[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১১

অস্পষ্ট আবেগ

অস্পষ্ট আবেগ

 নভেম্বর ২৪, ২০১১

মনের আবেগ গুলো
কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে সব,
ঠিক যেন শীতের সকালে
ধোয়া ধোয়া কুয়াশা ভেজা স্মৃতির মতো ।
আগের মতো লিখতে পারিনা কবিতা,
না লিখতে পারি গান,
খাতাটি নিয়া বসলেই
এক দুর্বোধ্য চাপা যন্ত্রণায় হারিয়ে যাই।
অনুভূতিগুলো অবাধ্য হয়ে ছুটাছুটি করে চারিপাশ।
সংমিশ্রণের ব্যর্থতা আর এগিয়ে যাওয়ার জড়তা
এ দুটো মিলে আমাকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়।
বুঝিনা কেন এমন হয়।
বিবেক এর কাছে প্রশ্ন রাখি, উত্তর মেলে না।
মেলে চাপা গোঙানি,
গুমরে গুমরে কান্নার প্রচণ্ড শব্দ।
ও ফ !! এ যন্ত্রণার অবসান হবে কবে??
অতিষ্ঠ মন সব ভেঙ্গেচুরে একাকার করে দিতে চায়,
ধ্বংসের এক প্রবল নেশা চেপে বসে মাথার ভেতর
যেন ক্ষুধার্ত হাঙ্গর পেয়েছে রক্তের গন্ধ ।
কি লিখতে বসলাম আর কি লিখলাম
ঠিক যেন বৃষ্টি হব হব করে
বৃষ্টি না হওয়া এক রোদ্রউজ্জল আকাশ ।।
************************************
এই কবিতাটি সৃজন নামক ই-বুক এ দেয়া হয়েছিল।

তোমাকে...

তোমাকে...
নভেম্বর ২৮, ২০১১

তোমার সাথে তোমার হাতে,
কত কত স্বপ্ন ভাঙ্গে
মনকে সাজাই নতুন করে,
রংধনুর ওই সাতটি রঙে।
নতুন করে স্বপ্ন বাঁধি,
গড়তে যে ঘর তোমার সাথে।

স্বপ্ন ভাঙ্গ রোজ প্রভাতে,
ঘুমের ভেতর ঘুম ভাঙাতে
কষ্ট করে আবার ঘুমাই,
তার পরেও সুখ যে না পাই
কেন এতো হিংসে তোমার,
আমার সাথে সুর মেলাতে।

ফের যদি আর তোমায় দেখি,
রোজ সকালে ঘুম তাড়াতে
ব্যাটারি খুলে রেখে দেব,
দেখব জাগাও কোন কলাতে।

ছোট্ট ঘড়ি, মিষ্টি ঘড়ি,
আর দিয়োনা অ্যালার্ম তুমি
স্বপ্নগুলো যাচ্ছে হয়ে,
প্রানহারা এক মরুভূমি।।


****************
স্কুলে পড়ার সময় লিখেছিলাম।

বৃহস্পতিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১১

“একটা কবিতা লিখতে চাই!”

“একটা কবিতা লিখতে চাই!”

নভেম্বর ২৪, ২০১১

একটা কবিতা লিখতে চাই,
ভালোবাসার কবিতা!


যে কবিতায় থাকবে শুধু স্বপ্ন,
বাস্তবতা ছেড়া রঙ্গিন আলো,
থাকবে না কোন অপূর্ন ভাষা,
শুধু তুমি আর আমি,
সাথে একান্ত কিছু কথা!

কবিতায় থাকবে রংধনু ভোর,
শিশিরের ফোটায় সূর্যের আলো,
কুয়াশার চাদরে তুমি আর আমি,
আর অভিমানি চোখের কোনে-
কয়েক ফোটা জলের টলোমলো!
একটা কবিতা লিখতে চাই।

শুধু তোমার জন্য,
ভালোবাসায় ঘেরা প্রতিটি শব্দ,
আর তোমার আমার -
জালবোনা কিছু স্বপ্ন!

রোদ নীল মৌমাছি ও মুখোশ

রোদ নীল মৌমাছি ও মুখোশ

কখনো রোদ নামে আমার উঠোনে , আমি হাত বাড়িয়ে ছুঁয়ে দেখিনি রোদের আদর , চোখ মুদে রোদের মমতা হৃদয়ে পুরে নিই , তোমরা যখন আরাম কেদারায় বসে পা ঝুলিয়ে দাও আয়েশি বাতাসে একটা নীল মৌমাছি আমার চোখের পাতায় চুম দেয় , তোমাদের আয়েশি জীবন দেখিয়ে বলে ‘ ও টা তোর জন্যে নয় , আমি তোকে ঘুম দেব , বুকের ভেতর পুষে রাখা নরম ওম দেব ‘
তোমরা কি বলতে পার ! কেন রোদ কখনো হলুদ কান্না ছড়ায় ? আয়েশি বাতাস জীবনকে এ কেমন প্রলোভন দেয় ? নীল মৌমাছি প্রেম নিয়ে তবু কেন অবিরত প্রেমহীনের দ্বারে ?
সমাজ সভ্যতা অসভ্যতা এই সবইতো তোমাদের সৃষ্টি ! মুখোশ এঁটে ক্লান্ত মানুষের দল কি অবলীলায় অভিনয় করছে জীবনের সাথে
বলতো ! যখন রাতের নিস্তব্ধতায় শ্মশানের নীরবতা নামে তোদের বুক চীরে কি একটি দীর্ঘশ্বাস বের হয় না ! অস্ফুটে কি বলে ওঠো
না আহ্ জীবন ! এত ক্লান্তি তবু ঘুম আসে না – হলুদ ব্যাধিতে আক্রান্ত তোমার সবুজ বিছানাটি জেনেছ কি ; কেন এমন প্রহসন আমাদের ? বেঁচে উঠবার নামই যদি জীবন হয় তবে নিয়তই কেন গুপ্ত হত্যাকারী আমি-তুমি-আমরা ??

বুধবার, ২৩ নভেম্বর, ২০১১

পরম্পরায় খুঁজে ফেরা

পরম্পরায় খুঁজে ফেরা

aza
কেন লিখতে মন চায় !! উত্তর জানা নেই। যখন পথ পাই না খুঁজে, নির্বাণ খুঁজি লিখায়। কবিতা আমার অলিন্দ ও নিলয়। হয়কি- হয়না- খুঁজতে থাকে অনেকেই। আমি কথা বলি আমার চেতনায়, আমার ভাষায়, আমার কবিতায়। যদি কেউ শুনতে পায় সেই কথা, তবে- তারাই পড়বে আমার লিখা। সে যদি একজনও হয়।
আমি যেমন ছেড়েছি সব। … ছেড়েছি সব কিছু। তেমনি তুমিও ছেড়ে যাবে একদিন। যেতেই হবে তোমাকে। তারপর …। অনেকটা পথ অতিক্রান্ত হবে যখন, কোলাহল কিছু থামবে, বিশ্বাসের ভ্রান্তিবিলাস খসে পড়বে একে একে। শ্রাবণে কি, হাড়-হিম শীতে। একাকী শূন্যতার দিকে চেয়ে ধোঁয়াশার বুকে ভেসে উঠবে তোমার চোখে আমার মুখ।
তোমাকে যেতে হবেই। আরো অনেকটা পথ এগুতে হবে। যেমন আমাদের পূর্ব পুরুষদের চেয়ে অগ্রগামী এই আমি। অংশত এবং কিছুতো সত্য। প্রেমিক সজ্জন, বান্ধব- বান্ধবী। অভাব হবেনা নিত্য নতুন সহযোগীর। ঘিরে থাকবে ভরে থাকবে কদম্ব কামিনী। সেই সাথে Cristian Dior, Richi ও Gucci আরো কত কি।
ভালোবাসার কথা শোনাবে অনেকে, ভালোবাসবে না। মাথায় উঠাবে, পুজার ভান করবে, আছড়ে দেবে নানান প্রকার। ভালোবাসবে না। অন্নদা দিদি খুঁজবে বার বার।
তবু একজন মানুষ খুঁজি। সব সময় খুঁজি। খুঁজে খুঁজে মরি। আসরে, উৎসবে, আয়োজনে, সমাবেশে। এমনকি সান্ধ্যভ্রমণ ও প্রাতঃভ্রমণেও। খুঁজি শুধু একজন মানুষ। যার সংস্পর্শে নষ্ট হয়ে যাওয়া মূল্যবোধ ‘অরণ্যের’ মতো ফিরে পেতে পারি। মানুষের যা কিছু মর্যাদার যা কিছু অর্জন- পথ খুলে দিতে পারে যে নির্যাস। সেই সেই মানুষকে খুঁজি। কে দেবেই আশ্বাস !! খুঁজে অহরহ। মুছে দিক সেই… এই ঘৃণা- অবিশ্বাস- সন্দেহ। পারস্পরিক ভেদ বিদ্বেষ। খোল- নলচে বদলে দেয় এমন মানুষ।
মৃত্যুই কেবল মৃত্যুই ধ্রুবসখা
যাতনা কেবল যাতনা সুচির সাথী।
অতএব কারো পথ চেয়ে লাভ নেই
বিরূপ বিশ্বে মানুষ নিয়ত একাকী।

মঙ্গলবার, ২২ নভেম্বর, ২০১১

আবাহন

আবাহন

aba
রাত্রির বিষণ্ণ নীরবতা ভেঙ্গে যখন স্বপ্নীল চৈতন্য
নিয়ে ফোটে রোদের মঞ্জরী-
জীবনের মাঠে; রূপোলি বীজের ঘ্রাণ ভেসে আসে দূর
বনভূমি থেকে; বিরামহীন দ্রুতলয়ে ফুটতে থাকে ভোর-

আলোকমন্ডিত পৃথিবী থেকে দ্রুত অন্ধকার সরে যায়,
জাগতিক বৃক্ষের বুক থেকে বিদায় নেয় রাত্রি, তখন আমি সৃষ্টির
দর্পণে রাখি হাত; পরিবর্তনশীল বিশাল ব্রহ্মাণ্ড তাতে দেখতে পাই আমি-
কেউ যেন নিঃশব্দে আর্তনাদ করে ওঠে, যেন তাকে নির্মমভাবে
শুষে নিয়ে আমসত্ত্ব বানাচ্ছে কোন প্রিটোরিয়া সরকার, তুমি শোননি?

তবে ভয় পাচ্ছো কেন মিছে? সে শোষিতকে তুমি চেনো, চেনো তার
মিহিদানা কণ্ঠস্বর; তার ভাঙাচোরা তোবড়ানো শরীরের ইতিহাস তোমার
জানা। তিল ফুলের মতো ছোট্ট স্বপ্নের কথা।
সে তোমাকে বলেছিলো।

চেয়েছিল।
জামরুল ফলের মতো সবুজ স্বাধীনতার চারাগাছ, আর
নাগরিক অধিকার বন-বাদাড়ে ঘুরবার। অথচ সেই অমিয় স্বপ্ন যার
লুণ্ঠিত হয়েছে বিষাক্ত- বিভায়, সে আর কেউ নয়,

মজদুর সে তোমার- আমার, আমাদের আত্মজ, কেন করো তবে
বাহুল্য লৌকিকতা? কেন এ বিবমিষা তোমার? বিপ্লবে বিশ্বাস আনো,
বুনি দু’হাতে বিপ্লবের বীজ কঠিন মাটিতে, বিশ্ব সংসারে সুখদিন আনি।