[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ২১ জুলাই, ২০১১

নিঃসঙ্গ প্রহর


নিঃসঙ্গ প্রহর

নিঃসঙ্গ প্রহর
বিষণ্নতার সুর বাজে বেহালার তারে,
শীতার্ত সারসী কাঁদে নিঃশব্দ প্রহরে।
জোনাকীর মৃদু আলো হিজলের বনে,
মেঘের আঁচলে লুকায় চাঁদ ঐ গগনে।
মায়াবী হরিণী চোখ আমরণ তৃষ্ণায়,
মরীচিকা বিভ্রমে মরে কস্তুরী আশায়।
নিবিড় স্পর্শে কাতর লজ্জাবতী লতা,
ভ্রমরের গুঞ্জরণে জাগে প্রণয়ের ক্ষুধা।
প্রেমিক মীনের সন্তরণ সবুজ শৈবালে,
বিরহের পদাবলী রচে প্রাচীন ফসিলে।
নৈঃশব্দের প্রহর ভাঙ্গে নূপুরের ঝংকার,
ঝারবাতির জলসাঘরে মদ্যপ জমিদার।
নিস্তব্ধতার খোলসে ঢাকা পেঁচার উচ্ছাস,
শুকনো পাতার ভাঁজে বাদুরের দীর্ঘশ্বাস।
রাতের শিশিরে সতেজ ঘাসের আকুতি,
সোনারোদে ছড়ায় যত আবেগের দ্যুতি।
নিঃসঙ্গতার প্রহর শেষে বিষণ্ন এই মন,
একাকিত্ব ভুলে নেয় রোদের আলিঙ্গন।

রবিবার, ২৬ জুন, ২০১১

রাতের তাঁরার সাথে কথা ও আমার বাবা


রাতের তাঁরার সাথে কথা ও আমার বাবা

এ.এইচ.বিদুয়ান
গতকাল গভির রাতে আকাশের তারার সাথে কথা
বলেছি।তারাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম আমার বাবা
কেমন আছে তোমরা কি জান? ওরা বলেছিলো
ভালো আছে। জিজ্ঞাসা করেছিলাম তোমাদের সাথে
কি বাবার দেখা হয়? কথা হয়?
আমি আবার বলেছিলাম আচছা বাবা কি আগের মত অসুস্থ থাকে?
বাবা কে কি এখনো রক্ত দিতে হয়?বাবা কি ব্যাথ্যা পায়?
“ওরা হেসে বলেছিল ধুর তুমি একটা গাধা”
আমি বললাম কেন? তারারা বলল তোমার বাবা
যেখানে আছে সেখানে কোন মানুষ
অসুস্থ হয়না। আমি আনন্দে পাগলের মত হাসি।
আকাশের দিকে তাকিয়ে হাসি।
মনে মনে বলি বাবা আর অসুস্থ থাকেনা?
রাত অনেক হয়ে যায়,তারারা বলে
“তুমি তোমার বাবা কে অনেক মিস কর তাইনা?
আমি বলি হাঁ।ওদের বলি আমার বাবা কে একটা সংবাদ দিতে পারবে?
ওরা বলে পারব।
বল কি বলতে হবে?বাবা কে বল “আমি বেশ কয়দিন ধরে অসুস্থ”।
আমার জন্য বাবা কে একটু দোয়া করতে বলো।
ওরা বলে ঠিক আছে। আমরা এখন যাব।
ভাল থেকো————————-।
তারারা হারিয়ে যায় আকাশের ওপারে।

শুক্রবার, ২০ মে, ২০১১

হারিয়ে যাওয়া বন্ধূ .........

হারিয়ে যাওয়া বন্ধূ

আমার একটি বন্ধু ছিলো
সোহেল ছিলো তার নাম,
তার পরিবার গরীব ছিলো
সমাজে ছিলো না তাদের দাম।


আমি যখন স্কুলে পড়ি
তখন তার সাথে পরিচয়,
আমি ক্লাসে ফাস্ট ছিলাম না
কিন্তু রোল ছিলো তার নয়।


তার বাবা গরীব কৃষক
ছিলনা নিজের জমি,
বর্গা নিয়ে চাষ করতো
অন্য লোকের ভুমি।


ক্লাসের ফাঁকে তাকে কাঁদতে দেখতাম
বলত এটা তার দুঃখ নয়,
কিছুদিন পর বুঝলাম
এটা ছিলো না তার অভিনয়।


অনেকদিন যাবত সে স্কুলে আসে না
খবর নিতে গেলাম তার বাড়ি,
পড়ালেখা হবে না আর
বাবা তার দিয়ে গেছেন আড়ি।


পকেটে আমার টাকা নেই
কে দিবে পড়ালেখার খরচ,
পড়ালেখা করে হবে কি?
সমাজে আমাদের নেই কোন গরজ।


আমার সাথে থাকবে সে
করবে সে জমিতে কাজ,
বিরক্ত না করে চলে যাও
নিজের বাড়ি ফিরে যাও আজ।


তার বাবার কথা শুনে
পেলাম অনেক কষ্ট,
আমার বন্ধুর স্বপ্নগুলো
হয়ে গেলো নষ্ট।


সেই থেকে সে হারিয়ে গেলো
আর এলোনা আমাদের কাছে,
আমরা নাকি শিক্ষিত আর সে মুর্খ
তাই সে থাকল না আমাদের পাশে।


সেকি আমাকে ভুলে গেলো
বুঝল না বন্ধুত্বের মায়া,
এখনো আমার পাশে খুঁজে বেড়ায়
শুধুই তার ছায়া।

********************************

রবিবার, ১৪ নভেম্বর, ২০১০

এই শোন........শোন না একটু.........

এই শোন........শোন না একটু.........

১৪ ই নভেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪৪

রাত তিনটা বাজে তখন বেলার টেবিলের থাকা ঘড়িটাতে। আর উপারে থাকা রাজ এর ঘড়িতে রাত দশটা। বেলা অনেক চেষ্টা করছে ঘুময়ে পরতে কিন্তু পারছে না। কিন্তু রাজ এর সাথে কথা না বলে তো কোন দিনও ঘুমাতে পারেনি বেলা। তবে আজ কিভাবে ঘুমাবে? অনেক রাগ লাগছে অভিমানে মন ভরে যাচ্ছে। কি করছে ও? বাসায় ফিরেসে, নাকি কাজে আছে। নাকি রাতের খাবার রান্না করছে? না আবার শয়তান টা নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে? সত্যি যদি রাজ আমাকে ফোন না দিয়ে ঘুমিয়ে পরে....... তবে ওর সাথে আমি তিন দিন কথা বলবো না। না সেটা আমি পারবো না......... ওকে অনেক বকে দেব..... সেটাও পারি না........ এতো সুন্দর করে কথা বলে........ এতো দুরে থেকেও আমাকে ভালাবাসায় ভরে রাখে......।

এই গতকাল রাতে গাড়ী নিয়ে শহরে গেছে। আমার সাথে একটু কথা বলে কার নিয়ে বের হয়ে গেছে। আমি অনেক রাগ করি। কিন্তু অনেক জরুরী কি কাজ যেন তাই ও চলে যায়। আমার অনেক খাহারপ লাগছিল। সেটা একমাত্র রাজ ই ভালো জানে। আর তাই হাইওয়ে তে উঠে আমাকে ঠিক কল দিয়েছিল। আমি বলছিলাম ড্রাইভ করার সময়ে তুমি কথা বলতে পারো না তবে কেন কল দিয়েছ। আমাকে অনেক আদর দিয়ে ভরিয়ে দিয়ে বলল একটু কথা বলি। আর আমাকে আগেই বলে দিল আন্ডার পাস এ ঢুকলে নাকি নেট থাকে না। আর কল কেটে গেলে আর কল দেবে না। ২০ মিনিট কথা বলার পর লাইন টা কেটে গেল। শয়তান টা সত্যি র কল দিলো না। সারা দিনেও একটা এস এম এস ও করলো না।

সকাল থেকেই আম্মু বাসায় ছিলো না। সারাও দেখলাম কেমন মন ভার ভার করে আছে। জানতে চাইলাম কিছু বলে না। আপুর বাসায় গেলাম কেউ বাসায় নাই সবাই নাকি রাজ দের বাসায় গেসে। আপুর ননদের সাথে অনেক সময় গল্প করে বাসায় চলে আসি। হাতের কাজ শেষ করে হুমায়ন পড়েছি অনেক সময়।

এতো রাতে বসার ঘরে আস্তে আস্তে কথা বলে কে? বেলা যথেষ্ট বিরক্ত হলো। কাথা দিয়ে মুখ ঢেকে ঘুমানোর বৃধা চেষ্টা করতে লাগলো। """ কি ব্যাপার আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি ঘুমিয়ে পড়লে?""" রাজ এর কন্ঠ!!!!!!!!!!! নিশ্চিত ঘুমিয়ে পড়েছি আমি আর স্বপ্ন দেখছি শয়তান টাকে , মুখে বলে বেলা। "" বেলা বউ চোখ মেলে দেখো শয়তান তোমার সামনে দাড়িয়ে""

মঙ্গলবার, ৯ নভেম্বর, ২০১০

ফুল ঝরা কবিতা

ফুল ঝরা কবিতা
আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম,
যেখানে শুরু করে বসিয়েছিলা কলমের আঁচর
শৈল্পের নৈপনিতে এঁকেছিলাম এক একটি কবিতা
সাজানো এক ফুল বাগানের মতো।
সেখানেই গিয়ে দেখি আজ ঝরা ফুলের নি:শব্দ কান্না
নৈ:শব্দ অনুভবে আমিও চোখের জলে ভিজিয়েছি ললাট
তীব্র অস্থিরতায় ঘেমেও ছিলাম তিক্ত অনুভবে,
যা বলার ভাষা প্রকাশ করার মত আমার উপায় ছিল না।

আমি ঝরা ফুলের মতো কবিতার কান্নাও শুনেছি
হার মেনেছি তার সীমাহীন ভালবাসায়,
অশরীরী আত্নায় তাকে দেখেছি কত অগনিত বার
নির্জন তিমিরে তার ছায়া রুপী আত্নাকে মানবীতে দেখেছি।
সে আর এখন আমার কাছে আসে না;
অথচ নির্জন জোস্না রাত আসলেই তার অপেক্ষার প্রহর কাটি
তেপথের পাড়ে যে ছায়াকৃত খুদে বৃক্ষ
সেখানে মাঝে মাঝে ছুটে যাই তাকে কামনা করে,
এখন আর সে আসে না;তার অশরীরী আত্নাও আমাকে ভর করে না;
তার কি কিছু হয়েছে? না আমি কবিতার কাছে হেরে গেলাম?

বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০১০

চলছে জীবন একা একা

চলছে জীবন একা একা


জমাট ব্যথা কষ্ট কথা
কাব্য খাতায় আঁকছি যথা
শিকড় ছাড়ার রূদ্ধ প্রথা
বুকের খাঁজে জমছে তথা।

শূন্য এপ্রাণ বদ্ধ জীবন
চমকে উঠে যখন তখন
কাঁটা তারের বেঁড়া কখন
গঁজিয়ে উঠে ইচ্ছে মতন।

ইচ্ছে নিয়ে অনিচ্ছেতে
বেঁচে আছি কোনোমতে
রূষ্ট জীবন দুষ্ট স্রোতে
ছুটছে কেবল বক্র পথে।

কালো আকাশ মেঘে ঢাকা
থেমে আছে জীবন চাকা
ভ্রষ্ট পথে ঘুরছি ফাঁকা
চলছে জীবন একা একা।
______________________
জীবন একা, একলা তেপান্তর।