কষ্টের ক্ষত চিহ্ন
ক্ষতি যা হবার হয়েছে
আমি তার ক্ষতি পূরন চাই না।
চাই নিজকে বাঁচিয়ে রেখে
বাকী জীবনটা পার করতে।
সেটাও আমার নিজের প্রয়োজনে নয়
সন্তানের ভবিষ্যত মজবুত করতে।
নিজকে বিলিযে দিয়েছি মানুষের মাঝে,
কোন কিছু দাবী না করে।
তারপরও প্রাপ্য সন্মানটুকু পাইনি
পেয়েছি যন্ত্রনাদায়ক কথার খোচা
যা এখনও নিজকে ব্যতিত করে।
নির্ঘুম রাত কাটে সীমাহীন কষ্টে
পূর্নিমা রাতের ভরা জোসনার চাঁদের মতোই,
জীবন ছিল পরিপূর্ন;
জীবন এখন আর রংঙ্গিন স্বপ্ন দেখে না
পাখা মেলে ভেসে যেতে চায় না দুর নীলিমায়।
জীবনের পড়ন্ত বেলায় আপন জনের
দেয়া কষ্টকে বুকে ধারন করে,
রজনী ভোর হবে ভাবিনি।
কেন এমন হয়, কেন আপন জন কষ্ট দেয় ?
মানুষ পৃথিবীর ক্ষনিকের অতিথি,
তবে কেন অন্য মানুষকে কষ্ট দিয়ে;
নিজের কষ্টের পরিমান বাড়িয়ে তুলা ?
আমরা কেউ কি ভেবেছি –
কষ্টের পরিমান কতটা ভারী হলে
একজন মানুষ নিজের আপনজনকে-
ভুলে থাকার চেষ্টা করে ?
যে কষ্ট দেয়, সে ভুলে যায়
আর যে কষ্ট পায়, সে সারা জীবন বয়ে বেড়ায়,
সে কষ্টের ক্ষত চিহ্ন।
যে ক্ষত একদিন দগদগে ঘায়ে পরিনত হয়।
অবিরাম রক্তক্ষরন, তারপর শেষ যাত্রা পরপারে।
এটাই তো জীবন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন