[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০১২

প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট

 

প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট



একটি পিপাসার্ত কাচপোকার মত
ভয়ে অথবা নিশঙ্ক চিত্তে
একাগ্র ছুটে চলা আগুনের লকলকে শিখাটির দিকে;
মাটি কিংবা হাওয়ার ক্যানভাসে
নিশ্বাসের মিহি ছাপ রেখে একদিন
পৌঁছে যাবো ঠিক তোমার নিকট।


দীর্ঘ অদর্শনের যাতনা ভুলে
তুমি হয়তো চমকে উঠতে
প্রথম দিনের মত;
অবাকের ভঙ্গীতে আমি তোমার মুখোমুখি
দেয়ালের আরশী হয়ে
চোখে চোখ রেখে দাঁড়াতাম!


হয়তো অনুরাগী অভিযোগে বলতে আগের মত
‘এত দেরি করলে কেন? আমার বুঝি খারাপ লাগে না?’
অথবা ‘কত ঝামেলা, কাজের পাহাড় ঠেলে আর আসা হয় না!’

বলে তোমার কষ্টে প্রলেপ ছোঁওয়াতাম;
গভীর দৃষ্টিতে আমার চোখে চোখ রেখে বলতে,

 ‘অনেক শুকিয়ে গেছ!’

এমনি আরো কত কিছু ভাবি দিনরাত
কিন্তু শেঁকড়-বাকড় মেলা পুরোনো বৃক্ষের মত
যেন অনড়তায় নির্বাক কঠিন সময়;
তবু আমি প্রতিদিন উড়ে যাই তোমার নিকট
বিস্তৃত-ডানা মুক্তবিহঙ্গ যেন হাওয়ায়
স্বপ্নে অথবা মননের বায়ুযানে।

মঙ্গলবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১২

মা’গো ও’মা!কি রাখিবো চরণে তোমার?



মা’গো ও’মা!কি রাখিবো চরণে তোমার?


মা’গো ও’মা!
কি রাখিবো চরণে তোমার?

যে চাঁদের ‍কপালে এঁকেছিলে’মা,
তোমার মুখের আদর মাখা,
জ্বল জ্বলে তারার মত সোহাগি চুমা।
তোমার সেই কোলের শিশু এখন,
হাটি হাটি পায়ে, তোমারই আঁকা পথে,
পথ চলতে শিখেছে’মা।

বড় হয়েছে এখন তোমার সন্তানেরা’মা,
পুষ্ট শরীর, ব্যাঘ্র গর্জনে, দর্পভরে,
 তোমার প্রজন্ম দেখ উঠছে বেড়ে।

তোমার স্বপ্নের মত উচ্চভিলাষি’ মা,
তমসা আঁধার করছে পার,
বিশ্ব জয়ের প্রলুব্ধ বাসনায়।

“আমার সন্তানেরা থাকে যেন দুধে ভাতে”
বলতে তুমি’মা,
তাইতো আজ, দিনবদলের সমুখ পথে,
জয়ের ভেরি বাজে, তোমার গানে গানে।
মা’গো ও’মা!
কি রাখিবো চরণে তোমার?

সোমবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০১২

তুমি ছিলে



তুমি ছিলে
তুমি ছিলে-
নিরন্তর সমুদ্রের উত্তাল তরঙ্গে,
তুমি ছিলে-
মেঘহীন আকাশে পূর্নিমার চাঁদে।
তুমি ছিলে-
সন্ধ্যাকাশে প্রজ্বলিত তারার মেলায়,
তুমি ছিলে-
নীল আকাশের মেঘের ভেলায়।
তুমি ছিলে-
আবহমান বাংলার সোনালী ফসলে,
তুমি ছিলে-
শ্রাবনের বর্ষিত সুনির্মল জলে।
তুমি ছিলে-
চন্দ্রিমার ব্যস্তময় জনবিরল উদ্দানে,
তুমি ছিলে-
সাজানো বাগানের প্রস্ফুটিত গোলাপে।
তুমি ছিলে-
রমনার ছায়া ঘেরা নিস্তব্ধ বটমূলে,
তুমি ছিলে-
বসন্তী কোকিলের সুকন্ঠী সুরে।
তুমি ছিলে-
বৈশাখের প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়ায়,
তুমি ছিলে-
বিষন্ন বিকেলের অপরূপ শোভায়।
তুমি ছিলে-
ভালবাসার প্রত্যাশিত ছোট্ট কুটিরে,
তুমি ছিলে-
আমার হৃদয়ের সমস্ত অস্তিত্ব জুড়ে।
–০–

শ্রীহীন কাফনে জড়িয়ে 'মানবতা'


শ্রীহীন কাফনে জড়িয়ে 'মানবতা'


নির্লজ্জতার মিছিলে্র পদতলে নিষ্পেষিত
হয়ে থেতলে যাওয়া মানবতার লাশ আর
রাজপথে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাল রক্তের
কলঙ্ককে আমাদের অভিধানের ভাষায় গণতন্ত্র
বলি; এই গণতন্ত্রের জন্যই দিতে হয়েছিলো
আমাদের ত্রিশ লক্ষ বুকের রক্ত; আর হারাতে
হয়েছিলো অজানা অনেক মা-বোনের সম্ভ্রম।


স্বাধীন দেশ এখন লুটেরাদের লুণ্ঠনের কোষাগার;
যেখানে নেতা হতে পারলে হওয়া যায় রাতারাতি
কোটিপতি, কেড়ে নেয়া যায় অসংখ্য নিরীহ
মানুষের মুখের আহার।


শ্বাপদ বা হিংস্র জন্তু দেখার জন্য
এখন আর অরণ্যে যেতে হয় না;
হীন স্বার্থে তাদেরকে অতি যতনে
লালন করা হয়; আর যারা এদের
লালন করেন, তারাই এখন দেশ
বরেন্য নেতা।


সিংহের আহার কেড়ে নেয়ার জন্যই
ওদের ব্যবহার করা হয়।
ওদের জন্য এখন উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা
করা হয়। তবে তারা শিক্ষিতের নামে
জাতীর কলঙ্কই বয়ে আনে। এজন্য দেশের
নেতাদের কোন লজ্জা অনুভূত হয় না।


কারণ লজ্জা কী জিনিস এটার উপলব্ধি
তাদের নেই। তারা জানে ক্ষমতাকে আক্রে
ধরে রাখতে হলে প্রতিপক্ষের খুনে রাজপথ
লাল করতে হবে; তাতে আবার কিসের লজ্জা!
তাদের অভিধানে মানবতা নামক শব্দটা
এখন শ্রীহীন হয়ে পড়েছে।

জীবন

 

জীবন




জীবন মানে যুদ্ধ
গোলা বারুদ আর মিসাইলের শব্দ
ধোঁয়াটে আকাশ তামাটে নক্ষত্র
জীবন মানে
শিশির ভেজা স্নিগ্ধ ভালবাসা
সুখের হাত চানি
নতুন সূর্য উদয়
জীবন মানে
হাতে হাত রেখে দূর বহু দূর
ভালো লাগা মন্দ লাগা
জীবন মানে
জীবনের পাওয়া না পাওয়া
হিসাবের খাতা
জীবন মানে
সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসা ঢেউ
ফিরে না পাওয়ার বেদনা
জীবন মানে স্মৃতি
ফেলে আসা শৈশব
নাটাইয়ের সুতায় আকাশে উড়া
জীবন মানে
ডাষ্ঠবিনের এক টুকর রুটি
ক্ষুধাতুর মানুষের যন্ত্রণা
জীনব মানে
বসন্তের পড়ন্ত বিকালে
কিশোর কিশোরীর উচ্ছাস
জীবন মানে
শিল্পির ক্যানভাসে রংয়ের ছড়াছড়ি
জীবনের বহির প্রকাশ।

সোনালী দিনের একটু পরশ

 

সোনালী দিনের একটু পরশ

 
বহু দনি বহু সময় পর
রঙধনুর আলোয়
দগিন্ত প্রসারতি মাঠরে সবুজ গালচিায়
যখন শষে বকিলেরে আলোক ধারা নভিু নভিু
তখন তোমাকে পলোম

জীবনরে চারপিাশে যখন বক্ষিপ্তি ছড়ানো
মাকড়সার জাল
আঁধারে ঢাকা শয়ন কক্ষে
আবারো আয়োজন ফুল শয্যার
চাঁদরে মষ্টিি আলোর বছিানায়
পরশিষেে তোমাকইে পলোম

ফসলহীন মাঠে যখন কৃষকরে হাহাকার
ঘাসহীন প্রান্তরে
রাখালরে শরীর বয়েে যখন ঘাম শুকয়িে লবণ ঝরে
আকাশে এক টুকরো মঘে ও এক পশলা বৃষ্টি নয়িে
তখন তুমইি এলে আমার পাশে

র্সূয ডোবার গোধুলি আলোয়, শরীররে ভাঁজে ভঁজে
রঙধনুর সাতরং ভারী বোঝা মনে হয়

সন্ধ্যা তারার ঝলকানি শষেে
মষ্টিঘিন সুখকর মূর্হুতে
হাহাকার প্রান্তরে
তুমইি এলে
সোনালী দনিরে একটু পরশ নয়িে