[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

রবিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১২

বন্য ভালোবাসা তোর জন্য


বন্য ভালোবাসা তোর জন্য
বড্ড বেশি অস্থিরতা ভর করে আছে আজ আমার দেহে কিংবা মনে!
হয়তো তোর জন্য, হয়তো তোকে কাছে না পাওয়ার জন্য
একটা বন্য প্রেমের তীব্র স্রোতে ভেসে যাওয়ার জন্য
কিংবা আদিম কামনায় তোকে নিয়ে বন্য হওয়ার জন্য
হয়তো অন্যরকম এক ভালোবাসার জন্য, তোকে নিয়ে;
তোকে অন্য একটা প্রেমের জগতে টেনে নিয়ে ধ্বংস করার জন্য।

আমি চুল থেকে শুরু করে পায়ের নখ পর্যন্ত
তোর প্রত্যেকটি অংশের ভালোবাসা চাই
শুধুই আমার জন্য, শুধুই আমার করে!
ঈর্ষা-কাতর বন্য ভালোবাসা আমায় অন্ধ করে রাখে
তোকে অন্য কারো সাথে কথা বলতে দেখলে।
তোর চোখ আমি গেলে দেব অন্য কারো দিকে চাইলে
তোর হৃদয় উপড়ে নিয়ে সিথানে রেখে দেব অন্য কাওকে ভালবাসলে
ঈর্ষা কাতর এক প্রেমিক আমি
তোর কোন কিছুর সাথেই কাওকে আমি কোন ভাগ করতে দেব না
দহনের জ্বালায় জ্বলতে চাই না আমি তোকে অন্য কারো সাথে দেখে।

আমি তোকে চাই আমার মতন করে
তোর ঠোঁটের ওম চাই আগুনের মত
বৃষ্টির রাতের হালকা শীত শীত অনুভূতির মাঝে!
তোর ওম চাই দিনে আর রাতে
শরীর কাঁটা দিয়ে ওঠা চুম্বনের বর্ষণে।
তুই যে আমার ড্রাগের নেশা নিত্যদিনের সর্বক্ষণে
তোকে আমি ভাগ করি কেমন করে কারো সাথে
বল তুই আমারে।

আমি একরোখা উন্মাদ পাগলের মত তোকে ভালোবাসে যাই
তাই হয়তো অস্থির চুম্বনের পাগলা নেশার মত করে
শুধুই তোর ভালোবাসা চাই আমার প্রতিটি লোমকূপের গোঁড়ায় গোঁড়ায়
হোক না সে তিতা চিরতার রস কিংবা অহল্যার বিষ
প্রতিবার না হয় ঝাঁকি দিয়ে যাক আমার পুরো অস্তিত্ব জুড়ে
তবুও তা আমি পান করে যাব মুখ বুজে মিষ্টির রস ভেবে।


dohoner jala

জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে তোমার কথা মনে পড়ে


জ্যোৎস্নার আলো আঁধারে তোমার কথা মনে পড়ে
আজ চাঁদ উঠেছে আকাশে, হেলে পড়েছে শেষ রাতে পূবাকাশে
আমি চাঁদের দেখা পাচ্ছি এখানে বসে
জ্যোৎস্না ছায়া খুব তির্যক হয়ে পড়ছে আমার গায়ে
কিন্তু আমি তো খুঁজে বেড়াচ্ছি আমার চাঁদনি,
জ্যোৎস্নার চেয়ে তীব্র আলো বিলিয়ে গেছে যে আমার জীবনে
আমি আমার চাঁদনি খুঁজেছি আকাশে তবু আকাশে চাঁদ দূর থেকে
হেসে কেন বলে খুঁজে যা আমায়, মেখে নে আমার জ্যোৎস্না গায়ে
হয়তো কখনো তোর চাঁদনিকে পেয়ে যেতে পারিস
কোন এক অমাবস্যার রাতে।


আজ চাঁদ এসেছে আকাশে আমার চাঁদনি আসেনি
তবু তার ভালোবাসাটুকু ভেসে বেড়ায় বাতাসে আমি বুঝতে পারি
আমি মেখে নেই গায়ে তার ভালোবাসার ছোঁয়া
অনেক দূর কোন দেশ থেকে পাঠিয়ে দিয়েছে যা আমাকে
বাতাস ধীরে ধীরে তীব্র হতে থাকে
আমি কান পেতে থাকি বাতাসে
দূর থেকে তার চুড়ির নিক্বণ ধ্বনি শুনব বলে।


এখন আমার আকাশে পূর্ণিমার চাঁদ
তোমার অবগাহন এখন কাঠফাটা রৌদ্রে
তুমি বসে আছ সৌরজগতের সেই অপর পাশের দেশে
আমার মধ্য দুপুরে সন্ধ্যে ঘনাবে তোমার আকাশে
আমার চাঁদের দিকে তাকিয়ে দেখো তো একবার
এখনো কি তোমার ইচ্ছে করে, আমার হতে?

নাকি হতে চাও জল জ্যোৎস্নার রাতের বন হরিণী
সেই আগেকার দিনের মতন করে?
তোমার বন হরিণী রূপ দেখি না কতকাল হয়ে গেল
মন কাঁদে আজ তোমায় বন জ্যোৎস্নায় দেখব বলে
জ্যোৎস্নার নগ্নতায় খুলে খুলে দেখব বলে
তোমাকে তোমা রূপে।


তুমি যেন সৌর জগতের কোন ওপার হতে
শত কোটি বছরের পথ পারি দিয়ে
নেমে এসেছিল মর্তের মাটিতে
নীল জ্যোৎস্নার ছায়া ছায়া দেশে
কোন একদিন আমায় ভালোবেসে।


তুমি ছিলে আমার বন হংসী মনোহারিণী
আজ আমায় ফেলে হয়েছ কার ঘরণী?
আজ তোমার আঙ্গিনার ময়ূর খেলা করে আনমনে
ছাতিম গাছে ধান শালিকেরা বাসা বাধে নির্ভয়ে
তোমার আকাশে জ্যোৎস্না নেমে আসে আলো হয়ে
তোমারই ছাদে বৃষ্টি ঝরে পরে সুর হয়ে;
আমি অন্ধকারে পড়ে রই
কালো জ্যোৎস্নার তিমির আঁধারে।


আজ আমি যেন এক বৃত্তের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে আছি
কুল খুঁজে বেড়াই পরিধির দিকে, যতদূর চোখ যায়
পুরো ব্যাসার্ধ জুড়ে আছ শুধু তুমি
সেই অসীম পর্যন্ত, যতটুকু দেখা যায়।


আমার হ্রদয়ে আঁকা ছিল যে চাঁদ
রাতের আধারেতে তোমারি বেদনায় ম্লান হয়ে যায় ডুবে
হ্রদয়ে ক্ষরণ রক্ত ঝরায়
ভোরের আকাশে লাল সূর্য হয়ে ভেসে ওঠে ওই পূবে।


josnar chaya

ভালোবাসার অভিমান ..


ভালোবাসার অভিমান
যখন ইচ্ছে ভালোবাসা, কাছে টেনে নেয়া
উনিশ থেকে বিশ হলেই ছুঁড়ে ফেলে দেয়া
দেখছি আমি প্রথম থেকেই নতুন কিছু নয়
অভিমানে কষ্ট যে পাও তাতেই আমার ভয়।


তুমি আমি দুই ভুবনের করি দুই সংসার
কষ্ট পাওয়া তোমার একার আমি যে কোন ছার
নিজের ধ্যানে মগ্ন থেকে ভুল করি যে-কেউ
কথার ঝড়ের ফলশ্রুতি অশান্ত এক ঢেউ।


রাগের ঝড় মনের মাঝে বাষ্প হয়ে ফোটে
কথার কাঁটায় মনের মাঝে ঝড় তুলে যে উঠে
অভিমানের কথার চাবুক ঝড়ের মত চলে
অসংলগ্ন গালাগালি বরফ যে যায় গলে।


মনের মাঝে বয়ে চলে রাগের রূপান্তর
একটি ভুলেই দূর করে দাও অন্যরকম পর
অপেক্ষাতে বসে বসে আমি যখন থাকি
তুমি থাক ব্যস্ত তখন তোমার তাতে কি?

ভুলো মনের মানুষ আমি ভুল করি তা মানি
ভেবো একবার মাশুল গুনতে কাঁদতে আমি জানি
কত করে বোঝাই তোমায় বকা-ঝকা আর না
মনের ভেতর দিও উঁকি দেখতে পাবে কান্না।


অন্ধ তুমি রাগলে তখন সবকিছু যাও ভুলে
রক্ত ঝরাও হৃদয়েতে গালির ঝড় যে তুলে
অপমানের কথার চাবুক আমার পিঠের পরে
কষ্টগুলো বুকের ভেতর কান্না হয়ে ঝরে।


বুঝবে হয়তো ভুল তোমার ভাঙ্গবে অভিমান
আজকে না হয় সয়ে যাব তোমার অপমান
তোমায় আমি ভালোবাসি বুঝবে এক দিন
শুধব আমি তোমার দেয়া ভালোবাসার ঋণ।


215610_140835335988528_4359991_n

বৃহস্পতিবার, ১৬ আগস্ট, ২০১২

মগজ পোড়া কাব্য

মগজ পোড়া কাব্য
522272_329308323797136_100001539147249_878805_2085994076_n[1]

বুকের মাঝে কষ্ট জমাট
বুকের মাঝে রংধনু রং;
বুকের মাঝে মুখ লুকানো
বুকের মাঝে বাসন্তী ঢং।
বুকের মাঝে সাগর হারায়
পৃথিবীটা ছোট অনেক;
চোখের মাঝে যা দেখা যায়
বুকে থাকে হাজার জমিন।

তুমিও কি স্বপ্ন লুকাও
দু’চোখ বুজে বুকের মাঝে;
স্বপ্ন পোড়া ছাই গুলো সব
জমে থাকে বুকের পাশে।
মগজ পোড়া কাব্যগুলো
বুকের মাঝে ঠিক জ্বলে যায়;
জ্বলে যাওয়া কাব্যগুলো
হাজার দুয়ার ঘরকে সাজায়।

বুকের মাঝে নিজের ছায়া
হঠাৎ দেখে আতকে উঠি;
স্বপ্ন গুলোর মরন দশা
বুকের মাঝেই সুখ যে খুঁজি।
তোমার বুকের জরির আচঁল
আমার বুকে আগুন জ্বলে;
তুমিই আমার কাফন কেন
ভালোবাসার আন্তরালে।

কেমন করে আটকে থাকি
হাজার বছর খাঁচার মঝে;
খাঁচার মাঝে আটকে থেকে
যুদ্ধ করি নিজের সাথে।
বুকের মাঝে কষ্ট জমাট
বুকের মাঝে সাগর কাঁদে;
বুকের মাঝে তুমি পোড়
বেনারসী শাড়ী পরে।

বুকের মাঝে কষ্ট জমাট
বুকের মাঝে রংধনু রং
বুকের মাঝে মুখ লুকানো
বুকের মাঝে বাসন্তী ঢং


* [লিখেই পোষ্ট ভুল থাকতে পারে ]

উজান

উজান
তোর মনে পড়ে?
ছোটবেলায়
গঙ্গার ঘাটে বসে বলতিস,
আমরা বড় হলে
গঙ্গায় সাঁতার কাটবো,
আর আমি হাসতাম।


কতদিন আগের কথা,
আমরা তো এখন বড়
কিন্তু
আমাদের সাঁতার কাটা
আর হয়নি।


চল না
আবার সেই ছোটবেলার মত
দু’জনে ঠিক করি
আমরা সাঁতার কাটতে যাবো।

গঙ্গার উজানে ভাসতে ভাসতে
আবার নতুন করে
শুরু করবো ছোটবেলা
আমাদের দুজনের ছোটবেলা।


খুব খুব ইচ্ছে করে রে
দুজনে একসাথে
ভাসতে।


আবার এটাও জানি
ঠিক ছোটবেলার মত.
এই ইচ্ছেটাও হারিয়ে যাবে
যেমন হারিয়েছে ছোটবেলা।


হয়তো অপেক্ষা করবো
আরও আরও বড় হওয়ার।
যত বড় হব
তত দুরে যাবে ছোটবেলা
সাথে ইচ্ছেটাও।