[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

বিয়ে ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায়


বিয়ে ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায়


সভ্যতার আদিলগ্ন থেকে মানব সমাজে স্থিতি, নির্ভরতা, আনার জন্য যে সব বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় উপনীত হয়েছি তার মধ্যে বিয়ে ব্যবস্থার প্রচলন অন্যতম প্রধান বাঁক হিসেবে সমাজ বিজ্ঞানীদের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। দুজন নারী পুরুষের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস, বোঝাপড়া, উদ্বেগ ও একতাবদ্ধ থাকার মানসিকতা থেকে সফল আর সার্থক বিয়ের বীজ অংকুরিত হয়। বিয়ের পূর্ণাঙ্গ মানে বুঝতে পারার পর থেকে প্রত্যেক নর নারীর মনে হয়, কোথাওনা কোথাও কেউ একজন আছে যে তাকে বুঝতে পারবে। আর কাঙ্খিত মানুষের সাথে দেখা হলেই জীবনের সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটবে। তাকে বিয়ে করে বাকী জীবন সুখে-শান্তিতে কাটিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু দেখা যায় পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব আর মানসিকতার অমিলের কারণে সম্পর্কে ভাঙ্গন দেখা দেয় আর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। এসব নানা তত্ত্ব নিয়ে আমাদের এবারের কাভারস্টোরি। লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু
সম্পর্কভাঙ্গার মনোকষ্ট আর দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সঙ্গীর জন্য মনের দুয়ার খুলে দিতে হবে। কেননা পরস্পরের মনোভাব আন্তরিক ও উন্মুক্ত না হলে লাভ ম্যারেজ কিংবা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কোনটাই সার্থক হবে না। মানসিকতার অমিল শুধুমাত্র অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে হয় তা কিন্তু নয়, লাভ ম্যারেজেও এধরনের সমস্যার ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। কেননা বিয়ের পূর্বে পরস্পরকে খুশি করার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে উভয়পক্ষের মধ্যে যে প্রবণতা বিরাজ করে বিয়ের পরে সে আগ্রহের রশিতে কিছুটা হলেও রাশ পড়ে। ফলে শুরু হয় মানসিক অশান্তি, একারণে সঙ্গীকে তার নিজস্ব গুণাবলীর জন্যই পছন্দ করতে হবে। সঙ্গীর আচরণে অভ্যাসে পরিবর্তন এনে তাকে নিজের মত করে গড়ে নিতে চাইলেই সমস্যা দেখা দেয়। তাই কাউকে ভালবাসলে তার দোষ ত্রুটি সহই তাকে ভালবাসতে হবে। কেননা বিবাহিত জীবনে সফলতার মূল কথা উপযুক্ত মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়াই নয়, বরঞ্চ নিজেকে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত করে নেয়াই এখানে বড় কথা। নারী-পুরুষের মধ্যে সদিচ্চা, আন্তরিকতা, অন্যকে সুখী করার আকাঙ্খা থাকলে নিজেদের জুটি বদ্ধ জীবনকে সার্থক আর সুন্দর করে তুলতে কোন বাধাই প্রতিন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ
অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কিংবা পারিবারিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিয়ের ধারণাটা অতি প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। আমাদের সামাজিক ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিচারে পারিবারিক ভাবে আয়োজিত বিয়েকে সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হয়। ছেলে-মেয়েরা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করলে সেটাকে এখনো অনেকে গর্হিত কাজ বলে মনে করে। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের সূচনাটা হয়েছিল মূলত প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থায় রাজা, সামন্তপ্রভু আর জমিদারদের নিজেদের সহায় সম্পত্তি ও ভূমির মালিকানা নিজ নিজ পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে। সমাজের উচ্চস্তরের মানুষের মধ্যে এ ধারণাটা প্রচলিত ছিল বলে পরবর্তীকালে এটি সর্বজন বিদিত মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হলে সাধারণ পাত্র-পাত্রীর পারিবারিক স্থিতি, মান-মর্যাদা, অর্থনৈতিক অবস্থা সবকিছু বিচার বিবেচনায় আনা হয়। এতে করে একই সামাজিক অবস্থান থেকে পছন্দ করা হয় বলে আগে থেকে পরিচিত না থাকলেও পাত্র-পাত্রীর মধ্যে বোঝাপড়ায় তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। বাবা-মায়েরা যখন তাদের সন্তানদের সাথে আলোচনা, পরামর্শ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেন, তখন অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের সফলতার সম্ভাবনা শতগুণ বেড়ে যায়। তেমনিভাবে জোর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া বিয়েতে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠতে মোটেও সময় লাগেনা। বাবা মায়েরা যদি তাদের ছেলে মেয়েদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেন তাহলে তার ফলাফল মোটেও ভাল হবে না। কেননা জীবনসঙ্গী পছন্দের ব্যাপারে প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ রয়েছে। অভিভাবকেরা যদি বিয়ের আগেই হবু বর কনের মধ্যে দেখা করার ব্যবস্থা করে তাদের পরস্পরকে জানার জন্য ন্যুনতম সময় দেন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সামনে অগ্রসর হন কিংবা পিছিয়ে আসেন তাহলেই ছেলে মেয়েরা তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত পরিবারের হাতে ছেড়ে দিতে দ্বিধা করবেনা। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ভিতও মজবুত হবে যদি পাত্র-পাত্রীরা তাদের পরিবারের পছন্দ করা মানুষের সাথে আলাপ করে নিজেদের মনমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
লাভ ম্যারেজ
দুটি হৃদয় যখন পরস্পরকে ভালোবাসে কাছে পাওয়ার বাসনায় সমাজ স্বীকৃত পন্থায় একতাবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করে এবং সুখে দুঃখে, ভাল-মন্দে, হাসি-আনন্দে, প্রাপ্তিতে-অপ্রাপ্তিতে একে অপরের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা নেয় তার নামই লাভ-ম্যারেজ। ভালোবাসা নর-নারীর জীবনে আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে নিয়ে আসে। ভালোবাসলে পৃথিবীর সবকিছুকে সুন্দর মনে হয়। ভালোবাসারজনকে কাছে পাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রতিটি মূহুর্তকে পরম আরাধ্য মনে হয়। পরস্পরকে ভালবেসে দুজন মানুষ যখন সারাজীবন একত্রে থাকার জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, বস্তুত তখনই প্রকৃত ভালবাসার স্বাদ পাওয়া যায়। কেননা প্রিয়জনকে আপন করে পাওয়ার পর তাকে নিয়ে নিজের স্বপ্নের ঘর সাজাতে প্রয়োজন চেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রম। পরস্পরের প্রতি ভালবাসা থাকলে সমস্ত বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে নিজেদের সুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেউই দ্বিধা করবে না। তবে ভালবাসারও যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন আছে। একে অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, বাহ্যিক কাজের মধ্যে থেকে নিজেদের জন্য সময় বের করে নেয়া, পরস্পরের পছন্দ অপছন্দের প্রতি মনোযোগ ইত্যাদি ভালোবাসার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। লাভ ম্যারেজের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে পাত্র-পাত্রী আগে থেকেই পরস্পরের সম্পর্কে জানে বলে বৈবাহিক জীবনে তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারে। জীবনের প্রথম প্রেম যদি হয় জীবনসঙ্গী তাহলে তার মতো সৌভাগ্যবান আর কেউই নয়। কেননা ভালোবাসার মর্ম সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করা যায় বিয়ের পরেই। ভালোবাসা হচ্ছে যাদুর কাঠি, যার পরশে সুপ্ত হৃদয় জেগে উঠে। ভালোবাসার মানে পুরোপুরি ভাবে বোঝার জন্য প্রিয়জনের সাথে সারা জীবন কাটিয়ে যেতে হয়। কেননা জীবনের প্রতি মূহূর্ত তখন মনে প্রশান্তি ও পূর্ণতা নিয়ে আসে। তাই লাভ ম্যারেজ নিয়ে মানুষের উৎসাহ আর আগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নেই। তবে এটাও ঠিক যে লাভ ম্যারেজ আপনা আপনিই সফল হয় না। এজন্য পাত্র-পাত্রী দুজনকেই পরস্পরের জন্য আজীবন সহানুভূতিশীল থাকতে হবে।

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

বিয়ে ..... দিল্লি কা লাড্ডু

বিয়ে ..... দিল্লি কা লাড্ডু (নারীদের এই লেখা পড়া নিষেধ)


এখনো যারা বিয়ে করেননি, কনে খোজা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে এই লিখা। কারো কারো সরাসরি কোন উপকারে আসতে পারে, না হলে জ্ঞান বাড়বে আরকি। আরা যারা ইতমধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন, তারা তাদের ভাই-বেরাদার ও সন্তানদের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটার বেশী বিয়ে করার রেওয়াজ নেই, তাই অত্যন্ত হিসাব নিকাশ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। বিয়েটা হচ্ছে জীবনের অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তাই একটা ভুল বা খারাপ সিদ্ধান্ত এলোমেলো করে দিতে পারে জীবন। আসুন কিছু জ্ঞানের কথা শুনি... যদিও কথাগুলি একান্তই আমার না, বিভিন্ন জার্নাল ও সাময়িকী থেকে ধার করা.... তারপরেও জ্ঞানতো জ্ঞানই।


জীবন সঙ্গী নির্বাচনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা যেতে পারে, তা হচ্ছে:


অবস্থা বুঝে পা ফেলুন


জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্মে যে বিষয়টিকে সব থেকে বেশী জোর দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে দুই পক্ষের সমতা। এই সমতা বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানই মূলত: বোঝানো হয়েছে।


ধরুন, আপনি মধ্যমানের একটা চাকুরী করেন, মোটামুটি সংসার চলে যায়। কিন্তু, বিয়ে করে ফেললেন ধনীর দুলালীকে। তখন তার খরচ, ষ্টেটাস ও উটকো ঝামেলা মেটাতে তখন আপনার জীবন শেষ, সাথে বোনাস হিসাবে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা। তাই ষ্টেটাস বুঝে কাজ করুন। আবার উল্টোটাও হতে পারে ... একদম গরীব ঘরে বিয়ে করলেন আপনার স্ত্রী আপনার সমাজ ও পরিবারের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। যদিও বাঙালি নারীরা দ্রুত যেকোন পরিবেশে তাল মিলিয়ে চলতে পারে...তার পরেও শিক্ষার ও পরিবারের বিভিন্ন দিক দেখে নেয়া উচিত।

কাকে বিয়ে করবেন?

বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমেই যাকে বিয়ে করতে চান, তার একটা স্পেসিফিকেশন তৈরী করুন। সবথেকে ভালো হয়, এই স্পেসিফিকেশন যদি আরো আগেই তৈরী করে রাখেন। তাহলে কাউকে ভালো লাগলেও, আগে থেকেই হিসাব নিকাশ করে অগ্রসর হতে পারবেন। বেহিসেবী প্রেমের কারণে প্রেমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সফল হয় না।

১. সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান:
বিয়ে শুধু দুইজন মানব-মানবীর মধ্যেই ঘটে না, বরং বিয়ে হয় দুটো পরিবারের। কথাটি মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। যে মেয়েটিকে আপনি বউ করে ঘরে নিয়ে আসবেন, সে শুধু আপনার বউ না, সে আপনার বাবা-মায়ের বৌমা, ভাই-বোনের ভাবী। সমতা না থাকলে পুরো পরিবারকে আপন করে নিতে সমস্যা হতে পারে।
অসম আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কারণে অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ার কারণে এই বিষয়টির গুরুত্ব মারাত্মক হতে পারে। আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, পাশ করে মোটামুটি ভালো চাকুরী শুরু করেছেন। এখন যদি এমন কোন মেয়েকে বিয়ে করেন, যে ছোটবেলা থেকে গাড়ীতে চলাচল করে অভ্যস্ত, তাহলে আপনার গাড়ী না থাকলে তার জন্য খুব কষ্টকর হবে।

২. বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান:
বৈবাহিক জীবনের পূর্ণ আনন্দ তখনই পাওয়া যায়, যখন দুই জনের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ম্যাচ করে। এ ধরণের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সাথে কিছুক্ষণ থাকলেই মনের সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়ে যেতে পারে, কেননা, তার কাছে আপনি নিজেকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন।
আপনি খুব রাজনীতি সচেতন, অথচ, আপনার জীবন সঙ্গীর এ বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই। তাহলে তার সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগবে না। আপনি সাহিত্য খুব পছন্দ করেন, সে এসবের কিছুই বোঝে না - তাহলে এক সময় আপনি তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
জীবন সঙ্গীর মেধাবী হওয়াটাও দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেধাবী পিতা-মাতার সন্তান মেধাবী হয়।

৩. দৈহিক সৌন্দর্য্য:
আমাদের দেশে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে দৈহিক সৌন্দর্য্যকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। দৈহিক সৌন্দর্য্যের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটিই মুখ্য হওয়া উচিৎ নয়।

৪. ধার্মিকতার মিল:
ধার্মিকদের জন্য এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি খুব ধার্মিক, অথচ, জীবন সঙ্গী ধর্মের ধারই ধারেনা - এ রকম হলে সমস্যা হতে পারে।

৫. শারীরিক সুস্থতা:
এটির গুরুত্ব খুব বেশী। আপনার জীবন সঙ্গী অবশ্যই যেন চির রোগা টাইপের না হয়।

৬. বিয়ের বয়স:

মোটামুটি সমবয়সী বিয়ে করা ভালো। বরের থেকে কনের বয়স ৫-৬ বছর কম হলেই ভালো হয়ে। কণের বয়স বেশী হলে পরে সমস্যা হতে পারে। আবার কনের বয়স অনেক কম হওয়াও ঠিক নয়।


যাই হোক, শুধু কনের যোগ্যতা আর অবস্থা দেখলে হবে সাথে সাথে দেখতে হবে আপনার নিজের বিভিন্ন দিক। তাহলে সুধী সমাজ/ব্যচেলর ভাই-বেরাদারগণ এবার তৈরি হয়ে যান ..."অপারেশন কনে হান্ট" এর জন্য।

বিয়ে


বিয়ে


স্যার – তুমি বড় হয়ে কী করবে?
ছাত্র – বিয়ে।
স্যার – আমি বোঝাতে চাচ্ছি, তুমি বড় হয়ে কী হবে? ...
ছাত্র – জামাই।
স্যার - আরে আমি বোঝাতে চাচ্ছি, তুমি বড় হয়ে কী পেতে চাও?
ছাত্র – বউ।
স্যার – গাধা, তুমি বড় হয়ে মা বাবার জন্য কী করবে?
ছাত্র – বউ নিয়ে আসব।
স্যার – গর্দভ, তোমার মা বাবা তোমার কাছে কী চায়?
ছাত্র – নাতি-নাত্নি।
স্যার- আরে বেটা . . . তোমার জীবনের লক্ষ্য কী?
ছাত্র – বিয়ে। স্যার অজ্ঞান . . . !!!
( এই ভাবে পড়ালেখা করলে ফেল তো করবাই)

অনু কাব্য- নেতা আমি...

 

অনু কাব্য- নেতা আমি


দেশ প্রেমিক নেতা আমি
দেশ সেবাই ধ্যান জ্ঞান,
নাইবা পেলুম ক্ষমতা,
আমিই দলের সেরা স্পোকসম্যান।
কথার বাণে ধরাশায়ী
শত্রু মিত্র সবাই ,
সমালোচনার মাঠে আমি
সাম্যের গান গাই ।
নিন্দুকেরা বলে নাকি
আঙ্গুর ফল টক।
না খেতে পেয়েই আমি নাকি,
করছি বক বক ।।

অবশেষে পড়ন্ত বেলায়,
ছিঁড়ল ভাগ্যের শিকে,
পিটিয়ে দিলাম ঢাক ঢোল,
ধরব বিড়ালটিকে।।

কিন্তু বিধি বাম!
আমিই নাকি বিড়াল পুষি,
রটল দুর্নাম।
দুর্মুখদের ক্যামনে বুঝাই
সবই ষড়যন্ত্র,
ড্রাইভার ব্যাটা জানে বোধ হয়
যন্তর তন্তর মন্ত্র ।
নইলে সে কেমন করে
গায়েব হয়ে যায় ?
হুট করে আবার ভাষ্য দেয়
টি ভি মিডিয়ায় ।

সবাই যতই উঠে পড়ে
করুক গর্জন।
ধুলোয় মিশানো কি অতোই সোজা,
৫০ বছরের অর্জন ?
দেশ প্রেমিক নেতা আমি
দেশ সেবাই ধ্যান জ্ঞান,
নাইবা পেলুম ক্ষমতা,
আমিই দলের সেরা স্পোকসম্যান।
কথার বাণে ধরাশায়ী
শত্রু মিত্র সবাই ,
সমালোচনার মাঠে আমি
সাম্যের গান গাই ।
নিন্দুকেরা বলে নাকি
আঙ্গুর ফল টক।
না খেতে পেয়েই আমি নাকি,
করছি বক বক ।।

অবশেষে পড়ন্ত বেলায়,
ছিঁড়ল ভাগ্যের শিকে,
পিটিয়ে দিলাম ঢাক ঢোল,
ধরব বিড়ালটিকে।।

কিন্তু বিধি বাম!
আমিই নাকি বিড়াল পুষি,
রটল দুর্নাম।
দুর্মুখদের ক্যামনে বুঝাই
সবই ষড়যন্ত্র,
ড্রাইভার ব্যাটা জানে বোধ হয়
যন্তর তন্তর মন্ত্র ।
নইলে সে কেমন করে
গায়েব হয়ে যায় ?
হুট করে আবার ভাষ্য দেয়
টি ভি মিডিয়ায় ।

সবাই যতই উঠে পড়ে
করুক গর্জন।
ধুলোয় মিশানো কি অতোই সোজা,
৫০ বছরের অর্জন ?

অদ্ভূত একটা মনোরোগ আমার!




অদ্ভূত একটা মনোরোগ আমার!



আজকাল নিজেকে বড্ড অসহায় আর নিঃসংগ মনে হয়
হাজার কথার ঘুরপাক মনে;
কিন্তু কাউকে বলা হয়ে উঠেনা
অব্যক্ত কথামালার যন্ত্রণায় ভূগি।



মানুষের ভিড়ে নাকি হাটা যায়না,
শব্দে কান পাতা যায়না-
তবুও অদ্ভুত এই আমি মানুষের নাগাল
পাইনা; কিংবা দেখাই হয়ে উঠেনা
আমার দু’চোখে যেন
একটা আধার স্থায়ী আবাস গড়ে!



আমার ইচ্ছের অপূর্ণতা, আমার অব্যক্ত কথামালা
স্বপ্নভংগের বেদনা আর

১টি রাতের গল্প


১টি রাতের গল্প



রাত ১টা। চারিদিকের কোলাহল রাতের অন্ধকারের সাথে মিশে গেছে। মাঝে মাঝে গাড়ির হর্ন আর নিজের হার্টবিট ছাড়া আর কিছুই শুনতে পায় না সফেলা। টানা ছয় ঘণ্টা গাড়িতে থাকার দরুন গাড়ির শব্দটি খুবই সাধারণ ঠেকছে অথচ এই শব্দকে একদিন মোটেও সহ্য করতে পারত না সফেলা। স্মৃতির পাতায় ভেসে ওঠে পাশের বাড়ির সবদার শেখের মেয়ের বিয়ের কথা। সেবার দু’দুটো বাস এসে সফেলার উদোম উঠোনে এসে থামলো, শব্দে তো প্রায় জানটার যায় যায় অবস্থা! সফেলা সেদিন সবদার শেখকে প্রাণ ভরে গালি দিয়েছিল। গালিটাই তার একমাত্র সম্বল! সবদার সাহেবদের কাছে যেমন সফেলা অতি তুচ্ছ, সফেলার গালির কাছে তাদের দশাও তেমনিসফেলাকে যারা চেনে এ বিষয়ে তাদের মধ্যে কোন দ্বিমত ঘটবে না। তাই তো সফেলা সুযোগ পেলেই তার এই অস্ত্রটা কৃতিত্ত্বের সাথে কাজে লাগায়।


