১।আমার পথ আমিই
আমার পথ আমিই ধরেছি আমিই চিনেছি আমিই হেঁটেছি আমিই কেটেছি টুকরো টুকরো ফালাফালা। আমার জীবন আমিই কেটেছি আমিই কিনেছি আমিই বেঁচেছি আমিই বদলেছি ইচ্ছেমত সাদাকালা। পথের আবর্তে হারালে পথ দেখেছি আবার সূর্যোদয়। পথভাঙাশ্রমে থামালে রথ, জেনেছি জীবন হচ্ছে ক্ষয়।
২।নর্দমা খুড়ে যদি
নর্দমা খুড়ে যদি পেয়ে যাও নদী
সত্য কহি, তোমাকে দখল দেবো গদি।
৩।সবুজ আর নীল
সবুজ আর নীল যমজ দু’বোন
সবুজের প্রেমে আমি হয়েছি খুন।
৪।চলো তবে আবার
ঠোকা দিয়ে গেলো একপশলা রিনিঝিনি হাওয়া। দখিনের জানালা খুলে বসেছিলো আগন্তুক কার অপেক্ষায় মনে পড়ে না। মেসেঞ্জারে প্রিয়তম অক্ষরগুলি শব্দবন্দি হলে এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠে তাহারছায়া—প্রিয়প্রিয়
মুখ। স্নিগ্ধ বাতাস খেলে খেলে, খেলে খেলে যায় দখিনের আরো দূরে নগরীর নষ্ঠ আস্তানায়—সঙ্গী হয়ে থাকে রোদের নরোমকণা, বালুকাবেলা। যে পথে হারিয়েছে বন্ধুতার ধূলোবালিছাই, চলো তবে আবার সেপথে হারাই।
৫।অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল
যে কথা রাখেনি কেউ সে কথা রাখবে বলেছিলো তারা
ইতিহাস ভুড়ি ভুড়ি মিথ্যে কথায় ভরা
পৃথিবীতে যত জন্মেছে মানুষের হাহাকার
তার থেকে বেশী হয়েছে মিথ্যের প্রচার
কথা রাখানারাখা কখনোই মনে রাখেনি মানবের দল
তাই তারা অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল।
৬।প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল
অনায়াসে ছেড়েছি তোমার হাত—অধিকারের প্রশ্নে দ্বিধান্বিত কেঁপেছি আমূল। বৃক্ষ হয়ে কি লাভ—বরঙ বৃক্ষের ভিতরে দেই প্রাণের স্পন্দন। এইভাবে বুঝেছিলো প্রেমিক পুরুষকূল, প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল।
৭।রঙধনু বিলাস
কাঁথার ভাঁজে কথার সিম্ফনি—শুনি নাই দুহাত ভরে। অপেক্ষা মধুর হবে এমন মন্ত্র বলে শুধিয়েছি অমলার করুন বিলাস; দেখা হয়নি দুচোখের পারস্পারিক ক্রিয়া। অন্ধ কি জানে- তার চোখে ফোটে ফালিফালি রোদ, চষ্ণুতে জমা হয় জলের সরোদ; কিংবা যে চোখে রঙ নেই সেও জানে রঙধনু বিলাস।
৮।কর্পোরেট সকাল
ভুলে যাই ত্রস্ত পায়ের ছাপ, পাগলাটে রেডিওটা পড়ছে ট্রাফিকজ্যাম। ডিজিটাল সাইন জুড়ে হামুখো দীর্ঘশ্বাস। মোবাইলটা শেখাচ্ছে নিউ ব্রাণ্ডের ঠাকুরমার ঝুলি। উদ্ধত তাহার চাহন দখল করে নেয় চিন্তার গতিপথ। পথের
ভারে শ্রান্ত পথিক ছাড়ছে হাহাকার।
৯।নিশিপুর
নিশিপুর ঘুমক্লান্ত চোখের ভিতর স্বপ্নের মায়াবেড়ী হয়ে জেগে থাকে অষ্ট্রপ্রহর। নিশিপুর আমারও আছে মনোভূমি জুড়ে—নিয়ত ফসল ফলাই উতকৃষ্ট চাষী। নিশিপুরে যাবার তাড়না নেই বস্তুত গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া
থাকে না; দিনশেষে বাড়ী ফেরা স্বনিয়মেই ঘটে।
১০।সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়ে
তুমি ঘুমে নাশ, আমি ঝিমুচ্ছি হাসফাস। সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়র তোমার কি আকুল ঘুম, তুমি নয় তোমার ঘুমন্ত শ্বাসেই আমার সহবাস।
১১।সিরাজুলকে…
হঠাত থমকে যাওয়া চোখ
বিস্ময়ে বিমুখ
সকলে অচেনা নয়—
কিছু আছে চেনা চোখ
কিছু চেনা মুখ।
আমার পথ আমিই ধরেছি আমিই চিনেছি আমিই হেঁটেছি আমিই কেটেছি টুকরো টুকরো ফালাফালা। আমার জীবন আমিই কেটেছি আমিই কিনেছি আমিই বেঁচেছি আমিই বদলেছি ইচ্ছেমত সাদাকালা। পথের আবর্তে হারালে পথ দেখেছি আবার সূর্যোদয়। পথভাঙাশ্রমে থামালে রথ, জেনেছি জীবন হচ্ছে ক্ষয়।
২।নর্দমা খুড়ে যদি
নর্দমা খুড়ে যদি পেয়ে যাও নদী
সত্য কহি, তোমাকে দখল দেবো গদি।
৩।সবুজ আর নীল
সবুজ আর নীল যমজ দু’বোন
সবুজের প্রেমে আমি হয়েছি খুন।
৪।চলো তবে আবার
ঠোকা দিয়ে গেলো একপশলা রিনিঝিনি হাওয়া। দখিনের জানালা খুলে বসেছিলো আগন্তুক কার অপেক্ষায় মনে পড়ে না। মেসেঞ্জারে প্রিয়তম অক্ষরগুলি শব্দবন্দি হলে এলইডি স্ক্রিনে ভেসে উঠে তাহারছায়া—প্রিয়প্রিয়
মুখ। স্নিগ্ধ বাতাস খেলে খেলে, খেলে খেলে যায় দখিনের আরো দূরে নগরীর নষ্ঠ আস্তানায়—সঙ্গী হয়ে থাকে রোদের নরোমকণা, বালুকাবেলা। যে পথে হারিয়েছে বন্ধুতার ধূলোবালিছাই, চলো তবে আবার সেপথে হারাই।
৫।অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল
যে কথা রাখেনি কেউ সে কথা রাখবে বলেছিলো তারা
ইতিহাস ভুড়ি ভুড়ি মিথ্যে কথায় ভরা
পৃথিবীতে যত জন্মেছে মানুষের হাহাকার
তার থেকে বেশী হয়েছে মিথ্যের প্রচার
কথা রাখানারাখা কখনোই মনে রাখেনি মানবের দল
তাই তারা অনায়াসে খেতে পারে গন্ধমফল।
৬।প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল
অনায়াসে ছেড়েছি তোমার হাত—অধিকারের প্রশ্নে দ্বিধান্বিত কেঁপেছি আমূল। বৃক্ষ হয়ে কি লাভ—বরঙ বৃক্ষের ভিতরে দেই প্রাণের স্পন্দন। এইভাবে বুঝেছিলো প্রেমিক পুরুষকূল, প্রেমের তীর্থ গড়ে ভেঙেছে সমূল।
৭।রঙধনু বিলাস
কাঁথার ভাঁজে কথার সিম্ফনি—শুনি নাই দুহাত ভরে। অপেক্ষা মধুর হবে এমন মন্ত্র বলে শুধিয়েছি অমলার করুন বিলাস; দেখা হয়নি দুচোখের পারস্পারিক ক্রিয়া। অন্ধ কি জানে- তার চোখে ফোটে ফালিফালি রোদ, চষ্ণুতে জমা হয় জলের সরোদ; কিংবা যে চোখে রঙ নেই সেও জানে রঙধনু বিলাস।
৮।কর্পোরেট সকাল
ভুলে যাই ত্রস্ত পায়ের ছাপ, পাগলাটে রেডিওটা পড়ছে ট্রাফিকজ্যাম। ডিজিটাল সাইন জুড়ে হামুখো দীর্ঘশ্বাস। মোবাইলটা শেখাচ্ছে নিউ ব্রাণ্ডের ঠাকুরমার ঝুলি। উদ্ধত তাহার চাহন দখল করে নেয় চিন্তার গতিপথ। পথের
ভারে শ্রান্ত পথিক ছাড়ছে হাহাকার।
৯।নিশিপুর
নিশিপুর ঘুমক্লান্ত চোখের ভিতর স্বপ্নের মায়াবেড়ী হয়ে জেগে থাকে অষ্ট্রপ্রহর। নিশিপুর আমারও আছে মনোভূমি জুড়ে—নিয়ত ফসল ফলাই উতকৃষ্ট চাষী। নিশিপুরে যাবার তাড়না নেই বস্তুত গন্তব্যে যাওয়ার তাড়া
থাকে না; দিনশেষে বাড়ী ফেরা স্বনিয়মেই ঘটে।
১০।সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়ে
তুমি ঘুমে নাশ, আমি ঝিমুচ্ছি হাসফাস। সঙ্গমের তৃপ্তি নিয়র তোমার কি আকুল ঘুম, তুমি নয় তোমার ঘুমন্ত শ্বাসেই আমার সহবাস।
১১।সিরাজুলকে…
হঠাত থমকে যাওয়া চোখ
বিস্ময়ে বিমুখ
সকলে অচেনা নয়—
কিছু আছে চেনা চোখ
কিছু চেনা মুখ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন