[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১২

বৈশাখের কবিতা



বৈশাখের কবিতা





‘বোশেখ শেষে বালুচরের বোরো ধানের থান,
সোনায় সোনা মেলিয়ে দিয়ে নিয়েছে কেড়ে প্রাণ।
বসন্ত সে বিদায় বেলায় বুকের আঁচলখানি,
গেঁয়ো নদীর দুপাশ দিয়ে রেখায় গেছে টানি।
চৈত্র দিনের বিধবা চরের সাদা থানের পরে
নতুন বরষ ছড়িয়ে দিল সবুজ থরে থরে
না জানি কোন গেঁয়ো তাঁতি গাঙ চলিবার ছলে
জল-ছোঁয়া তার শাড়ির কোণে পাড় বুনে যায় চলে।
মধ্য চরে আউশ ধানের সবুজ পারাবার,
নদীর ধারে বোরো ধানের দোলে সোনার পাড়।
চৈত্র দিনের বৈরাগিনী সবুজ আঁচল সনে,
মুখখানিরে আবছা ঢেকে সাজল বিয়ের কনে।’

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১২

বৃষ্টির জলে ভেজাবো


  বৃষ্টির জলে ভেজাবো


c05b952717374f63ce63e417573033de



   গুচ্ছ গুচ্ছ শূন্যতায় বিদায়ের সুর শীতের
শীতল আবহে আড়ষ্ট হয়েছে তনু -মন
জমাট বাঁধা আবেগের কোন ব্যাখা নেই
নেই কোন আথিয়েতার আস্ফালন। বসন্তে
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন ডায়রীর পড়ে থাকা পাতায়
টুকরো টুকরো ভাঁজ করা হৃদয়ের আকুতি।
ফাগুনের শেষ বেলায় এসে আমার শূন্য আবেগ
উঁকি দেয় দারুণ প্রত্যাশায়। তবুও…
মর্মর পাতার শব্দের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে তুলি
কালের নিয়মে বিচ্যুত হয়ে গেছে যে সবুজ প্রাণ।
তার কাছে দায় অনেক। যেমন দায়বদ্ধ আমি-তুমি।
তাই তো সাহস করি খুব।
খেলাপি হওয়ার আগে বৃষ্টির জলে ভেজাবো সব।

তোমার বার্তা আসবে বলে..


তোমার বার্তা আসবে বলে

red barta




নীরব আকাশটায় জ্যোৎস্না ছড়িয়ে মনটা চাঁদ হতে চেয়েছে……..।
চেয়েছে এ মন ঝিকি মিকি আলো ছড়িয়ে অসংখ্য তারার
আভায় রাতের আকাশ সাজাতে….
ভাসমান মেঘ দেখে ভাবি এই বুঝি রানার আসছে
তোমার বার্তা নিয়ে….।
মেঘ আমাকে পাশ কাটিয়ে চলে যায় দূরে,বহুদূরে।
এভাবে আমার রাতের ভোর ঘনিয়ে আসে।
আমি আবার সূর্যের সোনালী আলোয় ভর করে
পৃথিবীর কূলে নীরবে পা রাখি….
ভোরের হাওয়া বৃক্ষের সবুজ পাতায় নড়ে চড়ে
সঙ্গীতের মূর্ছনায় মেতে উঠে।
অজস্র ফুল ফোটায় খুঁজি তোমার গায়ের গন্ধ…
ভোরে আলোর উজ্জ্বলতায় পাখিগুলো কিচিরমিচির
শব্দে ঘুম ভাঙ্গায়….,
আর একটি দিন বাঁচার মিছিলের সূচনা করে….
এভাবে দুপুর ঘনিয়ে বিকালের হাত ধরে
রাতের আঁধার নেমে আসে আবার…,
পাখিরা নীড়ে ফিরে।
আসে না শুধু তোমার সান্নিধ্য পাবার বার্তা।

বর্ষণ মুখর সন্ধ্যা


বর্ষণ মুখর সন্ধ্যা



দ্বাবিংশ বসন্ত পেরিয়ে প্রেয়সী কেন আজ অশান্ত!
চৈত্রের তপ্ত রোদ্দুরে শ্রাবণের ধারা কেন প্রাণবন্ত!
যবনিকার আড়ালে বিরহের বেহালা কে বাজালো!
সাঁঝের বেলা মন মন্দিরে প্রণয় আলো কে জ্বালালো।
বসন্ত কাননে ফুলেল ফাগুণে কে সাজালো প্রেয়সীর অভিসার
কে দুলালো প্রেয়সীর উত্তাল অঙ্গে মধুময় ভালোবাসার জোয়ার!
মন মন্দিরে আজ কে জাগালো প্রেয়সীকে আলিঙ্গনের বাসনা
মানস কর্ণে ঝিরঝির হাওয়ায় কে শুনালো প্রণয় নিরাজনা!
প্রেয়সীর পুষ্পপেলব ওষ্ঠাধরে চুম্বনে আজ ভরিয়ে দেব
অশান্ত বৃষ্টির মিষ্টি সুরে প্রিয়ার উঞ্চ বুকে আজ হারাব।
প্রণয় নদীর উত্তাল তরঙ্গে ভাসাবো আজ আনন্দের তরী
দু’জনার উঞ্চালিঙ্গনের আবেশে বাজাবো তৃপ্তির তরঙ্গ লহরী ।

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১২

বৃষ্টি ছুঁযে স্পর্শ তোমারই !

বৃষ্টি ছুঁযে স্পর্শ তোমারই !


নীল’এ ডুবে নীল ছুঁয়ে
নীল চাদরের প্রলেপ মেখে, নীলের স্বপ্ন চোখে মুখে
বাসছি ভাল নীল তোমাকে;
এমনি আমার নীল ভালবাসা তুমি
বিরহে লীন’এ মাড়ছো পুড়ে, চাঁদোয়া বিধুর আশা বুকে
গুনগুনিয়ে যে তোমারেই গান গাই ।

 

কালের গানে, ক্ষণের গানে,
জীবণ গানে তুমি ; অষ্টাদশি চাঁদের গানে
আলোর স্বপ্ন কিনি, যেন বকুল ফুলের মালার মত
গন্ধ থাকে অনেক দিন ধরে স্মৃতির ধুপ ধুঁয়ার মত

 

এমনি করে তোমার স্মৃতি রাখতে আমার নীল বসন
হয় যে লীন আঁধার শুন্যতার ঘোর,
ঘোর কাটলো যখন মেঘ ভেঙ্গে ঝরলো বৃষ্টি
টুপ টাপ সুরে মাতাল তোমারই গান শুনি,
বৃষ্টি ছুঁযে স্পর্শ তোমারই ! আচমকা যানান দিল।


প্রজন্মান্তরের বৃষ্টি...

প্রজন্মান্তরের বৃষ্টি...

পুবের মেঘ পশ্চিমে যায় গো
উত্তরের মেঘ দক্ষিণে
মাঝখানে দৃষ্টিবাণবিদ্ধ ত্রিভঙ্গত্রাহি চাতকের চোখ

উচাটন ভাবন হুতাশন ঘেরা এখন স্মৃতির সংসার

অনুগতা বৃষ্টি আমারও ছিল একদা

মক্করমগ্ন বয়ঃসন্ধি বিলাপে মেঘের কনিষ্ঠা কন্যা বৃষ্টি আকাশের বজ্রহুঙ্কারিত নিষেধ উপেক্ষা করে নাড়ির টান ছেড়ে বাড়ি পালানোর পরে  ঋতুমতী বর্ষায়  ফলনের বিশ্বাস  বার্তায় তখন বিগলন মাটির শরীরে সুহালে গর্ভবতী  হলে প্রকৃতির টানাপড়েন  বন্ধ্যাকালে মফেল মচ্ছবে মাতোয়ারা পীরমাছদের মনরূপ ধন শোষণ ইচ্ছায় অনুখন চনমন হয়েছিল খুব।

এই দৃশ্যের ভিতর
লুঙ্গি মাথায় বেঁধে ধেইধেই নাচতাম আমিও
লোকে বলতো ল্যাংটা বাবা
গভীরতর চশমার কাচ মুছে বৃষ্টিপাগল বলতো কেউ কেউ
ঘরে ঘরে আলাপ-প্রলাপ
সৌখিন খিচুরি পেটে বদহজম দিলে নাকচাপা দিতো হাত
কানেরা শুধু কান পেতে শুনতো হেড়ে গলার গান
বৃষ্টির সঙ্গে রঙ্গ করে সবুজ হতেছে সময়

প্রেমে মইজা মৎস্যকন্যা দেখায় পাতালপুরী
ছিটেফোঁটা বৃষ্টি ফেলে জলের নহর ধরি

বৃষ্টির হলো অভিমান; পরকীয়ায় রাতের বাতাস ছোঁয়া অপমান। আমি পাই নি টের; হালে পানি পেলে গোছাতাম আসন্ন আখের। নিজের পায়ে মারলাম কুড়াল; মাটিতে বসা পাখি দিল উড়াল। জল হয়ে বৃষ্টি ফিরে গেল মেঘে; খরতপ্ত দিনের বাষ্পীয় আবেগে।

পুব-পশ্চিম-উত্তর-দক্ষিণ জুড়ে মেঘের আনাগোনা
এখনও চুপিসারে সখ্য হয় বৃষ্টির
মাটির মনে; সদৃশ সঞ্চারিত গর্ভ হলেও
প্রজন্মে প্রজন্মে ধারাপাত বদলে দেয় জীবন সমীক্ষা