বাসটি তেল পাম্পে এসে ভিড়লো। সফেলার ডান পাশের লোকটি প্রস্রাব করার জন্য তড়িঘড়ি করে নেমে পড়লো, বাম দিকের লোকটি নড়েচড়ে বসলো- এতক্ষণ সে সফেলার ঝুলে যাওয়া বাম স্তনটি মুষ্টিবদ্ধ করে রেখেছিল। এদের দু’জনার সহায়তায় আজ সফেলা অন্ধকারকে গ্রাস করে চলেছে দেহ-খাদক একদল পিশাচের ক্যাম্পে। ওরা ইচ্ছেমত ভোগ করবে তাকেউল্টে-পাল্টে, খাবলে-খুবলে খাবে তার পাখির ঠ্যাংয়ের মতো রসকষহীন শুকনো শরীর। প্রয়োজনে থাকতেও হতে পারে কয়েক রাতবিনিময়ে টাকা; কিন্তু কত দেবে ওরা? দেহের ওপর অনেক ধকল যাবে ভাবতেই মুখখানা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায় সফেলার। সে ধকল না হয় সইলাম কিন্তু কত দেবে ওরামনে মনে ভাবে সফেলা। তাকে যা দেয়া হবে তার দুই ভাগ আবার যাবে এই দালালদের পকেটে। প্রতিটা কারবারে মধ্যস্তকারীরা সবথেকে বেশি সুফল ভোগ করে, এই বেশ্যা বাজারেও তার ব্যতিক্রম ঘটে না। দালালদের সহায়তা ছাড়া যে সফেলার পক্ষে আর কোন পার্টি ধরা সম্ভব না। বেশ্যা বাজারে তার দাম পড়ে গেছে। একটা সময় ছিল যখন আগে থেকেই দর হাঁকিয়ে পা বাড়ানো যেতো। কিন্তু এখন আর আগের সেই টসটসে মিনসে ভোলানো গতর নেই। ফুলে রস না থাকলে মাছি বসবে কেন! তাই দামাদামি করতে গেলে হটিয়ে দেয় সকলে। সফেলা নীরবে মেনে নেয় সব। দশ বছর পূর্বেকার কথা মনে পড়তেই তার মুখে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটে ওঠে। এক সাহেব গোছের মানুষ- সফেলার বয়স তখন বাইশ কি তেইশ- তার ভরাট যৌবন দেখে সাহেব তো একেবারে পাগলপ্রায়! সাহেব হলে কী হবেলোকটি পাজি-নচ্ছড়, বৌ-বাচ্চা রেখে চলে আসে সফেলার কাছে, সফেলাও খাসা মাল, চেয়ে বসে এক হাজার টাকা! ভদ্রলোক এক কথাতেই রাজি। সফেলা টানা নিঃশ্বাস ছাড়ে নিজের অজান্তেই। এ সমাজটাই হচ্ছে নচ্ছার। এ সমাজস্থ প্রতিটি লোক বেশ্যা অথচ ভারটা বইতে হয় সফেলার মতো গুটিকতক অসহায় নারীকে। রাত হলে সমাজের কতো হর্তা-কর্তা লালা ফেলতে ফেলতে মাগি বাড়ির সন্ধান করে সফেলার তা ভাল করেই জানা। ওরাই বড় বেশ্যা অথচ সকাল হবার সাথে সাথে যেনো এক একজন ধোয়া তুলসী পাতা।


গাড়ির শব্দ ভোতা হয়ে আসছে ক্রমশঃ। ভিতরের বাতিগুলো এখন বন্ধ। সকলে বোধহয় তন্দ্রচ্ছন্ন। বামের সিটে বসে থাকা দালালটির হাত আর নড়ছে না। রাস্তায় হালকা আলো-ছায়া সফেলাকে ভেংচি কেটে দ্রুত সরে পড়ছে। রাতের নীরব আত্মা তাকে শাঁসিয়ে যাচ্ছে ঘন ঘন। দিনের আলো সফেলার গায়ে কাটাতারের মতন বিঁধেঅপমানে, লজ্জায় কুঁকড়ে যায় তার সর্বাঙ্গ, অথচ রাতের পৃথিবীতে সে পানির মধ্যে মাছের মতোন খুবই স্বাভাবিক। দিনের আলোয় যারা ভালো মানুষের মুখোশ পরে সভ্যতার নকশা তৈরি করে, রাতে তাদের নগ্ন চেহারা দেখে সফেলার খুব করুণা হয়। সফেলা তো এই সমাজেরই একজন, সমাজের প্রতিটা মানুষের সাথে পাল্লা দিয়ে সেও বেঁচে থাকতে চায়ছে। মোদ্দা কথা টিকে থাকাটাই এখানে সব। কোন জগতটা তবে বেশি সত্যিরাতের নাকি দিনের? যদি রাতের হয় তবে সফেলাতো অন্যায় কিছু করছে না। বেঁচে থাকার জন্যই আর পাঁচটা ব্যবসায়ের মতন দেহ ব্যবসা করছে, ভদ্র ঘরের নারীদের মতো দৈহিক তাড়না কিংবা ভোগ বিলাসিতার জন্য কিছু করছে না, সে যা করে স্রেফ বেঁচে থাকার জন্যই করে; এক্ষেত্রে দেহ তার ব্যবসায়ের মূলধন; কিন্তু সমাজের সভ্য মানুষগুলো তো তার কাছে আসে দেহের গন্ধে, মাংসাশী প্রাণির মতন খাবলে-খুবলে খায়, সুখের নেশায় মাতাল হয়ে আচড় কেটে দেয় তার ভেতরে ও বাহিরে। বেশ্যা শব্দটা যদি এতটাই ঘৃণার হবে তবে আসল বেশ্যা তো ওরা যারা ঘণ্টায় ঘণ্টায় মুখোশ পাল্টায়, রাজত্ব করে ভন্ড সভ্যতার!
এতসব বোঝেনা সফেলা। এত বোঝবার জ্ঞান তার নেই। সমাজের শিক্ষিত ভদ্রলোকেরা তার কাছে জ্ঞান দিতে যায় না, যায় তাদের পাশবিক চেতনাকে উগরে দিতে। এদেরকে অজ্ঞ করে না রাখলে যে বড় ক্ষতিটা তাদেরই হবে! অন্ধকারে থাকে বলেই সফেলা জানে মানুষ কতটা হিংস্র হতে পারে।


গাড়িটা মেইন রোডের এক কোণায় থামলোদশ মিনিটের বিরতি। দুয়েকটি দোকান এখনো খোলা। বাম পাশের লোকটি বিড়ি কিনতে নেমে যায়, সফেলা বুকের কাপড়টা ঠিক করে আলোর দিকে মুখ বের করে দেয়, চোখ পড়ে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় চকচক করতে থাকা সিনেমার পোস্টারের দিকে। অর্ধ-উলঙ্গ নায়িকাদের খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখে সফেলা। সমাজের এই উঁচু শ্রেণির বেশ্যাদের দেখে হিংসে হয় তার। সমাজে এদের বেশ কদর আছে, টাকাও পায় ঢের বেশি। আচ্ছা, এরা কি সুখ পায়, নাকি আমার মতো ব্যথায় কুঁকড়ে যায় পুরা শরীর?ছবির ওপরে দন্ডায়মান লাম্প-পোস্টটিকে প্রশ্ন করে সফেলা। প্রচন্ড সুখে যখন খদ্দেরদের মরে যেতে ইচ্ছে করে তখন আহত সফেলা খুব কষ্ট করে জানটাকে ধরে রাখে। পঁচিশ বছরের বেশ্যা জীবনে মাসিকের সময় যে শান্তিটুকু পেয়েছে সে, এছাড়া আর অবসর মেলেনি জীবনে। প্রথম যে বার মাসিক হয়, কী গালিটাই না দিয়েছিল মাসিককে! কী ভয়ানক রক্ত দলা বেঁধে শরীর থেকে নেমে আসে, ব্যথায় কুঁকড়ে যায় তলপেট, নারী জীবনে এর থেকে অভিশপ্ত আর কিইবা হতে পারে! তখন কি জানতো সফেলা- এই বিভৎস ঘটনাটাই তার জীবনে সব থেকে কাঙ্খিত হয়ে দাঁড়াবে!
রাত দু’টা। সফেলার মনে হচ্ছে গাড়িটা অন্ধকারকে আঁকড়ে তর তর করে বয়ে চলেছে অজানা এক শঙকার দিকে। বাড়িতে তার আট ও দশ বছরের মেয়ে দুটো একা। ছেলেটা ছ’ মাস ধরে জেলে। ছাড়াতে অনেক টাকা লাগবে। পুলিশের মন ভরানোর মতো বয়স ও টাকা কোনটাই তার নেই। ছেলেটা গেছে, এখনও সময় আছে মেয়ে দুটোকে রক্ষা করার। সফেলা অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, আজকের রাতটিই হবে তার বেশ্যা জীবনের শেষ রাত; ওরা যে ক’টা টাকা দেবে তা নিয়েই মেয়ে দুটোকে সংগে করে এ সমাজের কোন এক গর্তে ঘাপটি মেরে পড়ে রইবে। টাকার কথা মনে হতেই হার্টবিটটা বেড়ে যায় সফেলার। বুক থেকে দালালের হাতটি হটিয়ে নিজের হাতটি শক্ত করে চেপে ধরে সেখানে যেনো জানটা বেরিয়ে না যায়। আচ্ছা, কতো দেবে ওরা, নাকি খালি হাতেই ফিরতে হবে!এই সংশয়টি তার সকল সংশয়কে পিছনে ফেলে পথ রুদ্ধ করে দাঁড়ায়। একটা সময় ছিল যখন ওরা রূপের ঝলক দেখে দু’হাত ভরে দিত। তাইতো বেশ্যা বাজারে সকলে হিংসে করতো তাকে। এমনকি সতী-সাধ্বী নারীরাও আড়ালে-আবডালে সফেলার মতো হতে চায়তো। অথচ আজ ঝুলন্ত আর ঢিলে-ঢোলা গতর দেখে সকলে চোখ ফিরিয়ে নেয়। এ ব্যবসায়ে কচি দেহ বিকোয় বেশি। তাইতো সুযোগ পেলেই প্রতারণা করে সবাই, সফেলাকে সয়তে হয় নীরবেএ প্রতারণার যে কোন বিচার নেই, আদালত নেই, আর থাকলেই বা কী এমন লাভ হতো! এদের ‘করুণাতেই’ যে সফেলারা বেঁচে থাকে! আর জীবন? টানা নিঃশ্বাস ছাড়ে সফেলা।


গাড়ি এসে থামলো গন্তব্যে। দালাল দু’জনের পিছন পিছন সফেলাও নেমে পড়ল হিড় হিড় করে। আচ্ছা কত দেবে ওরাফিসফিস করে বলল নিজেকে। আঁচলের গিট্টু থেকে একটা বড়ি বের করে গুঁজে দিল মুখে, দেহ অবশ করার এই ঔষধটা ওর সাথেই থাকে। বেশ কয়েক কদম হাঁটার পর পৌঁছাল পিশাচদের ক্যাম্পে। ঘুটঘুটে অন্ধকার, বিশ্রি রকমের গরম পড়ছে আজ। মাঝে মধ্যে উঁকি দিয়েই মেঘের মধ্যে লুকিয়ে পড়ছে চাঁদ। সখী, তোর যৌবনের ধার একটু ধার দিবি আমাকে? সফেলা কতবার বলেছে এ কথা! আজ তার মেজাজটা বেশ বিগড়ে আছে। মাগি, ছিনালিপনা করিস আমার সাথে? হাতের কাছে পেলে তোর মাথার চুলগুলো ধরে স্যাটাই ধান ভাংতাম! সফেলা মন্ত্র পড়ার মতো বিড়বিড় করে বলে। দালালের একজন এগিয়ে যায় দরজার দিকে। অন্যজন সফেলার হাত দুয়েক দুরে দাঁড়িয়ে ছছছড় করে পেশাব করতে থাকে। কড়া নাড়তেই ভেতর থেকে একটা ঝাঁঝালো কণ্ঠস্বর ভেসে আসলো, ‘কে? কে এই অসময় দরজা হেটকায়?’ সফেলার বাম পাশের লোকটি একটু বিনয়ের সুরে বলল, ‘আমরা সাব, মাল লইয়া আইছি’। ভেতর থেকে আর কোন সাড়া শব্দ আসে না। সফেলা ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে বলল, ‘কত দেবে ওরা?’ ডান দিকের লোকটা আন্ডারওয়্যার এর ফিতে বাঁধতে বাঁধতে খিঁচুনি দিয়ে বলে উঠল, ‘চুপ কর শালী, এত্ত ঠাপ খেয়েও কামড় মেটেনি!’ ততক্ষণে ভেতর থেকে একটা তৃপ্ত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো, ‘আজ আর লাগব না; আমরা কম বয়সী এক মাগী পাইছি। অন্যদিন নিয়া আইসো’। সফেলাকে হটিয়ে দালাল দু’জন পিছন দিকে পা বাড়ায়। সফেলা মাথা ধরে বসে পড়েআরও একটি নষ্ট রাত, আরও একটি স্বপ্নের প্রতিক্ষায়। কিন্তু কত দেবে ওরা?