[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী, ২০১২

কষ্ট নিয়েই ভালো আছি

কষ্ট নিয়েই ভালো আছি


বাড়লে বাড়ুক জ্বালা।
আমি তবু পরব গলায়,
কষ্টের নীল মালা।


দেখেছি খুজে সুখ।
বিঙাপনের মোড়ক জড়ানো,
পুরোটাই তার দুখ।


খুজতে গিয়ে শান্তি;
কবিতাগুলো পথ হারালো,
মিলল শেষে ভ্রান্তি।


জ্যোস্না ছোয়ার আশায়।
করেছিলাম যাত্রা শুরু,
থেমেছি অমানিশায়।


প্রিয়ার দেয়া গোলাপ।
শেষ বিকেলে রঙ হারিয়ে,
ঝরিয়েছে ক্ষোভ বিলাপ।


দেখেছি খুড়ে হৃদয়।
কোন কালে তার কোন জনমে,
হয়েছিল সুখ উদয়।


বুঝেছি যা বুঝার।
কষ্ট নিয়েই ভালো আছি,
আটকে সুখের দুয়ার।


180514_1881043549734_1350670322_2154769_7759304_n

জানিনা এই শেষ কিনা ....

জানিনা এই শেষ কিনা


চিঠি দিও তুমি, চিঠি দিও
রাখব তোমায় আমি কোমল পরশের ছায়ায়
তারার দেশে বসে
রাখব চোখে চোখে ভালবাসায়
ভালবেসে যেয়ো তুমি ভালবাসায়।
 

চিঠি দিও তুমি, চিঠি দিও আমায়
হাসবো তোমাকে দেখে তোমার হাসিতে
কেঁদে যাবে মন আমার, তোমার দুঃখেতে।
 

চিঠি দিও তুমি, চিঠি দিও
যা ছিল দেবার বাকি, দিয়েছি সবই
চাইনি কখনো তোমায় দুঃখেতে রাখি
আজ আমি ঘুমালাম তোমার ভালবাসায়
যতনে রেখ তুমি রেখো মায়ায়
চিঠি দিও তুমি, চিঠি দিও ভালবাসায়।

তোকে খুঁজে পাওয়া যায় না

তোকে খুঁজে পাওয়া যায় না

kuja pai na

এখন আর তোকে কোথাও খুজেঁ পাই না
এখন শস্য ক্ষেতে সবুজের রং ধুসর হয়ে যায়;
এখনকার ঝড়ে পড়া রক্তগুলো বেশ কালো।
নাগপাশে বন্দী হয়ে স্বাধীনতার সাধ করি উপোভোগ
তবুও তোকে কোথাও খুজে পাই না, যা পাই
তা হলো তোর নামে বিকিকিনির খেলায়
তোকেই রাজ পোশাক পরিয়ে তোর নামের
একক সিদ্ধান্ত। তোকে খুঁজে পাবার পথগুলো
বড়ো সংকীর্ণ হয়ে যাচ্ছে দিনকে দিন। তুই আর আমি
মুখোমুখি থাকবো বলে, কত কত তাজা রক্ত আর চোখে
স্বপ্ন নিয়ে চলে গেল যে সকল আমাদের আত্মা, তাদের সেই
স্বপ্নময় মুখে আজ কষ্টের সৌখিন সাজ। তোকে উপহার দেবে বলে
সেই পায়ে আলতা মাখা বৌটি চোখের রক্ত ঢেলে চলে গেল
ভীন জাতের হীম ঘরে। তার সেই আলতা রাঙা পা এখন আর
চপলতা পায় না, শুধুই প্রতীকের মত কন্ঠস্বরে মেলে একটি মেডেল,
তোকে আর উপহার দেয়া হয় না।

শিশির ভেজা লেবু পাতায় তোকে দেখবে বলে যে দামাল ছেলেটা
একটুকরো চিঠি লিখে গভীর রাতে হাতে আগুন নিয়ে গোপনে
বাবা মা কে ছেরে এসেছে, সেই ছেলে বীরের বেশে ফিরে এসে
কাউকে খুজেঁ পায় না, না তার বাবা মাকে না তোকে।
তোকে আর কোথাও খুঁজি না কারন এই সব সম্ভবের দেশে
শুধু তুই অসম্ভব হয়ে থেকে গেলি।
তোকে খুঁজে পাওয়া গেল না

শুক্রবার, ২০ জানুয়ারী, ২০১২

খেয়া....

খেয়া

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 

ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।

 আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।
 

আমার বুকের বা’পাঁজরে আছে একটা খেয়া
 সেই খেয়ার পালে দক্ষিণা পবনের লেগেছে ছোঁয়া
 প্রেম-ঘাটের যাত্রী যে জন
 পার করিব হলে সুজন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


হৃদয়-তটিনীতে এখন ভরা উচ্ছ্বাস
 অনুকূলে ধমকা বহিছে দক্ষিণা বাতাস
 উঠবে যদি উঠ তরী, বেলা দ্বিপ্রহর
 ভালবাসার পাল উড়িয়ে পাড়ি দেব তেপান্তর
 এ খেয়ঘাটে হয় শুধু হৃদয়ের লেনা-দেনা
 ভালবাসার দামে ভালবাসা হয় কেনা
 প্রেমের খেয়ার মাঝি আমি পার করি সুজন
 মনে মনে হয় যদি গো মিলন
 প্রেমছাড়া আনা কড়ি কিছুই নেব না
 বুঝে নেব হৃদয় ষোল আনা ।


আমার ভালবাসার হৃদয় দিলাম অগ্রিম ভাড়া স্বরূপ
 তোল আমায় তোমার খেয়ায়, পাড়ি দেব প্রেমের অন্তরীপ
 চালাও তরী বৈঠা হাতে রাখালী গানের সুরে
 সুরের আবেশে হারাব দু’জন অজানা তেপান্তরে
 প্রেমেরঘাটের যাত্রী আমি ওগো প্রণয়ভাজন
 ভরা জোয়ারে পাল তুলে দাও, বহিছে প্রভঞ্জন
 টাকা-কড়ি, সোনা-দানা কিছুই চাই না
 দিও শুধু ভালবাসা, হৃদয় ষোল আনা ।

বুধবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০১২

যদি শুন্য ও হয়ে যায় তবুও ছাতিমের তলে সেই সন্ধ্যা ভালোবেসে

যদি শুন্য ও হয়ে যায় তবুও ছাতিমের তলে সেই সন্ধ্যা ভালোবেসে
কিছু স্মৃতি, কিছু গন্ধ স্থাপত্যের থেকে বেশি
শহুরে অনির্বচনীয় ব্যস্ততার মাঝেও
নিস্তব্ধ কাল জলে রাত নেমেছিলো আধখেঁচড়া পাড়ে
কখনো সবুজ ঘন ছিলো; ঘাসের মাঝে আভাস রয়ে গেছে
পুরনো মানিব্যাগে ঝলমলে বাবড়ি দোলানো স্ট্যাম্প সাইজ ফটোর মত।
অলস পায়ে বেয়ারার হাতে ধোঁয়া ওঠা তন্দুরের দিকে তাকিয়ে
তিন বন্ধু সেদিনও বলেছিলো এইবার শীতটা তেমন জাঁকিয়ে নামলোনা।

যতটা পোড়ালে আর পোড়ানো যায়না বলে কয়লারও ক্লান্তি আসে; ততটা তিতকুটে
মুরগির হাড় চিবুনো শব্দের মাঝেও নিঃশব্দ ঝরেছিলো
ছাতিমের ফুল।
গল্পের তুড়িতে হাসি আর আগত দিনেরা
ঘোলাটে টক দইয়ের মাঝে এলোপাথাড়ি শুয়ে থাকা এক দুই শশা আর পেঁয়াজের চাট।
ভুতের সাথে সারা রাত মাছ ধরা কিংবা বসত বাড়ির গম্ভীর কর্তা ভুতের গল্প
কখনো দশদিগন্তের রক্তপাত ঠেকানো অভ্রভেদী ভোরবেলা
নক্ষত্রলোকের মাঝে সবুজ বন্ধুরা হলুদ বনে; বেড়াবে বলে
পরিকল্পনার খেরো হিসাব।

সেই ক্ষনে সবার অজান্তেই গন্ধরা মেখে গিয়েছিলো স্থাপত্যের থেকে বেশি স্মৃতির রুমাল।

লেকের কালো জলের মাঝে সপ্তসিন্ধুর নীল দেখতে দেখতে কথা দিয়েছিলো ওরা
অপাপবিদ্ধ যে কবি সে লিখবে
উপমার ভারে হারিয়ে যায় যার খোঁড়া কবিতা সেও লিখবে
লিখবে স্যাটায়ার-এর ওপাশে নিজেকে যে লুকায়; নিদেন পক্ষে একটি ছড়া


শীতের রাত
ছাতিমের নীচে
তন্দুরে পোড়া চিকেনের স্বাদ
মোহনীয় ফুলের গন্ধে চোরা স্রোতে বয়ে যাওয়া
নীল বন্ধুদের সেই আড্ডা।

স্মৃতি তুমি আলেয়া

স্মৃতি তুমি আলেয়া


আমার গানের বাণী তোমার প্রাণে
একটুও পারে যদি ঢেউ জাগাতে
সেটুকু পাওয়াই হবে শেষ সম্বল
আমি চাই না কিছুইতো আর।

আমার সুরের খেয়া বেয়ে যদি যাও
জীবন সমুদ্রের অথৈ জলে
সুখী হবে এ জীবনে এই দোয়া করি
আমি চাইনা কিছুই তো আর।