বিয়ে ..... দিল্লি কা লাড্ডু (নারীদের এই লেখা পড়া নিষেধ)
এখনো যারা বিয়ে করেননি, কনে খোজা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে এই লিখা। কারো কারো সরাসরি কোন উপকারে আসতে পারে, না হলে জ্ঞান বাড়বে আরকি। আরা যারা ইতমধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন, তারা তাদের ভাই-বেরাদার ও সন্তানদের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটার বেশী বিয়ে করার রেওয়াজ নেই, তাই অত্যন্ত হিসাব নিকাশ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। বিয়েটা হচ্ছে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তাই একটা ভুল বা খারাপ সিদ্ধান্ত এলোমেলো করে দিতে পারে জীবন। আসুন কিছু জ্ঞানের কথা শুনি... যদিও কথাগুলি একান্তই আমার না, বিভিন্ন জার্নাল ও সাময়িকী থেকে ধার করা.... তারপরেও জ্ঞানতো জ্ঞানই।
জীবন সঙ্গী নির্বাচনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা যেতে পারে, তা হচ্ছে:
অবস্থা বুঝে পা ফেলুন
জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্মে যে বিষয়টিকে সব থেকে বেশী জোর দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে দুই পক্ষের সমতা। এই সমতা বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানই মূলত: বোঝানো হয়েছে।
ধরুন, আপনি মধ্যমানের একটা চাকুরী করেন, মোটামুটি সংসার চলে যায়। কিন্তু, বিয়ে করে ফেললেন ধনীর দুলালীকে। তখন তার খরচ, ষ্টেটাস ও উটকো ঝামেলা মেটাতে তখন আপনার জীবন শেষ, সাথে বোনাস হিসাবে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা। তাই ষ্টেটাস বুঝে কাজ করুন। আবার উল্টোটাও হতে পারে ... একদম গরীব ঘরে বিয়ে করলেন আপনার স্ত্রী আপনার সমাজ ও পরিবারের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। যদিও বাঙালি নারীরা দ্রুত যেকোন পরিবেশে তাল মিলিয়ে চলতে পারে...তার পরেও শিক্ষার ও পরিবারের বিভিন্ন দিক দেখে নেয়া উচিত।
কাকে বিয়ে করবেন?
বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমেই যাকে বিয়ে করতে চান, তার একটা স্পেসিফিকেশন তৈরী করুন। সবথেকে ভালো হয়, এই স্পেসিফিকেশন যদি আরো আগেই তৈরী করে রাখেন। তাহলে কাউকে ভালো লাগলেও, আগে থেকেই হিসাব নিকাশ করে অগ্রসর হতে পারবেন। বেহিসেবী প্রেমের কারণে প্রেমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সফল হয় না।
১. সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান:
বিয়ে শুধু দুইজন মানব-মানবীর মধ্যেই ঘটে না, বরং বিয়ে হয় দুটো পরিবারের। কথাটি মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। যে মেয়েটিকে আপনি বউ করে ঘরে নিয়ে আসবেন, সে শুধু আপনার বউ না, সে আপনার বাবা-মায়ের বৌমা, ভাই-বোনের ভাবী। সমতা না থাকলে পুরো পরিবারকে আপন করে নিতে সমস্যা হতে পারে।
অসম আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কারণে অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ার কারণে এই বিষয়টির গুরুত্ব মারাত্মক হতে পারে। আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, পাশ করে মোটামুটি ভালো চাকুরী শুরু করেছেন। এখন যদি এমন কোন মেয়েকে বিয়ে করেন, যে ছোটবেলা থেকে গাড়ীতে চলাচল করে অভ্যস্ত, তাহলে আপনার গাড়ী না থাকলে তার জন্য খুব কষ্টকর হবে।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান:
বৈবাহিক জীবনের পূর্ণ আনন্দ তখনই পাওয়া যায়, যখন দুই জনের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ম্যাচ করে। এ ধরণের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সাথে কিছুক্ষণ থাকলেই মনের সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়ে যেতে পারে, কেননা, তার কাছে আপনি নিজেকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন।
আপনি খুব রাজনীতি সচেতন, অথচ, আপনার জীবন সঙ্গীর এ বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই। তাহলে তার সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগবে না। আপনি সাহিত্য খুব পছন্দ করেন, সে এসবের কিছুই বোঝে না - তাহলে এক সময় আপনি তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
জীবন সঙ্গীর মেধাবী হওয়াটাও দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেধাবী পিতা-মাতার সন্তান মেধাবী হয়।
৩. দৈহিক সৌন্দর্য্য:
আমাদের দেশে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে দৈহিক সৌন্দর্য্যকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। দৈহিক সৌন্দর্য্যের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটিই মুখ্য হওয়া উচিৎ নয়।
৪. ধার্মিকতার মিল:
ধার্মিকদের জন্য এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি খুব ধার্মিক, অথচ, জীবন সঙ্গী ধর্মের ধারই ধারেনা - এ রকম হলে সমস্যা হতে পারে।
৫. শারীরিক সুস্থতা:
এটির গুরুত্ব খুব বেশী। আপনার জীবন সঙ্গী অবশ্যই যেন চির রোগা টাইপের না হয়।
৬. বিয়ের বয়স:
মোটামুটি সমবয়সী বিয়ে করা ভালো। বরের থেকে কনের বয়স ৫-৬ বছর কম হলেই ভালো হয়ে। কণের বয়স বেশী হলে পরে সমস্যা হতে পারে। আবার কনের বয়স অনেক কম হওয়াও ঠিক নয়।
যাই হোক, শুধু কনের যোগ্যতা আর অবস্থা দেখলে হবে সাথে সাথে দেখতে হবে আপনার নিজের বিভিন্ন দিক। তাহলে সুধী সমাজ/ব্যচেলর ভাই-বেরাদারগণ এবার তৈরি হয়ে যান ..."অপারেশন কনে হান্ট" এর জন্য।
এখনো যারা বিয়ে করেননি, কনে খোজা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে এই লিখা। কারো কারো সরাসরি কোন উপকারে আসতে পারে, না হলে জ্ঞান বাড়বে আরকি। আরা যারা ইতমধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন, তারা তাদের ভাই-বেরাদার ও সন্তানদের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটার বেশী বিয়ে করার রেওয়াজ নেই, তাই অত্যন্ত হিসাব নিকাশ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। বিয়েটা হচ্ছে জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তাই একটা ভুল বা খারাপ সিদ্ধান্ত এলোমেলো করে দিতে পারে জীবন। আসুন কিছু জ্ঞানের কথা শুনি... যদিও কথাগুলি একান্তই আমার না, বিভিন্ন জার্নাল ও সাময়িকী থেকে ধার করা.... তারপরেও জ্ঞানতো জ্ঞানই।
জীবন সঙ্গী নির্বাচনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা যেতে পারে, তা হচ্ছে:
অবস্থা বুঝে পা ফেলুন
জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্মে যে বিষয়টিকে সব থেকে বেশী জোর দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে দুই পক্ষের সমতা। এই সমতা বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানই মূলত: বোঝানো হয়েছে।
ধরুন, আপনি মধ্যমানের একটা চাকুরী করেন, মোটামুটি সংসার চলে যায়। কিন্তু, বিয়ে করে ফেললেন ধনীর দুলালীকে। তখন তার খরচ, ষ্টেটাস ও উটকো ঝামেলা মেটাতে তখন আপনার জীবন শেষ, সাথে বোনাস হিসাবে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা। তাই ষ্টেটাস বুঝে কাজ করুন। আবার উল্টোটাও হতে পারে ... একদম গরীব ঘরে বিয়ে করলেন আপনার স্ত্রী আপনার সমাজ ও পরিবারের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। যদিও বাঙালি নারীরা দ্রুত যেকোন পরিবেশে তাল মিলিয়ে চলতে পারে...তার পরেও শিক্ষার ও পরিবারের বিভিন্ন দিক দেখে নেয়া উচিত।
কাকে বিয়ে করবেন?
বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমেই যাকে বিয়ে করতে চান, তার একটা স্পেসিফিকেশন তৈরী করুন। সবথেকে ভালো হয়, এই স্পেসিফিকেশন যদি আরো আগেই তৈরী করে রাখেন। তাহলে কাউকে ভালো লাগলেও, আগে থেকেই হিসাব নিকাশ করে অগ্রসর হতে পারবেন। বেহিসেবী প্রেমের কারণে প্রেমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সফল হয় না।
১. সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান:
বিয়ে শুধু দুইজন মানব-মানবীর মধ্যেই ঘটে না, বরং বিয়ে হয় দুটো পরিবারের। কথাটি মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। যে মেয়েটিকে আপনি বউ করে ঘরে নিয়ে আসবেন, সে শুধু আপনার বউ না, সে আপনার বাবা-মায়ের বৌমা, ভাই-বোনের ভাবী। সমতা না থাকলে পুরো পরিবারকে আপন করে নিতে সমস্যা হতে পারে।
অসম আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কারণে অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ার কারণে এই বিষয়টির গুরুত্ব মারাত্মক হতে পারে। আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, পাশ করে মোটামুটি ভালো চাকুরী শুরু করেছেন। এখন যদি এমন কোন মেয়েকে বিয়ে করেন, যে ছোটবেলা থেকে গাড়ীতে চলাচল করে অভ্যস্ত, তাহলে আপনার গাড়ী না থাকলে তার জন্য খুব কষ্টকর হবে।
২. বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান:
বৈবাহিক জীবনের পূর্ণ আনন্দ তখনই পাওয়া যায়, যখন দুই জনের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ম্যাচ করে। এ ধরণের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সাথে কিছুক্ষণ থাকলেই মনের সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়ে যেতে পারে, কেননা, তার কাছে আপনি নিজেকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন।
আপনি খুব রাজনীতি সচেতন, অথচ, আপনার জীবন সঙ্গীর এ বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই। তাহলে তার সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগবে না। আপনি সাহিত্য খুব পছন্দ করেন, সে এসবের কিছুই বোঝে না - তাহলে এক সময় আপনি তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
জীবন সঙ্গীর মেধাবী হওয়াটাও দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেধাবী পিতা-মাতার সন্তান মেধাবী হয়।
৩. দৈহিক সৌন্দর্য্য:
আমাদের দেশে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে দৈহিক সৌন্দর্য্যকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। দৈহিক সৌন্দর্য্যের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটিই মুখ্য হওয়া উচিৎ নয়।
৪. ধার্মিকতার মিল:
ধার্মিকদের জন্য এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি খুব ধার্মিক, অথচ, জীবন সঙ্গী ধর্মের ধারই ধারেনা - এ রকম হলে সমস্যা হতে পারে।
৫. শারীরিক সুস্থতা:
এটির গুরুত্ব খুব বেশী। আপনার জীবন সঙ্গী অবশ্যই যেন চির রোগা টাইপের না হয়।
৬. বিয়ের বয়স:
মোটামুটি সমবয়সী বিয়ে করা ভালো। বরের থেকে কনের বয়স ৫-৬ বছর কম হলেই ভালো হয়ে। কণের বয়স বেশী হলে পরে সমস্যা হতে পারে। আবার কনের বয়স অনেক কম হওয়াও ঠিক নয়।
যাই হোক, শুধু কনের যোগ্যতা আর অবস্থা দেখলে হবে সাথে সাথে দেখতে হবে আপনার নিজের বিভিন্ন দিক। তাহলে সুধী সমাজ/ব্যচেলর ভাই-বেরাদারগণ এবার তৈরি হয়ে যান ..."অপারেশন কনে হান্ট" এর জন্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন