[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০১১

সবকিছু যেন শেষ সন্ধ্যায়



সবকিছু যেন শেষ সন্ধ্যায়
ব্রিকফিল্ড ঘিরে রেখেছে
উত্তর আধুনিক এই শহর।
চারদিকে তাপ দিচ্ছে
দুষিত করছে ,ধুলা কিম্বা ময়লায়।
সব কিছু যেন অন্ধকারে
গুমট হয়ে আসছে।
বাতাসে বৈরি পরিবেশ-
কুয়াশায় লাবণ্যতা হারাচ্ছে
বিস্তৃত সব অপরূপ প্রকৃতি-
যেন ধেয়ে আসছে
কোনো এক ভয়াবহতা
যেখানে শিকার হবে তাবৎ
শক্তিমান যত রুপসী শহর,
গ্রাম-অথবা সৌন্দর্য মণ্ডিত দেশ।
আমাদের শরীরে বইছে
অনাদিকালের সব নোংরা অসভ্যতা
আমরা নীরবে জ্বলে যাই
পুরে যাই – তার সাথে
হত্যা করি আমাদের যত
প্রদত্ত জ্ঞান-
৩০।১২।২০১১ইং/রাত্রি:১০:১৫মি:

অনেক দিন পর আমি...

অনেক দিন পর আমি...
অনেক দিন ধরে আমি ব্লগে আসি না। আবার আসলেও আমি অফলাইনে থেকে কিছু লিখা পড়ি।আসব আসব করে আর আসা হয়ে উঠেনা।অবশেষে এসেই পরলাম……..

” একটু কাঁদব বলে “

অনেকদিন কান্নার স্বাদ পাইনি
দু-ফোঁটা অশ্রু নিয়ে বসে ছিলাম
একটু কাঁদব বলে।

ভেবেছিলাম তুমি আসবে;আর
তুমি এলেই তোমাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদব।
কেন কাঁদতাম জানি না,হয়ত তোমাকে ছাড়া
এতগুলো দিন আর রাত আমি কি করে পার
করেছি! তা ভেবেই কান্না পেত।
নয়ত তোমাকে কাছে পাবার আনন্দেই কাঁদতাম।

কিন্তু তুমিতো এলেই না;
কি করে কাঁদব আমি?

তোমার আসা আর কোন দিনই হবেনা
সেটা জানি,কিন্তু কান্না পায়না কেন বলতো?
হাসতেও তো পারিনা এখন।

তোমার না আসা কি আমায় কষ্ট দেয়নি?
নাকি আর একটু বেশী কষ্ট পেলে কাঁদতাম আমি?
মানুষ কতটুকু কষ্ট পেলে কাঁদে সেটা যদি জানা যেত;
তবে আমি ঠিক ততটুকু কষ্টই পেতাম।
কারন আমিতো একটু কাঁদতেই চেয়েছিলাম;
নাকি আমার ভেতরটা নীরবে কাঁদে!
আমি টের পাইনা,শুধু বাহির নিয়েই পরে
থাকি আমি।
তবে কি আমার আর কোন দিনই কাঁদা হবে না?

তবুও জীবন

তবুও জীবন 

 ডিসেম্বর ২৮, ২০১১

পৃথিবীর পথে প্রান্তরে ঘুরেছি আমি,
দেখেছি ফুল ও পাথর সাজিয়ে রেখেছেন
অন্তর্যামী।
ভালবাসা দেখেছি, মমতা দেখেছি
বন্ধু দেখেছি, শত্রুও দেখেছি,
আরও দেখেছি অবজ্ঞা অবহেলা,
প্রেমের সাথে বঞ্চনার খেলা।
অবজ্ঞা উচ্ছাস পাশাপাশি চলে
নদীকে যেমন বেধে রাখে দু কূলে।
হৃদয়ের হাটে চলে বেচাকেনা
ভালো মন্দ যায় না চেনা।
তবুও মূল্য বেশি, অনেক বেদনা অনেক যাতনা
তারপরেও থেকে যায় অনেক অজানা।
ভিড়ের মাঝে চিনতে হয় ভুল
কোথায় পাথর আর কোথায় ফুল।
কালের স্রোতে ভেসে যাওয়া মন
খুজে ফিরে ঠিকানা এইতো জীবন।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

পরবাস __________



পরবাস

sun off
রোদের ঘৃণা প্রহেলিকায় জাগে
জীবন যেন সিঁদুর – মাখা দুপুর
প্রহেলিকার রঙিন অনুরাগে
পতিতাদের পায়ে বাজে নূপুর
পরিশেষে অন্ধকারের আগে
নষ্ট স্বপ্ন ঝরে টাপুর টুপুর।

সঙ্গবিহীন আত্মরতির জালে
ঊর্ণনাভি বন্দী দূর্বিপাকে
মনস্তত্ত্ব ঘুমায় অন্তরালে
কিংবদন্তী সত্য হয়ে ডাকে
ব্যর্থ হওয়ার প্রসবোন্মুখ কালে
শকুন্তলা পাথর চাপা থাকে।

স্নায়ুতন্ত্রী অবশ স্তব্ধ নেশায়
কনীনিকা ঘষা কাঁচের ধোঁকা
স্তেপের ধুলো কাঁপে বিপুল হ্রেষায়
মেরুদন্ড কাটে অলীক পোকা
দুধের সঙ্গে জননী বিষ মেশায়
গোলক জুড়ে লোকান্তরের টোকা।
নিজভুমে আজ পরবাস
সবই ভুল মিছে আশ্বাস !!

কেন ডাকো ^_^

কেন ডাকো
e8bcdd5a25ace5947c0278da930a2fdc

তবু কথা থাকে
বলেছেন একজন। সন্ধ্যের পরেও কথা থাকে;
রক্ষিতার মত সঙ্গোপনে রাতের নির্জন কথা
দুপুরের শেষ মৃত্যুর পরেও থেকে যায় অপরাহ্নের সংলাপ।


কোন এক গোপন ঈঙ্গিতে চারটি চোখের রঙ বদলে- যাওয়ার মত
আবেশে স্পন্দিত, বৃষ্টির পরেও মেঘ-মেঘ আকাশে ভাসে
শুভ্র কথার কাফন।


আমি ঘুমহীন চেয়ে চেয়ে দেখি
দু’চোখের দরিদ্র পারদ ঝরে ঝরে পড়ে
শতাব্দীর নোংরা কোলে।

কথা বলি না, কেননা
কথা না- বলার করেছি সংরক্ত পণ
একান্তে, নিঃশব্দে, জানে না ঘনিষ্ঠতমা।


ঘোর তমসার নীল জলশয্যাতে
তখন অনন্ত বীটোফেনের সিম্ফনি
অবাক তৃষ্ণার্ত রঙের ধরায় অবিরল বয়ে গেলে
তুমি এসে কেন ডাকো
হে নারী, হে কবিতার প্রসূতি, হে বিষণ্ণ প্রকৃতি !!!


e8bcdd5a25ace5947c0278da930a2fdc12

স্মৃতি থেকে নেয়া প্রিয় লিখা।

একটি সোনালী মুখ

একটি সোনালী মুখ
একটি সোনালী মুখ
পুকুরের বন্ধ্যা জলের মত স্তব্ধ সময়
কৌটায় ভরে ‍রাখা এক ফালি রোদ যেন,
কালের স্মৃতি চারণে; অমাবস্যার রাত অপেক্ষায় থাকে
চন্দ্রমুখী তুমি বিনে! গরল বিজন,
আমলকীর বন আজ সর্বনাশের উল্লাসে মাতে।

টলটলে স্বচ্ছ জলে তোমার জলছবি
এঁকেছিলে কবে?
তির তির করে কাঁপা বাতাসে
স্তব্ধ জলের ঢেউ! স্মৃতির আকর যেন,
বড্ড জালায় এই পড়ন্ত বেলায়।

এই পড়ন্ত বেলায় নেমে ‍এলো
কুয়াশার সাঁঝ, যেন আতুর ঘরে বাতি জ্বলল
ডুব সাঁতারে মত্ত হাসের ছানা! বাড়ী ফেরার তারা ভুলে যায়;
মাছ রাঙার মত জলে খুঁজে ফিরে
একটি সোনালী মুখ।


১৪১৮@১৪ পৌষ,শীতকাল