[url=http://www.gulfup.com/?AomQ4i][img]http://www.gulfup.com/G.png[/img][/url]

বৃহস্পতিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

আমাকে নিয়ে যায় সে



আমাকে নিয়ে যায় সে

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে-
কোনো এক কালের প্রভাত ঘন
বসন্তের কোকিল হয়ে।

মাঝে মধ্যেই আমি প্রকৃতির রুপ মেখে
নয়নে বসন্ত সাজাই-
আমি উন্মক্ত হই, প্রতহ অপরাহে
কিম্বা বাকি সময়ে।

যেখানে কোনো অনুসূচনা থাকেনা,
থাকেনা সূচনাকে পুজি করে
অমাবর্ষার বিষ্ময়কর ডুমুর ফুল
আয়ত্ব করতে।

সেখানে আমি জাগিয়ে উঠি
অতীত কিম্বা ভবিষ্যতের সামনা সামনি।
আমাকে নিয়ে যায় সে-
মহাকালের কোনো এক সৃষ্টির নিগরে।

আমি সেখানেই আয়ত্ব করি
যুগ উপযোগি সভ্যতার বাসনা গুলো।
সেখানেই গচ্ছিত আছে মহাকালের সভ্যতা ।

সেখানে শানবাধা ঘাট আছে।
পাল তোলা নাও আছে।
প্রকৃতি আছে, আছে প্রাকৃতির নির্যাস ।

কোকিল আছে ,ভরা দিঘি আছে
উলঙ্গ মাঠ আছে -
আর একরাশ স্বপ্ন আছে।

আমাকে জাগিয়ে তোলে সে
আমাকে নিয়ে যায় সে
বসন্তে-র ভরা যৌবনের স্বাদ নিতে।

আমি প্রত্যহে কাটি তার অপেক্ষায়।
######################################################################

বোঝা না বোঝার ভাষা





বোঝা না বোঝার ভাষা
Photobucket

চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া অশ্রুকে জলই ভাবা যায়,
ভাবা যায় সেই অশ্রুকে সাগরের জলও,
হয়ত অশ্রু আর সাগরের জল দুটোই নোনতা বলে,
কতো কষ্টে যে এই জল গড়িয়ে পড়ে, তার কি খবর কেউ জানে,
বা বোঝে কেউ প্রতিটি ফোটায় জড়িয়ে থাকে কতো বেদনার লবনাক্ততা।

বিশ্বাসে যে আয়না তৈরী হয় যেখানে হেসে যায় ভরসার রেখা বিন্দু,
অবিশ্বাসের একটুকরো আচড়ে সেই আয়নায় যে দাগ পড়ে
সেই দাগটা হাজার বিশ্বাস দিয়েও মোছা যায় না কখনো,
কেউ কি সেই দাগের ভাষা পড়তে পারে?
কেউ কি বোঝে অবিশ্বাসের এই দাগে কতোটা কষ্ট লুকিয়ে থাকে।

একাকিত্বর মূর্চ্ছণায় যে সুরে বেজে উঠে গান
সুরের ঝন্কারে মুখরোতি হয় চারিধার,
সেই ঝন্কারে যে ব্যাথার সুর বেজে উঠে
কেউ কি বোঝে তা কখনো? কেউ কি বোঝে
একাকিত্বে কতোবার একটা জীবনের মৃত্যু ঘটে।

ভালবাসা, ভরসা আর বিশ্বাস মিলে যে জীবন
সেই জীবনে প্রতি পলে পলে বেদনার অশ্রু,
বিশ্বাস ভাঙ্গার কষ্ট, সাগর, পাহাড় বা
যতো কিছুর সাথে তুলনা করা হোক না কেনো
কেউ কি বোঝে, কি যাতনায় একটা জীবন অতিবাহিত হয়
কেউ কি বোঝে চাপা কান্নায় কতোটা মুহুর্ত পেড়িয়ে যায়?

