[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১১

স্বপ্ন বিলাস

স্বপ্ন বিলাস


Add caption
অজস্র কান্নার শব্দে
নুয়ে পড়েছে সভ্যতার ভীত
ব্যাকুল আজ মানুষগুলো
হারিয়ে তার অতীত।
নিখোঁজ তাদের ঐতিয্য
স্বপ্নে বিভোর থেকে
পরকে আপন করতে গিয়ে
হারালো নিজেকে।
কিসের নেশায় মাতলো তারা
করলো কি বিষ পান
অঙ্গ তাদের যাচ্ছে পুড়ে
হচ্ছে অপমান।
তবু তাদের নেশার ঘোর
কাটছেনাতো বেশি
নিজকে তারা ভূলে গিয়ে
হতে চায় বিদেশী।

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১১

প্রতিক্ষার জন্য
এক নিষ্ঠুর শরৎ এর বিকেলে
প্রতীক্ষাকে সাজিয়ে গুছিয়ে তোমার জন্য বসে আছি
আসবে বলে অনেক আদোরে শিউলি ফুটিয়েছি, দোলনাটাকে
দিয়েছিলাম বিশ্রাম, রংধনু কে আকাশে আটকে রেখেছি
এক বিকালে যুগল হয়ে দেখবো বলে।
কত ভ্রমর আসে গুন গুন করে
চর দখলের জন্য ঘোরে চারপাশে কিন্তু
যার জন্য চর হয়ে নদীর পাশে পরে আছি
তার দেখাই নেই।
বারন্ত সময় ঘুটঘুটে কালো হয় কৃষ্ণপক্ষ রাতে।
প্রতিক্ষার অবসান হলেও থেকে যায়
আরো এক প্রতিক্ষা নিজেকে নিয়ে ভাবনার জন্য
ভালোই হলো আসছে হেমন্তে এই প্রাপ্তির পান্ডুলিপি নিয়ে
তোমার দুয়ারে হাজির হবো।
ভুল ভূগোলের স্মৃতি নিয়ে,
দেখবো শরৎ থেকে হেমন্ত তে
প্রতিক্ষাতে কি সুখ আছে।

valobashaste vhoy naay

ভালোবাসতে ভয় নেই
Add caption
আমার এখন ভালোবাসি বলতে ভয় হয়
ভালোবাসতে ভয় হয় না;
জীবনের যে ধাপ গুলো শুকিয়ে যায়
সেই আরশীতে মুখ দেখতে ভয় পাই
তবুও তো সাধ জাগে নিজেকে নিংড়ে
কিংবা আগুনে পুড়ে দেখে নিতে
সত্যি ভালোবাসি কিনা।
তারপর প্রকাশ,
কারন প্রকাশে যদি জমে যায় অচেনা গন্ধ
তবে মর্জদা হীন হয়ে ভালোবাসা
তাসের আসরে জোকার হবে।
তার থেকে সেই ভালো
বুকে জমিলো ধোঁয়া
বুকেরও আগুনে ।
ডুবে যাওয়া চেতনা গুলোর
জেগে ওঠা চরে বালুর আস্তরন
সেখানে জমে না পরাজয়ের জল,
শুধু ভালোবাসার শিকড় বসিয়ে
তুমি দখল করে নিলে যে ভূমি
তার উপরে আগাছা হয়েই থেকে যাই,
সর্বদা এক ভয় নিয়ে
কখন কে এসে মাড়িয়ে দিয়ে যায়।
রসে বশে সম্পৃক্ত সংসারে
এখনো আমি ভালোবাসি বলতে ভয় পাই
কিশোর পাগল হয়ে ভালোবাসতে ভয় পাই না ।

শিশির ভেজা বসন্ত

শিশির ভেজা বসন্ত
Photobucket
[ছবিঃ আপেল ফুল। সাধারণের চেয়ে একটু বেশী শীত না পরলে যে ফুল ফোটে না। এই ছবিটি নেয়ার জন্য আমাকে লন্ডনে তিন দিন অপেক্ষা করতে হয়েছিল]
তোমাকে জানতে চেয়েছি
পৌষের হিমেল বাতাসে
চৈতী খর দহনে
বৈশাখী ঝড় জলে
আর শরতের সুনীল আকাশে।
Photobucket
ছবিঃ আপেল ফুলের কলি।
তোমাকে দেখতে চেয়েছি
জ্যোৎস্না রাতে ধবল চাঁদের পাশে
কাজল মেঘের গহনে
অবাক বিস্ময় বিহ্বলে
পাপড়ি ছড়ানো পথের দেশে।

Photobucket
ছবিঃ কাচা আপেল গাছে ঝুলছে।
স্বপনের সুদূরে সোনালী নদী
ওপাড়ে বয়ে চলে ঝিলিমিলি শান্তি
মরু প্রান্তরে, কাটে অমানিশা!
পথ ভোলা পথিকের পথের দিশা
প্রতীক্ষার জ্বলন্ত অগ্নিগিরি নিয়ে বুকে
বসে আছি, দেখব শিশির স্নাত তোমাকে।

একটি ছবি, একটি গান ও কিছু সৃতি

একটি ছবি, একটি গান ও কিছু সৃতি

উপরের ছবিটা এক দেখলাম আমাদের প্রিয় ব্লগার মুরুব্বীর ফেসবুক স্ট্যাটাসে। গান খুব ভালোবাসি বিধায় ছবিটা দেখার সাথে সাথেই সে গানের কথা মনে পড়লো, তা হল আকবরের গাওয়া তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে, আরও কিছু সময় তুমি থাকো আমার কাছে।
গানটা মনে হতেই নেটে খুজলাম হাত পাখা নিয়ে কি লেখা আছে? পেয়ে গেলাম বিবেকবার্তা তে সিরাজুল ইসলাম চৌধুরীর লেখা :
“হাজার হাজার বছর ধরে গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে হাত পাখা। কবি-সাহিত্যিক, বাউল শিল্পীরা হাতপাখা নিয়ে বিভিন্ন গান, কবিতা ও গীত রচনা করেছেন এবং তুলে ধরেছেন এর সৌন্দর্যমন্ডিত ঐতিহ্য। হাতপাখা নিয়ে মজার মজার রূপকথা, গল্প-কাহিনীও আমাদের সমাজে প্রচলিত।
রোদেলা দুপুরে কিশোরীর দল কারুকার্য মন্ডিত তালপাখা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। মধ্যবয়সী -তরুণী গাছের ডালে বা আড়ালে বসে তালপাখা হাতে দূরের রাখাল ছেলেটির বাঁশির সুর শুনছে। কৃষক মাঠ থেকে ফেরার পর কৃষানী ব্যস্ত হয়ে পড়ছে হাতপাখার শীতল পরশে বা বাতাসে তাকে জুড়িয়ে দিতে। নতুবা মধ্যবর্তী সুন্দরী ললনা প্রিয়জনের জন্য বুনছে নকঁশা ও কারুকার্য মন্ডিত সুন্দর হাতপাখা।
এ হাত পাখার প্রতিটি পরতে পরতে লুকিয়ে থাকে তার আনন্দ-বেদনা, সুখ-দুঃখ সব কাহিনী। এগুলো তো আবহমান গ্রাম বাংলার চিরাচরিত অতি পরিচিত দৃশ্য। প্রযুক্তি ও যান্ত্রিক দাপটে নাগরিক জীবনে হাতপাখার প্রচলন খুব বেশী না হলেও তীব্র গরমে যখন শহরবাসী বিপর্যস্ত তখন ক্ষনিকের জন্য হলেও মনে করিয়ে দেয় হাতপাখার শীতল পরশ বা বাতাসের কথা।
ইচ্ছে করে হাতে একটা তালপাখা নিয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে হারিয়ে যাই গভীর অরণ্যে। আমাদের গ্রাম বাংলার লোকজ সংস্কৃতিতে হাতপাখার প্রচলন বহুদিনের হলেও শহরজীবনে এর প্রচলন খুব বেশী দিনের নয়। এখন আমরা প্রায়ই দেখতে পাই হাতপাখার নৃত্য। শহরের সুন্দরী, শিক্ষিতা ফ্যাশন সচেতন তরুণীর হাতে কারুকার্য মন্ডিত বাহারি রঙের হাতপাখা। আজকাল হাত পাখা ফ্যাশনের উপাদানে পরিণত হয়েছে। আসুন জেনে নিই- রকমারি ধরণের হাত পাখার কথা। বানাতে ইচ্ছা করলে কীভাবে বানাবেন, কোথায় পাবেন, দরদামইবা কেমন?

হাতপাখার ধরণঃ বিভিন্ন ধরণের হাত পাখার মধ্যে তালপাতার হাতপাখার প্রচলনই বেশি। এছাড়াও বাহারী রঙ ও ডিজাইনের হাত পাখা দেখতে পাই। প্লাষ্টিক বেত, মোতাইক, কাগজ দিয়ে বিভিন্ন সাইজ ও ডিজাইনের হাতপাখা তৈরী করা হয়। এছাড়া অধিকাংশ হাত পাখার হাতল হিসেবে জুড়ে দেয়া হয় বাঁশের চিকন পাখা, বেত, লাঠি ইত্যাদি। তবে আজকাল কাপড় ও সুতার কারুকার্যমন্ডিত বাহারি ধরণের হাত পাখা পাওয়া যায়। যদি বানাতে চান- নিজের পছন্দ ও ইচ্ছামতো হাত পাখা বানাতে চাইলে আপনাকে প্রথমে নির্বাচন করতে হবে আপনি কী উপকরণ দিয়ে এবং কী ধরণের পাখা বানাবেন। যদি তালপাতার পাখা বানাতে চান তাহলে বাজার থেকে যেনতেন তাল পাতার পাখা এনে এর রূপ ও সৌন্দর্য পাল্টে দিতে পারেন আপনার নিজস্ব মেধা ও মননের মাধ্যমে। এর জন্য আপনার প্রয়োজন পড়বে হরেক রকমের রঙ ও সুতা, ফলস, শাড়ির পাড় ও লেস।
এখন আপনার নিজের পছন্দমতো বানিয়ে নিন একটি হাতপাখা। যা ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে শীতল বাতাসে প্রশান্তি জোগাবে। এছাড়া আপনি বানাতে পারেন বাঁশ, বেত ও মোতাইকের সাহায্যে চারকোনা অথবা গোলাকার লম্বা হাতলযুক্ত হাত পাখা। তাছাড়া সুন্দর ও নকঁশা কারুকার্যমন্ডিত হাত পাখা বানিয়ে প্রিয় জনকে উপহারও দিতে পারেন। কোথায় পাবেন- শহরের বিভিন্ন মোড়ে বাহারি ধরনের হাতপাখা বিক্রি হয়ে থাকে। এর মধ্যে চকবাজার, রাজগঞ্জ, কান্দিরপাড়, পুলিশ লাইন, কুমিল্লা রেল ষ্টেশন, টমছমব্রীজ অন্যতম। এছাড়া বিভিন্ন বিপনি বিতানেও হাতপাখার সন্ধান মেলে। তাছাড়া বিভিন্ন উৎসব, মেলায় এবং ফ্যাশন হাউসে নকশা ও কারুকার্যমন্ডিত সুন্দর হাতপাখা পাওয়া যায়। দরদামঃ হাত পাখার দর-দাম স্থান ও মান ভেদে হয়ে থাকে। তবে শহরের বিভিন্ন ফুটপাত থেকে ১০ থেকে ৫০ টাকার মধ্যে হাতপাখা কিনতে পারবেন। মেলা, উৎসব এবং বিপনি বিতান থেকে হাতপাখা কিনতে গেলে দাম একটু বেশিই পড়বে।

সেই সাথে পেয়ে গেলাম তোমার হাত পাখার বাতাসে প্রান জুড়িয়ে আসে, আরও কিছু সময় তুমি থাকো আমার কাছে।গানটির মিউজিক ভিডিও, যত দূর মনে পড়ে দেশের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ইত্যাদি তে দেখানো হয়েছিলো।

মজার ব্যপার হল এই গানটির মিউজিক ভিডিও দেখতে গিয়েই চোখের সামনে ভেসে উঠলো কিছু মজার সৃতি। এই মিউজিক ভিডিও টি যেখানে চ্রিত্রায়িত হয়েছে, সেখানেই ব্লগারস ফোরাম এর বার্ষিক বনভোজন ২০১১ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।




পুরো বাড়ীটার ছবি দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করতে পারেন : যেখানে ব্লগারস ফোরাম এর বার্ষিক বনভোজন ২০১১ অনুষ্ঠিত হয়েছিলো।
কেন কিছু বলিনি সেদিন
Add caption
যেতে যেতে থেমেছিলে একবার
বুঝেছিলাম সে তো সংকেত ছিল ফিরবার
কিছু কথা মনে ছিল বলতে গিয়েও
বলতে পারিনি
ক্ষতি হবে জানতাম এতটা ভাবিনি,
শূণ্য হব জানতাম—–এতটা ভাবিনি।

ভেবেছিলাম আমি ভালোবাসি তোমাকে
ভালোবাসা ছেড়ে দিলেই ভুলে যাব তোমাকে
এতটা কঠিন হবে ভুলে যাওয়া তোমাকে
বুঝতে পারিনি
অনুশোচনা হবে জানতাম এতটা ভাবিনি,
শূণ্য হব জানতাম—এতটা ভাবিনি।