেটে দিল। সমস্যা ভেবে নীলা আবার ফোন দিল না।
আধা ঘন্টা পার হয়ে গিয়েছে। অস্থির নীলা বার বার ফোন দেখছে, আর তখনই তার ফোন বেজে উঠল।
রুদ্রঃ আমি চলে এসেছি।
নীলা এটা শুনেই ফোন হাতেই রেষ্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে আসল। দ্রুত পদে রুদ্রের আসার পথে এগিয়ে চলছে। রুদ্রকে দেখা মাত্র রাস্তাতেই এমনভাবে তাকে জড়িয়ে ধরল যেন, নীলা তার জীবন ফিরে পেয়েছে। রুদ্র হতভম্ব হয়ে গেছে। নীলা বিড় বিড় করে বলতে লাগল, “তোমার কিছু হয়নি তো। তুমি জানো, আমি কত ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।” বলে কাঁদতে লাগল।
রুদ্রঃ এই আমার পাগলি, আমার কিছু হয়নি তো। এই দেখো তোমার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। এখন ছাড়ো,
সবাই দেখছে তো। সবাই কি বলবে বল তো?
নীলাঃ যা ইচ্ছে বলুক, তাতে আমার কি? আমি আমার রুদ্রকে জড়িয়ে ধরে আছি।
রুদ্রঃ ঠিক আছে, আমার পাখিটা। এখন চল কোথাও বসি। পুরো কাহিনী শুনবে না? চেহারা ঠিক কর।
এত কাদেঁ কেউ। আমার পাগলটা।
নীলাঃ ফোন বন্ধ ছিল কেন?
রুদ্রঃ ব্যাটারী শেষের দিকে ছিল, তাই। এত ভয় পাও কেন? আমাকে মেরে ফেলা পরিকল্পনা করছ বুঝি
(ঠাট্টা করতে করতে)।
নীলাঃ আমি কি তা বলছি নাকি। শুধু ইয়ার্কি, ফাজলামি ছাড়া কিছু বুঝে না (মুখের কোণে সামান্য হাসি।)
রুদ্রঃ যাক,এতক্ষণে আমার নীলার মুখে হাসি ফুটেছে। এই হাসিটাই তো আমি দেখতে চাচ্ছিলাম।
এভাবে রুদ্র নীলা মন ভাল করার চেষ্টা করতে থাকল। তাদের মাঝে এমন খুনসুটি লেগেই থাকে। এভাবেই তাদের ভালবাসা এগিয়ে যাচ্ছিল। তাদের ভালবাসা দেখে আশেপাশের মানুষের হিংসা হত।
এক বছর পর
নীলা আর হাসে না। চিৎকার করে কাউকে বলেও না, “আমি তোমাকে ভালবাসি।” সে এখন কাউকে ভালবাসতে পারে না।

কোন মন্তব্য নেই: