[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০১১

নীল খামে নীল চিঠি...

নীল খামে নীল চিঠি

ভালবাসার চিঠি এল নীল খামে
যৌবনের শিশির ভেজা প্রত্যূষে
নীল চিঠি জানায় প্রেম নিবেদন আর
স্বপ্নের হাতছানিতে ডাকে ভালবাসার নীড়-
“দু’হাত আজ বাড়িয়ে দিলাম তোমার পানে

ধরো হাত, চলো গড়ি ভালবাসার নীড়
হৃদয়ের মধ্যখানে যে নিঝুম গহীন অরণ্য
কোন নারী আজও নূপুর পায়ে সেখানে
আসেনি, ফেলেনি কোন পদ-চিহ্ন
সেখানে ছোট্ট কুটিরে বাঁধব সুখের বাসা
আলো-বাতাস যেমন জীবনের প্রধান সহায়ক
তোমার-আমার প্রেম আর ভালবাসা
তেমনি যোগাবে দু’টি প্রাণের খোরাক ।”

প্রেম কেীতূহলী প্রেমিকা চিঠি পড়ে
বসন্তের মাতাল সমীরণে উড়িয়ে দেয় তা’
হৃদয় তার নেচে উঠে, বলে কথা-
“হাতে রেখে হাত চরণ ফেলব তোমার হৃদয়ারণ্যে
প্রেমের উষ্ণ-আলোয়ানে জড়িয়ে নিও আমাকে
তোমার ভালবাসার ঘরে লাল শাড়ী পরে
যাব আলতা রাঙা পায়ে নূপুর নিক্কণ করে ।

তাজমহলে ঘুমিয়ে আছে মমতাজ প্রাণহীন দেহে
আমরা গড়ব মহাবিশ্ময়, এক মহার্নিদশণ ।
দু’টি প্রাণের ভালবাসায় আমাদের ছোট নীড়
হবে বিশ্বের সপ্তার্চাাসযের এক নম্বর আর্শ্চায।
যৌবনের ঊষা লগ্নে তুমি দেখালে আমায়
রোদেলা এক দিনের স্বপ্ন ।দু’টি দেহে
একটি প্রাণ-রবি উঠেছে যেমন পূবাকাশে
দিনের শেষে পশ্চিমাকাশে অস্ত যায় যেন এক সাথে ।”
এই ভাবে কত স্বপ্নের বীজ বুনতে থাকে প্রেয়সী তার
হৃদয়-কাননে, কত রঙিন ফুলে ফুলে সাজায় অবুঝ মন্তর
কত স্বপ্ন দোলায় দোলে সবুজ বনানী
কত স্বপ্নের রোদ উঠে হৃদয়াকাশে, কত রঙের
পাল তুলে মেঘ ভেসে বেড়ায়, কখনও প্রেমিকের
প্রতীক্ষায় দু’চোখ হতে বৃষ্টি ঝরে পড়ে । এক একটি
চিঠি কত শত প্রেমের মালিকায় গাঁথামালা, কত স্বপ্ন
আর প্রতিশ্রুতির সাক্ষর হয়ে করে হৃদয়ের লেন-দেন ।
কবে ফাগুন আসবে, সাজবে ধরা নতুন সাজে
মেহেদী রাঙা হাতে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে
আলতা-চরণ ফেলবে ভালবাসা ঘেরা বাসর ঘরে ।

ফাগুন আসে, বনে বনে বসন্তের সাজে বৃক্ষরাজি;
কিন্তু তার প্রিয়ের দেখা নাই, প্রাণ আনচান করে
প্রতীক্ষার র্দীঘপথ হামাগড়ি দিয়ে পাড়ি দেয় এক একটি দিন ।

ফাগুনের কোন এক দুপুরে রানার আসে শত কথার
ঝুলি কাঁধে নিয়ে । নীল খাম ছিঁড়ে বের করে নীল চিঠি
আনন্দে নেচে উঠে সাথী, বুকে চেপে ধরে আর সবুজের দেওয়া
প্রথম চিঠির কথা মনে করে হারিয়ে যায় কল্পলোকে ।
সম্বিত ফিরে তাকায় চিঠির দিকে । না, এতো
চিঠি নয়! একটা র্কাড! বিয়ের নিম্নত্রণ-পত্র!
চোখ বেয়ে অশ্রু নামে, গড়ে নদী
বুকে উত্তাল ঢেউ । ঘৃণা আর কষ্টে
উচ্চারিত হয় একটা শব্দ-‘বিশ্বাসঘাতক!’

মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১১

তবু স্বপ্ন বুনি

তবু স্বপ্ন বুনি সেপ্টেম্বর ১১, ২০১0

অমাবস্যার রাতে চাঁদকে
 খোঁজা বোকামী ছাড়া কিছু নয়
 যে কষ্ট দিয়ে চলে যায়
 তাকে মনে রাখার মতোই।
স্বপ্ন হারিয়ে যায়,
 তবু আমরা বুনি নতুন স্বপ্নের বীজ
 সেই স্বপ্ন হয়ত একদিন ভেঙ্গে যাবে
 আর আমরা নির্বোধেরা
 আবার স্বপ্নের বীজ বপন করি
 স্বপ্নের মাঝে বাঁচতে চাই বলে।
মরণ তো জীবনে একবারই হয়
 বিশ্বাসঘাতকতার আঘাতে বার বার
 আমরা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি,
 তার পরেও আমরা বেঁচে থাকি
 নতুন বিশ্বাসের ভরসায়,
 নতুন জনমের আশায়।
একটা হৃদয়কে কতোবার আর খন্ডিত করা যায়
 যতোবারই খন্ডিত হোক না কেন
 এই হৃদয় একটাই থাকে,
 ভালবাসা হয়ত বহুবার সেই হৃদয়ে কড়া নাড়ে
 শুধু সময়ের কাছে হেরে যায় ভালবাসার সত্যিকার অর্থ।

ক্লান্ত দুপুর

ক্লান্ত দুপুর
______________



রোদ ঝিলিমিলি আকাশে সাদা মেঘ ভাসে পাল তুলে
 অলি গুঞ্জন করে ফুলে ফুলে, প্রজাপতি উড়ে ডালে ডালে
 উদাস এ দুপুরে রাখালী সুরের র্মূছনায়
 চলো হারাই দু’জন দূর কোন অজনায় ।


শাপলা, কলমী ভাসে দীঘির জলে
 হংস-হংসী ক্লান্ত আঁখিতে ঘুমায় এক পা তুলে
 দক্ষিণা পবনের শীতল আবেশে মন উছলায়
 নিঝুম দুপুরে ভাসি চলো প্রেমের খেয়ায় ।

তোমায় খুজি












তোমায় খুজি 
ডিসেম্বর ০৪, ২০১১ 




হিমহিম শীতের সকালে তোমায় খুজি
 একটু উষ্ণতা পাওয়ার জন্যে,
 তুমি চাদর হয়ে জড়িয়ে রবে
 আমার অঙ্গ জুড়ে।

খালি পায়ে শিশির ছুঁয়ে তোমায় খুজি,
 শিহরন বয়ে যায় আমার স্বত্তায়,
 শিশিরের বিন্দু কণায় তোমাকে দেখতে চাই
 ঠান্ডা একটু পরশ যদি তুমি দিয়ে যাও আমায়।

ঝরে পড়া শিউলি ফুলের মাঝে তোমায় খুজি
 গেথে মালা পথ চেয়ে রই,
 তুমি আসবে কাছে পড়বে মালা
 কাছে টেনে নিবে আমায়।

যতোই তুষার ঝরে পড়ুক
 ঢেকে যাক সব কিছু শুভ্রতায়,
 শিউলি শুকিয়ে পড়ে থাক ধূলিতে,
 শিশির বিন্দুগুলো গলে মিশে যাক মাটিতে,
 তবু, তোমাকে আমি খুজি ফিরি তাদের মাঝে
 শুধু পেতে স্বগীর্য় ভালোবাসা তোমার কাছে
 জানিনা, সেই তুমি আজ হারালে কোথায়।

বিচিত্র মন ...

বিচিত্র মন
 ডিসেম্বর ০৬, ২০১১


প্রতিটি ভোরের আলোর সাথে,
 আঁধার মনের লড়াই বাধে।
 প্রতিটি সাঝের আঁধার ঘিরে,
 আশাবাদী মন সাধনা সাধে।

প্রতিটি শিশির ফোটার সাথে,
 পাপী মনের পাপ ক্ষুয়ে যায়।
 
প্রতিটি ফুলের কলির সাথে,
 ভ্রমর মনের প্রেম ছুয়ে যায়।
প্রতিটি মেঘের দলের সাথে,
 উদাসী এ মন যায় উড়ে যায়।
 প্রতিটি স্রোতের তালে তালে,
 উতলা এ মন যায় ভেসে যায়।


প্রতিটি জলের কণার সাথে,
 বিরহী মনের দুঃখ ঝরে।
 প্রতিটি পাথর নুড়ির সাথে,
 শোকাহত মন সখ্য গড়ে।

প্রতিটি দিনের সাথে সাথে,
 নতুন কিছু স্বপ্ন জাগে।

 প্রতিটি রাতের সাথে সাথে,
 স্বপ্নগুলো অচিন লাগে।

তবুও প্রতিটি প্রহর জুড়ে,
 বিচিত্র এ মন স্বপ্ন দেখে।
 মনের এহেন চিত্র নিয়ে,
 ভাবুক এ মন পদ্য লেখে।

সোমবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১১

পিছু ফিরে চেয়ো না ....


পিছু ফিরে চেয়ো না

অক্টোবর ২৭, ২০১১

(উৎসর্গঃ- “রুকসানা রুকু”,যাকে ভালোবেসেছিলাম।কিন্তু কখনো বলা হয়নি।অথচ সে বলেছিল,তবে কখনো ভালোবাসেনি)
 আবার কখনো যদি,
 পিছু ফিরে চাও।
 পাড়ি দেয়া পথ মাঝে,
 স্মৃতি খুঁজে পাও।
দেখবে নিঃস্ব আমায়,
 ব্যাকুল উদাস বেশে।
 নিয়তির স্মৃতি বাহী,
 রুক্ষ এলো কেশে।
হয়ত জাগবে দয়া,
 জাগবে অতীত কথা।
 হৃদয়ের কোনো কোনে,
 জাগবে পুরনো ব্যাথা।
হাজার স্মৃতির পাতা,
 ঝরবে জঁবা হয়ে।
 মাতাল বোশেখী ঝড়,
 আচমকা যাবে বয়ে।
ভিজবে গাল দু’টো,
 নোনা জল বহতায়।
 ডুবে যাবে প্রেম আর-
 বিরহের মোহনায়।
তার চেয়ে এই ভাল,
 পিছু ফিরে চেয়ো না।
 আমার ধ্বসে যাওয়া,
 স্মৃতি টুকু নিয়ো না।
আমিও চাইনা তোমায়,
 জীবনের এই পথে।
 চলে যাও নিভৃতে,
 আগামীর দূর রথে।
আমার আমাকে তুমি,
 ছেড়ে দাও শুণ্যে।
 আমি থাকি পাপে আর-
 তুমি বাঁচো পুণ্যে।
যত ভুল অপরাধ।
 দায় সব আমারি।
 তুমি সদা নিষ্পাপ,
 আধ ফোটা পাপড়ি।
অযথা ভুলে তাই,
 পিছু ফিরে চেও না।
 আমার বিষাদ পথে,
 স্মৃতি খুঁজে নিও না।