বোঝা না বোঝার ভাষা
চোখ থেকে গড়িয়ে পড়া অশ্রুকে জলই ভাবা যায়,
ভাবা যায় সেই অশ্রুকে সাগরের জলও,
হয়ত অশ্রু আর সাগরের জল দুটোই নোনতা বলে,
কতো কষ্টে যে এই জল গড়িয়ে পড়ে, তার কি খবর কেউ জানে,
বা বোঝে কেউ প্রতিটি ফোটায় জড়িয়ে থাকে কতো বেদনার লবনাক্ততা।
বিশ্বাসে যে আয়না তৈরী হয় যেখানে হেসে যায় ভরসার রেখা বিন্দু,
অবিশ্বাসের একটুকরো আচড়ে সেই আয়নায় যে দাগ পড়ে
সেই দাগটা হাজার বিশ্বাস দিয়েও মোছা যায় না কখনো,
কেউ কি সেই দাগের ভাষা পড়তে পারে?
কেউ কি বোঝে অবিশ্বাসের এই দাগে কতোটা কষ্ট লুকিয়ে থাকে।
একাকিত্বর মূর্চ্ছণায় যে সুরে বেজে উঠে গান
সুরের ঝন্কারে মুখরোতি হয় চারিধার,
সেই ঝন্কারে যে ব্যাথার সুর বেজে উঠে
কেউ কি বোঝে তা কখনো? কেউ কি বোঝে
একাকিত্বে কতোবার একটা জীবনের মৃত্যু ঘটে।
ভালবাসা, ভরসা আর বিশ্বাস মিলে যে জীবন
সেই জীবনে প্রতি পলে পলে বেদনার অশ্রু,
বিশ্বাস ভাঙ্গার কষ্ট, সাগর, পাহাড় বা
যতো কিছুর সাথে তুলনা করা হোক না কেনো
কেউ কি বোঝে, কি যাতনায় একটা জীবন অতিবাহিত হয়
কেউ কি বোঝে চাপা কান্নায় কতোটা মুহুর্ত পেড়িয়ে যায়?
বোঝা না বোঝার ভাষা কি পড়তে পারে কেউ কখনো?
******************************************************
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন