[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১২

হারাবো না বদলাবো


হারাবো না বদলাবো
তুমি যখন ঝরণা-ধারা,
আমি তখন পদতলের সুপ্ত-নিধি,
তুমি যখন বাদল-ধারা,
আমি তখন বহ্নি-ধরা,
তুমি যখন স্বপ্ন-সখী
আমি তখন তন্দ্রা-পাথেয় ।।


নেই কোন দ্বিধা , নেই কোন দ্বন্দ্ব।
বিশ্বাসের ভেলা-তরী ,সেই তো ভেসে যায়
বিশালত্বের স্রোতস্বিনীকে অবলম্বন করে ।


হায়!হায়!!
প্রান্ত নাই,সীমান্ত নাই
আদির খবর জানা নাই,
অন্তের দেখা নাই,
তাই তো ক্লান্তিকে করলাম আলিঙ্গন।

স্বপ্নিল হৃদয়ে বাঞ্ছনার অভ্যুদয় ঘটে-
মনঃপ্রশান্তির চাক্ষুষ প্রমাণ মেলে ;
স্বয়ং দৃষ্টান্ত হতে ।


দুলে উঠে হৃদয়-পবন
তালে তালে নাচে স্বপ্নশিখা
রোমন্থন,অনুরণনে-
আন্দোলিত হয় মধুর অতীত
দ্ব্যার্থ কন্ঠে উদ্বোলিত হয়,
ভাল লাগার কথা, ভালবাসার কথা-
আজও অমলিন
শুধু বহিঃপ্রকাশের এক অতৃপ্ত ক্লান্তি ।।


চিরন্তন সত্য হতে চাই, করতে চাই
তোমারে করলাম আপন ভুবনের শক্তিধর ভাস্বর
আমি হলাম পরগাছা নিশাকর
হবে কী আমার কুঞ্জের রঙ্গন-রাণী?
সদাই প্রস্তুত এই রক্ষী-কাঁটা !

সত্যের তীর ছুটাব,
অমরত্ব লাভ করব,
প্রাণে-মাতলো উম্মাদনা ।


না হারানোর প্রতিজ্ঞা নিয়ে,
বদলানোর লক্ষ্য মূলে,
ছুটছে এক উম্মাদ জীবন-পথিক
আমি এই স্বপ্নবাজ সীমন্তিনী ।

____________________________________________________________ঈশিতা জুলিয়া 

একটি চিঠি তোমার জন্য


প্রিয় পাঠক আমি এই চিঠিতে যে নাদিয়া নামটি ব্যবহার করেছি তা আমার দেয়া মেয়েটির কাল্পনিক নাম।

একটি চিঠি তোমার জন্য

তাকে আমি খুজে ফিরি অন্ধকার আমাবস্যায় অথবা দোল পূর্ণিমায়! তার হাসি মেলাতে খুজি ফুল বাগানে অথবা নদীর বয়ে চলায়! আফসোস কোনো কিছুতে সে মেলে না, কারন তার সুন্দরের তুলনা হয় না! তুমি কখনো কেদো না শুধু আমারি জন্য, তাকাবে নীল আকাশে, বুঝবে এ আকাশ আমিও দেখেছিলাম তোমাকে মনে করে, অথবা নিঃস্বঙ্গ চাদ, যার সাথে ভাগাভাগি করেছি আমার নিঃস্বঙ্গ ৩টি বছর!
একটা সুর মাথার ভিতর অনেক দিন ধরে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু তাড়াবার উপায় পাচ্ছি না। ব্যাস্ততা আর ঘুম গুলো আমার জীবনের মূল্যবান সময়  যেনো নির্দয় ভাবে কেড়ে নিচ্ছে। ঘুম যে খুব ভালো হচ্ছে না সেটাও বুঝতে পারছি, কারন ঘুমাতে গেলেই হঠাৎ কারো কথা মনে পরে ঘুম ভেঙ্গে যায়। তখন দেখা যায় বিছানায় গা এলাতে তাই শুয়ে থাকি। তবে ওষুধ এবং সিগারেট গুলো বিশ্বাসী কুকুরের মতো কাজ করছে ইদানিং,
নাদিয়া তুমি আমার সারা জীবনের সাথী। আমি তোমাকে ভালবেসেছিলাম আমার জীবনের শুরু থেকে আর এখন পর্যন্তুও তোমাকে অনেক ভালবাসি। কেন তোমাকে আমি এত ভালবাসি তা আমি নিজেও জানি না। তোমার মোখের সেই সুন্দর হাঁসি আমার চোখে অজও ভেসে ওঠে। তোমার হাতের স্পর্শ মনে হয় আজও আমাকে সান্তনা দেয়। তোমার মোখের মিষ্টি কথা গুলো আজও আমার মনের মাঝে দোলা দেয়। আমি এখন পর্যন্তও বুঝাতে পারিনি মনের গোপন ব্যথা গুলো কাউকে । আমার চেয়ে বেশী ভালবেসে ছিলাম বলেই তোমাকে এখনও ভূলতে পারিনি। আমার জীবন গেলেও তোমাকে ভূলতে পারবো না। আমি অনেক চেষ্টা করেছি তোমাকে বাদ দিয়ে চলার জন্য কিন্তু কেন পারিনা। কেন আমি পারিনি তা তোমার অজানার কিছু নয়। আর তুমি কেমন করে পারলে আমি যানিনা।
            নাদিয়া তুমি সুখের অনেক কিছুই মনে হয় দেখেছ কিন্তু দুঃখের কিছুই দেখনি। তাই দুঃখ কি জিনিস তা তোমার মোটেও জানা নেই। আর আমি দুঃখের সাথে যুদ্ধ করে এত দূর পর্যন্তু এসেছি। জানিনা আমাকে আর কতদিন দুঃখের সাগরে ভাসতে হবে। কোথাও আমার একটু সন্তনা মিলে না কেউ আমাকে বলে না কি এমন দুঃখ তোমার। কেউ আমার দুঃখের ভাগ নিতে চায় না। এই পৃথিবীর মানুষ খুব স্বার্থপর সবাই শুধু নিজেকে নিয়েই ব্যাস্থ। আমাকে নিয়ে ভাবার মত কারো একটু সময় মিলে না। আমার দুঃখ কষ্ট যে বুঝতো সেও আমার থেকে অনেক দূরে চলে গেল। কোন মতেই তাকে আমি ফেরাতে পারলাম না। আমার এই ব্যাথা ভরা অন্তর আজও তোমাকে খোজে। তোমাকে একটু দেখতে মনে চায়, পেতে মনে চায় তোমার নরম হাতের সামান্য স্পর্ষ। তোমার কাছ থেকে আমি যে ভালবাসা পেয়েছি তা অন্য কারো কাছ থেকে কখনও পাওয়া সম্ভব হবে না। আমার কাছে তুমি ছিলে খুবই অমূল্য সম্পদ। আর এই মূল্য আমি কখনই শুধ করিতে পারবো না। তুমি তোমার নিজ গুনে যদি পার আমাকে ক্ষমা করে দিও। যদি আমাকে ক্ষমা না কর তাহলে বাকী জীবনে কখনই শান্তি পাব না। যে জীবন থেকে ভালবাসা মরে যায় সে জীবনের মূল্য থাকে কি তুমিই বল? মানুষ বেঁচে থাকে শুধু একটা স্বপ্ন নিয়ে। আর সে স্বপ্ন যদি ভেংগে যায় তাহলে বেঁচে থাকার কোন সাধ জাগে না। এখন এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুখী মানুষ তুমি। তুমি যান সুখী মানুষ কাকে বলে? তুমি সুখে থাকলেও সুখী মানুষ কাকে বলে যান না। তোমার এখন কত বছর? আর কত বছর এই সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকবে। বড় জোর ৬০/৭০ বছর। তার পরেইতো তোমাকে চলে যেতে হবে এই সুন্দর পৃথিবীর মায়া ছেরে। এই অল্প সময়ের মধ্যে তুমি কি ভাল কাজ করেছ আর কি খারাপ কাজ করেছ তারই হিসাব দিহি দিতে হবে। এখন সবার চোখে দোকা দিলেও তখন দোকা দিতে পারবে না। তোমার কৃত কর্মের বিচার হবেই একদিন। আমি তোমাকে কখনই আপরাধী করবো না। তোমার কাছে কখনই সুখের আর্জি নিয়ে যাব না। যে ভালবাসা তোমাকে গিরে ছিল তা আমি এখনও রেখেছি। কেননা আমার জীবনের প্রথম স্পন্দন তুমিই ছিলে। তোমাকে গিরেই আমার হাজারো স্বপ্ন ছিল। আমার মনে এখনও স্বপ্ন আছে কিন্তু স্বপ্ন দেখার মত মানুষ নেই। তাই আমার স্বপ্ন বাস্তব হবেনা কোন দিন। স্বপ্ন বাস্তব হওয়ার জন্য সুন্দর একটি মন প্রয়োজন। আমার সুন্দর মনের মানুষ আমাকে ফাঁকি দিয়ে চলে গেছে। কেন গেছে তা আমার জানা নেই। মনে আর জানার কোন সাধ জাগে না। মনে হয় আমার জীবনটাই শুধু দুঃখের। আমার জন্ম হয়ে ছিল শুধু প্রিয়জনদের দুঃখ পাবার জন্য।
তা না হলে যাকে আমি আমার জীবনের চেয়ে বেশী ভালবাসতাম সে কেন আমাকে দুঃখ দিবে। আল্লার কাছে শুধু প্রার্থনা করি আমাকে যেন দুঃখ সয্য করার মত ধর্য দেয়। পাথরকে যেমন যত আগাত কর কোন শব্দ করে না। ঠিক পাথরের মত আমার মন এখন হয়ে গেছে। যতই আঘাত করো কোন কিছুই হবে না। সারা বেলা আমার মনের গোপন ব্যাথা গুলো শুধু কাঁদায়। আমার জীবনটা কেন এমন হলো? কি অপরাধ করেছিলাম তোমার কাছে আমি। তুমি শুধু একটা কথাই মনে রেখ চোখের আড়াল হলেও কখন মনের আড়াল হয় না। তুমি যত দূরেই থাকনা কেন আমি ঠিক তোমাকে খুজে নেব। তোমার মনের মাঝে একটু দয়া হলোনা আমার জন্য। যদি একটু দয়া করতে তাহলে  আমি এতটা একা হতাম না। আমার চোখের জল এত ঝড়াতে হতোনা। আমার ভালবাসার মূল্য তুমি এমন করে দিবে কখনও কল্পনাও করতে পারিনি। তুমি যাননা বুকের ভেতর কতটা কষ্ট জমা হলে বুক ফেঁটে কান্না আসে। তুমি হয়তো বন্যা দেখেছ কিন্তু সে বন্যার চেয়ে বড় বন্যা বয়ে চলেছে আমার হৃদয়ে তা তুমি দেখনি। যদি তুমি আমার হৃদয়ের বন্যা একটু উপলব্দি করতে তাহলে বুঝতে পারতে কতটা দুঃখ জমা আছে আমার এই বুকে। তুমি আমাকে আলোর পথে চলতে শিখিয়েছিলে আবার তুমিই আমাকে অন্ধকারে ঠেঁলে দিলে। কি এমন দরকার ছিল আমাকে আলোর পথ দেখাবার। আমিতো ক্ষনিকের জন্য আলো চাইনি। চেয়েছিলাম আলোটাকে সারাজীবন ধরে রাখতে। কেন তুমি আমার প্রতি এতোটা নির্বোধ হলে। তুমি শুধু তোমার নিজের দিকটাই দেখলে। আমার জন্য একটু ভাবলে না। কেন আমাকে নিয়ে ভাবলে না আমি কি খুব দূরের মানুষ ছিলাম তোমার কাছে। যদি তোমার কাছে আমি দূরের মানুষই ছিলাম তবে কেন আমাকে কাছে টেনে নিয়ে ছিলে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি আমাকে তুমি দুঃখ দিয়েই আনন্দ পাও। আমি তোমার সুখের কখনই ভাগ বসাবো না। কখনই তোমার পাশে দাঁড়াবো না একটু সুখের জন্য। আমি দূরের মানুষ হয়ে দূর হতে তোমার সুখে সুখী হবো সারাজীবন। তুমি আমার থেকে চলে গেছ কোন দুঃখ নেই। আবার কে তুমি আমার স্বপ্নের মাঝে  এসে কাঁদিয়ে যাও। আমিতো কখনই স্বপ্ন চাইনি চেয়ে ছিলাম বাস্তব। তবে কেন আমাকে মিথ্যা স্বপ্ন নিয়ে সারা জীবন থাকতে হবে। তুমি তোমার দিকটা ঠিকই দেখেছ ঠিক মত গুছিয়ে নিয়েছ নিজেকে। আমার জন্য তুমি একটু ভাবনি যদি ভাবতে তাহলে আমার জীবনটা এমন  হতো না। কেন তুমি আমার সাজানো জীবনটা এক নিমিসেই ভেংগে দিলে। তোমার কি এমন প্রয়োজন ছিল আমার সাথে ছলনা করার। আমিতো তোমার কাছ থেকে ছলনা চাইনি। চেয়েছিলাম তোমার থেকে সত্যিকারের ভালবাসা। তুমি আমাকে ভালবেসে বুকে টেনে আবার কেন দূরে ঠেঁলে দিলে। কি এমন সুখ পেয়েছ তুমি আমাকে কাঁদিয়ে। কতটা সুখী হতে পেরেছ আমি জানি না। তবে আমি এতটুকু জানি তুমিও বেশী সুখী হতে পারনি। কারন এক দিনের জন্য হলেও তুমি আমাকে ভালবেসেছিলে। আর সেই কারনেই তুমি বেশী সুখী হতে পারনি। যদিও তুমি আমাকে তোমার মন থেকে ভালবাসনি। কিন্তু আমিতো তোমাকে সত্যিই মন থেকে ভালবেসে ছিলাম। আমার ফুলের মত পবিত্র ভালবাসাকে তুমি অপমান করলে। তুমি অনেক চেনা ঠিকানাও হারিয়ে ফেলেছ। তুমি এখন একান্ত কাছের মানুষকেও চিনতে পার না। তোমার চোখে লাগিয়েছ কালো চসমা যে চসমা আপনকেও চিনতে পারে না। তোমার মনের আকাশের রং পরিবর্তন হয়েছে। তোমার  পূরনো রংয়ে মরিচা ধরেছে। যে কারনে তুমি আমাকে চিনতে পরনা। তোমার মনে আছে কত কাছাকাছি আমরা ঘুড়ে বেড়িয়েছি। কত কথা হতো আমাদের মাঝে। কখনও রাগ আবার কখনও অনুরাগ এমন করেই কেটে যেত আমাদের মধুর সময় গুলো । আর এখন আমি একা বড় একা কেউ আমার সাথে তোমার মত রাগ করে না। তুমি চলে যাবার পরে ফেলে আসা স্মৃতি গুলো আমাকে বড়ই কাঁদায়। একটু মনে করে দেখ কি সুখের জীবন ছিল আমাদের। তুমি আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতে না। ঠিক মত খেতে পারতে না রাতে ঘোমাতে পারতে না। আর সেই তুমি এখন সব কিছুই করতে পার অনেক পরিবর্তন হয়েছে তোমার। এখন আমার কথা তোমার মনে পরে না। মনে পরেনা আমি তোমার পথ চলার সাথী হয়ে ছিলমা কোন দিন। যে পথে চলেছিলাম তুমি আর আমি সে পথতো এখনও শেষ হলো না। তবে কেন তুমি আমার পথ থেকে অন্য পথে পা বাড়ালে। যদি তুমি অন্য পথেই যাবে তবে কেন আমাকে এত দূর পর্যন্ত নিয়ে আসলে। তোমাকে ছারা আমার কি করে ফেরা সম্ভব তুমিই বল। তুমিই আমাকে বলেছিলে জীবনে মরনে আমার পাশে থাকবে সারা জীবন। তুমি কি সেই পুরনো প্রতিশ্রুতির কথা এত তারাতারিই ভূলে গেলে।
ফিরিয়ে নিলে তোমার দেয়া কথা অতি সহজেই। বদলে নিলে নিজেকে ধরলে অন্যর হাত। আমার জানা মতে তোমার কাছে এমন কোন অপরাধ করিনি যার জন্য তুমি আমাকে এত বড় সাজা দিতে পার। অপরাধের কাঠ গড়ায় দাঁড়া করালে আমাকে। তোমার মনের আদালতে বিচার হলো আমার। কিছু অবাস্তব কথা সাজিয়ে জিতে গেলে তুমি আর হারালে আমাকে। আমি সারা জীবনের জন্য আসামী হলাম তোমার কাছে। মনে রেখ স্বর্ণালী তুমি আমাকে হাড়ালেও আমি কখনই হারিনি। তুমিই তোমার নিজের কাছে প্রশ্ন করে দেখ কে জিতেছে আর কে হেরেছে। তুমি আমাকে যতই হারাতে চেষ্টা করো আমি কখনই হারবো না। কারন আমি তোমাকে আমার মন থেকে ভালবেসে ছিলাম। এবং আমি যতটুকু যানি আমার ভালবাসা ছিল একটি ফুলের মতই পবিত্র। তাই আমার সত্যিকারের ভালবাসার কারনে আমি সবসমই জিতে যাব। আমার ভালবাসার ভীতরে কোন পাপ ছিলনা। আর তোমার দূর্ভলতার সুযোগ নিয়ে কখনও নিজের স্বার্থ উদ্ধার করিনি । যদি চাইতাম তাহলে অনেক কিছুই করতে পারতাম। যদি করতাম তাহলে এখন আমি নিজের কাছেই অপরাধী থেকে যেতাম সারা জীবন। কখনও তোমার সামনে মাথা উচু করে দাঁড়াতে পারতাম না। নিজেকে সত্যিকারের অপরাধীদের মত আত্বগোপন করে থাকতে হতো। তোমার কাছ থেকে যা পাওয়ার কথা ছিল তা আমি পাইনি কিন্তু শিখেছি অনেক কিছু। কেমন করে কাছের মানুষকে ভুলে যাওয়া যায়। আবার কেমন করে নিজেকে গুছিয়ে নেয়া যায়। আর এই সমস্থ কার্যকলাপের কারনে তুমি আমার কাছে চির মহান। তোমার মনে আছে কোন এক বর্ষায় আমি একটি সিগারেট টেনেছিলাম। আর সেই কথা আমি তোমাকে বলে ছিলাম। তার জন্য তুমি আমার সাথে রাগ করে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছিলে। আর এখন আমি সবসময় সিগারেট টানি কেউতো আমার সাথে রাগ করে না। কেউতো আমাকে বলে না সিগারেট টানলে তোমার সাথে কথা বলবো না। আজ কত বছর হলো তোমার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই তার পরেও সব কথা আমার মনে আছে। একদিন তুমি আমাকে পাবার জন্য অনেক ওয়াদাই করেছিলে। সেই ওয়াদার একটিওকি তোমার মনে নেই। সবইকি তোমার মন থেকে মুছে ফেলেছ। আমার আগে জানা ছিলনা ভালবাসার শেষ পরিনতি এত নির্মম এত নিষ্টুর। ভালবাসা মানুষকে এমন করে কষ্ট দেয়। তোমার কারনেই আমি জানতে পারলাম সবকিছূ। এজন্য আমার জীবনে তোমার অবধান সবচেয়ে বেশী। তোমাকে নিয়ে আমি এখনও প্রতিটি প্রহর গুনি। তোমাকে নিয়ে আমার প্রতিটি রাত ভোর হয়। তোমার কথা ভেবেই আমার কেটে যায় সারা মূহুর্ত। তার পরেও তোমাকে ছারা আমার খুব কষ্ট হয়। নিজেকে খুব একা একা মনে হয়। কখনও কখনও মনে হয় আমার এই অসান্ত পৃথিবীতে আপন বলতে কেউ নেই। আমার একমাত্র কাছের মানুষটিও আমাকে ভূল বুঝলো। আমি জানিনা তোমার এই ভূল আমি কি করে ভাংগাবো। জীবনে তোমার সাথে যদি আমার দেখা না হয় তাহলে আমি তোমার কাছে অপরাধী থেকে যাব। আর যে অপরাধী তার কোন জায়গায় ঠাঁই নেই। তুমি আমাকে কেন সারা জীবনের জন্য অপরাধী করে রাখলে। আমিতো তোমার কাছে অপরাধী হিসেবে থাকতে চাইনি। চেয়েছিলাম তোমার সারা জীবনের সাথী হয়ে। আর তুমি আমাকে ছেরে অন্য একজনকে সাথী বানালে। তুমিই বল আমাদের জীবনটা কত সুন্দর ছিল। তুমি আমাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে আর আমিও তোমাকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখতাম। কখনও কখনও স্বপ্নের মাঝে হাঁরিয়ে যেতাম তুমি আর আমি। আর তোমার আমার প্রতিটি রাত ভোর হতো মোবাইলে কথা বলতে বলতে। কখনও হতো তোমার সাথে রাগ আবার কখনও হতো অনুরাগ। এমন করেই আমাদের প্রতিটি রাত ভোর হতো। নাদীয়া এর সবইকি তুমি ভূলে গেছ। কেন তুমি এতটা পাষান হলে কেনইবা তুমি আকাশের মত তোমার মনের আকাশের রং পল্টালে। যদি তুমি আমার সাথে প্রতারনা করে থাক তাহলে মনে হয় ভূল করেছ। আর যদি অন্য কারো মন রক্ষা করার জন্য তুমি আমাকে দূরে ঠেঁলে দিয়ে থাক তাহলে ঠিক করেছ।
কারন ধনীর দুলালের মন আমার মনের চেয়ে অনেক প্রশান্ত, অনেক গভীর। সেখানেই তুমি তোমার সুখের ঠিকানা খুজে পাবে। আর আমার জীবন সঙ্গী হলে তুমি কি এমন পেতে। সারা জীবন তোমাকে দুঃখ কষ্ট পেতে হতো। কখনও তোমার মনের চাহিদা পূরন করতে পারতাম না। কারন আমি ছিলাম বেকার আর বেকার হলো সমাজের অভিষাপ। দেখ নাদিয়া যেই বেকারের জন্য তুমি আমার জীবন সাথী হলে না । আজ তুমি সেই বেকারের ঘড়ের গড়নী। তবে কি পেলে আমাকে বেকার অপবাদ দিয়ে দূরে সরিয়ে দিয়ে। একদিন তুমি আমাকে বেকার বলে ঘৃনা করতে আর কিনা সেই তুমিই এখন বেকারের ঘর করছো। তাহলে আমি কি দোষ করে ছিলাম তোমাকে ভালবেসে। আমিতো তোমাকে ভালবেসে কোন পাপ করিনি। তোমার এত পাশাপাশি থেকেও আমি তোমাকে চিনতে পারিনি। কেন পারিনি তা হলো আমি তোমাকে আমার সমস্ত আবেগ দিয়ে ভালবেসে ছিলাম। আমি শুধু আবেগকেই বিশ্বাস করেছিলাম। আজ বুঝতে পেরেছি আবেগকে বিশ্বাস করে আমি কত বড় ভূল করেছি। কত বড় ভূল করেছি তোমার সুন্দরের মোহে পরে। আমি আগে বুঝতে পারিনি সুন্দরের ভীতরটা যে এত কালো কুৎসিত। তোমার রুপে যতই আলো থাতুকনা কেন ভীতরে ছিল কালো অন্ধকার। আর সেই অন্ধকারে আমাকে রেখে তুমি ঠিকই আলোর পথে চললে। তুমি একটু চিন্তা করলেনা আমি তোমাকে ছারা অন্ধকারে একা কেমন করে থাকবো। কেমন করে কাঁটাবো আমার নিষ্টুর সময়। তোমাকে ছারা যে আমার এক মূহূর্তও ভাল লাগেনা। এক একটি দিন মনে হয় একটি বছরের সমান। একটি বছর মনে হয় শত বছরের সমান। তুমি কেন আমাকে এত নিঃসঙ্গতার মাঝে ফেঁলে দিলে। আমিতো তোমার কাছে কখনও নিঃসঙ্গতা আসা করিনি। তবে কেন তুমি আমাকে এতটা তুচ্ছ মনে করলে। দেখ স্বর্ণালী যাকে তুমি এতটা তুচ্ছ ভাবলে তাকেই তুমি একদিন ভালবেসে ছিলে। তুমি আমার কাছে কিসের মোহে এসেছিলে তা আমার জানার বাইরে। আমি এখন স্পষ্ট বুঝতে পারছি তুমি আমাকে ভালবাসতে নয় কাঁদাতে এসেছিলে। আর সেই কারনেই তুমি আমাকে কাঁদিয়েই চলে গেলে। আমাকে কাঁদাতে তোমার বুক একটুও কাঁপলো না। আমার প্রতি তোমার এতটুকু মায়া হলোনা । তুমি কি দিয়ে তৈরি একমাত্র মহান অল্লাহই ভাল যানেন। তা না হলে তুমি যাকে তিনটি বছর ভালবেসেছিলে তাকে কেমন করে কাঁদাতে পারলে। একটি সুস্থ মানুষ কখনই এ ধরনের জঘন্য কাজ করতে পারে না। তুমি নতুন সাথীর স্বপ্নে অন্ধ হয়ে গিয়েছিলে আর সেই কারনেই তুমি আমাকে দেখতে পারনি। যদি নতুন সাথীর স্বপ্নে বিভোর না হতে তাহলে ঠিকই আমাকে চিনতে পারতে। আমার মনের হাজারো স্বপ্ন গুলো বাস্তবে পরিনত হতো। সুখী সংসার হতো তোমার আর আমার। এখন তুমি সুখী হলে আর আমি চির দুঃখী হয়ে পরে রইলাম। আমার হাজারো স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল মুহুর্তের মধ্যে। শুধু একটি দিনের ব্যবধানে তুমি আমার থেকে অনেক দূরের মানুষ হয়ে গেলে। তোমার আমার পথ দুই দিকে বেঁকে গেল। তোমার নতুন পথে তুমি চললে আর আমি কাঁটা ভরা পথে পরে রইলাম। নাদিয়া কাঁটা ভরা পথ খুবই কষ্টের একজন প্রকৃত মানুষের এই পথে চলা খুবই দুস্কর। এত দুঃখে কষ্টে দিন কাটিয়েও আমি ভাল আছি খুব ভাল আছি। এ যে কেমন ভাল তা এক মাত্র আমিই ভাল যানি। তোমার মত সুখী মানুষের বোঝা কখনই সম্ভব হবে না। কারন তুমি এখন অনেক সুখী মানুষের এক জন। তোমার সুখ এখন চার প্রান্তে। যে সুখে তুমি এখন আছ তার এক ভাগও মনে হয় আমি দিতে পারতাম না। যাক নাদিয়া তুমি ভাল কাজই করেছ। তুমি শুধু তোমার দিকটাই বুঝলে আমার দিকটা একটুও বুঝলে না। তোমার বিবেকের কাছে প্রশ্ন করেই দেখ যে কাজ গুলো তুমি আমার সাথে করেছ তা কতটুকু ভাল করেছ। যা করেছ তুমি আমার সর্বনাশের জন্যই করেছ। আমার মঙ্গলের জন্য কোন কাজই তুমি করনি। যদি করতে তাহলে আমার জীবনটা অন্ধকার হতো না। আমি সারা জীবন আলোতে থাকতে পারতাম। আমার কপালে আলো সইবে না তার জন্যই তুমি আমার জীবন থেকে আলোটুকু ছিনিয়ে নিলে। আমার অন্ধকার জীবনে কখন যে আবার আলো ফিরে আসবে তা এখনও কল্পনার বাইরে। আমার এখন কল্পানায় আসেনা জীবনটা নতুন করে আলোকিত হবে।
 আমি চাইনা আমার জীবনটা আলোকিত হউক। কেননা অন্ধকার জীবনটা আমার একান্ত কাছের মানুষের দেয়া মূল্যবান উপহার। তাই আমি কখনও আমার জীবনকে আলোকিত করতে চাইনা। তোমার জন্য আমার জীবনের সব আনন্দ হাঁসি ত্যাগ করেছি। নিজেকে করেছি সমস্থ তোমার কাছে উৎসর্গ। তোমার যখন খুশি আমাকে কাঁদাতে পার আবার ইচ্ছে করলে আমাকে হাঁসাতে পার কোন অনুমতি লাগবে না। তুমি আমার কাছে আগেও যেমন ছিলে ঠিক এখনও তেমনি আছ। তোমার প্রতি আমার ভালবাসা সব সময় একই রকম  থাকবে। আমার জীবনের প্রথম নারী তুমি তোমাকেই আমার মনে ধরেছিল। আমার জীবনে ভালবাসার উপযোগী একমাত্র তুমিই ছিলে। তার কারনেই তোমাকে ভালবেসেছিলাম। কি পেয়েছি তোমাকে ভালবেসে। একরাশ লাঞ্ছনা ছারা আর কিছুই পাইনি তোমার কাছ থেকে। তোমার জন্য আমি অপমানিত হয়েছি সবার কাছে। সবাই আমাকে ধিক্কার দিয়েছে। আমার চোখের জলের কোন মূল্য দেয়নি কেউ। কেউ বুঝতে চেষ্টা করেনি আমার বুকের গোপন ব্যাথা। তোমাকে না পাওয়ার যন্ত্রনায় আমি ছটফট করছিলাম আমার পাশে এসে কেউ দঁড়ায়নি। কেউ বলেনি তোমার কি প্রয়োজন। যদি তুমি আমার জীবন থেকে সরে না যেতে তাহলে হয়তোবা এমনটি হতো না। তুমি আমার জীবনে এসেছিলে হঠাৎ করে আবার চলেও গেলে হঠাৎ করে। আমি এখন বুঝতে পেরেছি যে জিনিস বীনা কষ্টে পাওয়া যায় তা চিরস্তায়ী হয় না। আর যে জিনিস অর্জন করতে লাগে শত সাধনা তা চিরস্থায়ী হয়। তার উদাহরন হলে তুমি, তোমার নিষ্টুর ভালবাসা। তোমাকে আমি আমার জীবনে পেয়ে ছিলাম একদিনের অল্প সময়ের সামান্য কথায়। আর তুমি চলেও গেলে একদিনের অভিমানে। নাদিয়া প্রথম প্রেমের স্মৃতি কখনও ভোলা যায় না। কেন ভোলা যায় না তা বুঝতে আমার মত যদি তোমার প্রথম প্রেম হতো। আমি তোমাকে কখনও খারাপ চোখে দেখবো না। কারন তোমাকে আমার একান্ত কাছে পেয়েছিলাম তিনটি বছর। আমার জীবনের তিনটি বছর ছিল খুবই সুখের। আর এই সুখের দিন গুলো কখনই ভূলতে পারবো না। যেই সুখ আমি তোমার থেকে পেয়েছি তা আমাকে আর কে দেবে। এখন আমাকে পৃথিবীর কোন সুখই আনন্দিত করতে পারবে না। তোমার প্রতিটি কথাই আমার মনকে প্রফল্লিত করতো সবসময়। তোমার সাথে আমি যতই রাত জেগে কথা বলতাম ততই আমার ভাল লাগতো। মনে হতো তুমি আর আমি দূরে নয় একই বিছানায়। তোমার বুকে মাথা রেখে আমি কথা বলছি আর তুমি নিরবে আমার কথা গুলো শুনছো। আমার সাথে তোমার মত করে কেউ কথা বলে না। সবাই শুধু আমার সাথে কথা বলতে বিরক্তিকর মনে করে। আমার করুনার কথা কারো মনে আর আনন্দ দিতে পারে না। আমি তোমাকে হাঁরিয়ে অনেক দূরে চলে এসেছি কেন তুমি যান না। কারন শুধু তোমাকে একটু ভূলে থাকার জন্য। হাজার হাজার মাইল দূরে এসেও কোন লাভ হলো না। এখন বুঝতে পারলাম যে আমার জীবনে প্রথম এসেছিল তাকে আমি ভূলে থাকতে পারবো না। একমাত্র মরনই পারবে আমার থেকে তোমাকে ভূলিয়ে দিতে। তুমি আমার হৃদয়ের মাঝে এখনও বার বার এসে আঘাত করে যাও। তুমি এতটুকু বিবেচনা করলে না তোমার দেয়া আঘাত সয্য করতে পারবো কিনা। নাদিয়া তোমার কিছু পুরনো কথা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। এখন কেউ আমাকে বলেনা রাত জেগে কম্পিউটার চালিওনা। বেশী রাত জাগলে শরীর খারাপ করবে। যখন তোমার ফেলে আসা কিছু কথা আমার মনে পরে তখন আমি নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না। আমি তখন একেবারেই দিশেহারা হয়ে যাই। দুটি অক্ষরে লেখা এই দুঃখ মানুষকে যে কতটা যন্ত্রনা দেয় তা কল্পনা করা যায় না। আমি এখনও ভেবে ঠিক পাচ্ছিনা মানুষ এত কাছে এসেও কেন আবার দূরে চলে যায়। যদি দূরেই চলে যাবে তবে কেন ক্ষনিকের জন্য কাছে আসে। দেখ নাদিয়া আমার প্রতিটি কাজে তুমি প্রতিটি চলার পথে তুমি। তোমাকে আমি রেখেছি আমার সারা জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে। আমি দুঃখে থাকতে রাজি আছি তোমাকে দুঃখ দিতে রাজি নই। তোমাকে আমার মাথার মনি হিসেবে রেখেছিলমা আমার জীবন শুরু থেকে। আজ পর্যন্তও তোমাকে রেখেছি আমার হৃদয়ের সবচেয়ে দূর্ভলতম জায়গায়। তোমার হাতের লেখা চিঠি গুলোই হলো এখন তোমাকে না পাওয়ার সান্তনা। তোমাকে আমি পাইনি কিন্তু তোমার দেয়া চিঠি গুলো আমার হৃদয়ের যাদুঘরে রেখে দিয়েছি। এগুলোই আমার জীবনের সার্টিফিকেট যা আমি তোমার থেকে পেয়েছি। তুমি একটি সার্টিফিকেট বাকী রেখেছ সেটি হলো আমার মরনের। শুধূ কেন এটা বাকী রেখেছ। যদি আমি তোমার কাছ থেকে শেষ সার্টিফিকেট পাই তাহলে মনে আর কোন দূঃখ থাকবে না। তোমার থেকে অনেক দূরে চলে যেতে পারবো। কখনই আমাকে খুজে পাবে না। নাদিয়া তুমিতো আমাকে সবই দিয়েছ কোন কিছুই অসম্পূর্ন রাখনি। আমাকে লঞ্ছনা না দিয়ে যদি এক পেয়ালা বিষ দিতে তাহলেও আমি হাঁসি মোখে পান করতাম। তোমার দেয়া অনুশোচনা আমি সয্য করতে পারি না। আমার হৃদয়ে যন্ত্রনার খড়ায় ফেঁটে চৌচির হয়ে গেছে। তুমি কখনও চৈত্র মাসে জমি দেখেছ পানির অভাবে কেমন ফেঁঠে যায়। আবার বৃষ্টি এলে আগের মত হয়ে যায়। আমার হৃদয়টা অনেকটা তেমনি হয়ে গেছে।  যখন দুঃখ কষ্টে আমার বুকটা ফেঁটে যায় তখন চোখে অজরে কান্না আসে। আর সেই কান্নাই আমার বুকের শত শত ক্ষত গুলো ঠিক করে দেয়। এমন করেই চলছে তোমাকে ছারা আমার একাকী জীবন।
আমার এই জীবনের শেষ কোথায় তা জানি না। জানিনা আমাকে কত কাল এই জীবনের সাথে জরিয়ে থাকতে হবে। আমার জীবনের সাথী হয়েছে এখন সিগারেট। যে সিগারেটের গন্ধ আমি একদিন সয্য করতে পারতাম না। আজ সেই সিগারেটই আমার সবচেয়ে বড় বন্ধু। শুধু সিগারেটই আমাকে ক্ষনিকের জন্য বিরত রাখতে পারে সকল দুঃখ কষ্ট থেকে। আমি কখনও কল্পনাও করতে পারিনি যে সিগারেটকে বেঁছে নিতে হবে। আমি প্রথম থেকেই জীবনকে রাখতে চেয়েছিলাম মুক্ত ডানা মেলা পাখির মত। সেই ডানা মেলে উড়তে শিখেছিলাম কিন্তু উঁই পোকার মত ডানা ভেঙ্গে পরে গিয়েছি। তুমি কি যান কখন উঁই পোকা ডানা মেলে? যখন মরিবার সময় হয় ঠিক তার আগেই ক্ষনিকের জন্য ডানা মেলে। আমার পরিনতি হয়েছে ঠিক উঁই পোকার মত। আমার জীবনের সমস্থ অবনতির একমাত্র সূত্র হলো তোমার নিষ্টুর ভালবাসা। এই ভালবাসা শব্দটাই হলো আমার জীবনের বড় শত্র”। ভালবাসাই এখন আমার জীবনে কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে। যদি এই ভালবাসা শব্দটা আমার জীবনে না আসতো তাহলে আমাকে এতটা আনমনা হতে হতো না। স্বর্ণালী তুমি চলে যাবার পরে আমার জীবনে অনেক মেয়ে এসেছে। আমার জীবনটাকে অনেক ভাবে সাজাতে চেয়েছে অনেকে। নতুন করে স্বপ্ন দেখাতে চেয়েছে কিন্তু সবাই ব্যর্থ হয়েছে। আমি জানি এক মন এক প্রান শুধু এক জনকেই দেয়া সম্ভব। তাই কেউ আমার কাছ থেকে তোমার সেই স্থান দখল করতে পারেনি। আর তুমি কেমন করে আমার দখল করা জায়গাটুকু ধনীর দুলালের কাছে বেশী দামে বিক্রী করলে। আমাকে করলে তুমি বাস্থহারা। ছোটবেলা পাঠ্য বইতে পড়েছি নদীর এক পাড় ভাংলে আবার আরেক পার গড়ে। কিন্তু বাস্তবের নদীর চেয়ে মনের নদীর কোন মিল নেই। আমার জানা মতে মনের নদীর দু-কূলই ভাঙ্গে। আমার মনের দু-কূল ভাঙ্গার পরেও তোমার ভূল শংশোধন হলো না। তুমি ইচ্ছে করলেই পারতে আমার না জানা ভূল গুলি শুধরে নিতে। একটু চেষ্টা করলেই পারতে আমাকে অপরাধীর সারি থেকে মুক্তি দিতে। তার কোন কিছুই তুমি আমার জন্য করলে না। যদি আমি কবি হতাম তাহলে নানান ধরনের কাব্য লিখে কষ্ট গুলোকে সাজাতে পারতাম। যদি হতাম কন্ঠ শিল্পী তাহলে গান গেয়ে বোঝাতে পারতাম সবাইকে। কিন্তু আমিতো একটা সাধারন মানুষ কেমন করে আমার গোপন জ্বালা গুলো অন্যকে বুঝাবো। তাই আমার যত দুঃখ জ্বালা গুলো আমাকে ধুকে ধুকে মারছে। আমিতো জ্বলে পুরে অঙ্গার হয়েছি। তুমি আমাকে যতই জ্বালাও আমার কোন আপত্তি নেই। শুধু আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে কলঙ্কীনি করো না। আমি তোমার জন্য সব কিছু করতে রাজি আছি। কিন্তু তোমাকে ছারতে রাজি নই। তোমাকে কিছুতেই আমি হারাতে পারবো না। তুমি আমার শুধুই আমার তোমাকে ছারা আমার আপন বলতে কেউ নেই। তুমি ছারা আমার বুকের আগুন কেউ নিবাতে পারবে না। এখন তুমিই পার আমার নষ্ট হয়ে যাওয়া জীবনটাকে আবার কানায় কানায় ভরে দিতে। আমি এতটুকু জানি তোমাকে ছারা আমার জীবন সম্পূর্ন হবে না। আমার জীবন সাজাতে হলে তোমাকেই প্রথম প্রয়োজন। তোমাকে ছারা আমি কিছুই ভাবতে পারবো না। তুমিই আমাকে প্রথমে ভাবতে শিখিয়েছিলে। তাই তোমাকে নিয়ে ভেবে আমি পরবর্তী জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করবো। তোমাকে নিয়ে আমি যতই ভাবি ততই বিস্মীত হই। আজকের তুমি আর সেই তুমির মাঝে অনেক দুরত্ব। আমার কাছে যে তুমি ছিলো সে তুমি শুধু আমাকেই ভাবতো। আমাকে নিয়েই দিন রাত কল্পনা করতো। আমার সাথে কথা না বলে থাকতে পারতো না, ঠিক মত খেতে পারতো না। আর এখনকার তুমি আমাকে চিনতে পারে না। সয্য করতে পারে না আমার কন্ঠ স্বর। চিনতে পারে না যে মানুষটি তিনটি বছর কাছাকাছি ছিল। আর আমি এই সামান্য মানুষটা তোমাকে এখন পর্যন্ত মনে রেখেছি। কেননা তুমি চলে যাওয়ার পরেই আমি তোমার মর্যাদা বুঝতে পেরেছি। বুঝতে পেরেছি ভালবাসার প্রথম এবং শেষ সম্ভন্ধে। তুমি আমার থেকে চলে না গেলে বুঝতে পারতাম না কষ্ট কি জিনিস। তাই আজ আমি কষ্টকে বুঝতে শিখেছি। বুঝতে পেরেছি কষ্টের কি আর্তনাদ কি আহাজারি। কেন আমি একটি রাতও শান্তিতে ঘুমাতে পারিনা? কেন কষ্ট গুলো আমার পিছু ছারছে না? কেনইবা তোমার পুরনো স্মৃতি গুলো আমাকে পাগল করে তোলে। এসব প্রশ্নের উত্তর হলো আমার প্রতি তোমার ভীত্তিহীন ভালবাসা। আমার জানা মতে তোমার মনটি ছিল খুবই সুন্দও অমায়ীক। আর এই সুন্দর মনের মাঝে আরেকটি মন যুক্ত হওয়ার কারনে তুমি আমাকে কাঁদাতে পারলে। কেননা তুমি হয়তো শুনেছ কোন দেশে দুইটি প্রধান মন্ত্রী থাকে না। থাকে এক জন সেই এক জনের ইশারায় দেশ চলে। যদি দুইটি প্রধান মন্ত্রী থাকতো তাহলে এক জনে আরেক জনের কথা শুনতো না।তোমার মনের রাজ্যতে দুটি প্রধান মন্ত্রী ছিল তাই আমাকে তোমার জীবন থেকে সরে যেতে হলো।
এখন তুমিই চিন্তা করো যদি তোমার একটি মন থাকতো তাহলে আমাকে ভূলতে পারতে না। আমি জানি এই লেখার সামান্যতম মূল্য নেই তোমার কাছে। কারন তোমাকে আমি আমার এই লেখাগুলো কখনই পড়াতে পারবো না। তবুও লেখছি কারন আমার হৃদয়ের ব্যথাগুলো একটু হালকা হবে ভেবে। যখন এই লেখা গুলো লিখছি তখন আমার দু-নয়নের দু-কোনে অশ্রু গুলো উকি মারছে গড়িয়ে পরার জন্য। শত চেষ্টা করেও আমি অশ্র”গুলোকে ধরে রাখতে পারছিনা। চোখের অশ্রু গুলো এখন অন্যরকম হয়ে গেছে শত বলার পরেও আমার কথা শোনেনা। নাদিয়া তুমি চলে যাওয়ার পরে আমার মনের ভেতর যে কখন কালো মেঘে আচ্ছন্ন হয়ে গেছে খেয়াল করিনি। যখন জমে থাকা কালো মেঘ গুলো আমার রাত জাগা চোখ দিয়ে বৃষ্টি হয়ে ঝড়ছে তখন বুঝতে পারলাম শত্যিই মেঘ জমেছিল। তা না হলে আমার চোখে বৃষ্টি এলো কোথা থেকে। তোমার জন্য আমার মন সব সময় আনমনা থাকে। কেননা তোমার তো অন্যের ঘড়ের ঘরনী হওয়ার কথা ছিলনা। আমার স্পষ্ট মনে আছে তুমি আমাকে প্রতিটি চিঠিতে লিখতে কখনও ভূলবে না। আজ কোথায় গেল তোমার সেই আবেগের কথা। তুমিতো সত্যিই আমাকে ভূলে গেলে। তাহলে আমাকে ভূলে যাবে না এ কথা বলার কি দরকার ছিল তোমার। এখন দেখছি তোমার একটি কথাও কাজের সাথে মিল নেই। তুমি মোখে বলেছ এক আর কাজে করেছ আরেক। তুমিতো এমন ছিলে না তবে কেমন করে এমন হলে। আমার ভাবতেও অবাক লাগে তুমি এ ধরনের যগন্য কাজ করতে পার। তুমি কেমন করে পারলে একটা ফুলের মত পবিত্র ভালবাসায় কলঙ্ক দিতে। তোমার পাষান্ত বুক একটুও কাঁপলো না। তোমার বিবেকে একটুও বাধা দিল না। তুমি কেমন মানুষ তুমি তোমার হৃদয় বলতে কিছুইকি নেই। নেই তোমার মাঝে মানুষের আত্তা। তাহলে কি আমি এত দিন দুধ কলা দিয়ে কাল নাগিনী পুষে ছিলাম। তুমি বিশাক্ত কাল নাগিনী বলেই আমাকে ছোবল মারতে পারলে। আমাকে নষ্ট করে দিলে এক নিমিষেই। আমাকে দুঃখের সাগরে বসাতে তোমার একটু কষ্ট হলো না। তুমি এত তারাতারী কেমন করে এই সিদ্ধান্ত নিতে পারলে। তোমার সবকিছুই সাজানো গল্প ছিল। তুমি আগে থেকেই জানতে আমার ফুট ফুটে জীবনের অবনতির খবর। কারন সব কিছু তোমার কারনেই হয়েছে। নাদিয়া আমি এখন বুঝতে পারলাম তুমি স্বামীর সংসারে সুখেই আছ। তোমার এখন কোন কিছুরই অভাব নেই। নানান ধরনের আনন্দ আর হাঁসি খুঁশির মাঝেই কাঁটছে তোমার নতুন জীবন। আমার অবস্থা কেমন তা তুমি ভাল করেই যান। তুমি আমাকে ছেরে একাই সুখী হয়ে গেলে। আমাকে সারা জীবনের জন্য দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে দিয়ে গেলে। তার পরেও আমি চাই তুমি তোমার নতুন জীবনে মিলে মিসে সবার সাথে সুখে থাক। যখন শুনি তোমার সুখের বার্তা তখন আমার মন ভরে যায়। তখন কিছুটা হলেও দুঃখ লাগভ হয় আমার জীবন থেকে। আমি চাই আমার জীবন থেকে দুঃখ গুলো একেবারেই বিদায় দিতে। কিন্তু দুঃখ গুলো খুব নাছোর বান্ধা যেতে চায় না। কারন আমার জীবনের সাথে দুঃখ গুলো মানিয়ে গেছে। আমার জীবনের সাথে মানিয়ে যাবার কারনেই এখন সুখের কোন আসঙ্কা নেই বাকী জীবনে। আমি এখন বুঝতে পারছি সুখ চাওয়াটা আমার জীবনে বড় ধরনের বোকামী ছিল। আর এই বোকামীর কারনেই আমি তোমার কাছে হেরে গেলাম। সুখ আমার জীবনে সইবে না আগেই বোঝার উচিৎ ছিল। তখন আমার দুটি চোখ আবেগে অন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেখতে পারিনি ভাল মন্ধ কোনকিছু বুঝতে পারিনি তোমাকে। আমার জীবনে ভালবাসা আসবে বলে মনের  দরোজাটা খুলে দিয়েছিলাম। তার পরেও ভালবাসা এসেছিল সেই ভালবাসা আমাকে দুঃখ দিয়ে সুখ নিয়ে পালিয়ে গেল। আর সেই ভালবাসাকে খুজে পাবার জন্য কত বার যে চেষ্টা করেছি পাইনি। আমি যে কত নির্মম ভাবে জীবন যাপন করছি তা তুমি বুঝলে না। বুঝলে না আমি তোমার কাছে কি চেয়েছিলাম। আমি এখন বুঝতে পারছি না কাকে আমি দোষ দেব তোমাকে না আমার নিয়তীকে। যদি তোমাকে দোষ দেই তাহলে আমার ভূল হবে। আর যদিও তোমাকে দোষ না দেই তা হলেও আমার ভূল হবে। এর কারনটি একমাত্র তুমিই মনে হয় আমার থেকে ভাল যান। আমার সাদা মনটাকে তুমিই কলঙ্কের কালি লাগালে। তুমি যে আমার কত বড় ক্ষতি করেছ তা তুমি একটু চিন্তা করে দেখ। তোমার প্রেমে আমি বিভোর ছিলাম তার কারনেই তুমি আমাকে কাঁদাতে পারলে। কতটা সুখী হয়েছ তুমি আমাকে কাঁদিয়ে। তোমার সুখের প্রয়োজন ছিল আমাকে বললেই পারতে। আমি তোমাকে আমার সব উজার করে দিয়ে দিতাম। আমার মনে সব চাইতে বড় দুঃখ হলো। তুমি আমার সাথে তিনটি বছর প্রেম করলে অথচ আমাকে চিনতে পারলে না। বুঝলেনা তুমি চলে গেলে আমি কতটা কষ্ট পাব। তুমি কি আমাকে কষ্ট দেবার জন্যই ভালবেসে ছিলে।
 আমাকে যদি ছেরেই চলে যাবে তাহলে কেন তুমি ভালবেসে ছিলে। আমিতো তোমার কাছে এধরনের ভালবাসা কখনও চাইনি। আমার জানা মতে তুমিও চাওনি। তবে কেন এমন করলে তুমি আমার সাথে। দেখ নাদিয়া যদি আমি ইচ্ছে করতাম তাহলে তোমাকে কত কিছু করতে পারতাম। তোমার সুন্দর রুপ মাটির সাথে মিসিয়ে দিতে পারতাম। এখন তুমি যে রুপের মোহে অহংকার করছো। তোমার রুপের ঝলকাণী কত দিন থাকবে। কিন্তু আমার মনের ভীতরে যে তুমি ভালবাসা জন্মিয়েছ তা সারা জীবন থাকবে। তোমার থেকে আরো বহুগুনে সুন্দরী আসলেও আমার সেই স্থান দখল করতে পারবেনা। আমি যাকে মনে প্রানে ভালবেসে ছিলাম তার সেই ভালবাসা নিয়েই যেন সারা জীবন কাঁটাতে পারি। আমি তোমার জন্য আজও পথপানে চেয়ে আছি যদি তুমি কখনও আমার কাছে ফিরে আস। তুমি যখনই আমার কাছে ফিরে আসবে তখনই আমি তোমাকে সাদরে গ্রহন করবো। তোমার জন্য আমার মনের দরজা চিরদিনের জন্যই খোলা থাকবে। যখন খুশি তখনই আমার মনের ঘরে প্রবেশ করতে পারবে। তার জন্য তোমাকে কোন ধরনের প্রশ্নও করবোনা। আমি তোমাকে শরীরের জন্য নয় সুন্দর মনের জন্য ভালবেসেছিলাম। আমি জানি তোমার সেই সুন্দর মনটি আজও সুন্দরই আছে। তুমি আমার কাছে সবসময় আগের মতই থাকবে। যদি তুমি বিয়ের পরেও একটু সান্তনা দিতে তাহলেও আমি অনেক কিছু মেনে নিতে পারতাম। নিজেকে নিয়ে এতটা বিস্মৃত হতামনা। দেখ নাদিয়া আমি এক সময় কয়েক কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে তোমার সাথে দেখা করতাম। কিন্তু দেশে থাকতে তুমি আমার এত কাছে ছিলে তার পরেও তোমার সাথে আমি দেখা করতে পারতামনা। মাঝে মাঝে তোমাদের বাড়ির উপর দিয়ে যেতে হয় আমার। অনেক সময় তুমি আমাকে দেখ আর আমিও তোমাকে দেখি। কিন্তু তুমি আর আমি কতটা অপরিচিত মনে হয়। মনে হয় তুমি কখনও আমাকে দেখনি। তোমার সাথে কখনও আমার কথা হয়নি। বিয়ের পরে আমি তোমাকে অনেকবার দেখেছি অনেক রুপে। বিয়ের আগের তুমির মাঝে বিয়ের পরের তুমির সাথে কোন মিল নেই। বিয়ের পরে তোমার সবকিছুই পরিবর্তন হয়েছে। তুমি আমাকে দেখেছ তখন আমার মনে হয়েছিল কিছু বলবে। তোমার স্বামী থাকার কারনে মোখ ফিরিয়ে নিয়েছ। আমি তোমার সুন্দর চোখ দেখেই তোমার মনের ভাব বুঝতে পেরেছি তখনি। আমি যানি তোমার মনের ভীতরে অনেক না বলা কথা জমে আছে। সে কথা গুলো তুমি কাউকে বলতে পরছোনা এমনকি তোমার একমাত্র কাছের মানুষটিকেও। মনে হয় তোমার বুক ফেঁটে কান্না আসে কিন্তু কাঁদতে পারনা। তুমিকি কখনও ভেবেছ এমন বিপদের সম্মক্ষীন কখনও হবে। আমি তোমাকে কখনও দোষ দেবনা। তোমার আমার এই পবিত্র ভালবাসা ধংস হওয়ার জন্য তোমার কোন দোষ নেই এটা আমি ভাল করেই বিশ্বাস করি। অন্য কেউ তোমাকে না চিনলেও আমি তোমাকে চিনেছি। তোমার মত সুন্দর মনের মানুষ আজ পর্যন্তও আমার চোখে পরেনি। তোমার তুলনা শুধু একমাত্র তুমি। আমি দেখেছি ফোনে তুমি আমার মাকে মা বলে ডেকেছ আমার আব্বাকে আব্বা বলে ডেকেছ। যে মানুষ তার ভালবাসার মানুষের বাবা ও মাকে নিজের মা ও বাবা মনে করতে পারে সে কেমন করে এ কাজ করতে পারে। তোমার প্রতি আমার বিশ্বাস আগেও ছিল আর এখনও তেমনি আছে। আমি ভাল করেই জানি তুমি আমাকে ভূলে থাকতে পারবে না। আজ কত বছর হলো তোমার সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। তোমার কন্ঠস্বর আমার কানে আসেনা কত বছর যাবৎ। আমারকি মনে চায়না তোমার কন্ঠস্বর শুনতে, মনেকি চায়না তোমার হাতে হাত রেখে একটু ঘুড়ে বেড়াতে। দেখ স্বর্ণালী আমাদের ফেলে আসা দিন গুলো ছিল কতনা মধুর। সেই দিন গুলো শত চেষ্টা করলেও আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তিনটি বছর কতনা আনন্দে কেটেছে তোমার আমার। আর দেখ এখন আমার দিন কঁটতে চায়না। তোমাকে দেখার জন্য মন ও প্রান ব্যাকুল হয়ে গেছে। এখন যদি তোমাকে একটু দেখতে পেতাম তাহলে আমার সকল ক্লান্তি  দূর হয়ে যেত। মনে থাকতোনা কোন ধরনের ক্লান্তি। আমার মরুভূমির মত বুকটা মরু মুক্ত হয়ে যেত। যদি তুমি এখনও একটু হেঁসে বল আমি সব দুঃখ কষ্ট ভূলে যাব। এখন তুমি যদি একটু চেষ্টা কর তাহলে সবকিছুই করতে পার। তুমিকি পারনা যে মানুষটিকে তিনটি বছর ভালবেসে ছিলে তার জন্য এতটুকু কাজ করতে। তুমিকি পারনা আমার সকল ক্লান্তি দূর করে দিতে। তুমি ইচ্ছে করলেই সবকিছু করতে পার। আমি তোমার প্রতি কোন জোর করবো না। যদি মনে চায় তাহলে এই ব্যর্থ প্রেমিকের সুখের জন্য তোমার মমতার হাতটা একটু বাড়িয়ে দিও। আমার বর্তমান জীবনে তোমার মমতার হাতটাই মনে হয় সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন। আমার সুখের দিনে তোমাকে চেয়েছি আর এখন দুঃখের দিনেও তোমাকে চাইছি। তোমার প্রতি আমার এই আকুতি কখনই গ্রহন যোগ্য হবে না। শুধু শুধু মিথ্যা প্রস্তাব রাখছি তোমার কাছে। আমি এখনও আগের মত বোকা রয়ে গেছি। যে বোকার কারনে আজ আমার জীবনটা অন্ধকার। যদি একটু সচেতন হতাম তাহলেকি আমাকে এতটা চোখের জল জড়াতে হতো। আমার চোখের জলটুকু তোমার কঠিন হৃদয়ের কাছে এতটুকু দয়া হলোনা। তুমি এতটুকু দয়া করলেনা আমার প্রতি। তুমি কতটা অবিচার করেছ আমার প্রতি নিজেও জাননা। আর তোমাকে জানতে হবেনা ভাবতেও হবেনা। শুধু এতটুকু মনে রেখ স্বপন নামের একটি ছেলে তোমার জীবনে এসেছিল। তোমার সুন্দর জীবন থেকে তিনটি বছর কেঁরে নেবার জন্য। যে তিনটি বছর তোমার পেছনে ব্যয় করেছি যদি তিনটি বছর কোন মহৎ কাজে লাগাতাম তাহলে জীবনে প্রতিস্টিত হতে কোন সমস্যা হতোনা। সমাজের কাছে তুলে ধরতে পারতাম নিজেকে একটি প্রতিস্টিত ছেলে হিসেবে। জীবনে প্রতিস্টিত হবার সবগুনই ছিল আমার মাঝে। কেন আমি এতটা পিছিয়ে গেলাম একটু চিন্তা করলেই সব বুঝতে পারবে। আমি ভাল করেই যানি একদিন হলেও তোমার সাথে আমার দেখা হবে। যদি কখনও ভূলে তোমার সাথে আমার দেখা হয়ে যায়। তখন তুমি আমাকে দেখে নিও  কেমন আছি। তোমাকে ছারা আগের মত আছি নাকি আনেক খানি বদলে গেছি। মনে হয় তুমি বদলালেও আমি একটুও বদলাইনি। তোমার সামনে গিয়ে আমি ঠিকই দাঁড়াব কিন্তু বেকার হিসেবে নয়। আমি এখন বেকার নই, অনেক টাকা আছে আমার। কিন্তু টাকা থাকলে কি হবে তুমিতো আমার পাশে নেই। যখন আমার নিজের টাকা ছিলনা তখন তুমি অমার সাথে ছিলে। আর এখন আমার নিজের টাকা হয়েছে তুমি আমার পশে নেই। এখন কি হবে আমার টাকা দিয়ে। আমিতো শুধু টাকা চাইনি সাথে তোমাকেও চেয়ে ছিলাম। কিন্তু কেন আমি তোমাকে পেলামনা এটাই এখন আমার সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। আমি যানি কিছু প্রশ্ন থাকে তার কোন উত্তর থাকেনা। তেমনি আমার একটি প্রশ্ন এর কোন উত্তর তোমার কাছে আমি পাবনা। কারন আমার সাথে তুমি পুরোপুরী জালিয়াতী করেছ। সেই কারনেই তুমি কোন উত্তর দিতে পারবেনা। আমার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার মত তোমার কোন ভাষা জানা নেই। আমি তোমার কাছে আর কোন আকুতী করবোনা। তুমি যদি আমাকে ছেরে সুখী হতে পার তাতেই আমি সুখী। তোমার সুখ মানে আমার সুখ। তোমার সুখের জন্য আমি কোনই বাদা দিবনা। তোমার সুখের জন্য যদি আমাকে আরো কষ্ট করতে হয় তার পরেও আমি কোন আপত্তি করবোনা। তুমি শুধু সুখে থাক এটাই আমি সব সময় কামনা করি। আমার কথা তোমার ভাবতে হবেনা। আমি ঠিক নিজেকে সামলে নিতে পারবো।  পৃথিবীর আর কোন কষ্টই আমাকে নতুন করে কষ্ট দিতে পারবেনা। যদি ভূলে কোনদিন মনে পরে যায় আমাকে তোমার প্রয়োজন তাহলে অবশ্যই আমাকে পাবে। আমি তোমার পাশে সবসময় থাকবো ছায়ার মত হয়ে। আমি ভাল করেই যানি একদিন হলেও আমাকে তোমার প্রয়োজন হবে। তখন আমি তোমাকে ফিরিয়ে দেবনা। তোমার কাছে জানতে চাইবোনা কেন আমার কাছে এসেছ। তোমার জন্য আমাকে সবসময় প্রস্তুত রাখবো। তোমার যে কোন ধরনের কাজে আমাকে লাগাতে পারবে। তোমার সুখের জন্য সবকিছু করতে পারবো হাঁসি মোখে। আমি শুধু তোমার মোখে সুখের হাঁসি দেখতে চাই। তুমি সুখে থাকলেই আমার মনে কোন দুঃখ থাকবেনা। নাদিয়া তুমি আমার কল্পনার রানী ছিলে সব সময়। একারনেই আমার কল্পনা শুধু কল্পনাই রয়ে গেল। তুমি চলে গেছ আমার কল্পনা বাস্তব হবেনা কোনদিন। আমার মনের গভীরে তোমাকে ঠাই দিয়েছিলাম সুন্দর একটি পৃথিবী সাজানোর জন্য। কি পেলাম তোমাকে আমার মনের গভীরে রেখে। আমার সাদা  মনে তোমাকে ভালবাসতে চেয়েছিল তাই তোমাকে ভালবেসে ছিলাম। কিন্তু তোমার রঙ্গীন মন থেকে আমাকে ভালবাসনি। যদি ভালবাসতে তাহলে আমি একটু হলেও তার আমানত পেতাম। তুমি শুধু আমার সাথে সময় কাঁটিয়েছ, আনন্দ করেছ আমার সাথে। তখন আমি বুঝতে পারিনি বলেই এতটা দুঃখ আমার জীবনে। যদি বুঝতে পারতাম তাহলে এতটা দুঃখ পেতামনা। তুমি চলে যাবার পর থেকে মনে হয় পৃথিবীর সব মানুষই স্বার্থপর। সবাই শুধু নিজের স্বার্থকে বড় করে দেখে। একমাত্র আমি তোমাকে ভালবেসে কোন স্বার্থ চাইনি। তুমি তোমার স্বার্থ ঠিকই বুঝে নিয়েছ, আর আমাকে করেছ সর্বসান্ত। আসলে স্বর্ণালী তোমাকে ছারা আমি একেবারেই নিস্ব হয়ে গেছি। তুমিইতো আমার মনের দুঃখ বুঝলেনা আর এই পৃথিবীতে কে বুঝবে। তোমার মনের মাঝে আমার জায়গা হলোনা আর কোথায় আমার জায়গা হবে। তুমি আমার মনের বাসনা পূরন করলেনা বলে আমার কোন দুঃখ নেই। যদি কখনও শুনি তুমি সুখে নেই তাহলেই আমি খুব দুঃখ পাব। যাকে আমি জীবনের প্রথম ভালবেসে ছিলাম তার দুঃখ কখনই দেখতে পারবোনা। আমি বিদেশ আসার পরে শুনেছি তোমার একটি ছেলে হয়েছে। দেখতে নাকি একে বারে অনেকটা তোমার মত। তোমার ছেলের নাম রেখেছি আমি। যানি তোমার ছেলের নাম রাখার আমার কোন অধিকার নেই তার পরেও রাখলাম। আমি তোমার ছেলেকে স্বপ্নীল বলে ডাকবো। এই নামটি তোমার নামের সাথে মিল আছে। আমি ভাল করেই যানি যাকে তুমি পছন্দ করোনা তার রাখা নামটিও তোমার পছন্দ হবেনা। যদি তুমি আমাকে পছন্দ করতে তাহলে আমার রাখা নামটিও তোমার পছন্দ হতো।
            নাদিয়া তুমি মনে হয় এতদিনে আমার নামটিও ভূলে গেছ। ভূলে গেছ তুমি আমাকে, আমার সব কিছু। কিন্তু কেন আমি তোমাকে ভূলতে পারিনা। কেন আমি নিজেকে সহজ ভাবে নিতে পারিনা। তোমার কথা কেন আমার এত বারে বারে মনে পরে। তুমি কি কখনও আমাকে এমন করে মনে কর। তোমার জন্য আমি কি না করেছি। তুমি যা বলেছ আমি তাই করেছি। শুধু তুমি আমাকে কেন এড়িয়ে চললে। আমিতো তোমাকে এড়িয়ে চলিনি। তুমি আমার কাছে একটু বলতে পারতে যে আমি তোমার উপযুক্ত নই। যদি একটু বলতে তাহলে আমি এতটা কষ্ট পেতামনা। কেন তুমি আমাকে একটু বললে না। হয়তো তুমি ভেবেছিলে যদি তুমি বল তাহলে আমি ঠিক থাকতে পারবো না। তার জন্যই হয়তো তুমি আমাকে বলনি। কিন্তু তুমি না বলাতে যে আমি বেশী কষ্ট পেয়েছি তা তুমি কখনই বুঝবে না। বুঝতে যদি তুমি আমার মত পথ হারা হতে। আমিতো পথ হরা হলাম তোমার কারনে। তুমিতো ঠিকই নিজের পথ নিজেই বেঁছে নিলে। আমাকে তোমার একটুও প্রয়োজন হলোনা। তুমি কেমন করে পারলে আমাকে কাঁদাতে। মনে হয় আমি তোমার কাছে বোজা হয়ে ছিলাম। তার কারনেই তুমি তোমার বোঝা সরিয়ে দিলে তাই নয় কি। দেখ নাদিয়া যেই স্বপনকে তুমি বোঝা ভাবলে একদিন সেই স্বপনকেই ভালবেসে ছিলে। সত্যি বোঝা মুসকিল তোমাকে তোমার মত মেয়েকে। তুমি আমাকে এখনও চিনতে পারনি আর কখনও পারবে না। যে ভূল আমি তোমাকে ভালবেসে করেছি তার মাসুল আমাকে সারা জীবন দিতে হবে। আর একটা কথা মনে রেখ তোমাকেও সমান খেসারত দিতে হবে এই ভূলের জন্য। কারন আমি শুধু তোমার জন্যই কেঁদেছি সবসময়। তুমি আমার জন্য একটুও কাঁদনি। যদি কাঁদতে তাহলে আমি একটু হলেও প্রতি ফল পেতাম। তুমি চাইলেই আমাকে আপন করে নিতে পারতে। তুমি চাওনি বলেই আমি তোমার আপন হতে পারলাম না। যাকে তুমি তিনটি বছর ভালবাসলে তার জন্য তুমি একটুও সহানুভুতি করলে না। কেন তুমি এতটা পাষান হয়েছিলে তখন। কেমন করে তোমার কাঁদা মাটির মত মনটা পাথরের মত শক্ত করতে পারলে। যদি তোমার মনটা পাথরের মত না করতে তাহলে আমাকে ফিরিয়ে দিতে পারতে না। তোমার মনের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তোমার আগের মন শুধু আমাকেই ভালবাসতো। এখন তোমার পরিবর্তিত মন আমাকে কাঁদায় আর অন্যকে হাঁসায়। আমিতো তোমাকে ভালবেসে হাঁসতে চেয়েছিলাম কেন তুমি আমার মোখের হাঁসি কেড়ে নিলে। আমার হাঁসিকি তোমার কাছে ভাল লাগতো না। আমি সুখের আনন্দে হাঁসি তা  তোমার সয্য হলোনা। এক অস্রধারীর মত আমার ভালবাসাকে কুরবানী দিলে। হত্যা করলে আমার সাজানো জীবনটাকে। যে জীবনে তোমার অবদান সবচেয়ে বেশী ছিল। দেখ নাদিয়া তুমিতো নিজের জন্য অনেক কিছু করলে কিন্তু আমার জন্য কিছু কেন করলেনা। তুমিতো সব কিছুই করতে পারতে। তোমার হাতেইতো ছিল সব কিছু। তুমি এখন স্বামীর সোহাগে সুখী তা শুনে আমিও অনেক আনন্দ পেয়েছি। তোমার সুখে যে আমি সুখ বোধ করি তা কেন তুমি বোঝনা। তোমার জন্য যে আমার মনটা এখনও কাঁদে তাও তুমি বুঝনা। কেন বোঝনা তা যদি একবার জানতে পারতম তাহলে আমার কোন কষ্ট থাকতোনা। তুমিতো আমার জীবন নিয়ে করেছ খেলা। সে খেলাই হলো আমার গলার মালা। কোথাও কোন সুখ মিলেনা আমার। আমি জানিনা কি কারনে আমার জীবনে সুখ স্থায়ী হয়না। তুমিকি বলতে পার কি কারনে আমার জীবনটা এমন হলো। আমিতো এখন সুখে আছি অনেক সুখে কিন্তু মনে যে তিল পরিমান শান্তি নেই।
এ শান্তি আমি কোথায় পাব তা আমার জানা নেই। অনেক সাধ হয় আমার গোপন ব্যথার কারন গুলো জানার জন্য। কেন শত চেষ্টা করেও কারন গুলো আমি জানতে পারিনা। যদি এখনও তুমি আমার কাছে আস তার পরেও তোমাকে গ্রহন করবো। আমি নিজেকে গর্ভিত মনে করবো তুমি চলে এলে। তোমাকে পেয়ে আমি পুরনো সব দুঃখ এক নিমিষেই ভূলে যাব। আমি আগেও বলছি আর এখনও বলছি তোমার রোপের মোহে আমি পাগল হইনি। তোমার সুন্দর একটি মনের জন্য আমি তোমাকে ভালবেসে ছিলাম। তোমার মনের মত মন আমার জানা মতে আর কারো নেই। তাই তোমার জন্য আমার অভুজ মন এখনও কাঁদে। মনকে কোন ভাবেই বোঝাতে পারিনা যে যায় সে কখনও ফিরে আসেনা। তোমার সুন্দর নামটি আমার মোখ থেকে অনবরত বেরিয়ে আসে। কেন আমার মোখকে বাধা দিতে পারিনা। তুমি জাননা আমার মনের কথা গুলোই মোখ দিয়ে বেড়িয়ে আসে। আজ বহুদিন পরে তোমার মিষ্টি কন্ঠ শুনলাম। তোমার কন্ঠ সেই আগের মতই আছে একটুও পরিবর্তন হয়নি। শুধু পরিবর্তন হয়েছে যে কন্ঠে তুমি আমাকে ডাকতে আজ সে কন্ঠে অন্য কাউকে ডাক। এই সামান্য পরিবর্তনই আমাকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ছারখার করে দিচ্ছে। যানিনা আমাকে এমন করে আর কতকাল জ্বলতে হবে। পৃথিবীতে প্রতিটি জিনিষের যেমন শুরু আছে তেমনি শেষও আছে। কিন্তু আমার বুকে ধাউ ধাউ আগুন জ্বলা শুরু হয়েছে তুমি চলে যাবার পর থেকে এখন পর্যন্তও জ্বলছে। তুমিকি বলতে পার এর শেষ কোথায়? আমি ভাল করেই জানি তোমার কাছে এই সাধারন প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যাবেনা। আমি শুধু শুধু তোমার কাছে এই মূল্যহীন প্রশ্ন করছি। তবে মনে রেখ আমার এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর একদিন তোমাকেই দিতে হবে। এবং তুমিই তোমার কার্য কলাপের জন্য নিজের কাছে অপরাধী হবে। তখন হয়তো বুঝবে তুমি আমার সাথে কাজটা ভাল করেছ নাকি। আমার বলার প্রয়োজন হবেনা তখন। আমার বিশ্বাস তুমি অতী তারাতারীই এই প্রশ্ন গুলোর সম্মক্ষীন হবে। তখন তুমি আর এড়িয়ে চলতে পারবেনা। আমার কথা তুমি নাইবা বললে। আমি তোমার কোনদিনও আপন ছিলাম না। যদি তুমি আমার সাথে ভালবাসার সম্পর্ক ছারা যদি বন্ধুত্বটাও রাখতে তাহলেও আমি এতটা দুঃখ পেতাম না। তুমি যাবার বেলায় আমার কাছে কিছুই অবশিষ্ঠ রাখলেনা। শুধু তোমার দেয়া কিছু জাতনা আমার এখন সারা বেলার সাথী। আমি এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে বেঁচে আছি শুধু এই তোমার দেয়া জাতনা নিয়ে। এই  যাতনা কি জিনিস তুমিকি বুঝতে পারবে কখনও। আমি জানি আমার এই লেখা কখনও শেষ হবে না। আর যখন লেখা শেষ হবে তখন হয়তোবা এই সুন্দর পৃথিবীতে থাকবো না। আমি যদি একবারে সারা জীবনের জন্য হারিয়ে যাই তাহলে মনে হয় তুমি সবচেয়ে বেশী খুশী হবে। তুমি যদি বল তাহলে আমি তাই করতে রাজি আছি। শুধু পারবো না তোমাকে এক মূহুর্তের জন্য ভূলে থাকতে। তোমার মনে আছে তুমি আর আমি একদিন ঘুরতে গিয়ে ছিলাম হঠাৎ বৃষ্টি এসেছিল। তখন তুমি আর আমি দৌড়ে ডুকে ছিলাম একটি ঘরের ভেতরে। বৃষ্টি যখন অনেক হচ্ছিল তুমি আর আমি খুব কাছাকাছি ছিলাম তুমি আমার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলে আর আমি তোমার চোখের দিকে তাকিয়ে ছিলাম। আমাদের অনেক সময় কেঁটে গিয়েছিল সেই সময় টের পাইনি। আমি যানি আমাদের মাঝে ঘটে যাওয়া অনেক পূরনো কথাই তুমি ভূলে গেছ। আমার মনে হয় ভূলে যাওয়াটাই স্বভাবিক। কারন হলো যার সাথে তুমি সম্পর্ক রাখলে না তার কথা মনে রেখে কি লাভ হবে। কিন্তু দেখ স্বর্ণালী যাকে তুমি এতটা তুচ্ছু মনে করলে হতভাগা সেই ছেলেটি তোমাকে এখনও মনে রেখেছে। তোমার কথা এক মূহুর্তের জন্যও ভূলে থাকতে পারে না। কেন পারিনা তা তোমার মত মেয়ের বোজা সম্ভব হবে না। তোমার মত মেয়ে শুধু সহজ সরল ছেলেদের মোখের হাঁসি কেঁরে নিতে পারে। কারো মোখে হাঁসি ফোটাতে পারে না। আমি জানি তোমার মত মেয়েদের অন্যর মোখে হাঁসি দেখলে হিংসা হয়। তার কারনেই  তোমার মত মেয়েরা অন্যর হাঁসি কেঁরে নাও। এমন কাজ করে কি এত আনন্দ পাও। যার জন্য তোমরা এমন কাজ কর। আমি তোমার জন্য কি না করেছি। তুমি যখন যাহা কিছু বলেছ আমি তাই করতে রাজী হয়েছি। কিন্তু তুমি আমার জন্য কি করেছ। আমার মনে এখন কেন অনেক দুঃখ বয়ে চলেছে। তুমি একটু চিন্তা করে দেখ আমাকে তুমি কতটা সুখে রেখেছ। আমিতো তোমার কাছে আর কিছু চাইনি। চেয়েছিলাম তোমাকে নিয়ে সুন্দর করে বাঁচতে। কেন তুমি আমার ডাকে সারা দিলেনা। আমি তোমার কাছে কি অপরাধ করেছিলাম। আমিকি তোমার দিকে কখনও খারাপ চোখে তাকিয়ে ছিলাম। যদি তোমার সাথে আমি এমন কোন খারাপ কাজ করতাম তাহলে আমাকে তুমি এড়িয়ে চলতে পারতে। আমি যানি তুমি আমার সাথে সত্যি ভালবাসার সম্পর্র্ক করনি করেছিলে ক্ষনিকের জন্য। যখন তোমার পুরনো ঠিকানার সন্ধান পেয়েছ তখনই আমাকে ভূলে গেছ। কিন্তু তুমি আমার কথা একটুও চিন্তা করনি। যদি করতে তাহলে তুমি আমাকে ছেরে অন্যর হাত ধরতে পারতে না। তবে আমার মনে হয় তুমি যা কিছু করেছ ভালই করেছ। আমার মত বেকারের কাছে আসলে কি এমন পেতে। আমি তোমাকে কোন কিছুই দিতে পারতাম না। তোমার চাহিদা মনে হয় আমি পূরন করতে পারতাম না। তাইতো তুমি ধনীর ঘড়ের বাসিন্ধা হলে। আমি ভাল করেই জানি আমার থেকে চলে যাওয়ার পর তুমি আমাকে একবারও মনে করোনি। যদি মনে করতে তাহলে আমি আবশ্যই বুঝতে পারতাম। হাজারো কাজে আমি সারাদিন ব্যস্থ থাকার পরেও তোমার কথা ভূলে থাকতে পারি না। যখন তোমার কথা গুলো আমার মনে পরে তখন আর অন্যকিছু ভাবতে পারি না। নিজেকে খুব অসহায় মনে হয়। তোমার জন্য যে আমি কতটা ভেঙ্গে পরেছি তা তোমার জানার বাইরে। আমি তোমাকে নিয়ে এখনও কল্পনা করি যে তুমি আমার পাশে। আমি যেখানেই থাকি সবসময় তোমাকে আমার কাছে দেখতে পাই। তোমার নামটি যে আমার কাছে খুবই প্রিয়। তোমার সুন্দর নামটি বলে যদি অন্য কাউকে ডাকতে শুনি তাহলে আমার খুব হিংসা হয়। তোমার সুন্দর নামটি শুধু তোমার সাথেই মানায়। যানি তুমি আমার কথা গুলো বিশ্বাস করবে না। তুমি আমাকে আর কত দুঃখ দিবে। তোমার পাষান মনে আমার জন্য আর কবে একটু দয়া হবে। কবে তুমি আমাকে বলবে আর দুঃখ করোনা আমি তোমার সাথে আছি। দেখ নাদিয়া তমি আমাকে আর কাঁদিওনা। আমার যে আর কাঁদতে ভাল লাগেনা। কাঁদতে কাঁদতে আমার দু-চোখের পানি গুলো শুকিয়ে গেছে। তোমার জন্য আমি এখন পর্যন্ত ঠিক মত প্রান খুলে হাঁসতে পারি না। হাঁসতে গেলে হাঁসির চেয়ে বেশী কান্না চলে আসে আমার দু-চোখে। প্লিজ তুমি এই অধমের জন্য একটু দয়া করো। মিছেমিছি তুমি আমাকে আর দূরে সরিয়ে রেখনা। আমার যে দূরে থাকতে ভাল লাগেনা। কেন তুমি আমার সাথে এমন অভিমান করলে। তোমার জন্য যে আমার হৃদয়ের শুন্য ঘরটা এখন পর্যন্ত শুন্য রয়ে গেছে। কিছুতেই যে তোমার সেই স্থান আমি অন্য কাউকে দিতে পারছি না। তোমার জন্য এখন পর্যন্ত নিজেকে রেখেছি একা। তোমাকে ছারা আমি কোন নতুন সুখে হারিয়ে যাইনি এখন পর্যন্ত। তোমার সুখেই সুখী হতে চাই সারা জীবন। আমি এখনও নিজের জন্য ভাবিনা শুধুই তোমার জন্য ভাবি। তোমাকে নিয়ে ভাবতে যে এখনও আমার আগের মতই ভাল লাগে। তোমাকে নিয়ে ভাবতে গেলে আমার সারা দিনের ক্লান্তি দূর হয়ে যায় অতী সহজে। তোমার জন্য আমি এখনও প্রহর গুনি। আমি দুঃখের সাগরে ভেসেও তোমার কথা এখন পর্যন্ত মনে রেখেছি। কেন মনে রেখেছি তুমি যাননা কারন আমি যে তোমাকে আমার জীবনের চেয়ে বেশী ভালবাসতাম। আর সেই পরিমান ভালবাসা আমি এখন পর্যন্ত রেখেছি। তুমি যে আমার হৃদয়ে প্রতিটি পরতে পরতে জরিয়ে আছ। তোমার স্থান যে রেখেছি আমার হৃদয়ের প্রতিটি জায়গায়। তোমাকে এত ভালবাসার পরেও আমি তোমার ভালবাসা পেলাম না। আমি ভাল করেই জানি কিছু জিনিস আছে শত সাধনা করলেও পাওযা সম্ভব হয়না। তেমনি হলে তুমি শত চেষ্টা করেও তোমাকে আমার জীবন সাথী হিসেবে পেলাম না। তোমাকে নিয়ে মনের মাঝে আমার অনেক ধরনের স্বপ্ন ছিল। আমার মনের স্বপ্ন গুলো আর বাস্তবে পূরন হলো না। আমার হৃদয়ের আর্তনাদ গুলো শুধু আমাকে ধূকে ধূকে আহত করছে। এই আহতই মনে হয় একদিন আমার মরন ডেকে আনবে। আমি চাই তোমার থেকে চির বিদায় নিতে কিন্তু পারি না। তোমাকে ভূলে থাকার জন্য আমি কত ভাবে চেষ্টা করেছি কিন্তু পারি না। আমি এখানে কত সুখে আছি তার পরেও মনে যেন শান্তি পাই না। কেন পাই না মনে হয় এক মাত্র তোমার জন্য। তোমাকে ছারা আমার কোন কিছু ভাল লাগেনা। আমার একটি নদী সেই নদীতে দুঃখের জোয়ার সারা জীবন বয়ে চলে। কখন যে সুখের জোয়ার আসবে আমি জানি না। তুমি চলে যাওয়ার পরে যে আমার কত কিছু অসম্পূর্ন রয়ে গেছে তারও হিসাব আমার জানা নেই। যদি এক একটি করে আমার অসম্পূর্ন বাসনা গুলো বর্ননা করি তাহলে সারা জীবন লেগে যাবে। তার পরেও মনে হয় শেষ হবে না। আমার কেন যেন মনে হয় তুমি আমার কাছে ফিরে আসবে। কেন যেন মনে হয় তোমাকে আমার কাছে পাব। যদি আমার মনের কথা গুলো সত্যিই হয় তাহলে আমি তোমাকে আর কোথায় যেতে দিব না। তোমাকে আমার বুকের মাঝে সারাজীবন লুকিয়ে রাখবো। তোমাকে আর কোথাও যেতে দিব না। আমার মনে ঘরে পাহাড় দিয়ে দেয়াল দিব যাতে তোমার উপর কারো নজর না পরে। তোমাকে সাজিয়ে রাখবো আমার মনের গহীনে।
তোমাকে পেলে আমার কোন দুঃখ থাকবে না। নিজেকে আর অসহায় মনে হবে না। আমার মনের গোপন ব্যাথা গুলো আর আমাকে কষ্ট দিবে না। শুধু তুমি এলেই আমার জীবনটা ঠিক আগের মত হয়ে যাবে। নাদিয়া আমি এটাও যানি এখন আমার এ ধরনের চাওয়ার কোন মানে হয় না। কারন তুমি আমার জীবনে আর নতুন করে আসবে না। তোমাকে নিয়ে আমার স্বপ্নগুলো কখনই বাস্তবায়ন হবে না। অমি ভাল করেই জানি তুমি আমার ভাঙ্গা মনটাকে আর জোড়া লাগাবে না। আমি যানি তুমি আমার মনের আকাশের তারা হয়ে এসেছিলে। তবে কেন ধনীর দুলালের আকাশে আলো ছড়ালে। আমি তোমাকে ভালবেসেছিল কোন মোহের জন্য নয় সুন্দর করে একটি ঘর সাজানোর জন্য। সেই ঘর আমি তোমাকে ছারা কিন্তু সেটাতো সুখের নীড় নয়। বুক ভরা হাহাকার কূল ভাঙ্গা নদীর মত দু-নয়নে অশ্র” ভরা এক ব্যর্থ প্রেমিকের ঘর। আমার এই এখনকার দুঃখতো একা বহন করার কথা ছিল না। তার পরেও আমি মনে কোন কষ্ট নেইনি। একটা কথা মনে রেখ যে আবুয তাকে সহজেই বুঝানো সম্ভব আর যে বোযে তাকে কখনই বুঝানো সম্ভব নয়। তুমি তোমার ভাল মন্দ সব কিছুই বোয তাই তোমাকে বুযানো আমার পক্ষে কখনও সম্ভব নয়। নাদিয়া তুমি যদি আমার সাথে ছলনা করে থাক তাহলে সেই ছলনাই তোমার পশে এসে দাঁড়াবে অভিযোগ নিয়ে। আমি যানি সেই দিনগুলো তোমার পশেই বিরাজমান করছে। আমি যানি একদিন হলেও তুমি বুঝতে পারবে আমি তোমাকে কতটুকু ভালবেসে ছিলাম। তুমি নিজের কাছেই ভাল করে প্রশ্ন করে দেখ আমার সাথে যে কাজ গুলো তুমি করেছ তা কতটুকু ভাল করেছ। তুমিই বল মানুষের জীবনে টাকা পয়সাইকি সব। টাকার কাছেকি ভালবাসার কোন মূল্য নেই। যদি টাকা পয়সাকে যদি ভালবাসার থেকে বেশী প্রধান্য দিবে তবে কেন আমাকে ভালবেসেছিলে। আমি যানি তুমি এখন মহা সুখে আছ কিন্তু এই সুখতো তোমার একা ভোগ করার কথা ছিল না। আমি এখনও চাই তোমার জীবনে সুখ চিরস্থায়ী হউক। তুমিতো সব সময় আমার সাথে বোরখা পরে দেখা করতে ভাবতে পার তোমাকে কেই দেখেনি শুধু আমি ছারা। কিন্তু মানুষ না দেখলে কি হবে আল্লাহ্র অশেষ রহমত আকাশ, বাতাস, সূর্য এদের চোখ থেকে তুমি ফাঁকি দিতে পারবে না। কাল হাশরের ময়দানে এরাই আমার ভালবাসার সাক্ষী দিবে। তখন তুমি মিথ্যা বলে পর পাবে না। আমার কথা গুলো খারাপ হলেও পুরোপুরী সত্য। মানুষের ভাল মন্ধের হিসাব কিন্তু দুনিয়ার মাটিতে শেষ হয়না। আমি যদি তোমার কাছে কোন অপরাধ করি তাহলে তারও সেদিন বিচার হবে। আমার একটা আকুতি সবার কাছে যে কেউ বেকার অবস্থায় প্রেম না করে। ভালবাসা শুধু ধনীর দুলালের জন্য বেকারদের জন্য নয়। আর এই পৃথিবীতে টাকা পয়সা হলে সবকিছুই মিলে। আর টাকা পয়সা না থাকলে প্রেমিকার মনও পাওয়া যায়না। জীবনে চলে আসে গভীর অন্ধকার, চোখ ভেসে যায় অশ্রুজলে। আমি কখনও উপলব্ধি করিনি কষ্ট কি জিনিস। কিন্তু এখন হারে হারে টের পাচ্ছি তোমাকে হারিয়ে।এগুলো হলো সবটাই তোমার অবধান। তোমাকে পাইনি বলে আমার দুঃখ নেই। শুধু এটাই দুঃখ কিছু সময় চলে গেল আমার মাঝ থেকে। শত চেষ্টা করলেও সে সময় গুলো আর ফিরে পাওয়া যাবে না। তোমাকে নিয়ে আমার জীবন শুরু করতে চেয়েছিলাম এক সময় তুমিও চেয়েছিলে। আজ তোমার কথা তুমিই ফিরিয়ে নিলে। তোমার মনে আছে কোন কোন জায়গায় তুমি আমি ঘুরে বেড়িয়েছি। তুমি হয়তো জান না আমি দেশে থাকতে সেই সমস্থ জায়গায় একা একা ঘরে বেড়িয়েছি। তুমি নেই কিন্তু মনে হয় তোমার ছাপ এখন পর্যন্তু লেগে আছে। এই মাটিই একদিন আমার ভালবাসার সাক্ষী দিবে।এই মাটিই বলেদিবে তোমাকে আমি কতটুকু ভালবেসেছিলাম।তোমাকে ছারা কেন আমি ভাবতে পারিনা।আজ একটি মেয়ে আমাকে পাবার জন্য কতইনা মিনতী করছে।দেখতেও খারাপ নয়।তারপরেও কেন সে আমার মনের জায়গাটুকু দখল করতে পারেনা।আমি তোমাকে অনেক ভালবেসেছিলাম বলেই এখনও কাউকে গ্রহন করতে পারিনা।আর বাকী জীবনে পারবোকিনা সেই কথাই ভাবছি।জীবনটাতো অনেক ছোট তাইনয়কি।তবে কেন এই ছোট জীবন নিয়ে মানুষ হাজারো স্বপ্ন দেখে।আমি লোক মোখে শুনি তুমি বিবাহিত জীবনে সুখীহতে পারনি।কেন পারনি তোমার কাছে কখনও জানহেত চাইবোনা।আমি শুধু দূর থেকে তোমার সুখী জীবন কামনা করে যাব।তোমার জীবনে যদি কোন কালো আধার নেমে আসে তা আমি বেঁচে থেকে সয্য করতে পারবোনা।তোমার কষ্ট যে আমার নিজের কষ্ট,তোমার সুখ যে আমার একান্ত সুখতোমার সুখের জন্য আমি যে কোন প্রতিজ্ঞা করতে সবসময়প্রস্তুত।আমার আজ দুবছর হলো সৌদি-আরব পরে আছি।কেন তোমাকে বলতে পারবোনা।মানুষ বিদেশে আসে টাকা কামানোর জন্য।আর আমি এসেছি বিদেশ শুধু তোমাকে ভূলে থাকার জন্য।কিন্তু কি লাভ হলো আমার বিদেশে এসে তোমাকেতো ভূলতে পারলামনা।মানুষ বিদেশ থেকে যখন দেশ ফিরেযায় তখন মনে থাকে হাজারো স্বপ্ন।কখন তার মনের মানুষের আলিঙ্গন পাবে।আর আমি কিছুদিন পরে দেশে যাব বলে মনের কষ্টগুলো আরো বেরে গেছে।তোমাকে একটু দেখার সুভাগ্যও মনে হয় আমার হবেনা।ইদানিং তোমাকে আমার খুব বেশী মনে পরে।এতবেশী তোমাকে মনে পরে তা কিছুতেই বুঝাতে পারবোনা।কেন যানিনা এখন আমার সিগারেট টানার মাত্রা অনেক গুনে বেড়ে গেছে।নিজেকে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে একাকার করে ফেলতে মনে চায়।মনে চায় এই জীবনটাকে তিলেতিলে নিস্বেস করেদেই।কার জন্য আমার এই জীবন রাখবো।যার জন্য রাখবো সেতো আমার হয়েও আবার দূরে চলে গেল।নাদীয়া আমি শুনতে পেলাম তুমি অনেক কষ্টে আছ।কথাটা শুনে আমার চোখের পানি রাখতে পারলাম না।যখন শুনেছি তোমার কষ্টের কথা তথন ভেবেছি একথা শোনার আগে কেন আমার মরন হলোনা।আমি দুনিয়াতে বেঁচে থাকতে এ ধরনের খবর শুনতে হলো।জীবনে আমি কি পেয়েছি ভেবেছিলাম তোমার সুখেই সুখী হবো সারা জীবন।আর এখন শুনি তোমার সুখের ঘরে দুঃখের আগুন লেগেছে।
আমিতো অসহায় কেমন করে তোমার মনের ঘরের আগুন নেবাবো।কেমন করে তোমার খবর নিবো।তুমিতো আমার অনেক কাছে থেকেও দূরে।অনেক সময় মনেহয় হাত বাড়ালেই তোমাকে পাব।কিন্তু আমার হাতযে অবশ হয়ে গেছে তোমার কারনে।তুমিতো ভালকরেই যানতে আমার হাত দুটো মায়ার হাত ছিল।আমার এই মায়ার হাত দুটি তুমি তোমার হাতে রেখেছিলে তিনটি বছর।কি যেন কি ভেবে আমার হাত দুটো ছুরে ফেললে।আমি অনেক রাত একা একা ভেবেছি তোমার চলে যাবার কথা।শুধু ভেবে ভেবে সময় নস্ট করেছি কিন্তু কোন সমাধান পাইনি।এখন যে তোমাকে ছারা আর ভাবতে পারিনা।তুমি যে আমাকে যে ভাবনা শিখিয়ে গেছ তা ভাবতেই যে আমার অনেক গুনে ভাল লাগে।এমনকি ভাল লাগে তোমার কথা মনে করে কেঁদে বুক ভাষাতে।আমি সারাজীবন কাঁদতে রজি আছি কিন্তু তোমার কষ্ট দেখতে রাজি নই।আমি যে তোমাকে অনেক অনেক ভালবাসি।আর এত ভালবাসি বলেই তোমার জন্য মনটা আমার এখনও কাঁদে।কখনও কখনও ভেবে আমি ঠিক পাইনা কি করবো। 

বিয়ে ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায়


বিয়ে ভালোবাসার দ্বিতীয় অধ্যায়


সভ্যতার আদিলগ্ন থেকে মানব সমাজে স্থিতি, নির্ভরতা, আনার জন্য যে সব বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আমরা আজকের আধুনিক সমাজ ব্যবস্থায় উপনীত হয়েছি তার মধ্যে বিয়ে ব্যবস্থার প্রচলন অন্যতম প্রধান বাঁক হিসেবে সমাজ বিজ্ঞানীদের স্বীকৃতি আদায় করে নিয়েছে। দুজন নারী পুরুষের পরস্পরের প্রতি ভালবাসা, বিশ্বাস, বোঝাপড়া, উদ্বেগ ও একতাবদ্ধ থাকার মানসিকতা থেকে সফল আর সার্থক বিয়ের বীজ অংকুরিত হয়। বিয়ের পূর্ণাঙ্গ মানে বুঝতে পারার পর থেকে প্রত্যেক নর নারীর মনে হয়, কোথাওনা কোথাও কেউ একজন আছে যে তাকে বুঝতে পারবে। আর কাঙ্খিত মানুষের সাথে দেখা হলেই জীবনের সমস্ত অপেক্ষার অবসান ঘটবে। তাকে বিয়ে করে বাকী জীবন সুখে-শান্তিতে কাটিয়ে দেওয়া যাবে। কিন্তু দেখা যায় পরস্পরের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব আর মানসিকতার অমিলের কারণে সম্পর্কে ভাঙ্গন দেখা দেয় আর দুজনের পথ আলাদা হয়ে যায়। এসব নানা তত্ত্ব নিয়ে আমাদের এবারের কাভারস্টোরি। লিখেছেন মোর্শেদ নাসের টিটু
সম্পর্কভাঙ্গার মনোকষ্ট আর দুর্ভোগ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সঙ্গীর জন্য মনের দুয়ার খুলে দিতে হবে। কেননা পরস্পরের মনোভাব আন্তরিক ও উন্মুক্ত না হলে লাভ ম্যারেজ কিংবা অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কোনটাই সার্থক হবে না। মানসিকতার অমিল শুধুমাত্র অ্যারেঞ্জড ম্যারেজে হয় তা কিন্তু নয়, লাভ ম্যারেজেও এধরনের সমস্যার ভুরি ভুরি উদাহরণ আছে। কেননা বিয়ের পূর্বে পরস্পরকে খুশি করার জন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে উভয়পক্ষের মধ্যে যে প্রবণতা বিরাজ করে বিয়ের পরে সে আগ্রহের রশিতে কিছুটা হলেও রাশ পড়ে। ফলে শুরু হয় মানসিক অশান্তি, একারণে সঙ্গীকে তার নিজস্ব গুণাবলীর জন্যই পছন্দ করতে হবে। সঙ্গীর আচরণে অভ্যাসে পরিবর্তন এনে তাকে নিজের মত করে গড়ে নিতে চাইলেই সমস্যা দেখা দেয়। তাই কাউকে ভালবাসলে তার দোষ ত্রুটি সহই তাকে ভালবাসতে হবে। কেননা বিবাহিত জীবনে সফলতার মূল কথা উপযুক্ত মানুষের সাথে সম্পর্ক গড়াই নয়, বরঞ্চ নিজেকে অন্তরঙ্গ সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত করে নেয়াই এখানে বড় কথা। নারী-পুরুষের মধ্যে সদিচ্চা, আন্তরিকতা, অন্যকে সুখী করার আকাঙ্খা থাকলে নিজেদের জুটি বদ্ধ জীবনকে সার্থক আর সুন্দর করে তুলতে কোন বাধাই প্রতিন্ধকতা হয়ে দাঁড়াতে পারবে না।
অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ
অ্যারেঞ্জড ম্যারেজ কিংবা পারিবারিক মধ্যস্থতার মাধ্যমে বিয়ের ধারণাটা অতি প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। আমাদের সামাজিক ও অন্যান্য পারিপার্শ্বিক অবস্থার বিচারে পারিবারিক ভাবে আয়োজিত বিয়েকে সম্মান ও মর্যাদার চোখে দেখা হয়। ছেলে-মেয়েরা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করলে সেটাকে এখনো অনেকে গর্হিত কাজ বলে মনে করে। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের সূচনাটা হয়েছিল মূলত প্রাচীন সমাজ ব্যবস্থায় রাজা, সামন্তপ্রভু আর জমিদারদের নিজেদের সহায় সম্পত্তি ও ভূমির মালিকানা নিজ নিজ পরিবারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার উদ্দেশ্য নিয়ে। সমাজের উচ্চস্তরের মানুষের মধ্যে এ ধারণাটা প্রচলিত ছিল বলে পরবর্তীকালে এটি সর্বজন বিদিত মাধ্যম হিসেবে স্বীকৃতি পায়। পারিবারিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হলে সাধারণ পাত্র-পাত্রীর পারিবারিক স্থিতি, মান-মর্যাদা, অর্থনৈতিক অবস্থা সবকিছু বিচার বিবেচনায় আনা হয়। এতে করে একই সামাজিক অবস্থান থেকে পছন্দ করা হয় বলে আগে থেকে পরিচিত না থাকলেও পাত্র-পাত্রীর মধ্যে বোঝাপড়ায় তেমন কোন সমস্যায় পড়তে হয় না। বাবা-মায়েরা যখন তাদের সন্তানদের সাথে আলোচনা, পরামর্শ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত করেন, তখন অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের সফলতার সম্ভাবনা শতগুণ বেড়ে যায়। তেমনিভাবে জোর জবরদস্তি করে চাপিয়ে দেওয়া বিয়েতে অশান্তির আগুন জ্বলে উঠতে মোটেও সময় লাগেনা। বাবা মায়েরা যদি তাদের ছেলে মেয়েদের জীবনের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নেন তাহলে তার ফলাফল মোটেও ভাল হবে না। কেননা জীবনসঙ্গী পছন্দের ব্যাপারে প্রত্যেকেরই ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দ রয়েছে। অভিভাবকেরা যদি বিয়ের আগেই হবু বর কনের মধ্যে দেখা করার ব্যবস্থা করে তাদের পরস্পরকে জানার জন্য ন্যুনতম সময় দেন এবং তাদের মতামতের ভিত্তিতেই সামনে অগ্রসর হন কিংবা পিছিয়ে আসেন তাহলেই ছেলে মেয়েরা তাদের বিয়ের সিদ্ধান্ত পরিবারের হাতে ছেড়ে দিতে দ্বিধা করবেনা। অ্যারেঞ্জড ম্যারেজের ভিতও মজবুত হবে যদি পাত্র-পাত্রীরা তাদের পরিবারের পছন্দ করা মানুষের সাথে আলাপ করে নিজেদের মনমতো সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
লাভ ম্যারেজ
দুটি হৃদয় যখন পরস্পরকে ভালোবাসে কাছে পাওয়ার বাসনায় সমাজ স্বীকৃত পন্থায় একতাবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার করে এবং সুখে দুঃখে, ভাল-মন্দে, হাসি-আনন্দে, প্রাপ্তিতে-অপ্রাপ্তিতে একে অপরের পাশে থাকার প্রতিজ্ঞা নেয় তার নামই লাভ-ম্যারেজ। ভালোবাসা নর-নারীর জীবনে আনন্দের ফল্গুধারা বয়ে নিয়ে আসে। ভালোবাসলে পৃথিবীর সবকিছুকে সুন্দর মনে হয়। ভালোবাসারজনকে কাছে পাওয়ার জন্য প্রতীক্ষার প্রতিটি মূহুর্তকে পরম আরাধ্য মনে হয়। পরস্পরকে ভালবেসে দুজন মানুষ যখন সারাজীবন একত্রে থাকার জন্য বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়, বস্তুত তখনই প্রকৃত ভালবাসার স্বাদ পাওয়া যায়। কেননা প্রিয়জনকে আপন করে পাওয়ার পর তাকে নিয়ে নিজের স্বপ্নের ঘর সাজাতে প্রয়োজন চেষ্টা আর কঠোর পরিশ্রম। পরস্পরের প্রতি ভালবাসা থাকলে সমস্ত বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে নিজেদের সুখী করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেউই দ্বিধা করবে না। তবে ভালবাসারও যত্ন নেওয়ার প্রয়োজন আছে। একে অন্যের মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, বাহ্যিক কাজের মধ্যে থেকে নিজেদের জন্য সময় বের করে নেয়া, পরস্পরের পছন্দ অপছন্দের প্রতি মনোযোগ ইত্যাদি ভালোবাসার বন্ধনকে আরো দৃঢ় করে। লাভ ম্যারেজের সবচেয়ে ভাল দিক হচ্ছে পাত্র-পাত্রী আগে থেকেই পরস্পরের সম্পর্কে জানে বলে বৈবাহিক জীবনে তাড়াতাড়ি মানিয়ে নিতে পারে। জীবনের প্রথম প্রেম যদি হয় জীবনসঙ্গী তাহলে তার মতো সৌভাগ্যবান আর কেউই নয়। কেননা ভালোবাসার মর্ম সবচেয়ে বেশি উপলব্ধি করা যায় বিয়ের পরেই। ভালোবাসা হচ্ছে যাদুর কাঠি, যার পরশে সুপ্ত হৃদয় জেগে উঠে। ভালোবাসার মানে পুরোপুরি ভাবে বোঝার জন্য প্রিয়জনের সাথে সারা জীবন কাটিয়ে যেতে হয়। কেননা জীবনের প্রতি মূহূর্ত তখন মনে প্রশান্তি ও পূর্ণতা নিয়ে আসে। তাই লাভ ম্যারেজ নিয়ে মানুষের উৎসাহ আর আগ্রহের কোন সীমা পরিসীমা নেই। তবে এটাও ঠিক যে লাভ ম্যারেজ আপনা আপনিই সফল হয় না। এজন্য পাত্র-পাত্রী দুজনকেই পরস্পরের জন্য আজীবন সহানুভূতিশীল থাকতে হবে।

শনিবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১২

বিয়ে ..... দিল্লি কা লাড্ডু

বিয়ে ..... দিল্লি কা লাড্ডু (নারীদের এই লেখা পড়া নিষেধ)


এখনো যারা বিয়ে করেননি, কনে খোজা নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে এই লিখা। কারো কারো সরাসরি কোন উপকারে আসতে পারে, না হলে জ্ঞান বাড়বে আরকি। আরা যারা ইতমধ্যে বিয়ে করে ফেলেছেন, তারা তাদের ভাই-বেরাদার ও সন্তানদের জন্য কাজে লাগাতে পারবেন। বাংলাদেশের সামাজিক প্রেক্ষাপটে একটার বেশী বিয়ে করার রেওয়াজ নেই, তাই অত্যন্ত হিসাব নিকাশ করে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ। বিয়েটা হচ্ছে জীবনের অন্যতম  গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত, তাই একটা ভুল বা খারাপ সিদ্ধান্ত এলোমেলো করে দিতে পারে জীবন। আসুন কিছু জ্ঞানের কথা শুনি... যদিও কথাগুলি একান্তই আমার না, বিভিন্ন জার্নাল ও সাময়িকী থেকে ধার করা.... তারপরেও জ্ঞানতো জ্ঞানই।


জীবন সঙ্গী নির্বাচনে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখা যেতে পারে, তা হচ্ছে:


অবস্থা বুঝে পা ফেলুন


জীবনসঙ্গী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ধর্মে যে বিষয়টিকে সব থেকে বেশী জোর দেয়া হয়েছে, তা হচ্ছে দুই পক্ষের সমতা। এই সমতা বলতে অর্থনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানই মূলত: বোঝানো হয়েছে।


ধরুন, আপনি মধ্যমানের একটা চাকুরী করেন, মোটামুটি সংসার চলে যায়। কিন্তু, বিয়ে করে ফেললেন ধনীর দুলালীকে। তখন তার খরচ, ষ্টেটাস ও উটকো ঝামেলা মেটাতে তখন আপনার জীবন শেষ, সাথে বোনাস হিসাবে লাঞ্ছনা, গঞ্জনা। তাই ষ্টেটাস বুঝে কাজ করুন। আবার উল্টোটাও হতে পারে ... একদম গরীব ঘরে বিয়ে করলেন আপনার স্ত্রী আপনার সমাজ ও পরিবারের সাথে তাল মেলাতে পারছে না। যদিও বাঙালি নারীরা দ্রুত যেকোন পরিবেশে তাল মিলিয়ে চলতে পারে...তার পরেও শিক্ষার ও পরিবারের বিভিন্ন দিক দেখে নেয়া উচিত।

কাকে বিয়ে করবেন?

বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে প্রথমেই যাকে বিয়ে করতে চান, তার একটা স্পেসিফিকেশন তৈরী করুন। সবথেকে ভালো হয়, এই স্পেসিফিকেশন যদি আরো আগেই তৈরী করে রাখেন। তাহলে কাউকে ভালো লাগলেও, আগে থেকেই হিসাব নিকাশ করে অগ্রসর হতে পারবেন। বেহিসেবী প্রেমের কারণে প্রেমের বিয়ে অনেক ক্ষেত্রে সফল হয় না।

১. সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থান:
বিয়ে শুধু দুইজন মানব-মানবীর মধ্যেই ঘটে না, বরং বিয়ে হয় দুটো পরিবারের। কথাটি মেয়েদের ক্ষেত্রে বেশী প্রযোজ্য। যে মেয়েটিকে আপনি বউ করে ঘরে নিয়ে আসবেন, সে শুধু আপনার বউ না, সে আপনার বাবা-মায়ের বৌমা, ভাই-বোনের ভাবী। সমতা না থাকলে পুরো পরিবারকে আপন করে নিতে সমস্যা হতে পারে।
অসম আর্থ-সামাজিক অবস্থানের কারণে অনেক বিয়ে ভেঙ্গে যেতে পারে। বর্তমানে আমাদের সমাজে অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ার কারণে এই বিষয়টির গুরুত্ব মারাত্মক হতে পারে। আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারের ব্রিলিয়ান্ট ছাত্র, পাশ করে মোটামুটি ভালো চাকুরী শুরু করেছেন। এখন যদি এমন কোন মেয়েকে বিয়ে করেন, যে ছোটবেলা থেকে গাড়ীতে চলাচল করে অভ্যস্ত, তাহলে আপনার গাড়ী না থাকলে তার জন্য খুব কষ্টকর হবে।

২. বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান:
বৈবাহিক জীবনের পূর্ণ আনন্দ তখনই পাওয়া যায়, যখন দুই জনের বুদ্ধিবৃত্তিক অবস্থান ম্যাচ করে। এ ধরণের ক্ষেত্রে সঙ্গীর সাথে কিছুক্ষণ থাকলেই মনের সব উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা দূর হয়ে যেতে পারে, কেননা, তার কাছে আপনি নিজেকে পুরোপুরি প্রকাশ করতে পারেন।
আপনি খুব রাজনীতি সচেতন, অথচ, আপনার জীবন সঙ্গীর এ বিষয়ে কোন আগ্রহ নেই। তাহলে তার সাথে কথা বলতে আপনার ভালো লাগবে না। আপনি সাহিত্য খুব পছন্দ করেন, সে এসবের কিছুই বোঝে না - তাহলে এক সময় আপনি তার প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন।
জীবন সঙ্গীর মেধাবী হওয়াটাও দরকার। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মেধাবী পিতা-মাতার সন্তান মেধাবী হয়।

৩. দৈহিক সৌন্দর্য্য:
আমাদের দেশে বিশেষ করে মেয়েদের ক্ষেত্রে দৈহিক সৌন্দর্য্যকে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয়। দৈহিক সৌন্দর্য্যের অবশ্যই গুরুত্ব রয়েছে, তবে এটিই মুখ্য হওয়া উচিৎ নয়।

৪. ধার্মিকতার মিল:
ধার্মিকদের জন্য এই বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি খুব ধার্মিক, অথচ, জীবন সঙ্গী ধর্মের ধারই ধারেনা - এ রকম হলে সমস্যা হতে পারে।

৫. শারীরিক সুস্থতা:
এটির গুরুত্ব খুব বেশী। আপনার জীবন সঙ্গী অবশ্যই যেন চির রোগা টাইপের না হয়।

৬. বিয়ের বয়স:

মোটামুটি সমবয়সী বিয়ে করা ভালো। বরের থেকে কনের বয়স ৫-৬ বছর কম হলেই ভালো হয়ে। কণের বয়স বেশী হলে পরে সমস্যা হতে পারে। আবার কনের বয়স অনেক কম হওয়াও ঠিক নয়।


যাই হোক, শুধু কনের যোগ্যতা আর অবস্থা দেখলে হবে সাথে সাথে দেখতে হবে আপনার নিজের বিভিন্ন দিক। তাহলে সুধী সমাজ/ব্যচেলর ভাই-বেরাদারগণ এবার তৈরি হয়ে যান ..."অপারেশন কনে হান্ট" এর জন্য।

বিয়ে


বিয়ে


স্যার – তুমি বড় হয়ে কী করবে?
ছাত্র – বিয়ে।
স্যার – আমি বোঝাতে চাচ্ছি, তুমি বড় হয়ে কী হবে? ...
ছাত্র – জামাই।
স্যার - আরে আমি বোঝাতে চাচ্ছি, তুমি বড় হয়ে কী পেতে চাও?
ছাত্র – বউ।
স্যার – গাধা, তুমি বড় হয়ে মা বাবার জন্য কী করবে?
ছাত্র – বউ নিয়ে আসব।
স্যার – গর্দভ, তোমার মা বাবা তোমার কাছে কী চায়?
ছাত্র – নাতি-নাত্নি।
স্যার- আরে বেটা . . . তোমার জীবনের লক্ষ্য কী?
ছাত্র – বিয়ে। স্যার অজ্ঞান . . . !!!
( এই ভাবে পড়ালেখা করলে ফেল তো করবাই)

অনু কাব্য- নেতা আমি...

 

অনু কাব্য- নেতা আমি


দেশ প্রেমিক নেতা আমি
দেশ সেবাই ধ্যান জ্ঞান,
নাইবা পেলুম ক্ষমতা,
আমিই দলের সেরা স্পোকসম্যান।
কথার বাণে ধরাশায়ী
শত্রু মিত্র সবাই ,
সমালোচনার মাঠে আমি
সাম্যের গান গাই ।
নিন্দুকেরা বলে নাকি
আঙ্গুর ফল টক।
না খেতে পেয়েই আমি নাকি,
করছি বক বক ।।

অবশেষে পড়ন্ত বেলায়,
ছিঁড়ল ভাগ্যের শিকে,
পিটিয়ে দিলাম ঢাক ঢোল,
ধরব বিড়ালটিকে।।

কিন্তু বিধি বাম!
আমিই নাকি বিড়াল পুষি,
রটল দুর্নাম।
দুর্মুখদের ক্যামনে বুঝাই
সবই ষড়যন্ত্র,
ড্রাইভার ব্যাটা জানে বোধ হয়
যন্তর তন্তর মন্ত্র ।
নইলে সে কেমন করে
গায়েব হয়ে যায় ?
হুট করে আবার ভাষ্য দেয়
টি ভি মিডিয়ায় ।

সবাই যতই উঠে পড়ে
করুক গর্জন।
ধুলোয় মিশানো কি অতোই সোজা,
৫০ বছরের অর্জন ?
দেশ প্রেমিক নেতা আমি
দেশ সেবাই ধ্যান জ্ঞান,
নাইবা পেলুম ক্ষমতা,
আমিই দলের সেরা স্পোকসম্যান।
কথার বাণে ধরাশায়ী
শত্রু মিত্র সবাই ,
সমালোচনার মাঠে আমি
সাম্যের গান গাই ।
নিন্দুকেরা বলে নাকি
আঙ্গুর ফল টক।
না খেতে পেয়েই আমি নাকি,
করছি বক বক ।।

অবশেষে পড়ন্ত বেলায়,
ছিঁড়ল ভাগ্যের শিকে,
পিটিয়ে দিলাম ঢাক ঢোল,
ধরব বিড়ালটিকে।।

কিন্তু বিধি বাম!
আমিই নাকি বিড়াল পুষি,
রটল দুর্নাম।
দুর্মুখদের ক্যামনে বুঝাই
সবই ষড়যন্ত্র,
ড্রাইভার ব্যাটা জানে বোধ হয়
যন্তর তন্তর মন্ত্র ।
নইলে সে কেমন করে
গায়েব হয়ে যায় ?
হুট করে আবার ভাষ্য দেয়
টি ভি মিডিয়ায় ।

সবাই যতই উঠে পড়ে
করুক গর্জন।
ধুলোয় মিশানো কি অতোই সোজা,
৫০ বছরের অর্জন ?