বোঝা না বোঝার ভাষা কি পড়তে পারে কেউ কখনো?
******************************************************

গোলা খাবি খা, মারা যাবি যা, তবু গোলা খাব




গোলা খাবি খা, মারা যাবি যা, তবু গোলা খাব

এই বছরটা বোধ হয় আমার শেষ বছরই হবে, আমার মন বলছে, বছর শুরুর ২টা মাস যায় যায় করছে আর আমি এই ৫৪টা দিনে ৫৪ মিনিটও ভাল থাকতে পারিনি, এই ৫৪টা দিন ধরেই হয় কাশি, না হয় ঠান্ডা না হয় জ্বর, একটা না একটা কিছু লেগেই আছে। এই ভাবে ৫৪টা দিন কাটিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। চলছে ওষুধ খাওয়ার ধুম। মানুষ খায় পিঠা পুলি আর আমি খাই ওষুধ , বিধাতার লীলা আসলেই বোঝা ভার।
২১তারিখ সকাল ৫.৩০মিনিটে ঘুম থেকে উঠে নাক মুছতে মুছতে প্রস্তুত হয়ে ৭.১৫মিনিটে চলে গেলাম ইডেনের গেটে, ফুল দিতে শহীদ বেদীতে, দীর্ঘ্য ৬ঘন্টা ৩০মিনিট পরে সেই সৌভাগ্যবান আর সৌভাগ্যবতী হয়ে আমরা ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে আসলাম, এই লম্বা লাইনে দাড়িয়ে যেমন পায়ে ব্যাথা হয়েছে তেমন ধূলা বাবাজি আমাকে ভালভাবে জড়িয়ে ধরেছিল যা তখন টের পাইনি, শহীদ মিনার থেকে বের হয়েই আইসক্রিম ওয়ালা দেখে গরমটা একটু বেশী লাগছিল(ইগলু বা পোলার নয়, ললি টাইপ আইসক্রিম, বরফ আর রং মিশানো, এই আইসক্রিম আমার বেশী প্রিয়, ইগলু বা পোলারের আইসক্রিম এর চেয়ে) একটা আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে জামানকে ওটা দিয়ে আরেকটা খেলাম। আহ্ কি সুখ। সুখ তুমি কোথায় ছিলে??? বই মেলায় কিছুক্ষন থাকার পরেই শরীর জানান দিচ্ছিল আর চলবে না, থেমে যাবে যে কোন সময়, সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, হালকা মাথা ব্যাথা, আর কাশি। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার জন্য মেলার বাইরে পা দিলাম , আর সেখানে দেখা গোলা ওয়ালার সাথে, সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যাথা কাশি কিছুই আর রইল না। ওখানে লাইন দিয়ে ত্রিশটা টাকা দিয়ে বরফের গোলা কিনে খেতে খেতে বাসায় আসলাম। কি যে মজা সেই বরফের গোলা। না কোন স্বাধ না কোন গন্ধ, শুধু বরফের কুচি আর রং। তবুতো থেতে হবে, না খেয়ে মরে গেলে আফসোস থেকে যেতো।
আফসোস আর কি থাকবে, বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কম্বল মুড়ি দিলাম, শুরু হল হাচি, কাশি, নাক দিয়ে গঙ্গার পানি স্রোত, মাথা ব্যাথা আর জ্বর। গরম চা করে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম একটু কষ্ট করে বিছানা থেকে উঠে। রাতে সব কিছু আরো ভাল ভাবে আমাদের পেয়ে বসে আমাকে কি আর রেহায় দিবে। দিল না।
নাক দিয়ে অবিরত পানি পড়ছেই, কাশি মহা কাশিতে পরিণত হচ্ছে, জ্বর ঠিক মতো আসতে পারছে না প্যারাসিটামলের কারণে। অফিসে তবু আসতে হল। হাতে অনেক কাজ। কিন্তু সেই কাজও ঠিক মতো করতে পারলাম না, রুম লক করে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া। সন্ধায় বাসায় ফিরে শুয়ে রইলাম, জামান ফিরেই ধরিয়ে দিল এন্টিবায়োটিক, সে খুব ভাল করেই জানে আমার যে অবস্থা এন্টিবায়োটিক ছাড়া চলবে না। চলছে এন্টিবায়োটিক, নাক দিয়ে পানি পড়া থেমেছে কিন্তু কাশি মাথাব্যাথা কমছে না, প্যারাসিটামলের কারণে জ্বর ভালভাবে আসতে পারছে না। ল্যাপটপে চোখ দিতে পারছি না, মাথা ব্যাথার যন্ত্রনা তিব্র হচ্ছে।
এই তিনদিন ব্লগে আসতে পারিনি বলে আমাকে সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর সিরিয়াল থেকে আস্তে আস্তে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে, এই দু:খ কোথায় রাখি। ভেবেছিলাম সারা বছর সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর জায়গাটা ধরে রাখবো আর সামনের বছর পিকনিকে একটা উপহার নিব। কপালে না থাকলে যা হয়।
২১নিয়ে পোস্টও দিতে পারছি না। ছবিগুলো ল্যাপটপেও নেয়া হয়নি। এডিট করতে হবে তারপরে ফটোবাকেটে নিতে হবে, মাথার ব্যাথায় এতোকিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে না হয় পোস্ট দিব।
আজ সকালে জামানকে বকলাম গোলা খাওয়ার সময় কেনো মানা করলে না। ওর সোজা উত্তর”হ্যা মানা করি এরপরে শুরু হোক তোমার ক্যানক্যানানি, কেনো খেতে দিলাম না, মরে গেলে বুঝবা, এই সব ডায়লগ(আমাকে কিছু না দিলে আমি এই সব ওকে বলি) আসলে বেচারাও বুঝেনি আমার অবস্থা এতো খারাপ হবে। তবে একটা কথা না লিখলেই না। বরফের গোলা খেয়ে কাশি জ্বর ঠান্ডায় যতো কষ্ট পাই না কেনো, গোলা টা না খেলে আফসোস থাকতো। গোলা খেয়ে মরবো তবু গোলা খাবো। সামনের বছর যদি বেচে থাকি আবার গোলা খাব, এই সময়টাই গোলাটা পাওয়া যায় তাই বেচে থাকলে নেক্সট বছরেও এই টার্গেট থাকলো।
আজও ব্লগিং করবো না, এই্ কয়টা লাইন লিখতে চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ছে, মাথা টন টন করছে। আরো দুই তিনদিন মনে হয় লাগবে ভাল হতে। সেই পর্যন্ত সবার পোস্ট জমা থাকুক আমার জন্য একাধারে মন্তব্য করে আমার অবস্থান ছিনিয়ে আনবোই,,ইনশাল্লাহ।

সবাই অনেক অনেক ভাল থাকুন। আমি পাগলামী করি আপনারা করবেন না। পাগলামী করে যে কষ্ট পাচ্ছি তা জামান ছাড়া কেউ বুঝবে না, বেচারা এই দুইদিন হাবিজাবি খাচ্ছে, যত্ন হচ্ছে না।আর অফিসের কাজও জমে যাচ্ছে। সবাই সচেতন থাকুন নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে। পরিবার পরিজনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।

মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি





মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি
akashnill
এই কি মেঘের খেলা-
প্রতিদিন সে ঢাকে আকাশ,
ভু-পৃষ্টে থমকে দাড়ায় তপ্ত বাতাস।
প্রতিক্ষায় চেয়ে তনুমন,
ক’ফোটা বৃষ্টি ঝরো অনুক্ষন।
কদম তলে ‍সিক্ত বসনে
কথা হবে প্রিয়ার সাথে তৃষিত নয়নে,
রোদেলা দুপুরে ঘামসিক্ত মনে
তাই অপেক্ষায় কাটে বেলা।
অপেক্ষার দুপুর বিকেলে যায়
গোধূলীয়ার সঙ্গম হয় সুর্য ডোবায়
তবুও জলহীন মেঘ বৃষ্টি ঝরালো না,
প্রিয়া মোর আসিলনা শুষ্ক সাজ বেলায়,
ছোঁয়া গেল না তাকে বৃষ্টির অপেক্ষায়,
এ যেন মেঘ-বৃষ্টি লুকোচুরি খেলা।

সোমবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

একুশ আসে একুশ যায়




একুশ আসে একুশ যায়

একুশ এলেই হুঁশ হয় বেহুঁশ বাঙ্গালীর
একুশ একেই নিরঙ্কুশ শ্রদ্বায় নগ্ন চরন ধীর
একুশের পরশে হৃদয় নিমেষে বিগলিত চিত্ত
শহীদ স্মরনে নিমগ্ন জাতি, স্যালুট -হে ভাষা বীর।

একুশ এলে ভরে ফুলে ফুলে শহীদ বেধি সারা
একুশ পেরুলেই ভুলি তাদের ভাষার জন্য প্রাণ দিলো যারা
যে চেতনায় এসেছিলো একুশ
দিয়েছিলো রক্তের জলাঞ্জলী রফিক শফিক বরকতেরা
আজ সেই চেতনায় জমেছে মরিচিকা
নিঃশব্দ ঘুনোপোকায় ভঙ্গূর জাতির মেরুদণ্ড
ভাষার ভালোবাসার নামে ভন্ড রাজনীতি করছে নির্লজ্জ ধোকা
ধার করা সংস্কৃতির জোয়ারে বাংলা আজ ক্ষীণ
ছিন্ন ভিন্ন জাতির মননে হবে কী ! ভাষার চেতনা উদ্বার ।

হে প্রভূ তোমার ভালবাসাই খাঁটি



হে প্রভূ তোমার ভালবাসাই খাঁটি