গোলা খাবি খা, মারা যাবি যা, তবু গোলা খাব
এই বছরটা বোধ হয় আমার শেষ বছরই হবে, আমার মন বলছে, বছর শুরুর ২টা মাস যায় যায় করছে আর আমি এই ৫৪টা দিনে ৫৪ মিনিটও ভাল থাকতে পারিনি, এই ৫৪টা দিন ধরেই হয় কাশি, না হয় ঠান্ডা না হয় জ্বর, একটা না একটা কিছু লেগেই আছে। এই ভাবে ৫৪টা দিন কাটিয়ে আমি ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। চলছে ওষুধ খাওয়ার ধুম। মানুষ খায় পিঠা পুলি আর আমি খাই ওষুধ , বিধাতার লীলা আসলেই বোঝা ভার।
২১তারিখ সকাল ৫.৩০মিনিটে ঘুম থেকে উঠে নাক মুছতে মুছতে প্রস্তুত হয়ে ৭.১৫মিনিটে চলে গেলাম ইডেনের গেটে, ফুল দিতে শহীদ বেদীতে, দীর্ঘ্য ৬ঘন্টা ৩০মিনিট পরে সেই সৌভাগ্যবান আর সৌভাগ্যবতী হয়ে আমরা ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে আসলাম, এই লম্বা লাইনে দাড়িয়ে যেমন পায়ে ব্যাথা হয়েছে তেমন ধূলা বাবাজি আমাকে ভালভাবে জড়িয়ে ধরেছিল যা তখন টের পাইনি, শহীদ মিনার থেকে বের হয়েই আইসক্রিম ওয়ালা দেখে গরমটা একটু বেশী লাগছিল(ইগলু বা পোলার নয়, ললি টাইপ আইসক্রিম, বরফ আর রং মিশানো, এই আইসক্রিম আমার বেশী প্রিয়, ইগলু বা পোলারের আইসক্রিম এর চেয়ে) একটা আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে জামানকে ওটা দিয়ে আরেকটা খেলাম। আহ্ কি সুখ। সুখ তুমি কোথায় ছিলে??? বই মেলায় কিছুক্ষন থাকার পরেই শরীর জানান দিচ্ছিল আর চলবে না, থেমে যাবে যে কোন সময়, সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, হালকা মাথা ব্যাথা, আর কাশি। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার জন্য মেলার বাইরে পা দিলাম , আর সেখানে দেখা গোলা ওয়ালার সাথে, সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যাথা কাশি কিছুই আর রইল না। ওখানে লাইন দিয়ে ত্রিশটা টাকা দিয়ে বরফের গোলা কিনে খেতে খেতে বাসায় আসলাম। কি যে মজা সেই বরফের গোলা। না কোন স্বাধ না কোন গন্ধ, শুধু বরফের কুচি আর রং। তবুতো থেতে হবে, না খেয়ে মরে গেলে আফসোস থেকে যেতো।
আফসোস আর কি থাকবে, বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কম্বল মুড়ি দিলাম, শুরু হল হাচি, কাশি, নাক দিয়ে গঙ্গার পানি স্রোত, মাথা ব্যাথা আর জ্বর। গরম চা করে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম একটু কষ্ট করে বিছানা থেকে উঠে। রাতে সব কিছু আরো ভাল ভাবে আমাদের পেয়ে বসে আমাকে কি আর রেহায় দিবে। দিল না।
নাক দিয়ে অবিরত পানি পড়ছেই, কাশি মহা কাশিতে পরিণত হচ্ছে, জ্বর ঠিক মতো আসতে পারছে না প্যারাসিটামলের কারণে। অফিসে তবু আসতে হল। হাতে অনেক কাজ। কিন্তু সেই কাজও ঠিক মতো করতে পারলাম না, রুম লক করে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া। সন্ধায় বাসায় ফিরে শুয়ে রইলাম, জামান ফিরেই ধরিয়ে দিল এন্টিবায়োটিক, সে খুব ভাল করেই জানে আমার যে অবস্থা এন্টিবায়োটিক ছাড়া চলবে না। চলছে এন্টিবায়োটিক, নাক দিয়ে পানি পড়া থেমেছে কিন্তু কাশি মাথাব্যাথা কমছে না, প্যারাসিটামলের কারণে জ্বর ভালভাবে আসতে পারছে না। ল্যাপটপে চোখ দিতে পারছি না, মাথা ব্যাথার যন্ত্রনা তিব্র হচ্ছে।
এই তিনদিন ব্লগে আসতে পারিনি বলে আমাকে সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর সিরিয়াল থেকে আস্তে আস্তে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে, এই দু:খ কোথায় রাখি। ভেবেছিলাম সারা বছর সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর জায়গাটা ধরে রাখবো আর সামনের বছর পিকনিকে একটা উপহার নিব। কপালে না থাকলে যা হয়।
২১নিয়ে পোস্টও দিতে পারছি না। ছবিগুলো ল্যাপটপেও নেয়া হয়নি। এডিট করতে হবে তারপরে ফটোবাকেটে নিতে হবে, মাথার ব্যাথায় এতোকিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে না হয় পোস্ট দিব।
আজ সকালে জামানকে বকলাম গোলা খাওয়ার সময় কেনো মানা করলে না। ওর সোজা উত্তর”হ্যা মানা করি এরপরে শুরু হোক তোমার ক্যানক্যানানি, কেনো খেতে দিলাম না, মরে গেলে বুঝবা, এই সব ডায়লগ(আমাকে কিছু না দিলে আমি এই সব ওকে বলি) আসলে বেচারাও বুঝেনি আমার অবস্থা এতো খারাপ হবে। তবে একটা কথা না লিখলেই না। বরফের গোলা খেয়ে কাশি জ্বর ঠান্ডায় যতো কষ্ট পাই না কেনো, গোলা টা না খেলে আফসোস থাকতো। গোলা খেয়ে মরবো তবু গোলা খাবো। সামনের বছর যদি বেচে থাকি আবার গোলা খাব, এই সময়টাই গোলাটা পাওয়া যায় তাই বেচে থাকলে নেক্সট বছরেও এই টার্গেট থাকলো।
আজও ব্লগিং করবো না, এই্ কয়টা লাইন লিখতে চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ছে, মাথা টন টন করছে। আরো দুই তিনদিন মনে হয় লাগবে ভাল হতে। সেই পর্যন্ত সবার পোস্ট জমা থাকুক আমার জন্য একাধারে মন্তব্য করে আমার অবস্থান ছিনিয়ে আনবোই,,ইনশাল্লাহ।
সবাই অনেক অনেক ভাল থাকুন। আমি পাগলামী করি আপনারা করবেন না। পাগলামী করে যে কষ্ট পাচ্ছি তা জামান ছাড়া কেউ বুঝবে না, বেচারা এই দুইদিন হাবিজাবি খাচ্ছে, যত্ন হচ্ছে না।আর অফিসের কাজও জমে যাচ্ছে। সবাই সচেতন থাকুন নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে। পরিবার পরিজনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।
২১তারিখ সকাল ৫.৩০মিনিটে ঘুম থেকে উঠে নাক মুছতে মুছতে প্রস্তুত হয়ে ৭.১৫মিনিটে চলে গেলাম ইডেনের গেটে, ফুল দিতে শহীদ বেদীতে, দীর্ঘ্য ৬ঘন্টা ৩০মিনিট পরে সেই সৌভাগ্যবান আর সৌভাগ্যবতী হয়ে আমরা ফুল দিয়ে শহীদ মিনার থেকে বের হয়ে আসলাম, এই লম্বা লাইনে দাড়িয়ে যেমন পায়ে ব্যাথা হয়েছে তেমন ধূলা বাবাজি আমাকে ভালভাবে জড়িয়ে ধরেছিল যা তখন টের পাইনি, শহীদ মিনার থেকে বের হয়েই আইসক্রিম ওয়ালা দেখে গরমটা একটু বেশী লাগছিল(ইগলু বা পোলার নয়, ললি টাইপ আইসক্রিম, বরফ আর রং মিশানো, এই আইসক্রিম আমার বেশী প্রিয়, ইগলু বা পোলারের আইসক্রিম এর চেয়ে) একটা আইসক্রিম কিনে খেতে খেতে জামানকে ওটা দিয়ে আরেকটা খেলাম। আহ্ কি সুখ। সুখ তুমি কোথায় ছিলে??? বই মেলায় কিছুক্ষন থাকার পরেই শরীর জানান দিচ্ছিল আর চলবে না, থেমে যাবে যে কোন সময়, সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, হালকা মাথা ব্যাথা, আর কাশি। সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসার জন্য মেলার বাইরে পা দিলাম , আর সেখানে দেখা গোলা ওয়ালার সাথে, সাথে সাথে নাক দিয়ে পানি পড়া, মাথা ব্যাথা কাশি কিছুই আর রইল না। ওখানে লাইন দিয়ে ত্রিশটা টাকা দিয়ে বরফের গোলা কিনে খেতে খেতে বাসায় আসলাম। কি যে মজা সেই বরফের গোলা। না কোন স্বাধ না কোন গন্ধ, শুধু বরফের কুচি আর রং। তবুতো থেতে হবে, না খেয়ে মরে গেলে আফসোস থেকে যেতো।
আফসোস আর কি থাকবে, বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে কম্বল মুড়ি দিলাম, শুরু হল হাচি, কাশি, নাক দিয়ে গঙ্গার পানি স্রোত, মাথা ব্যাথা আর জ্বর। গরম চা করে একটা প্যারাসিটামল খেয়ে নিলাম একটু কষ্ট করে বিছানা থেকে উঠে। রাতে সব কিছু আরো ভাল ভাবে আমাদের পেয়ে বসে আমাকে কি আর রেহায় দিবে। দিল না।
নাক দিয়ে অবিরত পানি পড়ছেই, কাশি মহা কাশিতে পরিণত হচ্ছে, জ্বর ঠিক মতো আসতে পারছে না প্যারাসিটামলের কারণে। অফিসে তবু আসতে হল। হাতে অনেক কাজ। কিন্তু সেই কাজও ঠিক মতো করতে পারলাম না, রুম লক করে চুপচাপ বসে থাকা ছাড়া। সন্ধায় বাসায় ফিরে শুয়ে রইলাম, জামান ফিরেই ধরিয়ে দিল এন্টিবায়োটিক, সে খুব ভাল করেই জানে আমার যে অবস্থা এন্টিবায়োটিক ছাড়া চলবে না। চলছে এন্টিবায়োটিক, নাক দিয়ে পানি পড়া থেমেছে কিন্তু কাশি মাথাব্যাথা কমছে না, প্যারাসিটামলের কারণে জ্বর ভালভাবে আসতে পারছে না। ল্যাপটপে চোখ দিতে পারছি না, মাথা ব্যাথার যন্ত্রনা তিব্র হচ্ছে।
এই তিনদিন ব্লগে আসতে পারিনি বলে আমাকে সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর সিরিয়াল থেকে আস্তে আস্তে নীচে নামিয়ে দিচ্ছে, এই দু:খ কোথায় রাখি। ভেবেছিলাম সারা বছর সবোর্চ্চ মন্তব্যকারীর জায়গাটা ধরে রাখবো আর সামনের বছর পিকনিকে একটা উপহার নিব। কপালে না থাকলে যা হয়।
২১নিয়ে পোস্টও দিতে পারছি না। ছবিগুলো ল্যাপটপেও নেয়া হয়নি। এডিট করতে হবে তারপরে ফটোবাকেটে নিতে হবে, মাথার ব্যাথায় এতোকিছু করা সম্ভব হচ্ছে না। পরে না হয় পোস্ট দিব।
আজ সকালে জামানকে বকলাম গোলা খাওয়ার সময় কেনো মানা করলে না। ওর সোজা উত্তর”হ্যা মানা করি এরপরে শুরু হোক তোমার ক্যানক্যানানি, কেনো খেতে দিলাম না, মরে গেলে বুঝবা, এই সব ডায়লগ(আমাকে কিছু না দিলে আমি এই সব ওকে বলি) আসলে বেচারাও বুঝেনি আমার অবস্থা এতো খারাপ হবে। তবে একটা কথা না লিখলেই না। বরফের গোলা খেয়ে কাশি জ্বর ঠান্ডায় যতো কষ্ট পাই না কেনো, গোলা টা না খেলে আফসোস থাকতো। গোলা খেয়ে মরবো তবু গোলা খাবো। সামনের বছর যদি বেচে থাকি আবার গোলা খাব, এই সময়টাই গোলাটা পাওয়া যায় তাই বেচে থাকলে নেক্সট বছরেও এই টার্গেট থাকলো।
আজও ব্লগিং করবো না, এই্ কয়টা লাইন লিখতে চোখ দিয়ে অবিরত পানি পড়ছে, মাথা টন টন করছে। আরো দুই তিনদিন মনে হয় লাগবে ভাল হতে। সেই পর্যন্ত সবার পোস্ট জমা থাকুক আমার জন্য একাধারে মন্তব্য করে আমার অবস্থান ছিনিয়ে আনবোই,,ইনশাল্লাহ।
সবাই অনেক অনেক ভাল থাকুন। আমি পাগলামী করি আপনারা করবেন না। পাগলামী করে যে কষ্ট পাচ্ছি তা জামান ছাড়া কেউ বুঝবে না, বেচারা এই দুইদিন হাবিজাবি খাচ্ছে, যত্ন হচ্ছে না।আর অফিসের কাজও জমে যাচ্ছে। সবাই সচেতন থাকুন নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে। পরিবার পরিজনের যত্ন নিন, সুস্থ থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন