[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০১১

ভালবাসি (খুঁজছি)


ভালবাসি (খুঁজছি )

পৃথিবীতে আসার আগে
অন্যন সুন্দর এক মূহূর্তে-
সাক্ষাত হয়েছিল;
আমার প্রিয়তমার সাথে।

অনেক ভালবাসা জরানো কন্ঠে বলেছিলাম-
আমার মমতা আর ভালবাসা
সাথে আমার শ্রেষ্ঠ সুখ; রেখ কিন্তু বুকে আগলে,
তোমার বুকের উষ্ণতার মাঝে।

ভূল করে হলেও দিওনা যেন কাউকে
এমনকি-
কেউ হাতও যেন না দেয় তাতে।

পৃথিবীতে আসলাম আজ অনেক দিন হল।
আমি রীতিমত যুবক হয়ে প্রিয়তমাকে খুঁজছি।
কিন্তু-
কি অদ্ভুত! কোথাও নেই সে।
চাপা অস্থিরতায়-
এই মেয়ে ওই মেয়ের দিকে চেয়ে থাকি।

একটা কষ্ট; হারিয়ে ফেলার বেদনা-
শুধু আহবান করে আমায়
তার সাগরে ঝাপ দিতে।
আমার সাহস হয়না।

ভালবাসাটা আমার আমিতে ছড়িয়ে থাকায়
একটা বিশ্বাস বাসা বেধে বড় হতে থাকে-
আমার বিশ্বাস; নিশ্চয় তাকে খুঁজে পাব আমি একদিন।

উৎসর্গকৃত জীবন....

উৎসর্গকৃত জীবন

আমি-
নীশিতে নিঃস্বার্থ ভাবে ভালবাসতে পারি তোমাকে।
প্রশ্ন করতে পার-
দিনে নয় কেন?
দিনের অপরাধ?
আমি ঠিক তোমাকে বুঝাতে পারবনা।।
আসলে তুমি কল্পনাও করতে পারবেনা-
দিনে আমি কতটা অসহায় থাকি!!
কত গুলো কষ্ট আর যন্ত্রনাকে আমি
সেবা দিয়ে থাকি!!
অনেকটা ডে-কেয়ার সেন্টারের মত।
আর পর্দার পেছন থেকে ক্যামেরা ধরে থাকে কিছু-
ভীবৎস অসহায়ত্বে বেড়ে উঠা
তরতাজা সাদাকাল বেকার জীবন।
তাদের সাথে একাত্মা প্রকাশ করে জ্বলন্ত বেনসন।
দিনের জমানো কষ্টগুলোকে
অল্প অল্প করে পুরে-
সময়ের শেষে তৈরী করে ছাঁই।
আর-
নিকোটিন যুক্ত ধোঁয়াকে পাঠানো হয় ভ্রাম্যমান আদালত করে,
অন্তর পরিদর্শনে।
সারাটা দিন ব্যাস্ত থাকি-
ঐ আদালতের প্রয়োগকৃত শাস্তি ভোগ করতে।
বুঝতে পারছ সাবাহ্??
আমি আসলেই দিনে সময় পাইনা।
তাই-
রাতের সময়টা তোমাকে উৎসর্গ করলাম।

মঙ্গলবার, ১৫ নভেম্বর, ২০১১

মনের বাসনা

মনের বাসনা হাসনাত । আল-বদর,মদিনা
আমার মনের বাসনা ছিল তোমাকে নিয়ে
সেই তুমি চলে গেলে দঃখ যাতনা দিয়ে।
যানিনা তুমি কেন এমন করলে
আমাকে ছেরে তুমি অন্যের হাত ধরলে।
তোমার জন্য আজও আমার হৃদয়টি ফাঁকা
যানিনা কি কারনে আমায় দিলে ধোকা।
তুমিকি যানতে চাওনা আমি কেমন রয়েছি
শত কষ্টের মাঝেও আমি এখনও বেঁচে আছি।
তোমার জন্য চলে এলাম দূর থেকে দূরে
এখন পর্যন্ত তোমার জন্য মনটা আমার পোড়ে।
হাজারো কষ্ট দিলে দুঃখ দিলে মনে
তোমার কথা মনে পরে আমার প্রতিটি ক্ষনে।
নিস্বাসেও ছিলে তুমি বিশ্বাসেও তুমি
তোমায় ছেরে একা একা কেমনে থাকবো আমি।

৩০/০৫/২০১১ ইং

পল্লী বধুর চোখে মুখে আজ স্বপ্ন আঁকা;

পল্লী বধুর চোখে মুখে আজ স্বপ্ন আঁকা;
হাসনাত

পুব আকাশে উঁকি দিল
স্ফটিক দানায় আলো তুললে মাথা;
শরতের সুবর্ণ শিউলি নতজানু ধুলায়।
বিষণ্ন যেন আকাশটা
সাদা মেঘ যাচ্ছে পালিয়ে;
আকাশ ‍নীলের ছায়া ছেড়ে।
কৃষকের পা ভিজে শিশিরে
মেঠোপথে মাদার ফুলের সুঘ্রাণ;
ধুলায় ফুলের লাল দল মেখেছে।
হেমন্তে চির চেনা কাঁচা সুবাস ভাসে
সবুজ ধানের ছড়ায় সাদা সাদা ফুল;
আকুল করা বাউরী বাতাস।

‍আসছে হেমন্ত ক্ষেত হালকা কুয়াশা ঢাকা
যেন সাদা চাদরে আলোর ‍ঝিকিমিকি খেলা;
হাওয়ায় ভাসে কাঁচা ধানের সুবাস।
রঙিন আঁচলে ঘোমটা টানা
পল্লী বধুর চোখে মুখে আজ স্বপ্ন আঁকা;
নাইওর যাবে এই নবান্নে।
লাউয়ের মাচায় সাদা ফুল ফোটে
সবুজ ডগায় ডানা মেলে লাল ফড়িং;
ডোবার কঞ্চি‍তে বসে লাল ঠোঁট মাছরাঙা।

তবু ফিরলো না সে

তবু ফিরলো না সে
-হাসলাত-

বর্ষা বাদল শরত ফুড়া‍লো
সবুজ ধানশীষে আঁশ বুনে; তামাটে রং ধরছে
এই হেমন্তে।
তবু ফিরলো না সে
জয়ন্ত টিলার সবুজ বুননে; আসছে ‍ধেয়ে
হিমেল হাওয়া।
কবিতা মাখা আলো হয়তো ছুঁয়ে ছিল সে
দূর্বাঘাস ছুঁয়ে লুকিয়ে থাকে লজ্জাবতী; তাকে নাইবা ছুঁইলাম
হেমন্তের এই অবেলায়।

আজ হেমন্তের বিকেল
ঢলে পরা বেলা যাচ্ছে বয়ে; নরম আলো ছুঁয়ে হেমন্ত মঙ্গল
আসছে ভেসে ঐ নদীটির ওপার হতে।
আমার উঠানজুড়ে বসেছে মেলা আজ
কথার ডানার ফড়িং; উড়ে এলো বাজিয়ে মাদল
ধান শ‍ালিকের জটলায়।

ফিরে গেলে

ফিরে গেলে
নভেম্বর ০৩, ২০১১

এসেছো সূর্যের দেশ হতে
কঠিন বহ্নিতাপ পেড়িয়ে,
আমাকে দেখেছো চাঁদের দেশে
হাজার জঞ্জাল মাড়িয়ে
নব কুসমিত প্রস্ফুটিত পুষ্পের ভিড়ে ,
যার কুসুমে লাগেনি কীটের কোন ছোঁয়া ।
আমি ছিলাম নব বর্ষার সজল ধারায় ধোয়া।
ছিলাম কাঠ গোলাপের মত পবিত্র,
ভেবেছিলে আমার উপর করবে একছত্র আধিপত্য ।
কখনো ভাবোনি আমিও হতে পারি ফড়িং,
যে থাকে শরতের অপেক্ষায়
ডানা মেলে উড়বে অজানায় ।
ভাবোনি আমি যে হতে চাই,
আলোর পানে ছোটা রঙ্গিন প্রজাপতি।
ধরণীর সব ধূসর বস্তুকে
রাঙিয়ে দিতে চাই এই যে আমার মতি।
আমি যে হতে চাই,
বৃষ্টির পরে মেঘলা আকাশে
সাত রঙ রঙধনু ।
যে রয়ে যায় খুশির খেয়ালের মতই অধরা
এরপরেও রাঙিয়ে যায় পৃথিবীর পরে
বাস্তবতার কঠিন আঘাতে পরিবর্তিত
মানব মনের কোন এক ক্ষুদ্র কনা অণু।
কখনো ভাবোনি আমি যে অতি ক্ষুদ্র পতঙ্গ
জোনাকির ন্যায় বুকে ধারন করি আলো,
টিমটিমে,তবু উজ্জ্বল আলোকছটা
তাই অবিরাম জ্বলে থাকি না।
প্রয়োজনে অন্ধকারে জ্বেলে যাই আলোর সবটা
আমি থাকি অন্ধকারে আলো হয়ে,
তাই আলোতে চিনতে পারোনি।
ফিরে চলে গেলে তীব্র আলোর দেশে
যেথায় উৎপত্তি ও গন্তব্য একত্রে এসে মেশে,
অবশেষে আমি রয়ে গেলাম সেই চেনা চাঁদের দেশে,
স্নিগ্ধ কোমল আলোক বেশে ।