[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বুধবার, ২৪ অক্টোবর, ২০১২

ভালো/আজ রাতে সেই মৃত পাখি ঘুমালো...

ভালো/আজ রাতে সেই মৃত পাখি ঘুমালো...

০.
আকাশের নিচে সে মেলে দিলো এক ভেজা শাড়ি
সূর্যের গায়ে নীল লবনের রাত!
নিন্দিতা বোসো। নদীর শরীর থেকে খুলে নেয়া আনাড়ি সে ভেজা কাপড়
তোমাকে দেবে কোন পাগল প্রেমিক!
খয়েরি বুকের দিকে তার বাড়ানো হাত।
নিন্দিতা শোনো। চোখ বন্ধ রাখো। স্যুটকেসে রাখা সাদা তোয়ালে;
বেঁধে নিতে পারো চোখ। যেন দেখোনা -
দেখোনা আকাশের তলে গোলাপ গলা কোনো উন্মুক্ত নারী!

১.
আমার খুব মনে হয় ওরা ছিলেন তারার মত আলো হয়ে।
আলোর কত রং হয়ে যায় কান্না রোদে ভয়ে
ঝুঁকে মাথায় হাত বুলিয়ে পিঠে
স্বান্তনা দাও স্বান্তনা দাও
বুকের ভেতর আনন্দেরা বিষাদ করুন ক্ষয়ে
যাচ্ছে কেবল। যাচ্ছি সয়ে সয়ে।
আমার খুব মনে হয়-
খুব মনে হয় ওরা ছিলেন তারার মত আলো হয়ে।

২.
ব্যস্ত হয়ে যাচ্ছে সে দিন! ব্যস্ত সিঁদুর শাখা/
বিশ্বাসে নয় ভয়ে ভয়ে হাসনুহেনা মাখা
হাতের উপর লুকিয়ে রাখা সস্তা প্রেমের কাজ
বৈয়ের পাতায় গল্পেরা কৈ আঁকছেনা সমাজ!

৩.

সে চলে গেছে অরন্য পাহাড়ে আহারে কি বুকে নদী নেমে গেছে!
সে তার হাতে আপেলের লাল সূর্য থেমেছে গড়িয়ে নিতে!
ছোট্ট শরীরে পাখিদের পাখা উড়ে যাওয়া শুধু সময়ের
চলে যাওয়া ঋতু শ্রাবনের ফুল দূরে যাওয়া পাখি গগনের।

৪.
আমার দুচোখ খড়কুটো ভেবে আগুন কেন জ্বালো
দুচোখ আমার শুধু জ্বলে যায় বৃষ্টিকে কে জানালো?

৫.
ইচ্ছে গুলো তুমুল মায়ার ইচ্ছে গুলো তিরিক্ষি
ইচ্ছে গুলো হাঁটছে হাতে বাগান বনে শিরীষ কি!

৬.
কবিতার হাতে কষ্টের কথা অরঙিন গাল আলপনা
ছায়া ছায়া টক সিদ্ধির রাতে শৈশব শেষে জালবোনা।

৭.
টকটকে দিন কন্ঠের পরে ঝুলে আছে হয়ে হার!
অদ্ভুত তার চলে যাওয়া ছিলো বুলবুল বেদনার।

৮.
বেঁচে আছি। বেঁচে আছি তোমাকে ছাড়াই কি বিস্ময়ে অনাদর! দক্ষ প্রজাপতি হাতে
এখনও একেকটি দিন আগুনময় নৈঃশব্দে। হলাহল নগরীর একনিষ্ঠ আশ্বিন, লাস ভেগাস
পৃথিবীর হাতে ক্যাসিনো হয়ে ঘুরছে। তোমাকে ছাড়া বেঁচে থাকা মানে পৃথিবীর
প্রাচীন বাগানে একটি কস্তুরী নাভীর মৃত্যু! বেঁচে আছি জনন্তিকা। এখনো
বেঁচে থাকা দূর্বার ফুল। ভাবছি অপালা সিল্কের সামনের উদ্যানে যে কোন
একদিন বেঁচে থাকা নিয়ে আমাদের গল্প। আমরা গল্পেই মশগুল!

৯.
তুমি নিরুদ্দেশ চাঁদের শিশু! আসো যাও গর্ভদেশের স্মৃতি খুঁজে নিয়ে ব্রজের গোপবালক!
তুমি প্রকাশিত হও স্বরাজে। আমার অহংকার হও। নির্বাচিত ওহী হও বুকের ভেতর!
দশমীর রাতে ভাসে চন্ডালী সুর-
ততদিন অপেক্ষা করো অর্জন আমার..!

১০.
বৃষ্টি বলে কিচ্ছুটি নেই মায়ের পায়ের তলে
এইতো সেদিন বৃষ্টি এল ভীষন কৌতুহলে
চালার উপর ডালার উপর
বৃষ্টি হলো খুব
বৃষ্টি মাথায় বই এর ব্যাগে মাছরাঙারা ডুব।
বৃষ্টি বলে কিচ্ছুটি নেই
এই তো সেদিন রসের গোলা পড়ছিলো আর গাছ ভর্তি সেই
মাঠের প্রিয় ফড়িংগুলো পূজোয়
মায়ের পায়ের কাছে হারিয়েছিলো খেই।
বৃষ্টি হত কদিন আগে এখন কি আর সেসব দিনের মত
মেঘ করে আর রাবড়ি সেমাই জিভ টুকে উদ্ধত! বৃষ্টি বলে কিচ্ছুটি নেই কদিন পরে আরোই-
বৃষ্টি বলে ভাতের চুলো টগবগিয়ে টাট্টু ঘোড়া হাত বাগিয়ে ধরোই, তবু কিচ্ছুতে আর মেঘ রবেনা
বৃষ্টি তখন কবির হাতে খাতার পাতায়, বলবে সব্বাই
বৃষ্টি বলে কিচ্ছুটি নেই দিনে রাতে!

১১.
সোহাগের ঢেউ পাতালের ঘোড়া
বাজে কার বুকে বিবাগের ছোরা
অগুনতি ফুল সন্ন্যাসে যাও
বিহারের দেশে কালো ভোমরা!

১২.
বৃষ্টি ধরছে ছোট্ট হাতের রেখা! শুকনো ডালে পাঁচ আঙ্গুলে ফুল! বৃষ্টি ধরার হাতটুকুতে শেখা! বদলে দিচ্ছে বিকেলটা আমূল!

১৩.
কতদিন কেউ কাঁদতে দেখেনি কবির পোষা শব্দগুলোকে
কতদিন ধরে অজ্ঞাতবাস পাড়ার পায়ের পাতা ধুলোকে
উড়তে দেখেনি কেউ!
কতদিন সেই দূর লাবন্য সিংহগড়ের ঢেউ!
অসুখের শ্রেয় শ্রেণী সংগ্রাম লুকিয়ে রয়েছে কতদিন
চোখ তুলে দেখে ফুটফুটে শিশু হাতের ভেতর দূরবিন।
কবিতার হাতে মাটির ঘোড়া শনিবারে দূর আগুন পোড়া
নির্ঘাত পচা লাশের গন্ধ পাচ্ছে তখন কেউ!

১৪.
দুরন্ত চঞ্চুতে ধান নিয়ে যে শালিক ঘাড়ে এসে নামে চুলে ডুবিয়ে রাখে পালকের জল। তাকে গন্ধতেলের কথা বলেছিলো পাড়ার মাসীরা। তখন থেকেই রোজ মেঘেরা নামে নদীতে আর পাখিরা মিহি জমিতে!

১৫.
পৃথিবীর সম্রাটকে বলছি এরকম আগুন নিয়ে খেলা তোমার হাতে সমিতির শেষ দিন কে দীর্ঘায়িত করেছে!
প্রেম নিয়ে লিখতে চেয়ে বল্লমের ধারে কেটেছো সুখের মর্মর,ওসব পাথর সভা সমিতি তে কবে থেকে ফাইলবন্দী!

১৬.
আলো আর আকাশের থেকে নদী যতখানি আশা করে---
আমিও তেমন;
বত্রিশভাগী জঙ্গলে যাই। ঘুরে যাই পথ। দহে পুড়ে গেলে
সোহাগী জলঘাট-
মাঝে মাঝে বাকিটুকু নদী হই যদি!
জলের ধারার কাছে ঝরো করবি!

কোন মন্তব্য নেই: