[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]
onamika (akhi) লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
onamika (akhi) লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

শুক্রবার, ২ মার্চ, ২০১২

aandharer aalo

 

 

aandharer aalo


AANDHARER AALO....

Pothe aanche kanta- kanta aar sudhu kanta.
Pother du dhare aanche prokritir meela rongin swapno.
Gach- pala, nodi nala,nil aakashe megh bhasa ,
Dana mele pal tule pakhi hoye urre jaoa .


Dakhi cheye chinno dai oi tribhujer chura,Chinno theke aabar chinno shuru hoye sai tribhujer.
Kintu sai chinner aar sesh hoyena keno……?
Bar-bar mone hoye ei bujhi ei sesh chinno ,
Ebar aami pouchiyei jabo.
Aar aandher nai aar bujhi kanta nai ,
Aar bujhi pahar moru sagar nai,
Dur aar kato dur ,sai pother sesh kothay …..?
Dhurr!!! …er to aar sesh ei nei….

Aami jato bar bati jalai tato bar nibhe jaye sei bati,
Dekhi sudhu dhu-dhu maath kalo aandhar rati.
Mone pore jaye sudhu sei purano diner smriti.
Purano diner smritite keno sudhu bedona pai.
Tai to aami purano diner smritike
bhule jete chai , muche dite chai.


Pother kantaey-kantaey chobi aanki,sudhu phul
Aar phul dekhite pai.
Batase- batase mridu hasi hase snigdho gandho pai.
Ek songe thaki aar aaladai jai, mone hoy jeno
Aamari chobi jaey.
Sobai jeno bole oi je tinkhana karbon kora
chobi dhekho bhai.
Tai to sakol dukho-kosto bhule dhairjo dharai ,
Sashos aani anubhav kori ,shotti eraito aamar
Aasol kobi o chobi.
Je chobi aami eke dilam chobi,se chobite rangta tumi
bhore diyo aamar chobi ,….tumi.
Nirjon gabhire ekaki bose bhabi…..aandher phurabe ekdin,
sat range ramdhunu aakase, bahar charabe jagate tumi,
Aandher phurabe robir kirone chutbe –phutbe aalor rashi.
Runu-jhunu nupur baje oi aakashe
subasito gondho bhase batase- batase.
tai to mon aamar urre choleche alok gondhe mondo batase,
nishar aakase oi cader aaloye aami bhese jate cai.
Aandharer aalo – aandhare aalo – aandharer aalo
Tai to lage aamar ….darun –darun – darun bhalo……!


Dujanar duti poth ek holo aandhare,
Sai pothe aajo aami hete cholichi je nirobe.
Biram bihin ei cholar sesh janina kothey…
Tabuo cholechi rater aandhere kantar pothe,
Tai to buker sahosh o swapno niye cholchi.

DHAN TU HI DHANNA HAI

 

 

DHAN TU HI DHANNA HAI

 
Aapke pass dhan hai to kya gam hai ,
Dhan hai to sach aap dhanya hai.
Acche ko bure our bure ko accha bana sakte ho.
Din ko raat our raat ko din, sada ko kala our kale ko sada.
Suno, suno –suno mera bahena aur sab dada.

Aap ho katil phir bhi hoga aapka bara hi khatir.
Aap mango chanda ya karo koi galat dhanda,
Chal raha hai paise walo ki bajar bhao monda,
Tandur me bhun dalo ya phir nithari me
Paakeo butterr chicken,kya fark parta hai.
Bare hi swad hai sab kuch chalta hai.

Paise ki bori sab kuch nigal kar thanda kor deta hai.
Income tax ho ,sex-tax, ya rail-tax sab kuch manda chalta hai.
Bichar ho raha bimarsh ho raha hai ,
Kanoon to bas tarik badalta hai sabut mangta hai .

Kaun hai sadhu aur kaun hai chor,
Khicho agur dorr , to sab-ke sab nikelte hai chor.
vartaman samay me sabhi to hai nanga ,
Koun karega aaj samaj me bichar bhai changa.

Kathgare me khare hoker kasam khai jati kebal jhut ki,
Safed suit aur kale coat ki jeb me
bhare jate hai kebal note-hi note se.
Dhan ki is maya- jaal me kale samaj ne
Safed chadar odh liya hai, jise dekhna muskil
bhi our naa mumkin bhi .

Kanoon ki devi banakar pujte ho ,
Aankho me kali patti bhandh kar kalikh hi kalikh poth dete ho.
Dhan ki agar maya nagri na hoti to
Har roj hazaro dhananjay suli par charta,
Our fansi par latkaya jata.

Dhan tu hi dhanna hai, dhan ki is maya nagari dannya hai.
Dhan tune hi bachaya hai hazaro khuni,katil aur balatkari ka
Dam our gam. Es liya dhan tu hi dhannya hay,
Dhan tujhe hazaro salam our namaskar.
 
___________________________________hasanat ______

বৃহস্পতিবার, ১ মার্চ, ২০১২

projapoti .......

 

 

projapoti







 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
Emon sunder rongin pakha…
O bhai .....!!
projapati tumi, pele kotha…..?
Tomay dekhe
baro sadh hoy je mone,
Urbo aami tomari sone.
Rong-birongi tomar jama pore,
Phule-phule aar bone-bone dule.
Ekbar balo…
Eto sunder jhalo-malo, aaka-baka,
Lal-nil,holde tomar oi pakha...
Balo tumi balo …ke tomare dilo….?
O bhai projapati!,
Tumi aamar bandhu hao,
Aamar jama pore tumi
Boi-khata niye schoole jao.
Aar aami tomar
oi sonali parag makha,
lal nil holde jama pore ,
Bone-bone dule –dule
phule-phule madhu khai ghure-ghure.

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমাকে নিয়ে যায় সে



আমাকে নিয়ে যায় সে

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে-
কোনো এক কালের প্রভাত ঘন
বসন্তের কোকিল হয়ে।

মাঝে মধ্যেই আমি প্রকৃতির রুপ মেখে
নয়নে বসন্ত সাজাই-
আমি উন্মক্ত হই, প্রতহ অপরাহে
কিম্বা বাকি সময়ে।

যেখানে কোনো অনুসূচনা থাকেনা,
থাকেনা সূচনাকে পুজি করে
অমাবর্ষার বিষ্ময়কর ডুমুর ফুল
আয়ত্ব করতে।

সেখানে আমি জাগিয়ে উঠি
অতীত কিম্বা ভবিষ্যতের সামনা সামনি।
আমাকে নিয়ে যায় সে-
মহাকালের কোনো এক সৃষ্টির নিগরে।

আমি সেখানেই আয়ত্ব করি
যুগ উপযোগি সভ্যতার বাসনা গুলো।
সেখানেই গচ্ছিত আছে মহাকালের সভ্যতা ।

সেখানে শানবাধা ঘাট আছে।
পাল তোলা নাও আছে।
প্রকৃতি আছে, আছে প্রাকৃতির নির্যাস ।

কোকিল আছে ,ভরা দিঘি আছে
উলঙ্গ মাঠ আছে -
আর একরাশ স্বপ্ন আছে।

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে
আমাকে নিয়ে যায় সে
বসন্তে-র ভরা যৌবনের স্বাদ নিতে।

আমি প্রত্যহে কাটি তার অপেক্ষায়।
######################################################################

মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি





মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি
akashnill
এই কি মেঘের খেলা-
প্রতিদিন সে ঢাকে আকাশ,
ভু-পৃষ্টে থমকে দাড়ায় তপ্ত বাতাস।
প্রতিক্ষায় চেয়ে তনুমন,
ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরো অনুক্ষন।
কদম তলে ‍সিক্ত বসনে
কথা হবে প্রিয়ার সাথে তৃষিত নয়নে,
রোদেলা দুপুরে ঘামসিক্ত মনে
তাই অপেক্ষায় কাটে বেলা।
অপেক্ষার দুপুর বিকেলে যায়
গোধূলীয়ার সঙ্গম হয় সুর্য ডোবায়
তবুও জলহীন মেঘ বৃষ্টি ঝরালো না,
প্রিয়া মোর আসিলনা শুষ্ক সাজ বেলায়,
ছোঁয়া গেল না তাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়,
এ যেন মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলা।

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১২

খেয়া....

খেয়া

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 

ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।
 

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।

শুক্রবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১২

নিঃশব্দের স্মৃতি

নিঃশব্দের স্মৃতি


 হাঁটছো তুমি, লোকের চাহুনি
 বাদ পড়েনি আমার নয়ন
 দীর্ঘ কেশে বেশ সেজেছে
 পাশের নরে দিলেম চয়ন।

বেশ সেজেছে রৌদ্র বটে
 ছুটোছুটি যেন বাড়ছে শেষে
 ঘাম বেড়েছে তোমার ঘ্রাণে
 নীল পদ্ম বুকে ক্ষানিক বসে।

এমন তবে, তোমার বলার হীরক
 বকুল ধরেছে, হয়েছে বেশ সাজুনি,
 বেশ দিলেম এমনই কিছু অংশ
 এখনও স্মৃতি, রয়েছে আমার গাঁথুনি।

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১১

একটি সোনালী মুখ

একটি সোনালী মুখ
একটি সোনালী মুখ
পুকুরের বন্ধ্যা জলের মত স্তব্ধ সময়
কৌটায় ভরে ‍রাখা এক ফালি রোদ যেন,
কালের স্মৃতি চারণে; অমাবস্যার রাত অপেক্ষায় থাকে
চন্দ্রমুখী তুমি বিনে! গরল বিজন,
আমলকীর বন আজ সর্বনাশের উল্লাসে মাতে।

টলটলে স্বচ্ছ জলে তোমার জলছবি
এঁকেছিলে কবে?
তির তির করে কাঁপা বাতাসে
স্তব্ধ জলের ঢেউ! স্মৃতির আকর যেন,
বড্ড জালায় এই পড়ন্ত বেলায়।

এই পড়ন্ত বেলায় নেমে ‍এলো
কুয়াশার সাঁঝ, যেন আতুর ঘরে বাতি জ্বলল
ডুব সাঁতারে মত্ত হাসের ছানা! বাড়ী ফেরার তারা ভুলে যায়;
মাছ রাঙার মত জলে খুঁজে ফিরে
একটি সোনালী মুখ।


১৪১৮@১৪ পৌষ,শীতকাল

বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর, ২০১১

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে

আরেকটি ডিসেম্বরের প্রথম প্রভাতে
ডিসেম্বর ০১, ২০১১ 


একটি রক্তজবা হাতে নিয়ে মা বললেন, আজ বৃষ্টি হবে। ভিজে যাবে
সবটুকু সবুজ জমিন। ঘেরুয়া নদীর জল থেকে রক্তবাষ্প উড়ে দেবে
জানান, এই মাটিতে আততায়ী রাত নেমেছিল। হায়েনা পিশাচদের
উল্লাস কাঁপিয়েছিল এই আকাশ। সূর্যের পরিণত ঘর। মানুষের বিত্ত
বিবর। আর লুকিয়ে থাকার সাঁকো খুঁজে শরণার্থী তরুণ-তরুণী
গিয়েছিল উত্তরের বাঁকে। অগ্রজ পূর্বসূরীর হাতের লাঠি গর্জে উঠেছিল
‘থামো ঝড়, থামো বজ্র’ এমন আওয়াজে।

সেই প্রভাতে আমি ছিলাম মায়ের বাম হাত ধরা অবুঝ বালক। বালিকা
বোনটি কেঁদেছিল,’বাবা ,বাবা ‘-বলে।

বাবা যুদ্ধে গিয়েছিলেন। একটি গ্রেনেড চার্জ করতে গিয়ে উড়ে গিয়েছিল
তার ডান হাত। তাই নিজ ডানহাতটিকে ভয়ে লুকিয়ে রাখতেন
আমার মা। আর বলতেন, দেখিস- আমার হাতটা যেন কেউ না দেখে।

তার ভয় ছিল খুব। বাবার হারানো ডানহাতটিকে তিনি মনে করতেন
নিজের হাত। বাবার চোখগুলোকে মনে করতেন নিজের চোখ।

সেই প্রভাতে আমার মায়ের নিজস্ব কোনো দৃষ্টি ছিল না। বৃষ্টি আসবে বলে
সকল মুক্তিযোদ্ধার দৃষ্টি দিয়ে তিনি তাকিয়েছিলেন আকাশের দিকে।

আর বলেছিলেন, বৃষ্টি আসুক। তবু মুছে যাবে না এই বাংলা থেকে
থোকা থোকা রক্তগোলাপের দাগ।

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

ভালবাসি (খুঁজছি)


ভালবাসি (খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১১

মনের আয়নায় দেখা



মনের আয়নায় দেখা
হাসনাত রিদুয়ান |নভেম্বর ১৪, ২০১১

মনের মাঝে সদায় যে বসত করে
আমি মনে রাখিব কেমনে তারে ?
আশার বাণী যে শোনায় নিরাশার মাঝে
বাঁধিব অন্তর মম তার তরে-চিরতরে !

দু’চোখের অলখে যাক সে সুদূরে একা
চোখ বুজে মনের আয়নায় করব দেখা !
নীরবে দ্বৈত সত্ত্বার সনে হবো মুখোমুখি
বিরহী অন্তরে জ্বালিব বেদনার দীপ-শিখা।

মনের মাঝে সদায় যে বসত করে
আমি মনে রাখিব কেমনে তারে?
চোখের কোণেও না পারি রাখিতে
অশ্রু হয়ে সে যায় যে নীরবে ঝরে !

সোমবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১১

বলে যাও-ভালবাসি...

লে যাও-ভালবাসি

 এসো,এসো আমার কাছে-একটু সময় নাও,
শান্ত হয়ে বোস , দম ফেলবার সময়টুকু নাও
এবার ভাল করে বলে যাও – ভালবাসি।
আদর করে বলে যাও – ভালবাসি।
বারবার ভাল করে বলে যাও – ভালবাসি।
দিন পুরোবার আগ পর্যন্ত বলে যাও – ভালবাসি।
বলতে থাক অজস্রবার -
যতক্ষণ না আমার,
এ দেহে কামনার আঘাত পড়ে-
বাসনার পাত্রগুলো যায় দুমড়ে মুচড়ে,
তোমার স্বপ্ন সপ্তমে চড়ে !
আমার আবেগ,সুখগুলো ওঠে আলোড়ন করে
ততক্ষণ বলতে থাক-ভালবাসি,ভালবাসি-ভালবাসি !!

বলে যাও – ভালবাসি,
যতক্ষণ না বলতে হয় – আজ আসি।
বল উদার মনে, তোমার বিহনে-
আমি নেই আমাতে। বল এই ক্ষণে
ঝড়-বন্যায়, কী তপ্ত খরায় -
সোনালী দিনে আর রাত্রির ছায়ায়,
সব কাজের ভীড়ে – একান্ত অবসরে
জ্ঞানে – অজ্ঞানে অনিদ্রার ঘোরে
বল বল চিৎকার করে, ভালবাসি-
তোমায় খু-উ-ব ভালবাসি।
সবাইকে বলে যাও,“ভালবাসি”-
এ শব্দটা আজ ও আগামীর।
যত বাঁশী বাজে-সব যে একই সুর সাঁধে।
বল – আমি চাই শুধু তোমাকে ,
সব কিছু বাদে। আর সবকিছু চরম ম্লান
মূঢ় অর্বাচীন একেবারেই মূল্যহীন।
সেই শব্দ বারবার উচ্চারণ করো।
আমার কানে মধু ঢালো,বেদনা দূর করো ;
আর শুধু বলে যাও- ভালবাসি।
তোমায় নিয়ে স্বপ্ন রাশি রাশি!
আমায় মুগ্ধ করো আর বলে যাও- ভালবাসি!
আমায় ভরিয়ে দাও,কৃপা করো, বলে যাও- ভালবাসি!!

শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

tumar jonno

তোমার জন্য


তোমার জন্য-
একসময় অনেক রঙ্গীন ছিলাম
এই আমি
আবেগপ্রবণ হতাম খুব
বৃষ্টির ছোঁয়ায় শিহরীত হতাম
পাখির ডাকে হতাম বিমহিত।
তোমার জন্য-
কবি হলাম একদা
কলম আর মনের সাথে
ঠুকাঠুকি করে রক্ত ঝরালাম
আমার প্রিয় ডায়রীতে ।
তারপরও হয়নি বলা শেষ কথা
কখনো আবিষ্কার করেছি তোমায়
ক্লিওপেট্রো কখনো শকুন্তলা
আবার কখনো
জীবনানন্দের বনলতা সেন।
কত নামে পূজা করেছি তোমায়।
জানা হয়নি-
পৃথিবীর হাজারোও আশা মরে
মনেরও অজান্তে
তিল তিল করে গড়ে তুলা স্বপ্ন
ভেঙ্গে চুরমার হয় কারো অবহেলায়।
তারপরও জানা-
কেমন আছো তুমি ?

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

অনামিকা....

আজও ভুলতে পারি নাই

যাহাকে ভালবাস তাহাকে নয়নের আঁড় করিও না
যদি প্রেম বন্ধন দৃঢ রাখিবে তবে সুতা ছোট করিও
বাঞ্ছিতকে চোখে চোখে রাখিও
অদর্শনে কত বিষময় ফল ফলে
যাহাকে বিদায় দেবার সময় কত কাদিয়াছ, মনে করিয়াছ বুঝি তাহাকে ছাড়া দিন কাটিবে না –কয় বছর পর তাহার সাথে যখন আবার দেখা তখন কেবল জিজ্ঞাসা করিয়াছ – ভাল আছ তো?
হয়ত সেই কথাও হয় নাই, কথাই হয় নাই- আন্তরিক বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে একবার চোখের আড়াল হলেই যা ছিল তা আর হয় না
যা যায় তা আর আসে না
যা ভাঙ্গে তা আর গড়ে না
মুক্ত বেনীর পর যুক্ত বেনী কোথায় দেখিয়াছ ????
জীবন মানেই সুখের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো—
বেঁচে থাকা মানেই দুঃখের সাথে অজান্তে সহবাস করা—
অবিমিশ্র সুখ মানুষের ভাগ্যে কখনোই আসে না—
সুখ বাঁচিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশী অস্বস্তি বোধ করে মানুষ—
যে কোন ছল ছুঁতোয় সে দুঃখকে দেকে আনে—
সুখের চেয়ে দুখের সাথে বাস করতে সে বেশী আরাম বোধ করে, কারন অতি সুখে হাহাকার থাকে না—
স ন্দেহ, জ্বালা অথবা নিজেকে বঞ্চিত ভাবার যন্ত্রনা থাকে না—
কোন এক মুহুর্ত বা কিছুদিনের বুকে খুশীর সূচীকর্ম সারাজীবন টাঙ্গিয়ে রাখার নাম জীবন, মানুষ তাতেই অভ্যস্ত।

যারা যুদ্ধ করে পাহাড় ডিঙ্গায় তারাই কি শুধু বীর?
যারা তিল তিল করে নিজেদের যৌবন, নিজেদের সর্ব সাধ আহলাদ, নিজেদের খাওয়ার সুখ, পরার সুখ, শরীরের সব সুখ কে নির্বিকার চিত্তে প্রতিদিন নিঃশব্দে গলা টিপে মারে নিজেদের জন্মদাতা বা দাত্রী, ভাই বোনদের কারনে তারা কি বীর নয়?

প্রতি মুহুর্তে নিজের সঙ্গে যুদ্ধে যে যোদ্ধা নিজেকে বারবার পরাজিত করে সে কি সত্যিকারের বীর নয়?

দৃষ্টিপাত

প্রেম প্রবঞ্চিতকে কী দেয়?

প্রেম আপন গভীরতায় নিজের মধ্যে একটি মোহাবেশ রচনা করে। সেই মোহের দ্বারা যাকে ভালোবাসি আমরা তাকে নিজের মনে মনে মনোমত গঠন করি। যে সৌন্দর্য তার নেই, সে সৌন্দর্য তাতে আরোপ করি। যে গুণ তার নেই, সে গুণ তার কল্পনা করি। সে তো বিধাতার সৃষ্ট কোনো ব্যক্তি নয়, সে আমাদের নিজ মানসোদ্ভূত এক নতুন সৃষ্টি। তাই কুরূপা নারীর জন্য রূপবান, বিত্তবান তরুণেরা যখন সর্বস্ব ত্যাগ করে, অপর লোকেরা অবাক হয়ে ভাবে, “কী আছে ঐ মেয়েতে, কী দেখে ভুললো?” যা আছে তা তো ঐ মেয়েতে নয়– যে ভুলেছে তার বিমুগ্ধ মনের সৃজনশীল কল্পনায়। আছে তার প্রণয়াঞ্জনলিপ্ত নয়নের দৃষ্টিতে। সে যে আপন মনের মাধুরী মিশায়ে তাহারে করেছে রচনা। জগতে মূর্খরাই তো জীবনকে করেছে বিচিত্র; সুখে দুখে অনন্ত মিশ্রিত। যুগে যুগে এই নির্বোধ হতভাগ্যের দল ভুল করেছে, ভালোবেসেছে, তারপর সারা জীবনভোর কেঁদেছে। হৃদয়নিংড়ানো অশ্রুধারায় সংসারকে করেছে রসঘন, পৃথিবীকে করেছে কমনীয়। এদের ভুল, ত্রুটি, বুদ্ধিহীনতা নিয়ে কবি রচনা করেছেন কাব্য, সাধক বেঁধেছেন গানচিত্র, ভাষ্কর পাষাণ-খণ্ডে উৎকীর্ণ করেছেন অপূর্ব সুষমা।
জগতে বুদ্ধিমানেরা করবে চাকরি, বিবাহ, ব্যাংকে জমাবে টাকা, স্যাকরার দোকানে গড়াবে গহনা; স্ত্রী, পুত্র, স্বামী, কন্যা নিয়ে নির্বিঘ্নে জীবন-যাপন করবে সচ্ছন্দ সচ্ছলতায়। তবু মেধাহীনের দল একথা কোনদিনই মানবে না যে, সংসারে যে বঞ্চনা করল, হৃদয় নিয়ে করল ব্যঙ্গ, দুধ বলে দিল পিটুলী– তারই হলো জিত, আর ঠকল সে, যে উপহাসের পরিবর্তে দিল প্রেম। অতি দুর্বল সান্ত্বনা। বুদ্ধি দিয়ে, রবি ঠাকুরের কবিতা আবৃত্তি করে বলা সহজ–
জীবনের ধন কিছুই যাবে না ফেলা
ধূলায় তাদের যত হোক অবহেলা।

কিন্তু জীবন তো মানুষের সম্পর্ক বিবর্জিত একটা নিছক তর্ক মাত্র নয়। শুধু কথা গেঁথে গেঁথে ছন্দ রচনা করা যায়, জীবন ধারণ করা যায় না।যে নারী, প্রেম তার পক্ষে একটা সাধারণ ঘটনা মাত্র। আবিষ্কার নয়, যেমন পুরুষের কাছে। মেয়েরা স্বভাবত সাবধানী, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর বাঁধে। ছেলেরা স্বভাবতই বেপরোয়া, তাই প্রেমে পড়ে তারা ঘর ভাঙ্গে। প্রেম মেয়েদের কাছে একটা প্রয়োজন, সেটা আটপৌরে শাড়ির মতই নিতান্ত সাধারণ। তাতে না আছে উল্লাস, না আছে বিষ্ময়, না আছে উচ্ছ্বলতা। ছেলেদের পক্ষে প্রেম জীবনের দুর্লভ বিলাস, গরীবের ঘরে ঘরে বেনারসী শাড়ির মতো ঐশ্বর্যময়, যে পায় সে অনেক দাম দিয়েই পায়। তাই প্রেমে পড়ে একমাত্র পুরুষেরাই করতে পারে দুরূহ ত্যাগ এবং দুঃসাধ্যসাধন।জগতে যুগে যুগে কিং এডওয়ার্ডেরাই করেছে মিসেস সিম্পসনের জন্য রাজ্য বর্জন, প্রিন্সেস এলিজাবেথরা করেনি কোনো জন, স্মিথ বা ম্যাকেঞ্জির জন্য সামান্য ত্যাগ। বিবাহিতা নারীকে ভালোবেসে সর্বদেশে সর্বকালে আজীবন নিঃসঙ্গ জীবন কাটিয়েছে একাধিক পুরুষ; পরের স্বামীর প্রেমে পড়ে জীবনে কোনদিন কোনো নারী রয়নি চিরকুমারী।
এমন প্রেমিকের জন্য কোন দিন সন্ধ্যাবেলায় তার কুশল কামনা করে তুলসীমঞ্চে কেউ জ্বালাবে না দীপ, কোন নারী সীমন্তে ধরবে না তার কল্যাণ কামনায় সিদুরচিহ্ন, প্রবাসে অদর্শনবেদনায় কোন চিত্ত হবে না উদাস উতল। রোগশয্যায় ললাটে ঘটবে না কারও উদ্বেগকাতর হস্তের সুখস্পর্শ, কোনো কপোল থেকে গড়িয়ে পড়বে না নয়নের উদ্বেল অশ্রুবিন্দু। সংসার থেকে যেদিন হবে অপসৃত, কোন পীড়িত হৃদয়ে বাজবে না এতটুকু ব্যথা, কোনো মনে রইবে না ক্ষীণতম স্মৃতি।

প্রেম জীবনকে দেয় ঐশ্বর্য, মৃত্যুকে দেয় মহিমা। কিন্তু প্রবঞ্চিতকে দেয় কী? তাকে দেয় দাহ। যে আগুন আলো দেয়না অথচ দহন করে।

সেই দীপ্তিহীন অগ্নির নির্দয় দাহনে পলে পলে দগ্ধ হলেন বহু কাণ্ডজ্ঞানহীন হতভাগ্য পুরুষ।।

মঙ্গলবার, ৩০ আগস্ট, ২০১১

www.ahridwan7.webs.com

ছোঁয়া হয়নি অন্য কারো চোখ

images (1)
কোন এক কালে বিকালের রোদ্দুর
উঁকি দিয়েছিল মোর দুয়ারে
পুলকিত করেছিল খুব যতনে।
সেদিন থেকে শুরু হয়েছিল
ভালবাসার কাল গণনা-
অবশেষে শরতের
কোন এক বিকেলে-
প্রেম এসেছিল গোপনে
কাল গণনায়…
আমার প্রেমের বয়স
তখন ছিল মাত্র ছত্রিশ’শ সেকেণ্ড।
তারপর প্রেম লালন করেছি
শীত,বৃষ্টি আর তপ্ত রোদের
দহন থেকে….
কাউকে ছুঁয়েই দেখতে দেইনি।
অত:পর
অ-নে-ক বছর পর
বুঝলাম
প্রেম খেলা করেছিল
শুধু এই দু’টি চোখে
খেলাতে পারেনি প্রেম
অন্য কারো চোখে।

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১১

নিঃসঙ্গ প্রহর


নিঃসঙ্গ প্রহর

নিঃসঙ্গ প্রহর
বিষণ্নতার সুর বাজে বেহালার তারে,
শীতার্ত সারসী কাঁদে নিঃশব্দ প্রহরে।
জোনাকীর মৃদু আলো হিজলের বনে,
মেঘের আঁচলে লুকায় চাঁদ ঐ গগনে।
মায়াবী হরিণী চোখ আমরণ তৃষ্ণায়,
মরীচিকা বিভ্রমে মরে কস্তুরী আশায়।
নিবিড় স্পর্শে কাতর লজ্জাবতী লতা,
ভ্রমরের গুঞ্জরণে জাগে প্রণয়ের ক্ষুধা।
প্রেমিক মীনের সন্তরণ সবুজ শৈবালে,
বিরহের পদাবলী রচে প্রাচীন ফসিলে।
নৈঃশব্দের প্রহর ভাঙ্গে নূপুরের ঝংকার,
ঝারবাতির জলসাঘরে মদ্যপ জমিদার।
নিস্তব্ধতার খোলসে ঢাকা পেঁচার উচ্ছাস,
শুকনো পাতার ভাঁজে বাদুরের দীর্ঘশ্বাস।
রাতের শিশিরে সতেজ ঘাসের আকুতি,
সোনারোদে ছড়ায় যত আবেগের দ্যুতি।
নিঃসঙ্গতার প্রহর শেষে বিষণ্ন এই মন,
একাকিত্ব ভুলে নেয় রোদের আলিঙ্গন।

বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১০

আমিও তাদেরই একজন

 

আমিও তাদেরই একজন

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ সকাল ৯:৫০




বহুদিন ধরে বৃষ্টি ঝরেনা
এই ক্যাম্পাসে। তবে রক্ত ঝরে অহরহ।
ভেবেছিলাম বৃষ্টির ফোটাগুলো শান্তি নামাবে,
ঊর্বর করে দেবে এই শিক্ষাঙ্গন
কৃষাণ-কৃষাণি ফসল ফলাবে এখানে
বহুদিনের প্রতিক্ষীত অমূল্য ফসল।

হাকিম চত্তরে দাঁড়িয়ে ছিলাম একা
দূর থেকে মিছিলের আওয়াজ শোনা যাচ্ছিল
ছোট্ট একটা মিছিল, দাবিটা অনেক বড়।
মিছিলে মাত্র ডজন খানেক মানুষ ছিল সেদিন
তবে চিৎকার পৌছে গেছে বহুদূর।

আমি সেদিন দেখেছি চে কে
মিছিলের প্রতিটি মানুষের প্রতিচ্ছবিতে।
ফিরে এসেছিলেন তিনি বিপ্লবী চেতনায়
আমি আহাজারি দেখি নাই,
ভাই হারা ভগিনীদের চিৎকার শুনেছি
বিপ্লবী জাগরণের আভাস পেয়েছি সেইদিন।

মিছিলটা ছিল গুটিকয়েক ছাত্রের
যাদের চেতনায় লালিত হয় চে-গুয়েভারা
বঞ্চনা যাদের প্রেরণা, সাম্যতা যাদের লক্ষ্য।
মরলে শুধু আবু বকর কেন?
প্রতিটি মানুষ মরবে একসাথে।
প্রতিটি মায়ের চোখ ভাসবে অশ্রুতে।
আর যদি তা না হয়, তাহলে একজনও নয়।

শুক্রবার, ২৩ মে, ২০০৮

আমার যন্ত্রনা...

 

আমার যন্ত্রনা

২৩ শে মার্চ, ২০০৮ বিকাল ৪:০২






আমি একজন সাধারণ মানুষ
যার রক্তের প্রতিটি কনা আগুনের স্ফুলিঙ্গের মত কাঁদছে
যার স্বপ্ন গুলো বিবর্ণ
যার নদীতে জল নেই
ডানাকাটা পাখিরা রক্তাক্ত তপ্ত সুর্যের দিকে উরে যাচ্ছে যার আকাশে
যার বাগানে পচন ধরেছে ফুলের
রাশি রাশি ভারা ভারা ধানের খ্খেত যার চখে
যন্ত্রনার আগুনের স্ফুলিঙ্গ।

হ্যা, আমিই সেই মানুষ
আমি জানি তোমরা আমাকে প্রশ্নো করবে
আমার এত ক্ষোভের কারন কি ?

আমার জন্মের প্রতি আমি বিমুখ
আমি দেখিনি একাত্তর
আমার হ্দয়ে অনুভুত হয়নি কম্পন
উঠানে পরে থাকা বাবার রক্তাক্ত শরীর ছুয়ে
নিরবাক মায়ের অশ্রুমাখা চখের দিকে তাকিয়ে
খ্যাপা ষাঁরের মত ঝাঁপিয়ে পরার সু্যোগ পাইনি যুদ্ধে

তাই আমার জীবন আজ স্থবীর, এদেশের নানান পুঁজো- পার্বতে চঞ্চল নয়
এখানে রয়েছে একটি রঙ
যার বর্ণ লাল নয় বরং কালো।
আমি ডুবে আছি কালো এক চেতনায়
যা একদিন এমন একটি আকাশ এনে দেবে, যেখানে উরবে
সাদা পায়েরার পাল, আর শান্তির তারা।
                                           - হাসনাত -