[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০১১

আমার বাল্যকালের সখী ছিল-নিদিতা

নিদিতা- আমার বাল্যকালের সখী ছিল



নিদিতা-
আমার বাল্যকালের সখী ছিল
যার কাছে আমার পুরো
শরৎকাল দায়বদ্ধ।

শরতের শিউলী কুড়ানো
আর
নীল আকাশের নীচে
কাঁশফুলের সাথে সখ্যতা
আমাদের আবশ্যক ছিল তখন।

অপার বিস্ময়ে এই আমি
নিদিতাকে-
আবিষ্কার করতাম আনমনে
কখনও তার হাত ছুঁত
আমার কাঁধ
আবার
তার চুল উড়ে এসে
আমাকে আবেগে ভাসাত রোজ।

নিদিতা-জানো
আজ এই কালে এসে
তোমাকে আর শরতকে
ভিন্ন করতে পারিনা আমি।

একজন মায়াবতীর জন্য

একজন মায়াবতীর জন্য

মায়াবতী তোকে দিলাম শূন্যের নৈশব্দ
নির্ঘুম চাঁদ, চন্দ্রসভার মেঘ
তোর সাথে হোক বন্ধন
হিমালয়ের কান্না-পবিত্র জল ছড়িয়ে পড়ুক
তুই ভিজে যা- ভিজুক তোর মন

আজন্ম শোকগুলো ধুয়ে যাক- উড়ুক গাংচিলের ডানায়
ঠাণ্ডা বাতাস লাগুক তোর চোখে
তুই শূন্য হ। জন্মান্তরের পাপ ধুয়ে যাক তোর
আবার জন্ম নে তুই এই জীবনেই
লালসাগুলো ঝলসে উঠুক তোর
তোকে তোর মতোই দেখুক সবাই
তোর মতোই তুই বেঁচে থাক
প্রতিটা অনুভবে মিশে থাক তুই।
এ যে তোরই জীবন।
তুই সুখী হ।

************

tumar jonno

তোমার জন্য


তোমার জন্য-
একসময় অনেক রঙ্গীন ছিলাম
এই আমি
আবেগপ্রবণ হতাম খুব
বৃষ্টির ছোঁয়ায় শিহরীত হতাম
পাখির ডাকে হতাম বিমহিত।
তোমার জন্য-
কবি হলাম একদা
কলম আর মনের সাথে
ঠুকাঠুকি করে রক্ত ঝরালাম
আমার প্রিয় ডায়রীতে ।
তারপরও হয়নি বলা শেষ কথা
কখনো আবিষ্কার করেছি তোমায়
ক্লিওপেট্রো কখনো শকুন্তলা
আবার কখনো
জীবনানন্দের বনলতা সেন।
কত নামে পূজা করেছি তোমায়।
জানা হয়নি-
পৃথিবীর হাজারোও আশা মরে
মনেরও অজান্তে
তিল তিল করে গড়ে তুলা স্বপ্ন
ভেঙ্গে চুরমার হয় কারো অবহেলায়।
তারপরও জানা-
কেমন আছো তুমি ?

শিরোনামহীন কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে...

শিরোনামহীন কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে হচ্ছে...

একই শহরে আমাদের নিত্যবসবাস
তোমার আমার মাঝে ফারাক শুধু
আলো আর অন্ধকার
মাঝখানে দাগটানা নিয়তি..
আমি, তুমি আর নিরন্তর যাপিত জীবন ।
বহন করি শতাব্দী প্রাচীন অভিশাপ
কোন এক যক্ষের মত..

ক্রমশ অনুভুতি গুলো আলগা হয়ে যায়
ঝাপসা হয়ে যাও তুমিও
হয়তোবা এটাও স্বাভাবিক স্বাভাবিকতা

বৃহস্পতিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১১

আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছিলাম

আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছিলাম

আমি বৃষ্টি হতে চেয়েছিলাম, চেয়েছিলাম শ্রাবণ ধারার মতো
চোখের কোনের নির্ঝর হতে,
নোনা শিহরনে তোমাকে জড়াতে
আমি সুখ হতে চেয়েছিলাম; চেয়েছিলাম কুঁড়ে ঘরের পাশে
নিঝুম কোন রাতে একাদশীর চাঁদ হয়ে ঝুলে থাকতে
আনন্দের শিহরণে তোমাকে ভাবাতে।
আমার স্বপ্ন ছিলোনা;
তুমি স্বপ্ন একেঁছিলে; তাই কষ্ট গুলোকে মুঠো ভর্তি করে
ছুড়ে ফেলেছিলাম তমিস্র নগরীতে , ওরা যেন ফিরে না আসে,
যেন আমাকে আর না কাদাঁয়
আমি বিশ্বাস করেছিলাম তোমাকে; তাই ভেসেছিলাম।
আমি তোমার হৃদয়ের ভালবাসা হতে চেয়েছিলাম, “চেয়েছিলাম চাররঙ্গা রঙ্গে রাঙ্গাতে”
অদ্ভুত ভালোলাগার নেশায় তোমায় বুদ করে রাখতে,
আবেগের বন্দরে তোমায় ভাসাতে।
আমি স্পর্শ চেয়েছিলাম; চেয়েছিলাম নিপুন ছোয়ায় বিস্মিত হতে কখোনো কখোনো !!
এই-চোখে ও-চোখের ভাষা পড়তে
তোমাতে আমাতে একাকার হতে।
আমার বিরহ ছিলোনা
তুমি দু-হাত ভরে দিয়েছিলে ভালবাসার অঞ্জলী!
আমি কুবের হতে চাইনি; আকাশ ছুতে চাইনি;
আমার দৈন্যতায় তোমাকে সাজাতে চেয়েছিলাম;তোমার সখ্যতা চেয়েছিলাম
তোমার উচ্ছলতায় আমার হৃদয়ের জট খুলেছিলো।
টুপটাপ বৃষ্টি কিংবা ঝড় তোলা সন্ধ্যাকে তুমি কাছে টেনেছিলে
আমাকে টানো নি !!
আমাকে আহবান করে,
অজানা কি এক অভিমানে;
হাতের মুঠোয় নিয়ে শেষে ছুড়ে ফেলে চলে গিয়েছিলে ?
তারপর আর ফিরে আসো নি।
তবুও আমি এখনো বৃষ্টি হতে চাই তোমার চোখে?
শ্রাবণ ধারার মতো।

অনামিকা....

আজও ভুলতে পারি নাই

যাহাকে ভালবাস তাহাকে নয়নের আঁড় করিও না
যদি প্রেম বন্ধন দৃঢ রাখিবে তবে সুতা ছোট করিও
বাঞ্ছিতকে চোখে চোখে রাখিও
অদর্শনে কত বিষময় ফল ফলে
যাহাকে বিদায় দেবার সময় কত কাদিয়াছ, মনে করিয়াছ বুঝি তাহাকে ছাড়া দিন কাটিবে না –কয় বছর পর তাহার সাথে যখন আবার দেখা তখন কেবল জিজ্ঞাসা করিয়াছ – ভাল আছ তো?
হয়ত সেই কথাও হয় নাই, কথাই হয় নাই- আন্তরিক বিচ্ছেদ ঘটিয়াছে একবার চোখের আড়াল হলেই যা ছিল তা আর হয় না
যা যায় তা আর আসে না
যা ভাঙ্গে তা আর গড়ে না
মুক্ত বেনীর পর যুক্ত বেনী কোথায় দেখিয়াছ ????
জীবন মানেই সুখের স্মৃতি বয়ে বেড়ানো—
বেঁচে থাকা মানেই দুঃখের সাথে অজান্তে সহবাস করা—
অবিমিশ্র সুখ মানুষের ভাগ্যে কখনোই আসে না—
সুখ বাঁচিয়ে রাখতে সবচেয়ে বেশী অস্বস্তি বোধ করে মানুষ—
যে কোন ছল ছুঁতোয় সে দুঃখকে দেকে আনে—
সুখের চেয়ে দুখের সাথে বাস করতে সে বেশী আরাম বোধ করে, কারন অতি সুখে হাহাকার থাকে না—
স ন্দেহ, জ্বালা অথবা নিজেকে বঞ্চিত ভাবার যন্ত্রনা থাকে না—
কোন এক মুহুর্ত বা কিছুদিনের বুকে খুশীর সূচীকর্ম সারাজীবন টাঙ্গিয়ে রাখার নাম জীবন, মানুষ তাতেই অভ্যস্ত।

যারা যুদ্ধ করে পাহাড় ডিঙ্গায় তারাই কি শুধু বীর?
যারা তিল তিল করে নিজেদের যৌবন, নিজেদের সর্ব সাধ আহলাদ, নিজেদের খাওয়ার সুখ, পরার সুখ, শরীরের সব সুখ কে নির্বিকার চিত্তে প্রতিদিন নিঃশব্দে গলা টিপে মারে নিজেদের জন্মদাতা বা দাত্রী, ভাই বোনদের কারনে তারা কি বীর নয়?

প্রতি মুহুর্তে নিজের সঙ্গে যুদ্ধে যে যোদ্ধা নিজেকে বারবার পরাজিত করে সে কি সত্যিকারের বীর নয়?